খুলনায় ভাইয়ের হাতে ভাই খুন, আহত ৯
ডেস্ক রিপোর্ট: খুলনায় ভাইয়ের হাতে ভাই খুন, আহত ৯
খুলনায় ভাইয়ের হাতে ভাই খুন, আহত ৯
খুলনার রূপসা উপজেলায় এক ভাইয়ের হাতুড়ির আঘাতে আরেক ভাই নিহতের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (১৩ মে) রাতে উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নের বামডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আসন্ন বামনডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রসুল মিনা এবং তার চাচাতো ভাইদের সাথে কথা কাটাকাটি। পরে বাঁশের লাঠি, হাতুড়ি এবং লোহার রড নিয়ে একে অপরের উপর হামলা করে। হামলায় ইকতিয়ার মিনার ছেলে রসুল মিনা (৪২) কে প্রতিপক্ষরা হাতুড়ি দিয়ে মাথায় সজোরে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। পরবর্তীতে আহত অবস্থায় রসুল মিনাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
অপরদিকে ঐ সংঘর্ষে রসুল মিনার ভাই আতাহার মিনা (২৮), ফারুক মিনা (৩২), পান্না মিনা (৩০) জখম হন। অপর পক্ষের আজাদ মিনার পুত্র ইলিয়াস মিনা (৬৫), টুকু মিনার পুত্র মোস্তাক মিনা (৪৫), আমজাদ মিনার পুত্র টুকু মিনা (৭০), ইলিয়াস মিনার পুত্র শাকিল মিনা (২৫), হাবিব মিনা (২৮) এবং আলামিন মিনা (৩৮) জখম হয়।
আহতদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে রূপসা থানা অফিসার ইনচার্জ এনামুল হক বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের এবং বামনডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে রসুল মিনা নিহত হয়েছে। দুপক্ষ একে অপরের আপন চাচাতো ভাই। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি। ঘটনার পর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নিহতের দুই মেয়ে এবং এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
মহাখালীতে ‘গেটলক সিস্টেম’ নিয়ম না মানলে বাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ডিএমপি
ছবি: বার্তা ২৪
যানজট নিরসনে রাজধানীর মহাখালী চালু আন্তঃজেলা বাসের গেটলক সিস্টেম না মানলে বাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।
মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ‘ট্রাফিক সেফটি অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম ও রোড সেফটি স্লোগান প্রতিযোগিতা-২০২৪’ উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
হাবিবুর রহমান বলেন, গেটলক চেকিং সিস্টেমে টার্মিনাল থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে বাস গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়ার পর নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া আর কোথাও দাঁড়াতে পারবে না। টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে গন্তব্যে চলে যাবে। যত্রতত্র দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা মহানগরী এলাকায় মহাখালী একটি বড় বাস টার্মিনাল জানিয়ে তিনি বলেন, টার্মিনালে যে পরিমাণ জায়গা রয়েছে সেখানে ৪০০ গাড়ি পার্কের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এখানে প্রতিদিন ১৮০০ গাড়ি চলাচল করে। যে কারণে দীর্ঘদিন ধরে গাড়িগুলো রাস্তার মধ্যে পার্ক করা হতো। মহাখালী থেকে আব্দুল্লাহপুর ও উত্তরা হয়ে যে গাড়িগুলো ঢাকার বাইরে যায় সেই গাড়িগুলো মহাখালী থেকে ছেড়ে বনানী পর্যন্ত একটু একটু করে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলতে তুলতে যেত। বিশেষ করে মহাখালী রেল ক্রসিংয়ে যাত্রীরা জড়ো হলে সেখান থেকে বাসগুলো যাত্রী তুলতো। এটিই মহাখালীত এলাকায় যানজটের অন্যতম কারণ।
মহাখালী বাস মালিক শ্রমিক ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় উল্লেখ করে হাবিবুর রহমান বলেন, যানজট কমানোর উদ্দেশ্যে মহাখালী থেকে যে গাড়িগুলো ছাড়বে তারা বনানীর আগে কোনোভাবেই পার্ক করবে না, কোনো যাত্রী তুলবে না এবং যাত্রী নামাবে না। ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রমে দেখা গেছে, কোনো কোনো গাড়ি এই নিয়ম অমান্য করেছে। নিয়ম না মানা ইতিমধ্যে ১৫টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। যখন মহাখালী বাস টার্মিনাল চালু হয় তখন থেকেই রাস্তায় পার্ক করে যাত্রী নেওয়ার কার্যক্রম চলে আসেছে। এতোদিন পরে কাজটি শুরু হয়েছে। তবে শতভাগ প্রতিষ্ঠিত করতে কিছুটা সময় লাগবে। এটি বাস্তবায়নে যাত্রী ও বাসের সংশ্লিষ্টদের বাধ্য করা হবে।
তিনি বলেন, একই রাস্তায় তিন রকমের গাড়ির গতি নির্ধারণ করা হয়েছে। কোনো গাড়ি যদি ওভারটেকিং করতে যায় তাহলে দুর্ঘটনা বাড়বে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, একজন চালক রাস্তার অবস্থা বুঝে গাড়ি চালান। আমাদের ঢাকা মহানগরীতে বড় গাড়ির জন্য ৪০ ও মোটরসাইকেলের জন্য ৩০ কিলোমিটার গতি নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে বৈধ ওভারটেকিংয়ের কোথাও ব্যবস্থা নেই। পরিস্থিতি বুঝে চালক বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে তিনি ওভারটেকিং করলে সমস্যা হবে না।
গাড়ির মামলার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, যেসব যাত্রীবাহী গাড়ি রয়েছে সেসব গাড়ি রাস্তায় কোনো সার্জেন্ট আটকাবে না। তবে সেই গাড়ি যদি গতিসীমা ভঙ্গ করে ও দুর্ঘটনা ঘটায় সেক্ষেত্রে আটকানো হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রোফেসর ড. মো. মাহবুবুর রহমান, চেয়ারপারসন হিসেবে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ঢাকা রোড সেফটি প্রজেক্টের প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. মুনিবুর রহমান, প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-অ্যাডমিন অ্যান্ড রিসার্চ) ঢাকা রোড সেফটি প্রজেক্টের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং জাইকা বাংলাদেশের প্রতিনিধি ইয়ামি ওকাযাকি।
;
`স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই’
`স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই’
রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক শফিকুর রহমান বাদশা বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের পর এখন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট মানুষ প্রয়োজন, স্মার্ট শিক্ষার্থী প্রয়োজন। এক্ষেত্রে শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষকদের জ্ঞানার্জন ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নাই।
মঙ্গলবার (১৪ মে) রাজশাহী টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অডিটোরিয়ামে ছাত্র কল্যাণ পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠান-২০২৪ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ শুরু করেন, তখন উন্নয়ন বিরোধী শক্তি কটূক্তি করে বলতো- ডিজিটাল আলু-বেগুনের দাম কত? এখন আর তাদের মুখে কথা বের হয় না। কারণ তারাও ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে। এখন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের পথে।
তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের নাগরিক মানে এই নয় যে টাইটুই লাগিয়ে, হাফ প্যান্ট পরা স্মার্ট। আজ আমাদের সবার হাতে হাতে মুঠোফোন। কৃষকরাও মুঠোফোন ব্যবহার করছে। আজ ঘরে ঘরে ডিজিটাল ডিভাইস। সরকারি প্রায় সকল সেবা আজ ডিজিটাল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ডিজিটাল ল্যাব। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্মার্ট গভারনেন্সের সুবিধা পাচ্ছি। এতে আমাদের জীবনমানের উন্নয়ন হয়েছে। তবে কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। অচিরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে সকল বাঁধা-বিপত্তি মোকাবিলা করে আধুনিক জ্ঞান-প্রযুক্তির উৎকর্ষতার মধ্যে দিয়ে ২০৪০ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
এমপি বাদশা বলেন, একটা সময় বিনা পয়সায় আমাদের ফাইবার ক্যাবল দিতে চেয়েছিলো বিএনপি। কিন্তু তথ্য ফাঁস হয়ে যাবে অজুহাতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সে ক্যাবল স্থাপন করেননি। সে সময় ক্যাবল স্থাপন হলে দেশ আরও এগিয়ে যেতো।
বক্তব্যে শিক্ষার মান উন্নয়নে ও শিক্ষক সমাজের যে কোন প্রয়োজনে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে সাংসদ বলেন, এটা সত্য যে আমাদের বাজেটের আকার বাড়ছে। কিন্তু শিক্ষায় বাজেটের আকার বাড়েনি। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষায় বৈষম্য দূর করতে হবে। আর এক্ষেত্রে আমি মহান সংসদেও সোচ্চার রয়েছি। এসময় রাজশাহী টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ছাত্র কল্যাণ পরিষদের শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের নানা দিক নির্দেশনা দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব ও ছাত্র কল্যাণ পরিষদের নব-নির্বাচিত সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান রাজশাহী সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. শওকত আলী খান।
এসময় রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মহা. আব্দুল খালেক, নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক কালাচাঁদ শীল, কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ব্যানার্জী, ছাত্র কল্যাণ পরিষদের নির্বাচন কমিশনার ও বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মো. কামাল হোসেন শাহ ও শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
;
চট্টগ্রাম বন্দরে ২৩ নাবিক, অপেক্ষা ফুরাল স্বজনদের
ছবি: বার্তা২৪.কম
বৈশাখের কাঠফাটা রোদ তখন একেবারে মাথার ওপর। থিকথিকে ভিড়, বন্দরের ভারী ভারী যন্ত্রের সারির মাঝখানের এনসিটি-১ জেটির অনুষ্ঠানস্থলে সেই গরম যেন আরও ঝেঁকে বসেছে। কিন্তু এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিকের স্বজনদের গরম নিয়ে ভাবার সময় কোথায়। নাবিকদের নিয়ে এমভি জাহান মনি-৩ জাহাজটি কর্ণফুলী নদীতে দৃষ্টিসীমায় আসতেই সেদিকে ক্লান্তিহীন চোখে তাকিয়ে থাকেন তারা।
জাহাজটি কাছাকাছি আসতেই হাত নেড়ে নেড়ে নাবিকদের শুভেচ্ছা জানান স্বজনেরা। নাবিকেরাও সেই শুভেচ্ছার জবাব দেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুর থেকেই কর্ণফুলী নদীর পাড়ে চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি-১ জেটি এলাকায় শামিয়ানা টাঙিয়ে বসানো হয় চেয়ার টেবিল, তারই সামনে বিছানো হয়েছে লাল গালিচা। বন্দর কর্তৃপক্ষের এত এত আয়োজন-উৎসব সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তির পর দেশে ফেরা এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিককে বরণ করে নিতে।
অপেক্ষা ফুরাল স্বজনদের দস্যুমক্ত হওয়ার ঠিক এক মাসের মাথায় সোমবার সন্ধ্যায় কুতুবদিয়ায় নোঙর করে এমভি আবদুল্লাহ। মঙ্গলবার বিকেল চারটায় অন্য জাহাজে চড়ে ২৩ নাবিকের বন্দরনগরীর মাটি ছোঁয়ার কথা। ‘অকুতোভয়’ নাবিকদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সংবর্ধনার আয়োজন করেছে। বিকেল চারটায় হবে এই অনুষ্ঠান। তবে তাঁর আগে দুপুর ২টা থেকেই অনুষ্ঠানস্থল ভরে ওঠেছে গণমাধ্যমকর্মীদের আনাগোনায়।
নাবিকদের স্বজনেরা ঘটনাস্থলে এসেছেন প্রিয় মানুষকে বরণ করে নিতে। জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএমের মেহেরুল করিমসহ কর্মকর্তারাও এসে হাজির হয়েছেন।
এ সময় মেহেরুল করিম বলেন, দীর্ঘ অপেক্ষার পালা শেষ হলো। আমাদের ২৩ নাবিককে সুস্থভাবে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা ছিল। আলহামদুলিল্লাহ আমাদের সেই প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। আমরা এখন যত দ্রুত সম্ভব নাবিকদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করতে চাই।’
;
নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ ঘোষণা যুক্তরাজ্যের
ছবি: সংগৃহীত
নারী উদ্যোক্তাদের সমর্থন দিতে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় এসএমই ব্যাংক ব্র্যাক ব্যাংককে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন আর্থিক সংস্থা (ডিএফআই) ব্রিটিশ ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট (বিআইআই)।
এই ঋণটি ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এবং নারী-নেতৃত্বাধীন ব্যবসার বৃদ্ধিকে সমর্থন দেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তহবিল সরবরাহ করবে, যা বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তি।
মঙ্ঘলবার (১৪ মে) ঢাকায় ব্রিটিশ হাই কমিশনের বিআইআই’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়েছে।
ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, এই বিনিয়োগ বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই উন্নয়নে সহায়তার জন্য যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতিকে শক্তিশালী করেছে এবং এটি বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাজ্যের আধুনিক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের একটি বড় নিদর্শন।
তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ব্যবসা ও নারী উদ্যোক্তাদের আরও অর্থনৈতিক সুযোগ গ্রহণ করতে এবং আরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম করবে।
বাংলাদেশে প্রায় ১০ মিলিয়ন এমএসএমই রয়েছে। এতে জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশকে নিযুক্ত রয়েছে এবং দেশের শিল্প উৎপাদনের অর্ধেক এই খাত থেকে আসে।
বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তাদের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং দারিদ্র্য নিরসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে এই অর্থয়নকে অপরিহার্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
ব্র্যাক ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, এই ধরণের অর্থায়ন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েেেছ, যেখানে দেশের মোট ঋণের মাত্র ২০ শতাংশ নারী-মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানসহ এসএমইতে যাচ্ছে।
বিআইআই-এর ঋণের অর্ধেক এমএসএসই খাতে যাবে এবং অবশিষ্টাংশ অর্ধেক নারী উদ্যোক্তাদের কাছে যাবে। যাতে মোট ৩ হাজার ৫শ’এমএসএসই এবং নারী উদ্যোক্তাদের কাছে পৌঁছানো হবে, যাতে তাদের ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই বিনিয়োগ শালীন কাজ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য লিঙ্গ সমতার ওপর জাতিসংঘের ইউএন এসডিজি ৫, এসডিজি ৮ সমর্থন দেবে। সেইসাথে শিল্প, উদ্ভাবন এবং অবকাঠামোতে এসডিজি ৯ সমর্থন করে।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।