আক্কেলপুরে বিএনপি নেতার ‘ মাটি – বাণিজ্য ’

অনুমতি ছাড়াই জেলা পরিষদের পুকুর কেটে মাটি বিক্রি । আলী মাহমুদপুর গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম বলেন , ‘ গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের ভাই বিএনপি নেতা আবু তালেব মণ্ডল জেলা পরিষদের পুকুরটি ৩১ ফুট গভীর করে খনন করেছেন । দুই মাস ধরে ২৬ লাখ টাকার পুকুরের মাটি বিক্রি করেছেন । তিনি পুকুরের ইজারাদার নন । ক্ষমতার বলে তিনি কাজটি করেছেন । তিনি প্রভাবশালী হওয়ায় আমাদের কারও কথা শোনেননি , ইচ্ছেমতো পুকুর খনন করেছেন । এতে রাস্তা ও বাড়িঘর ঝুঁকিতে রয়েছে । ” অভিযোগের বিষয়ে বিএনপি নেতা আবু তালেব মণ্ডল বলেন , ‘ পুকুরটির নাব্যতা ছিল না । যে ব্যক্তি পুকুর ইজারা নিয়েছিলেন , তিনি আমাকে দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছিলেন । মাছ চাষের উপযোগী করতে পুকুর খননের কাজ করেছি । স্থানীয় প্রশাসন বাধা দেওয়ায় এখন খননকাজ বন্ধ রেখেছি । ‘ ২৬ লাখ টাকার মাটি বিক্রির বিষয়ে জানতে টাকার মাটি বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন , “ বাইরে মাটি বিক্রি করেছি সত্য । তবে ২৬ লাখ টাকার মাটি বিক্রি হয়নি । ” ইজারাদার হাবিবুর রহমান মল্লিক
বলেন , ‘ আমি গত বছরের নভেম্বর মাসে জেলা পরিষদ থেকে পুকুরটির ইজারা পেয়েছি । আমার বাড়ি থেকে পুকুরটি অনেক দূরে আর আবু তালেব মণ্ডলের বাড়ি পুকুরের পাশের গ্রামে । তাই আবু তালেবকে দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছিলাম । আবু তালেব সবাইকে ম্যানেজ করে পুকুর খননের কাজ করছিলেন ; কিন্তু গ্রামবাসী তাতে বাধা দিয়েছেন । জেলা পরিষদ এখন আমার পুকুরের ইজারা বাতিল করবে বলে শুনতে পাচ্ছি । ‘ এ বিষয়ে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার মোহাম্মদ রায়হান বলেন , ‘ জেলা পরিষদ হাবিবুর রহমান মল্লিককে পুকুর ইজারা দিয়েছে । তিনি পুকুর সংস্কারের জন্য জেলা পরিষদ থেকে অনুমতি নেননি । অনুমতি ছাড়া পুকুর খনন করেছেন , সেটি আমরা জানতাম না । বিষয়টি জানার পর স্থানীয় প্রশাসনকে খননকাজ বন্ধ করার জন্য বলেছি এবং খনন বন্ধ রয়েছে । ইজারার শর্ত ভঙ্গ করায় গত ২৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদের মাসিক সভায় পুকুরের ইজারা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । এখন চিঠি দিয়ে তাঁর ইজারা বাতিল করা হবে । ”