প্রয়োজনে বেনজীরের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চাইবে দুদক
ডেস্ক রিপোর্ট: প্রয়োজনে বেনজীরের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চাইবে দুদক
ছবি: সংগৃহীত
প্রয়োজন মনে করলে আদালতে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চাইবেন তদন্ত কর্মকর্তা বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তবে সেটি তদন্ত সাপেক্ষে নির্ধারণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
সোমবার (২৭ মে) গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
এর আগে, রোববার (২৬ মে) বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানের নামে থাকা আরও ১১৩টি দলিলের সম্পদ এবং ঢাকার গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট জব্দের (ক্রোক) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে বিভিন্ন কোম্পানিতে তাদের নামে থাকা শেয়ার অবরুদ্ধ করারও আদেশ দেওয়া হয়।
গত বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত বেনজীর আহমেদের ৮৩টি দলিলের সম্পদ জব্দের এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে তার স্ত্রী ও মেয়ের নামে থাকা ব্যাংক হিসাবগুলোও অবরুদ্ধ করতে আদালত আদেশ দেন।
তার আগে, গত মাসের ২২ এপ্রিল বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালা উদ্দিন রিগ্যান হাইকোর্টে রিট দায়ের করা করেন।
প্রসঙ্গত, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে, যা তার আয়ের তুলনায় অসম।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক জাতীয় দৈনিকের দাবি, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে গত শনিবার (২০ এপ্রিল) ‘আমার কিছু কথা’ শিরোনামে এক ভিডিও বার্তায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেনজীর আহমেদ বলেন, মিথ্যা ও কল্পনাপ্রসূত তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
বেনজীর আহমেদের দাবি, কিছু তথ্য ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তিলকে তাল বানিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন তিনদিন মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
ছবি: সংগৃহীত
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ উপলক্ষে ৯১ উপজেলায় তিনদিনের জন্য মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবকে ইতোমধ্যে চিঠি পাঠিয়েছেন।
এদিকে ১১০ উপজেলায় তৃতীয় ধাপের নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ১৯ উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করেছে ইসি। সেই হিসেবে ৯১ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৯ মে।
ইসি জানায়, আগামী ২৯ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিবসের পূর্ববর্তী মধ্যরাত অর্থাৎ ২৮ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ২৯ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ট্যাক্সি ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
এদিকে ২৭ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ৩০ মে মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
আরও বলা হয়েছে, নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, যানজট নিরসন ইত্যাদি প্রয়োজনে বাস্তবতার নিরীখে ও স্থানীয় বিবেচনায় উল্লিখিত যানবাহন ছাড়াও উক্তরূপে যে কোনো যানবাহন চলাচলের ওপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে। এ নিষেধাজ্ঞা রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী/তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি/বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য।
নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি/বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরি কাজ যেমন-অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য উল্লিখিত যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এরূপ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে পারবেন।
যানবাহনসমূহ চলাচলের ওপর বর্ণিত সময়সূচি অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে ক্ষমতা দেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে চিঠিতে।
অন্যদিকে নৌ সচিবকে পাঠানো পৃথক এক চিঠিতে ভোটের দিন যন্ত্রচালিত নৌযান চলাচল বন্ধের জন্যও বলা হয়েছে।
;
অটোরিকশা ছিনতাই করতে চালককে হত্যা, ঘাতকসহ গ্রেফতার ৩
ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার মাতুয়াইল এলাকার গ্রীন মডেল টাউনের একটি প্লট থেকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় নয়ন নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গত ১৮ মে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশ মরদেহ তথ্য জানায় স্থানীয়রা। এই ঘটনায় নিহতের পরিবার থানায় মামলা করলে তদন্তে নেমে হত্যায় জড়িত ঘাতকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- মো.দীন ইসলাম (২০), মমিনুল হক ওরফে মকবুল (৩০) ও মো. আজিজুল হক (৩০)। তাদের সবার বাড়ি জামালপুর জেলায়।
আসামিদের তথ্যের ভিত্তিতে ভাঙ্গারির দোকান থেকে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার বিভিন্ন যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (২৭ মে) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির ওয়ারি বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ইকবাল হোসাইন।
তিনি বলেন, গত ১৮মে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে স্থানীয়রা যাত্রাবাড়ী থানায় ফোন করে জানায়, মাতুয়াইল এলাকার গ্রীন মডেল টাউনের একটি প্লটে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় এক ব্যক্তির মরদেহ পড়ে আছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পঁচাগলা অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নিহতের পরিচয় উদঘাটন করা হয়। নিহতের পরিবার জানায়, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির নাম মো. নয়ন (২০)। পেশায় ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক। গত ১৪ তারিখ ভাড়ায় চালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হওয়ার পরে আর বাসায় ফেরে নি। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিল নয়ন। এই ঘটনায় নিহতের মা রিনা বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলার তদন্তে নামে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ।
ডিসি ইকবাল জানান, এর আগে অটোরিকশা চালক নয়ন নিখোঁজের দিন সেই রিকশার বডি ও হুডসহ দুই রিকশা যাত্রীকে আটক করে যাত্রাবাড়ী থানার টহল পুলিশ। আটক যাত্রীরা ময়লার স্তূপের মধ্যে এগুলো কুড়িয়ে পেয়েছেন। পরবর্তীতে রিকশার বডিতে থাকা মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে রিকশার মালিককে ডাকা হয়। তিনি এসে রিকশা হুড ও বডি নিয়ে যান। তবে তিনি চালক নয়নকে না পাওয়া পর্যন্ত মামলা করতে রাজি হননি।
এদিকে ঘটনার চারদিন পরে মরদেহ উদ্ধার ও এর আগে রিকশার বডি ও হুড উদ্ধার হওয়ায় হত্যায় জড়িদের ধরতে মাঠে নামে পুলিশ। পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে যাত্রাবাড়ীর ধলপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার আজিজুল হকের দোকান থেকে অটোরিকশা ব্যাটারিসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দীন ইসলাম ও মকবুলকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে ইকবাল হোসাইন জানান, গত ১৪মে গ্রেফতারকৃত মকবুল এবং পলাতক মিজান ওরফে নিজামসহ কয়েকজন মিলে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৯ টায় গ্রীন মডেল টাউন যাওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রাবাড়ী থানার কাজলা থেকে ৮০ টাকা ভাড়া ঠিক করে নয়নের রিকশায় ওঠে। রিকশাটি গ্রীন মডেল টাউনে পৌছিলে মিজান চালক নয়নের গলায় গামছা পেঁচিয়ে ধরে তাকে নিচে ফেলে। তখন দীন ইসলাম রশি দিয়ে নয়নের দুইপা বেঁধে ফেলে। মকবুল দুই হাত বাঁধে। পরবর্তীতে মুখে গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পার্শ্ববর্তী ছনক্ষেতের ভিতরে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে সবাই মিলে রিকশাটি নিয়ে ধলপুরে চলে আসে। ধলপুরে এসে ছিনতাইকারীরা রিকশার ব্যাটারি, মোটরসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ আজিজুল হকের কাছে মাত্র ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়।
গ্রেফতার দীন ইসলাম এবং ভাঙ্গারী দোকানদার আজিজুল হক ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
;
বাগেরহাটে পাঁচ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন ঘূর্ণিঝড় রিমাল
ছবি: বার্তা২৪.কম
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন বাগেরহাট জেলার অধিকাংশ এলাকা। প্রায় পাঁচ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন। এর মধ্যে মোড়েলগঞ্জ, শরণখোলা, মোংলা ও রামপাল উপজেলার প্রায় অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। অন্যান্য এলাকাতেও বিদ্যুৎ ছিল আশা যাওয়ার মধ্যে।
বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক সুশান্ত রায় বলেন, ঝড়ো হাওয়ায় বিদ্যুতের লাইনে গাছপালা উপড়ে পড়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
বাগেরহাট জেলায় চার লাখ ৮৫ হাজারের বেশি গ্রাহক রয়েছে। রিমালের প্রভাবে দমকা ঝড়ো হাওয়ায় পল্লী বিদ্যুতের মূল সঞ্চালন লাইনের বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়েছে।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে বাগেরহাটের মোংলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রোববার রাত থেকে শুরু হওয়া ঝড়-বৃষ্টি ও বাতাস এখনও অব্যাহত রয়েছে।
অপরদিকে এখনও বন্ধ রয়েছে মোংলা বন্দরে অবস্থানরত সকল বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য ওঠানামার কাজ।
মোংলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাফর রানা জানান, ঝড়ে প্রায় ৮ হাজার কাঁচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ১০ থেকে ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। এখনও আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার নারী-পুরুষ ও শিশু। এছাড়া বিভিন্ন এলাকার প্রায় ২ হাজার চিংড়ি ঘের প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অঞ্জন বিশ্বাস।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত ও ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি আছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এই সকল লোকের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের রাজৈর এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। ফলে ওই এলাকার ৫ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া একই উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের বগি ও চালিতাতলা এলাকায় রিং বেড়িবাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করে অন্তত ৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
মোরেলগঞ্জ, মোংলা ও রামপাল উপজেলার বেশকিছু এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসব এলাকায় অন্তত ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর, গোপালকাঠি, মোরেলগঞ্জের শ্রেণীখালি, পঞ্চকরণ, শরণখোলার রাজৈর এলাকায় বেড়িবাঁধ উপচে এবং ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এসব এলাকার প্রায় ১৭শ মিটারের বেশি জায়গা থেকে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। তবে বাস্তবিক অর্থে এর পরিমাণ আরও বেশি।
;
রিমাল-এর তাণ্ডবে সাতক্ষীরায় ৬ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন ঘূর্ণিঝড় রিমাল
ছবি: বার্তা২৪
ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ সাতক্ষীরার উপকূলে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে তার ছিঁড়ে ও সঞ্চালন লাইনে গাছপালা উপড়ে পড়ে জেলার ছয় লাখের বেশি মানুষ বিদ্যুৎহীন রয়েছেন।
বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কেও সমস্যা দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’-এর প্রভাবে রোববার সকাল থেকেই সাতক্ষীরা জেলার অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। শ্যামনগর, কালীগঞ্জ ও আশাশুনি উপজেলার প্রায় অধিকাংশ এলাকায় সারাদিনই বিদ্যুৎ ছিল না। অন্যান্য এলাকাতেও বিদ্যুৎ ছিল আসা–যাওয়ার মাঝে।
তবে জেলা সদরের পৌর শহরে রোববার রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রেখেছিল। ঝড়ে সঞ্চালন লাইনে গাছপালা উপড়ে পড়ায় রাত ১১টার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
উপকূলের বুড়িগোয়ালীনী এলাকার আব্দুল হালিম বলেন, আমার ফোনে মাত্র ১ পয়েন্ট চার্জ আছে। ফোন বন্ধ হয়ে যাবে। অনলাইনে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে না।
উপকূলের জান্নাতুল নাইম বলেন, নেটওয়ার্ক সমস্যা ও মোবাইল ফোনে চার্জ না থাকায় সবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না।
শরুব ইয়ুথ টিম সদস্যরা সবাই উপকূলবাসীর পাশে রয়েছেন।
সাতক্ষীরা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার জিয়াউর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমাল-এর কারণে সাতক্ষীরা জেলার ৬ লাখ ২৫ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।
ঝড়ে পল্লী বিদ্যুতের মূল সঞ্চালন লাইনের বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়েছে। এতে কমবেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুর্যোগ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা কাজ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে, অনেক লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগ ফের চালু করেছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই জানানো যাচ্ছে না। নিরূপণ করে বলতে পারবো কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সাতক্ষীরা বিদ্যুৎ সরবরাহ ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সহকারী প্রকৌশলী মতিয়ার রহমান বলেন, আমাদের ৫৬ হাজার গ্রাহক। ঘূর্ণিঝড় রিমাল-এ মূল সঞ্চালন লাইনের বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়ায় এবং কয়েকটি খুঁটি ভেঙে পড়ায় রোববার রাত ১১টার পর থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ঝড় কমে যাওয়ার পর পরই বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমরা কাজ শুরু করেছি। ১১টি ফিডারের মধ্যে আটটি চালু করতে পেরেছি। ৫৬ হাজার গ্রাহকের মধ্যে ৪০ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে পেরেছি। বাকিদের বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছে যাচ্ছি। ঝড়ে কী পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে আমরা কাজ করছি।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।