খেলার খবর

হায়দরাবাদের বিপক্ষে সহজ জয়ে ফাইনালে কলকাতা 

ডেস্ক রিপোর্ট:

আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে শক্তিশালী সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ৮ উইকেটের সহজ জয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এতে আসরজুড়ে আদিপত্য বজায় থাকলো শ্রেয়াস আইয়ারের দলটি। গ্রুপপর্বে দাপুটে ক্রিকেট খেলে সবার আগে নিশ্চিত করেছিল প্লে-অফের জায়গা। এবার সবার আগে ফাইনালটাও নিশ্চিত করলো কলকাতা। 

গতকাল আহমেদাবাদের নরেদ্র মোদি স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামা হায়দরাবাদকে ১৫৯ রানেই আটকে ফেলে কলকাতা। পরে সেই লক্ষ্যে স্রেফ ১৩ ওভার ৪ বলেই পৌঁছে যায় তারা। 

ফাইনালে উঠার স্বপ্ন এখানেই অবশ্য শেষ হয়নি হায়দরাবাদের। এলিমিনেটরের রাজস্থান ও বেঙ্গালুরুর মধ্যকার জয়ী দলের সঙ্গে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে আরও একবার ফাইনালে টিকিটের লড়াইয়ের সুযোগ পাবে প্যাট কামিন্সের দল। 

জাতীয় দলের দায়িত্বে ফিল সল্ট নিজ দেশে ফেরে গেলে সুনীল নারাইনের বিপরীতে যোগ্য ওপেনার নিয়ে অনেকটা শঙ্কাই ছিল কলকাতা। সেখানে আসরে প্রথমবারের মতো একাদশে জায়গা মেলে আফগান তারকা ব্যাটার রহমানউল্লাহ গুরবাজের। তাও আবার কোয়ালিফায়ারের মতো গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চে। নারাইনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শুরুটা বেশ ভালোই এনে দিয়েছেন গুরবাজ। যদিও ৬ ওভার ২ বলের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন দু’জনেই, তবে  ততক্ষণেই স্কোরবোর্ডে উঠে যায় ৬৭ রান। উইকেট হারানোর যাত্রাটা শেষ সেখানেই। তৃতীয় ওভারে দুই আইয়ার ভেঙ্কেটেশ আইয়ার ও শ্রেয়াস আইয়ারের ৪৪ বলে ৯৭ রানের ঝোড়ো অপরাজিত জুটিতে ৩৬ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কলকাতা। ১৩ ওভার ৪ বলে তারা তোলে ১৬৪ রান। ২৪ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন শ্রেয়াস, এদিকে ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন ভেঙ্কেটেশ। 

এদিকে এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় হায়দরাবাদ। ১৩ রানেই দুই বিধ্বংসী ওপেনার ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মার উইকেট হারায় তারা। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে স্বদেশী মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন হেড। এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচেই শূন্য রানে বোল্ড হয়ে ফিরলেন এই অজি তারকা। পরের ওভারেই ফেরেন অভিষেক। পরে পঞ্চম ওভারে শেষ দুই বলে নিতিশ কুমার রেড্ডি ও শাহবাজ আহমেদকেও সাজঘরের রাস্তা মাপান স্টার্ক। এতে স্কোরবোর্ডে ৩৯ রান যোগ না হতেই ৪ উইকেট হারায় হায়দরাবাদ। 

শুরুর সেই কঠিন চাপ সামলে পরে পঞ্চম উইকেটে চাপ সামলে হেনরিখ ক্লাসেনকে নিয়ে ৬২ রানের জুটি গড়েন রাহুল ত্রিপাতি। ক্লাসেন ৩১ রান করে ফিরলেও উইকেটের একপাশ সামলে এগোতে থাকেন রাহুল। তবে দলীয় ১২১ রানের মাথায় রান আউটে কাটা পড়েন তিনি। দলীয় সর্বোচ্চ ৫৫ রান করে রাহুল ফিরলে হায়দরাবাদ হারায় তাদের ষষ্ঠ উইকেট। পরে ৫ যোগ করতেই নেই আরও ৩ উইকেট। এতে আরও অল্পেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জেগেছিল হায়দরাবাদের। তবে শেষ দিকে অধিনায়ক কামিন্সের ৩০ রানের ইনিংসে চড়ে ১৯ ওভার ৩ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। কলকাতার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেনে স্টার্ক এবং জেতেন ম্যাচসেরার খেতাবও। 

এদিকে আইপিএলের ১৭তম আসরের এলিমিনেটরে আজ মুখোমুখি হবে রাজস্থান ও বেঙ্গালুরু। মধ্যকার জয়ী দল আগামী ২৪ মে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলবে হায়দরাবাদের বিপক্ষে। এবং দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের জয়ী দল আগামী ২৬ মে ফাইনালে লড়বে কলকাতার বিপক্ষে। 

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ ডট কম-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *