সারাদেশ

নৈরাজ্য করলে ডাবল শিক্ষা পাবে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

ডেস্ক রিপোর্ট: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নৈরাজ্য করবে? (বিএনপি) একবার তো একটা শিক্ষা পেয়েছে, এবার ডাবল শিক্ষা পাবে। আমরা বসে নেই। আমরা সর্বাত্মক ভাবে প্রস্তুত আছি। সন্ত্রাস, অগ্নিসন্ত্রাস নৈরাজ্য মোকাবেলায় আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। আমরা সর্বশক্তি নিয়োগ করবো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।

শুক্রবার (১০ মে) বিকালে গুলিস্তানের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথ সভার সূচনা বক্তব্যে সাংবাদিকের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নিসন্ত্রাস আর রক্তপাত: ওবায়দুল কাদের ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচন ঘিরে ষড়যন্ত্র আছে, সতর্ক থাকতে হবে। কোন সংঘাতে আমরা জড়াবো না। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখবো। বাংলাদেশের যে গণতন্ত্র, শেখ হাসিনা যে গণতন্ত্র কে শৃঙ্খল মুক্ত করেছেন, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন যার অবদান তিনি হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলের। এতো চক্রান্তের মধ্যেও ৪২ শতাংশ ভোটার টার্ন আউট। আপনারা (বিএনপি), আপনাদের সমমনারা ভোটে জাননি তাহলে এতো ভোটার কিভাবে এলো। উপজেলা নির্বাচনে ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পড়েছে একথা বলেছে নির্বাচন কমিশন।

তিনি আরও বলেন, ধান কাটার মৌসুম চলছে, সেদিন (উপজেলা ভোটের দিন) অনেক জেলায় ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও সেখানে ভোট কম হতে পারে কিন্তু নেত্রীর নির্বাচনি এলাকায় গোপালগঞ্জে ভোট পড়ে ৬৮ শতাংশ। কিন্তু কোথাও কোথাও একেবারেই স্বাভাবিক না একটু কমই পড়েছে। চলমান পরিস্থিতিতে বিএনপি ও কিছু সাম্প্রদায়িক দলের ভোট বর্জনের মধ্যে যে ভোট পড়েছে সেখানে আমি একটা কথা বলতে চাই, বিএনপির সরকারের সময়ে হওয়া কোন স্থানীয় নির্বাচন এতো শান্তিপূর্ণ হয়েছে?

আমাদের নেত্রী স্থানীয় ব্যবস্থাকে উন্নত করেছেন, শক্তিশালী করেছেন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতি অতীতের তুলনায় আরও গতিশীল হয়েছে, সমৃদ্ধ হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে স্থানীয় নির্বাচনগুলো সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে। নির্বাচনের রুটিন ওয়ার্ক, সময় মতো নির্বাচন। এতো বিরোধীতা, ষড়যন্ত্রের মধ্যেও শেখ হাসিনা নির্বাচনের ধারাবাহিকতা বাস্তবে বজায় রেখেছেন। জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে আমরা সেটাই দেখলাম।

বিএনপির সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ভুল ব্যর্থতার চোরাবালিতে আটকে বিএনপি কোন কিছু আদায় করতে পারবে না। তারা মুখে চৌকস কথার ফুলঝুড়ি ছড়াবে ভিতরে ভিতরে চরম হতাশায় আচ্ছন্ন। হাস্যকর কথা বলে জনগণকে চেষ্টা করছে চাজ্ঞা করার কিন্তু হালে পানি পাচ্ছে না। যতদিন রাজনীতিতে ইতিবাচক ধারায় ফিরে না আসবে ততদিন আরও জনবিচ্ছিন্ন হবে।

আগামী ১৭ মে আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। এ দিবসটি উদযাপনের জন্য যথাযথ কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। ঢাকা মহানগর ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে তাদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অনুকরণে কর্মসূচি গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। এ কর্মসূচি ইউনিয়ন পর্যন্ত আমরা পালন করবো।

পার্শ্ববর্তী দেশকে খুশি করতে রাজনীতি করে আওয়ামী লীগ। ভারত সরকারকে টিকিয়ে রাখতে পারবে না বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের এমন মন্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতের দয়ায় ক্ষমতায় বসিনি। ইলেকশনের সময় আমেরিকা সহ আরও কিছু কিছু দেশ যে ভূমিকা নিয়েছিলো ভারত কিন্তু একেবারেই কথা বলেনি। একেবারেই নিরপেক্ষ ছিলো। নিজের দেশকে খাটো করা এটা বলা গয়েশ্বরদের পক্ষেই সম্ভব।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *