আন্তর্জাতিক

৯ হজ এজেন্সিকে দ্রুত ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্নের নির্দেশ

ডেস্ক রিপোর্ট: আজকের মধ্যে ৯টি বেসরকারি হজ এজেন্সিকে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

অতিরিক্ত সচিব আরও বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন করতে না পারায় জন্য, ১২টি এজেন্সিকে ব্যাখ্যা প্রদানের পাশাপাশি সচিবালয়ে ডেকে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আজকের মধ্যে এই ১২টির মধ্যে ৯টি হজ এজেন্সিকে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এসব এজেন্সি ভিসা করতে না পারার ব্যাখ্যা তুলে ধরেছে মন্ত্রণালয়ের কাছে।

এদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের বুকিং কম হওয়ায়, বুকিং হার দ্রুত বাড়াতে তাদেরকে তাগিদ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। তবে বুকিং হার কম হলেও হজ যাত্রীদের সিডিউল ফ্লাইট বাতিল হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও জানান তিনি।

এখন পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ভিসা হয়েছে ৮০ হাজারেরও বেশি জনের। বাকি আছে এখনও ৪ হাজার ৮০০ জনের। এখন পর্যন্ত ২৬ হাজারের বেশি হজ যাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছে হজ অফিস।

বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বিকেলে বার্তা২৪.কমকে বলেন, এখন পর্যন্ত ৮০ হাজার ৬৯৭ জনে ভিসা হয়েছে। ভিসা আবেদন ও প্রদান চলমান। যেহেতু ভিসা আবেদনের সার্ভার সচল রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বাকি ভিসার কার্যক্রমও সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

ধর্মমন্ত্রী ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানও আশ্বস্ত করেছেন ভিসা নিয়ে জটিলতা কেটে যাবে। এদিকে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিবন্ধিত হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়াতে সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাত করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, প্রথমে ভিসার আবেদনে সময় ছিল ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে ভিসার কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় প্রথম দফায় ৭ মে পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। কিন্তু সরকারিভাবে হজযাত্রীদের ভিসা হয়ে গেলেও ২৫৯টি বেসরকারি হজ এজেন্সির অনেকেই এ বর্ধিত সময়ের মধ্যে ভিসার কার্যক্রম শেষ না করায় দ্বিতীয় দফায় সময় ১১ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে নতুন করে ভিসা আবেদনের সময় বৃদ্ধি না করে আবেদনের সার্ভার খোলা রেখেছে সৌদি আরব।

ঢাকা হজ অফিস সূত্রে গেছে, এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইডসহ হজপালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ১১৭ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৩২৩ জন। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *