আলোচনায় ডোনাল্ড লু’র সফর, কী পাবে বাংলাদেশ!
ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের পর আবারও ঢাকায় এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু। সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি ইস্যুতে আলোচনায় ছিলেন তিনি। ভোট শেষেও আলোচনায় ছিল যুক্তরাষ্ট্র ইস্যু। সে সময় নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে ওয়াশিংটন জানায়, অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বাংলাদেশের নির্বাচন। তবে বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ আছে দেশটির।
এ আগ্রহের কারণে ডোনাল্ড লু’র এবারের সফর ঘিরে ইতোমধ্যে নানা আলোচনা চাউর হয়েছে দেশজুড়ে।
ওয়াসিংটন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকায় এসেছেন ডোনাল্ড লু । এ আলোচনায় বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নীতি প্রাধান্য পাবে বলে আশাবাদী। মার্কিন প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি জানাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎও চেয়েছেন ডোনাল্ড লু। তবে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ না পেলেও এ সফরে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে সাক্ষাতের কথা আছে ডোনাল্ড লু’র। বুধবার (১৫ মে) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি। রাতে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, এর সাথে তার বাসভবনে নৈশভোজ বৈঠক করবেন তিনি। বিরোধী রাজনীতিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময়ের কথা রয়েছে এ কর্মকর্তার।
ডোনাল্ড লু আগমন ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান
শেখ হাসিনা চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর এক চিঠিতে পরিষ্কার বার্তা দিয়েছেন জো বাইডেন। সে চিঠিতে জো বাইডেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন । সেই সঙ্গে অবাধ ও মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিয়ে যৌথ ভিশনে ঢাকার সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়তে ওয়াশিংটনের প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার কথাও ব্যক্ত করেছেন। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, জ্বালানি ও রোহিঙ্গা ইস্যুর পাশাপাশি বৈশ্বিক ইস্যুগুলোতেও একসঙ্গে কাজ করতে চায় দেশটি। যা আলোচনা হতে পারে ডোনাল্ড লু’র এবারের সফরে ।
এছাড়া চীনের আধিপত্য বিস্তার ঠেকাতে বাংলাদেশকে অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ঢাকাকে সহযোগিতা করতে আগ্রহী ওয়াশিংটন। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশে ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সফর করেছেন।
এদিকে ডোনাল্ড লুর সফর ঘিরে তেমন আগ্রহ নেই বিরোধী দলগুলোর। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিদেশিদের আগমন নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই।
তবে ডোনাল্ড লু’র সফরে রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক ও এশিয়া অঞ্চলীয় অন্য দেশগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে নিশ্চিত হওয়া গেলেও এ সফরে বাংলাদেশ কি পাবে সে অপেক্ষায় সকলে।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।