অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আনোয়ার উল হক মারা গেছেন
ডেস্ক রিপোর্ট: অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আনোয়ার উল হক মারা গেছেন
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আনোয়ার উল হক মারা গেছেন
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আনোয়ার উল হক আর নেই।
রোববার (২৬ মে) রাত ২টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন।
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছেন। তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছেন।
রোববার দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে সুপ্রিম কোর্টের ইনার গার্ডেনে মরহুমদর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
১৫২ কোটি টাকা ঋণখেলাপি, দম্পতিসহ তিনজনের দেশত্যাগে মানা
ছবি: সংগৃহীত
বেসরকারি সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংকের চট্টগ্রামের একটি শাখার ১৫২ কোটি টাকা ঋণখেলাপি মামলায় ব্যবসায়ী দম্পতিসহ তিনজনের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন একটি আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দিয়েছেন।
দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া তিনজন হলেন- লিজেন্ড টেক্সটাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এস এম আবদুল হাই, তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক নিলুফার আকতার ও পরিচালক মোরশেদ শাহনুর হাসিন হিমাদ্রি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহাকারী রেজাউল করিম শাহেদ।
আদালত সূত্রে জানা যায়, এস এম আবদুল হাইসহ তিনজনের কাছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখার ১৫২ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। এটি নিয়ে ব্যাংকের ওই শাখা তাদের বিরুদ্ধে ২০২১ সালে একটি ঋণখেলাপি মামলা করে। এ ছাড়া তাদের বিভিন্ন ব্যাংকে তাঁদের দেনার পরিমাণ ৬০০ কোটি টাকার বেশি। এর বিপরীতে ব্যাংকে যে পরিমাণ সম্পদ তাঁরা বন্ধক রেখেছেন, তা খুবই কম। বন্ধক থাকা সম্পদ দিয়ে ওই ঋণ শোধ হবে না।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম বলেন, ব্যাংকের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়- তাঁরা তিনজন ঋণ পরিশোধ না করে দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। একই সঙ্গে বিশেষ পুলিশ সুপারকে (অভিবাসন) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
;
বেনজীর আহমেদের সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত তার ৮৩টি দলিলের সম্পদ জব্দের এ আদেশ দেন।
এর আগে গত মাসের ২২ এপ্রিল বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালা উদ্দিন রিগ্যান হাইকোর্টে রিট দায়ের করা করেন।
প্রসঙ্গত, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে, যা তার আয়ের তুলনায় অসম।
‘মিথ্যা ও কল্পনাপ্রসূত তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে’ বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করবে দুদক সম্প্রতি প্রকাশিত এক জাতীয় দৈনিকের দাবি, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে গত শনিবার (২০ এপ্রিল) ‘আমার কিছু কথা’ শিরোনামে এক ভিডিও বার্তায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেনজীর আহমেদ বলেন, মিথ্যা ও কল্পনাপ্রসূত তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
বেনজীর আহমেদের দাবি, কিছু তথ্য ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তিলকে তাল বানিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে।
;
আনোয়ারুল আজীম হত্যাকাণ্ড ৪ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ আদালতের
ছবি: সংগৃহীত
ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে খুনের উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় ৪ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) মামলার এজাহার আদালতে আসে। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহবুবুল হকের আদালত তা গ্রহণ করে আগামী ৪ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে বুধবার (২২ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় খুন করার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, মানিক মিয়া এভিনিউয়ের বাসায় আমরা সপরিবারে বসবাস করি। ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারুল আজীম আনার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ যাওয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন।
১১ মে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বাবার সঙ্গে ভিডিওকলে কথা বললে বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও সেটি বন্ধ পাই।
১৩ মে বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে উজির মামার হোয়াটসঅ্যাপে একটি ক্ষুদেবার্তা আসে। এতে লেখা ছিল- আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি। আমার সঙ্গে ভিআইপি রয়েছে। আমি অমিত শাহ’র কাজে নিউটাউন যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নাই। আমি পরে ফোন দেবো।এছাড়া আরো কয়েকটি বার্তা আসে। ক্ষুদেবার্তাগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন অপহরণকারীরা ব্যবহার করে থাকতে পারেন।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, বিভিন্ন জায়গায় বাবার খোঁজ করতে থাকি। কোনো সন্ধান না পেয়ে বাবার ভারতীয় বন্ধু গোপাল বিশ্বাস বাদী হয়ে বরাহনগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপরও আমরা খোঁজাখুজি অব্যাহত রাখি। পরবর্তীতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারি, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজসে বাবাকে অপহরণ করেছে।
গত ১২ মে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে কলকাতায় যান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। প্রথম দিন তিনি তার বন্ধু গোপালের বাসায় থাকেন। পরদিন ১৩ মে কৌশলে এমপি আনারকে নিউটাউনের এক ফ্ল্যাটে কৌশলে ডেকে নিয়ে যান হত্যাকারীরা। বিকেলের দিকে এমপি আনার সঞ্জীবা গার্ডেনের সেই ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন। এরপর আমান তার সহযোগী ফয়সাল, মোস্তাফিজ, সিয়াম ও জিহাদ মিলে এমপিকে চাপাতির মুখে জিম্মি করেন। এসময় তারা এমপির কাছে শাহীনের পাওনা টাকা পরিশোধের কথাও বলেন। বিষয়টি নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে সবাই মিলে আনারকে জাপটে ধরে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর আমান বিষয়টি শাহীনকে জানায়।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।