সারাদেশ

মুক্তি পেলেন বিএনপি নেতা হাবিব উন নবী খান সোহেল

ডেস্ক রিপোর্ট: মুক্তি পেলেন বিএনপি নেতা হাবিব উন নবী খান সোহেল

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে তিনি কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ থেকে জামিনে মুক্তিলাভ করেন।

এসময় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির ও নোয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য গোলাম মোমিত ফয়সলসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন।

এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল আজ (১৩ মে) সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় অফিসে যাচ্ছেন।

এর আগে গত ৩১ মার্চ আদালতে জামিন নিতে গেলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয় সোহেলকে।

চীন সফরে জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, সাম্যবাদী দলের ৯ সদস্য

ছবি: সংগৃহীত

চীন সফরে গিয়েছেন জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও সাম্যবাদী দলের ৯ সদস্য। প্রতিনিধি দলটি চীনা কমিউনিস্ট পার্টি, ইউনান প্রদেশের সরকারের বৈদেশিক শাখার প্রধানসহ অন্যান্যদের সাথে পরিবর্তিত বিশ্বপরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় অংশ নিবেন।

সোমবার (১৩ মে) দুপুর ২টা ৫৫মিনিটে চায়না ইস্টার্নের একটি বিমানে চীনের কুংমিং গিয়েছেন এ প্রতিনিধি দলটি। সফর শেষে এ প্রতিনিধি দলটি আগামী ১৮ মে দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

প্রতিনিধি দলটিতে আছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সম্পাদক দীলিপ বড়ুয়া, জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, জাসদ কার্যকারী সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম, জাসদ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহম্মদ মোহসীন, ওর্য়ার্কাস পার্টির নারী নেত্রী লুৎফুন্নেছা খান, ওর্য়াকর্কাস পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাম্যবাদী দলের অধ্যাপিক তৃপ্তি বড়ুয়া, হ মোশায়হিদ প্রমুখ।

হযরত শাহাজালাল বিমানবন্দরে প্রতিনিধি দলকে বিদায় জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত। এসময় জাসদের দফতর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

চীন সফরকালে বাম নেতৃবৃন্দ কুংমিংয়ে ইউনান একাডেমি অব এ্যাগরিকালচার সাইন্স একাডেমি, কেপিসি ফার্মাসিটিউক্যালস পরিদর্শন করবেন। নেতৃবৃন্দ, রুট (ওয়েলিন কমিউনিটি) লেভেলে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হবেন।

এছাড়াও প্রতিনিধি দলটি চীনা কমিউনিস্ট পার্টি, ইউনান প্রদেশের সরকারের বৈদেশিক শাখার প্রধানসহ অন্যান্যদের সাথে পরিবর্তিত বিশ্বপরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় অংশ নিবেন।

;

যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা মধ্যপ্রাচ্যেই সংকুচিত হয়ে গেছে: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা মধ্যপ্রাচ্যেই সংকুচিত হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (১৩ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সফর সম্পর্কে করা এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা (যুক্তরাষ্ট্র) বাংলাদেশে এসে দাপট দেখাবে তাদের ক্ষমতা মধ্যপ্রাচ্যেই সংকুচিত হয়ে গেছে। এখানে বিস্তৃত হবে এমন মনে করার কোন কারণ নেই।

তিনি সাংবাদিকরা উদ্দেশ্যে বলেন, দেখুন আপনারা (সাংবাদিক) নিজের দেশ সম্পর্কে ধারণাটা উঁচু রাখবেন। কোথাকার কোন দেশের এক…. তাদের প্রেসিডেন্টের কথায় ইসরাইল শোনে না। গাজায় যুদ্ধ বিরতির বিষয়ে তাদের প্রেসিডেন্টের কথা শোনে না। নেতানিয়াহু সরাসরি বলেছেন বাইডেনের সঙ্গে আমাদের আগেও মতবিরোধ ছিল, কাজেই বাইডেন কি বললো… আমাদের কাজ আমরা করবো। প্রয়োজনে আমরা একা যুদ্ধ করবো। তারা (ইসরাইল) বাইডেনের নির্দেশ চরমভাবে উপেক্ষা করেছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা (আওয়ামী লীগ) জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার, আমরা কাকে ভয় পাবো! ডোনাল্ড লু কি উদ্দেশ্যে আসছেন তা আমরা জানি না কিন্তু এটা কথা বলতে চাই যে কেউ আমাদের দেশে এসে বিএনপিকে মদদ দিবে, চাঙ্গা করবে সে পরিস্থিতি বোধ হয় এখন বিশ্ব রাজনীতিতে নেই। যারা এই দাপটটা দেখাবে তাদের দাপট দেখানোর ক্ষমতাটা মধ্যপ্রাচ্যেই সংকচিত হয়ে গেছে। এখানে বিস্তৃত হবে এমন মনে করার কোন কারণ নেই।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আপনারা যে অভিযোগ করতেন পশ্চিমারা আমাদের নির্বাচনে নাক গলাতে চাচ্ছে, এখন এটা কি অবস্থায় আছে এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনের পরে প্রেসিডেন্ট বাইডেন যে চিঠি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিয়েছেন সে চিঠিতে আমেরিকার যে দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে, আমরা এখন বাস্তবে দেখবো সেটার প্রতিফলন কতটা। তার ওপরই নির্ভর করবে আমাদের প্রতিক্রিয়া।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক গোলাপ, উপ দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;

আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করলে বিএনপি পালানোর পথ পাবে না: কাদের

ছবি: বার্তা২৪.কম

আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস শুরু করলে বিএনপি পালানোর পথ পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (১৩ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাসে পালিয়ে যাওয়ার কোনো রেকর্ড নেই। ২০০৭ সালে আর রাজনীতি করব না এই মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাদের মূল নেতা পালিয়ে আছেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি ২৮ অক্টোবর বক্তব্য দিয়েছিল আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না। শেষ পর্যন্ত দেখলাম দৌড়াতে দৌরাতে কোথা থেকে যে কে পালিয়েছে সেটা হচ্ছে বিএনপি। আমাদের পালানোর রেকর্ড নেই। আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস শুরু করলে বিএনপিকেই পালাতে হবে। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা (বিএনপি) যদি রাজনৈতিকভাবে এগোতে চায় তাহলে আমরাও রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করব। তারা যদি আবারও সন্ত্রাস করে তাহলে আমরাও সেভাবেই মোকাবিলা করব। আগে থেকে এনিয়ে কিছু বলতে চাই না।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক গোলাপ, উপ দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;

ফের সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বিএনপি

ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ চার মাস পর আবারো সরকারবিরোধী দেশের সব সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে বিএনপি। রবিবার (১৩ মে) বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১২ দলীয় জোট ও এলডিপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করে দলটি।

বৈঠকে চলমান আন্দোলন ও আগামী দিনে করণীয় নির্ধারণে সমমনাদের মতামত গ্রহণ করেন বিএনপি নেতারা।

বৈঠক সূত্র জানায়-চলমান রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণে করণীয় বিষয়ে সমমনাদের কাছে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। বাস্তব সম্মত ও জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য কর্মসূচির বিষয়ে আগামী বৈঠকে বিএনপিকে জানানো হবে। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাচনে জনগণকে আরও বেশি নিরুৎসাহিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

সীমান্ত আগ্রাসনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে যুগপৎ ও পৃথকভাবে কর্মসূচি দিয়ে আবারো রাজপথে নামার পরিকল্পনা রয়েছে। বৈঠকে ১২ দলীয় জোটের নেতারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের পক্ষে আরও বেশি জনমত তৈরিতে জোর দেন। সোমবার (১৩ মে) জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটসহ কয়েকটি দলের সঙ্গে লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

রবিবারের বৈঠকে বিএনপি লিয়াজোঁ কমিটির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান।

১২ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে ছিলেন-জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিএলডিপি মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে ওলামায় ইসলামের মহাসচিব মুফতি গোলাম মুহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি (একাংশ) চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোট মহাসচিব মওলানা আবদুল করিম, জাগপার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আবু হানিফ প্রমুখ।

অন্যদিকে, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) নেতাদের মধ্যে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরল আলম তালুকদার, ড. নেয়ামুল বশির, অ্যাভোকেট ড. আওরঙ্গজেব বেলাল, অধ্যক্ষ কে কিউ স্যাকলায়েন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহে আলম চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, জাতীয় নির্বাচনের পর প্রথমবার লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক হয়েছে। সেখানে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আশা করি, আবারো এক দফার আন্দোলন খুব শিগগিরই শুরু হবে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *