সারাদেশ

চবি ঝর্ণায় ঘুরতে এসে লাশ হয়ে ফিরলেন স্কুল শিক্ষার্থী

ডেস্ক রিপোর্ট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ‘তুমি দেশের, তুমি দশের’ শীর্ষক শোভাযাত্রা ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

বৃহস্পতিবার ( ১৭ মে) বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত ‘তুমি দেশের, তুমি দশের’ শীর্ষক শোভাযাত্রা করে সংগঠনটি। শোভাযাত্রা শেষে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে একত্রিত হয়ে সমাবেশ করেন তারা।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, শেখ হাসিনার হাত ধরে আজ বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে। যেটা ১৯৯০ সালে তিনি তিনি সৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের ডাক না দিলে হত না। সেদিন তিনি সারা বাংলার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন বলে আজ শাসন, শোষণের হাত থেকে বাংলার মানুষ মুক্তি পেয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার বিচার হয়েছে। রাজাকার ও মৌলবাদীদের হাত থেকে আজ বাংলাদেশ নিষ্পত্তি পেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আজকে দেশনেত্রী ফিরেছিলেন বলে আজকে বাংলার মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশ দেখতে পেয়েছে। আপনি জীবনকে তোয়াক্কা না করে সেদিন এসেছিলেন বলেই আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যায়। তাই আমরা আজ ৪৪ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আমরা আপনাকে স্যালুট জানাই।

সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার এই প্রত্যাবর্তনই বাংলাদেশের বিজয়ের গল্প রচনা করেছে, তার এই প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পরিবর্তন এর সূচনা করেছে। তিনি এমন সময়ে প্রত্যাবর্তন করেছেন যখন বাংলাদেশে চলছিল ‘কারফু গণতন্ত্র’, তখন মিলিটারিরা প্রজ্ঞাপন এর মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করতো,যখন রাজনৈতিক দলগুলোর সামরিক স্বৈরশাসকেরা ‘কোন বানেগা ক্রোরপতি’ এর মতো টাকা দিয়ে রাজনীতি কিনে তার মাধ্যমে রাজনৈতিক দল পরিচালনা করতো। যখন আমাদের নাগরিক অধিকারের মৌলিক বিষয়বস্তু ভোটের অধিকার যেখানে প্রজাতন্ত্রের মালিক হচ্ছে জনগণ এই মৌলিক সাংবিধানিক কথাটি আমাদের জীবনের সাথে জড়িত। সেই মৌলিক সাংবিধানিক বাস্তবতাকে অস্বীকার করে সামরিক স্বৈরশাসকেরা অবৈধ দখলের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক তান্ডব চালিয়েছে হত্যাকান্ড করেছে এবং দেশ বিক্রির রাজনৈতিক কর্মকান্ড করেছে। বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা আমাদের রাজনৈতিক অধিকার প্রত্যাবর্তন করেছেন। শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক অর্জন ছাড়াও এ দেশে সাধারণ মানুষের জীবন জয় বা জীবন বদলে গেছে জননেত্রী শেখ হাসিনার এই প্রত্যাবর্তন এর মাধ্যমে।

সাদ্দাম হোসেন বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলেন, আজকের এই দিনেও আমরা জানি যে ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলাদেশের মানুষ এর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে ক্ষমতায় আসার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করছে তথা কথিত রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশের ছাত্রসমাজকে এজন্য সচেতন থাকার আহ্বান জানাই। যারা বাংলাদেশের জনগণের উদ্দেশ্যে বলেছিলো ‘টেকব্যাক বাংলাদেশ’ তাদেরকে বাংলাদেশের জনগণ রেড কার্ড দেখিয়েছে। যারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বলেছিলো ‘ত্রুটিপূর্ণ’ তারাই আবার গতকাল বলছে আস্থার পুনঃনির্মান। যারা বলেছিল বাংলাদেশে লু হাওয়া প্রবাহিত হবে তারা দেখছে বাংলাদেশে পরিবর্তনের হাওয়া প্রবাহিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, সংগঠনটির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ শামীম, মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি ও সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল শাখা ও অন্যান্য শাখার নেতাকর্মীরা।

প্রসঙ্গত, ১৯৮১ সালের এই দিনে ছয় বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । দিবসটি উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *