সারাদেশ

১১২ উপজেলায় ২২৭ প্রার্থী মামলায় অভিযুক্ত

ডেস্ক রিপোর্ট: ১১২ উপজেলায় ২২৭ প্রার্থী মামলায় অভিযুক্ত

ছবি: বার্তা২৪.কম

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে ১১২ উপজেলায় ২২৭ জন প্রার্থী বিভিন্ন মামমায় অভিযুক্ত। সেই সাথে অতীতে বিভিন্ন মামলায় ৩০৭ জন অভিযুক্ত ছিলেন বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি)। 

সোমবার (২৭ মে) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবি কর্তৃক ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপ এ অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণে এই তথ্য জানায় সংস্থাটি।  

সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি জানায়, এই ধাপের উপজেলা নির্বাচনে মামলা তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এ এম সিদ্দিক- যার নামে মামলা চলমান রয়েছে ২৭টি। দ্বিতীয় রয়েছে পিরোজপুর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. সোহাগ সিকদার যার নামে মামলা রয়েছে ১৩ টি। তৃতীয় রয়েছে বান্ধরবন জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তোফাইল আহম্মেদ যার নামে মামলা রয়েছে ১১ টি।

এছাড়া ২০১৯ তুলনায় ১০০ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি আয় বেড়েছে ৭৪ জন প্রার্থীর। তৃতীয় ধাপে পাপ্পিদের মধ্যে আয় বৃদ্ধি উপরে রয়েছে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী নরুল আলম। তার সম্পদ বেড়েছে ১০ হাজার ৪২২ শতাংশ।

কোমর পানির নিচে চট্টগ্রাম, দুর্ভোগ চরমে

ছবি: বার্তা২৪.কম

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে হাঁটু থেকে কোমর সমান পানির নিচে তলিয়ে গেছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। গেল ২৪ ঘণ্টায় এ অঞ্চলে ২০৫ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।

সোমবার (২৭ মে) সকাল ৯টায় পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি ঝরেছে চট্টগ্রামে।

জানা গেছে, টানা বর্ষণে নগরীর মুরাদপুর, শোলকবহর, বহদ্দারহাট, চান্দগাঁও, অনন্যা আবাসিক, দুই নম্বর গেট, জিইসি চকবাজারসহ নিচু এলাকাগুলোতে নিয়ম করেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কোনো এলাকা হাঁটু থেকে কোমর সমান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এর থেকে রক্ষা পায়নি নিম্নাঞ্চলের বাসাবাড়িও।

একদিকে মোহাম্মাদপুর ফ্লাইওভারে মুখ থেকে বহদ্দারহাট কাঁচা বাজার পর্যন্ত কোমড় পানিতে থৈ থৈ করছে। একই সড়কে থাকা বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ইঞ্জিনচালিত গাড়ি পানিতে বিকল হয়ে পড়েছে। এসময় পথচারীরা কোন উপায় না পেয়ে বৃষ্টিতে ভিজে সড়কে ডিভাইডার ধরে গন্তব্যে ফিরতে দেখা যায়। অনেকে আবার দু-তিনগুণ বাড়তি ভাড়া দিয়ে রিকশা ও ভ্যানে চড়ে গন্তব্যে রওনা দেয়।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ২০৫ দশশিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা এমএইচএম মোসাদ্দেক বার্তা২৪.কমকে বলেন, চট্টগ্রামে সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এরমধ্যে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ছিল সর্বোচ্চ ৪০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত। আজকেও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হবে। তবে জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা নেই।

;

খুলনার কয়রায় বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত ২০ গ্রাম   ঘূর্ণিঝড় রিমাল

ছবি: বার্তা২৪.কম

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে খুলনার উপকূলীয় কয়রায় জলোচ্ছ্বাসে বেড়িবাঁধের ৩টি জায়গার বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে শতাধিক চিংড়ির ঘের। ভেঙে গেছে মাটির তৈরি কাঁচা ঘরবাড়ি ও দোকানপাট। রাতভর ভারী বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় এ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।

জানা যায়, রোববার দুপুর থেকে নদীর জোয়ারের চাপে উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের দশহালিয়া, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের সিংহেরকোণা ও দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মোঃ বেলাল গাজীর বাড়ির সামনের বেড়ি বাঁধ ভেঙে যায়। বাঁধের ওই ৩টি স্থানে সবমিলিয়ে প্রায় ১৫০ মিটার ভেঙে নোনা পানিতে প্লাবিত হয়েছে অন্তত ২০টি গ্রাম।

এছাড়া অনেক এলাকায় বেড়িবাঁধ নিচু থাকায় সেইসব জায়গা দিয়ে পানি উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে।

কয়রার মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, রোববার (২৬ মে) মধ্য রাতের দিকে জোয়ারের চাপে এ ইউনিয়নের দশহালিয়া এলাকায় প্রায় ৫০ মিটার বাঁধ ভেঙে কপোতাক্ষ নদের পানি ঢুকে পড়েছে। এতে অন্তত দুটি গ্রাম এবং কয়েকশ চিংড়ির ঘের তলিয়ে গেছে।

উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল জানান, ইউনিয়নের মাটিয়াভাঙ্গা এলাকায় রাতের জোয়ারে বাঁধের কিছু অংশ ভেঙে গেছে। এতে ৫-৭টি গ্রামে নদীর পানি ঢুকেছে। এছাড়া নিচু বাঁধ ছাপিয়ে পানি ঢুকছে লোকালয়ে।

মহেশ্বরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারি জানান, ইউনিয়নের সিংহেরকোণা এলাকায় বাঁধ ভেঙে গেছে। এছাড়া নয়আনি এলাকার বাঁধের নিচু জায়গা ছাপিয়ে সারারাত পানি ঢুকেছে লোকালয়ে। এতে অন্তত ৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়েছে। অসংখ্য চিংড়ির ঘের ও পুকুর ডুবে যাওয়ায় মাছ ভেসে গেছে। কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে শতাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম তারিক উজ জামান জানান, কয়েকটি স্থানে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে প্রাথমিক খবর পেয়েছি। এছাড়া ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ের তাণ্ডবে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

;

ঘূর্ণিঝড় রিমালে রাজধানীতে হাঁটু পানি, তীব্র যানজট

ছবি: বার্তা২৪.কম

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রবল তাণ্ডবের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে। সকাল থেকে রিমালের প্রভাবে ভারি বৃষ্টিতে ডুবে গেছে রাজধানীর বেশ কিছু এলাকা। জলাবদ্ধতার কারণে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানযট।

সোমবার (২৭ মে) সকাল ৮ টা থেকে ভারী বৃষ্টিতে রাজধানীর মিরপুর, শেওড়াপাড়া, কাজিপাড়াসহ ওয়াসা রোডে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, জলাবদ্ধতা ও যানজটের কারণে ভোগান্তির মুখে পড়েছে কর্মজীবী মানুষ। হাঁটু পানি ডিঙিয়ে স্কুল কলেজে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এতে ঝুঁকির মুখে পড়েছে শিশুরা।

জলাবদ্ধতা ও যানজটের সুযোগ নিচ্ছে রিকশা ও সিএনজি চালকরা। কাজের প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষদের অভিযোগ, জলাবদ্ধতার কারণে রিকশা ও সিএনজির দ্বিগুন ভাড়া নিচ্ছে। 

সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানযট বেসরকারি চাকরিজীবী রেহানা বেগম বলেন, ‘দুই তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতেই রাস্তায় হাঁটু অবধি পানি উঠে গেছে। মেট্রো করে অফিস যাই, সেটিও বন্ধ আছে। সিএনজি ভাড়া চাচ্ছে ৫০০ টাকা। আমাদের ভোগান্তির কোনো শেষ নাই। ”

গোলাম রব্বানী নামের আরেক পথচারী বলেন, ‘হালকা বৃষ্টিতেই আমাদের জলাবদ্ধতায় পড়তে হয় সিটি কর্পোরেশনের কোনো দায়িত্ব নেই। এসব নিরসনে কোনো ব্যবস্থা নেয় না কেউ। আমরা শুধু ভোগান্তিতে পড়ি।’

স্কুল ছাত্র ওয়াসী বলেন, ‘আমাদের অবস্থা খারাপ; এভাবে তো স্কুল যাওয়া যায় না। ক্লাস টেস্ট আছে, তাই ঝুঁকি নিয়ে যাচ্ছি।’

জলাবদ্ধতার কারণে রিকশা ও সিএনজির দ্বিগুন ভাড়া নিচ্ছে এদিকে মেট্রোরেল বন্ধ থাকায় বাসে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এতে শেওড়াপাড়া থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত দেখা যায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। বেশি ভোগান্তির শিকার অফিসগামী কর্মজীবী ও শ্রমজীবী মানুষ।  

শেওড়াপাড়ার ওয়াসা রোডে জলাবদ্ধতা ও রাস্তা খোড়া থাকার কারণে ওয়াসা রোডের মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে। বৃষ্টির মধ্যে ভিজে হাঁটু পানি ডিঙিয়ে অনেককে অফিস যেতে দেখা গেছে।

;

চট্টগ্রামে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবি, গ্রেফতার ৩

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের হালিশহরে কথিত তিন সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিক পরিচয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। এ ঘটনায় মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন চৌধুরী (৫৯) নামে এক ভুক্তভোগী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

রোববার (২৬ মে) বিকেল ৩টার দিকে হালিশহর থানাধীন গুলবাগ আবাসিক এলাকার গোল্ডেন টাচের বিপরীত পাশে রূপালী ভবন থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবি ও চাঁদা আদায়ের ঘটনায় ব্যবহৃত দুটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আখি আক্তার (৩৩), মো. কামরুল হাসান (৪২) ও মো. জহির উদ্দিন (৪৯)। তারা প্রত্যেকে হালিশহর থানা এলাকার অস্থায়ী বাসিন্দা।

হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কায়সার হামিদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে বাদীকে অন্যায়ভাবে জিম্মি করে মারধর করে। এরপর সাধারণ জখম করে, ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি ও আদায়, চুরি এবং নগ্ন ভিডিও ধারণ করে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে মানসম্মান ক্ষুন্ন করার ভয় দেখায়।

তিনি আরও বলেন, আসামিরা ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ৩ লাখ টাকা আদায় করে। এ সময় বাদীর কাছে থাকা একটি দুই ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন কেড়ে নেয়। যার বাজারমূল্য ২ লাখ টাকা।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *