সারাদেশ

জিয়া কাকুতি মিনতি করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন: নানক

ডেস্ক রিপোর্ট: জিয়া কাকুতি মিনতি করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন: নানক

ছবি: সংগৃহীত

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) যখন গঠিত হয় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান তখন কাকুতি মিনতি করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন। অথচ আজ তারা বড় বড় কথা বলছে।

বুধবার (২২ মে) দিনাজপুর সার্কিট হাউজে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এসব কথা বলেন।

নানক বলেন, জিয়াউর রহমানের এই দলের জন্মই হয়েছিলো আমাদের স্বাধীনতাকে হত্যা করার জন্য। সেজন্যই তিনি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী ও যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম, নিজামীদের আশ্রয় দিয়েছিলেন। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে খুনি ডালিম রশিদদের পুরস্কৃত করেছিলেন।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান চেয়েছিলেন আওয়ামী লীগ দলটিকে নিশ্চিহ্ন করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে। কিন্তু আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পর আমরা একটি প্রত্যয় দেখতে পেলাম। আমরা তাঁর পেছনে গিয়ে দাঁড়ালাম। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ঘুরে দাঁড়ালাম।

মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে জেনারেল জিয়া বিরাজনীতিকরণের ধারার সূচনা করেছিলেন। স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসন করেছিলেন। সেই দিনে আর ফিরে যেতে দেয়া যাবে না। এদেশে সরকারে থাকবে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, বিরোধী দলেও থাকবে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। বঙ্গবন্ধুর অনুসারীরাই দেশের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করবে। পাট উৎপাদন ও পাটের বস্তাসহ অন্যান্য পাটপণ্য ব্যবহার বৃদ্ধি করা হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন, এখানে একটি টেক্সটাইল মিলের ৩৬.৭৪ একর জমি পড়ে আছে। এটাকে ফেলে রাখা হবে না। এটা নিয়ে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ এবং দিনাজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম, দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য জাকারিয়া জাকা, সাবেক সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাবুজ্জামান মিতা। বৈঠকে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আমাদের মাথা ব্যথা নেই: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা গাজার নিষ্ঠুর ও বর্বরতম হত্যাকে গণহত্যা বলতে চায় না তারা কোথায় কাকে নিষেধাজ্ঞা দিলো সেটা নিয়ে আমাদের কোন মাথা ব্যথা নেই।

বুধবার (২২ মে) বিকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপ-কমিটির এক আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেখলাম, ডোনাল্ড লু আসলেন সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাবার সংকল্প ব্যক্ত করলেন এখানে মিটিং করে। সেখানে আবার, তিনি যেতে না যেতেই নিষেধাজ্ঞা এসে গেলো। আগে সাতজন এখন আবার একজন যুক্ত হলো।

তিনি বলেন, সংরক্ষিত আসনে অনেকে প্রার্থী ছিলেন, তাদের না পাওয়ার বেদনা থাকতে পারে। আমাদের দুর্দশী লিডারশীপ ছিল বলে আমরা সফল হয়েছি। রিজার্ভ সিটের বিপরীতে প্রার্থী ছিল ১৩শ’ প্লাস। পরিস্থিতি এমন যে কাকে রেখে কাকে দেবো। অনেকে প্রার্থী ছিলেন, অনেকের স্বপ্ন ছিল, আকাঙ্ক্ষা ছিল, এ কারণে দু:খ পেয়েছেন।

কাদের বলেন, আগে নারীরা, তরুণরা আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল, শেখ হাসিনার ম্যাজিকেল লিডারশীপে এখন তরুণ ও নারীরা এক বাক্যে আওয়ামী লীগকে ভোট দিবেন, এটা আমরা লক্ষ্য করেছি।

সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটি চেয়ারম্যান মঞ্চ সারথি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, সাবেক সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য নায়ক ফেরদৌস আহমেদ ও আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আনিসুল ইসলাম প্রমুখ।

;

‘সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জাতির জন্য লজ্জাকর’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জাতির জন্য লজ্জাকর বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (২২ মে) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভা শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞার জন্য সরকার দায়ী। সেনাবাহিনীকে অন্যায়ভাবে ব্যবহারের ফলে এই নিষেধাজ্ঞা। সরকারের কারণে সেনাবাহিনীকে হেয় প্রতিপন্ন করা করা হলে দেশের মানুষ কখনো মেনে নেবে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, শুধু দেশের সাধারণ নাগরিক নয়, আওয়ামী লীগের ‘কথিত’ সংসদ সদস্যরাও সরকারের বন্ধুরাষ্ট্রের (ভারত) কাছে নিরাপদ নয়। ভারতে এমপি হত্যার পেছনে দুর্নীতি বা অন্য কোনো ঘটনা থাকতে পারে।

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কারো কোনো আগ্রহ নেই। প্রকৃতপক্ষে পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়েই আগ্রহ নেই।

;

আন্দোলনের মাধ্যমেই গণবিরোধী শক্তিকে পরাজিত করতে হবে : দুদু

ছবি: বার্তা ২৪

গণবিরোধী শক্তিকে পরাজিত করতে হলে আমাদের নিজেদেরকেই আন্দোলন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

বুধবার (২২ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত ধারাবাহিক প্রহসনের নির্বাচন ও বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ লেবার পার্টি। আলোচনা সভায় শামসুজ্জামান দুদু বলেন, অন্য কোনো দেশ আমাদের আন্দোলন করে দিয়ে যাবে এটা বিশ্বাস করার কনো কারণ নেই। গণবিরোধী শক্তিকে পরাজিত করতে হলে আমাদের নিজেদেরকেই আন্দোলন করতে হবে। বড়-ছোট সকল দলকে নিজ নিজ জায়গা থেকে আন্দোলন করতে হবে। দেশকে বাঁচাতে হবে।

বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান আরও বলেন, দেশে পরিপূর্ণভাবে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করে রাজনীতিকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য যে দেশ স্বাধীন হয়েছে সে দেশে এখন আর গণতন্ত্র নেই। এই সরকার দেশের সকল প্রতিষ্ঠানকে একটি দলের আওতায় নিয়ে এসেছে।

এসময় আলোচনা সভায় গণফোরামের মহাসচিব অ্যাড. সুব্রত চৌধুরী বলেন, একটা দানবীয় শক্তি রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে আছে। এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। সামনের কর্মসূচিগুলোতে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে। বাংলাদেশ ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছে। অরাজকতার বিরুদ্ধে বিপ্লব করে দেশকে বাঁচাতে হবে। আমরা আবার রাজপথ কাঁপাবো। সরকারের পতন ঘটাবো।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, শেখ মুজিবের আমলে দেশ যেমন ছিল আজকে তার কন্যার হাত ধরে দেশ সেদিকে যাচ্ছে। গত ১৬ বছরে আ. লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন জনগণ তার পছন্দের ব্যক্তিকে ভোট দিতে পারেনি। বিরোধী দলের কৌশল, দূরদর্শিতার অভাবে আ. লীগ এখনো ক্ষমতায় বসে আছে। বাংলাদেশ আরেকটা ফিলিস্তিন হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। আমেরিকার আশায় আন্দোলন করলে হবে না। আমাদের নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য নিজেদেরকে আন্দোলন করতে হবে।

বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশিদ হাবিব, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, ইসলামি জোটের প্রেসিডেন্ট মো.শওকত আমিন প্রমুখ।

;

আমরা গণতন্ত্রকামী মানুষ, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি: রিজভী

ছবি: বার্তা২৪.কম

আমরা গণতন্ত্রকামী মানুষ, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী। 

বুধবার (২২ মে) পল্টনে জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ফোরামের শান্তি শোভাযাত্রা শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, সত্যের পথে গৌতম বুদ্ধের আত্মনিবেদন স্মরণ করে স্বৈরাচার সরকার পতনে প্রত্যয় দীপ্ত হতে হবে। 

সরকারের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, গৌতম বুদ্ধের যে বানী ‘আত্মদীপ হও’- সেই অন্তরের আলোতেই আমরা চলি এবং চলতে চাই। এই চলায় কারও বাধা দেওয়ার কথা নয়। কিন্তু সরকার আজ আমাদের সমাবেশ করার অধিকার কেড়ে নিয়েছেন, মানুষের চলাচলের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন।

রিজভী বলেন, আগে জমিদাররা রাজনীতি করলে জমিদারী শেষ হয়ে যেত কিন্তু শেখ হাসিনা সরকার এখন দেশে এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছেন যে, ছাত্রলীগ করলে ২ হাজার কোটি টাকা পাচার করা যায়, যুবলীগ করলে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হওয়া যায়। আর এদিকে আমাদের কিভাবে চলতে হবে সে নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। সভা-সমাবেশ করতে গেলেও পুলিশের অনুমতি নিতে হয়। এই হচ্ছে বর্তমান অবস্থা।

গৌতম বুদ্ধের সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরে রিজভী আরও বলেন, গৌতম বুদ্ধের বাণী সর্বজনীন। কোন নির্দিষ্ট ধর্মের গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। প্রতিটি দেশের সরকার যদি গৌতম বুদ্ধের বাণী অনুযায়ী মেনে চলত তাহলে কোনো ধরনের হানাহানি, হিংসা বিদ্বেষ, রাহাজানি থাকত না।

জাতীয়তাবাদী বুদ্ধ ফোরামের শান্তি শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী এবং সব বুদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বুদ্ধ পূর্ণিমার শুভেচ্ছা জানিয়ে রিজভী তার বক্তব্য শেষ করেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ ধর্ম সম্পাদক অমলেন্দু দাশ অপু, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ছাত্র যুবফ্রন্ট সভাপতি জয়দেব রায়, সদস্য সচিব প্রার্থ প্রতীম বড়ুয়া অপু প্রমুখ।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *