আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় বিকল হয়ে পড়েছে সাহায্য কার্যক্রম

ডেস্ক রিপোর্ট: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ বিরতির আলোচনা কোনও চুক্তি ছাড়ায় শেষ হওয়ায় নগরীর দক্ষিণে রাফাহতে অব্যাহতভাবে হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দখল করে নেওয়া ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গত তিন দিন ধরে গাজায় সাহায্যের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে, এতে বিকল হয়ে পড়েছে সকল ধরণের সাহায্য কার্যক্রম।

শুক্রবার (১০ মে) আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসরায়েলি হামলার জবাবে হামাস যোদ্ধারা রকেট ও মর্টার নিক্ষেপ করেছে। এতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ-এর মাটিতে ভারী যুদ্ধ চলছে এবং বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ইসরায়েলি সৈন্য ও ট্যাঙ্কগুলোকে প্রতিহত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

অভিযানে জোরদার করার পর থেকে গত তিন দিনে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ রাফাহ ছেড়ে পালিয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, গাজায় সাহায্য কার্যক্রম বিকল হয়ে পড়ায় দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। এমন অবরোধ সম্পূর্ণভাবে মানবিক কার্যক্রমকে পঙ্গু করে দিয়েছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শহরের উপর পূর্ণ মাত্রায় হামলার জন্য অস্ত্র সরবরাহ করবেন না বলে জানানোর পরও রাফাহ স্থল আক্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত অস্ত্র রয়েছে।

আল জাজিরা জানায়, ইসরায়েলি সৈন্যরা রাফাহতে বড় বড় ভবন উড়িয়ে দিয়েছে।

গাজা শহরের সাবরা এবং জেইতুন এলাকাকে লক্ষ্য করে তীব্র কামানের গোলাবর্ষণেরও খবর পাওয়া গেছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায় চুক্তি ছাড়াই যুদ্ধবিরতি আলোচনা শেষ হওয়ায় রাফাতে হামলা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে ইসরায়েল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী বৃহস্পতিবার রাফা অঞ্চলে বোমাবর্ষণ করেছে বলে ফিলিস্তিনি বাসিন্দারা জানিয়েছেন। অন্যদিকে রাফাতে হামলা করলে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার যে হুমকি প্রেসিডেন্ট বাইডেন দিয়েছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

এদিকে, ফিলিস্তিনি অবরুদ্ধ গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালে তৃতীয় গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। এতে ৪৯ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে।

ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৯০৪ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৭৮ হাজার ৫১৪ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক।

 

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *