সারাদেশ

মিতু হত্যা মামলায় ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

ডেস্ক রিপোর্ট: মিতু হত্যা মামলায় ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

মিতু হত্যা মামলায় শেষ হল ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন সাবেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফি উদ্দীন। এ নিয়ে মামলায় মোট ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে এই সাক্ষ্যগ্রহণ হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী নেছার আহম্মেদ। তিনি জানান, মিতু হত্যা মামলার সাক্ষী হিসেবে সাবেক চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফি উদ্দীন স্যারের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। এ নিয়ে মামলায় মোট ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তৎকালীন পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সাতজনকে আসামি করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে। এতে মামলার বাদি বাবুল আক্তারকেই প্রধান আসামি করা হয়।

অভিযোগপত্রে আরও যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন, মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ হানিফুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু এবং শাহজাহান মিয়া। আসামিদের মধ্যে শুধু মুসা পলাতক আছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ আছে।

ওই বছরের ১০ অক্টোবর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। ২০২৩ সালের ১৩ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ওই বছরের ৯ এপ্রিল থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথম সাক্ষী হিসেবে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন সাক্ষ্য দেন। এ পর্যন্ত ৫০ জনের সাক্ষ্য সম্পন্ন হয়েছে।

ব্রহ্মপুত্রে মাছ ধরতে নেমে পানিতে ডুবে জেলের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্রে মাছ ধরতে নেমে নদ খননের গর্তের পানিতে ডুবে আলমগীর মিয়া (৩৫) নামে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত আলমগীর মিয়া সদর উপজেলার  চর ঈশ্বরদিয়া ইউনিয়নের মধ্যপাড়া এলাকার আসাদুল্লাহ’র ছেলে।

বুধবার (১৫ মে) বিকেলে নগরীর চরকালীবাড়ি পাওয়ার হাউজ সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে এই জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

কোতোয়ালি মডেল থানার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাঈন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

ময়মনসিংহ জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো. মাসুদ রানা বলেন, নদে জাল নিয়ে মাছ ধরতে নেমেছিল জেলে। এসময় শুকনো নদের একটি অংশে নদ খননের গভীর গর্তের পানিতে তলিয়ে যায় ওই জেলে। পরে ঘটনাটি স্থানীয়রা দেখে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কল দিলে ডুবুরি দল ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ইনচার্জ  (ওসি) মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

;

পায়রা বন্দরে ভিড়ল বিদেশি জাহাজ ‘এমভি জেইন’

পায়রা বন্দরে ভিড়ল বিদেশি জাহাজ ‘এমভি জেইন’

পটুয়াখালীর কলাপাড়া পায়রা সমুদ্র বন্দরে প্রথমবারের মতো ভিড়েছে ‘এমভি জেইন’ নামে বিদেশি জাহাজ।

বুধবার (১৫ মে) বিকাল ৪টায় বন্দরে নবনির্মিত জেটিতে পানামার পতাকাবাহী এই বিদেশি জাহাজ নোঙর করেছে।

বন্দর কতৃপক্ষের তথ্যমতে, জাহাজটি পানামার পতাকাবাহী এবং দুবাই এর ফুজাইরা বন্দর হতে ৫০ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন পাথর এবং ১২ মিটার ড্রাফ্ট নিয়ে গত শুক্রবার (১০ মে) পায়রা বন্দরের আউটার এঙ্কোরেজে এসে পৌঁছায়। পরে জাহাজটি ২৪ হাজার মেট্রিক টন পাথর নিয়ে আজকে পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল জেটিতে নিরাপদে বার্থিং করে। বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট থেকে জাহাজটির কার্গো ডিজচার্জিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

২০০ মিটার দীর্ঘ এ জাহাজটি পায়রা বন্দরের জেটিতে নোঙর করায় বন্দর কর্তৃপক্ষ ও জেটিতে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে।

পায়রা বন্দর ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক আজিজুর রহমান বার্তা২৪.কে বলেন, আজকের দিনটি পায়রা বন্দরের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনালে পরীক্ষামূলক মাদার ভেসেল বন্দরের জেটিতে অবস্থান নিয়েছে। জাহাজ ‘এমভি জেইন’ পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল জেটিতে নোঙ্গর করার মাধ্যমে পায়রা বন্দরের জন্য আরও একটি সম্ভাবনার নতুন দিগন্তের সূচনা হলো। বন্দরের রাজস্ব আহরনে উন্মোচিত হল সম্ভাবনার নতুন দ্বার। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী পায়রা বন্দর সফরে আসবেন এবং বন্দরের জেটিসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা উদ্বোধন করবেন।

এর আগে ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর পটুয়াখালীর কলাপাড়ার রামনাবাদ চ্যানেলে দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর হিসেবে পায়রার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। ২০১৬ সালের আগস্টে বন্দরের বহিঃনোঙরে অপারেশন কার্যক্রম শুরু হয়। সেই থেকে বন্দরে আগত জাহাজের লাইটারেজের মাধ্যমে পণ্য খালাস করা হয়।

;

চট্টগ্রামে মাদক মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন

চট্টগ্রামে মাদক মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন

চট্টগ্রাম নগরীতে আড়াইশ’ গ্রাম হেরোইনসহ আটকের পর ডবলমুরিং থানায় করা মাদক মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে তাদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। তবে এই মামলায় মো. মনির হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে খালাস দেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত দুজন হলেন- আবদুল মালেক ও আবুল হোসেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, নগরের ডবলমুরিং থানার কদমতলী বাস স্টেশনে একটি দোকানের সামনে থেকে ২০১৩ সালের ২ এপ্রিল রাতে ৪ জন আসামিকে ২৫০ গ্রাম হেরোইনসহ গ্রেফতার করে র‌্যাব-৭। এ ঘটনায় র‍্যাব-৭ এর তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. তানভীর আহমেদ ৪ জন আসামির বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নগরের ডবলমুরিং থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে একই বছরের ৩০ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এর মধ্যে মো. নয়ন নামের এক আসামি মারা যান। ২০১৬ সালের ৭ এপ্রিল ৩ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ জানান, পাঁচজনের সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আসামি আবদুল মালেক ও আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মো. মনির হোসেনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

রায়ের সময় আসামি আবুল হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন, পরে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আব্দুল মালেক পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন।

;

ডিএনসির নতুন ডিজি মোস্তাফিজুর রহমান

ডিএনসির নতুন ডিজি মোস্তাফিজুর রহমান

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি)’র নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) পদে নিয়োগ পেয়েছেন অতিরিক্ত সচিব খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান। বর্তমানে তিনি গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন। মোস্তাফিজুর রহমানকে নতুন দায়িত্ব দেওয়ার আগে গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি দেওয়া হলো। পদোন্নতির পর তাকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক করা হয়েছে। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

জানা গেছে, মোস্তাফিজুর রহমানের গ্রামের বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায়। তিনি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতকোত্তর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) থেকে মাস্টার অব স্ট্রেট্যাজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

মোস্তাফিজুর রহমান ১৯৯১ সালে নবম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন কাজ করেছেন। জেলা প্রশাসক হিসেবে ভোলা ও নোয়াখালী জেলায় কাজ করেছেন। মোস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ছিলেন। এছাড়া ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ছিলেন। গতবছরের ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হন।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *