সারাদেশ

রামগঞ্জে বসতঘর চাপা পড়ে শিশুর মৃত্যু

ডেস্ক রিপোর্ট: ছবি: বার্তা২৪.কম

লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ চাঙ্গিরগাও গ্রামে ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে বসতঘর চাপা পড়ে নিস্পা নামের ৭ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

একই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন শিশুটির নানি হোসনেয়ারা বেগম (৬৫)।

সোমবার (২৭ মে) দুপুর আড়াইটায় উপজেলার ৫ নম্বর চন্ডিপুর ইউনিয়নে দক্ষিণ চাঙ্গিরগাঁও গ্রামের দেবুর বাড়ির পাশে গরুর ব্যাপারি ছাকায়েত উল্যার বাড়ির লুৎফর রহমানের বসতঘরটি ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ভেঙ্গে পড়ে। এসময় ঘরের ভিতরে থাকা হোসনেয়ারা বেগম (৬৫) ও নাতনি নিস্পু (৭) ভেঙে যাওয়া ঘরের নিচে চাপা পড়ে।

প্রতিবেশীরা ঘরের নিচে চাপা পড়া হোসনেয়ারা ও নিস্পুকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার নিস্পুকে মৃত ঘোষণা করে।

এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. শারমিন ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রিপোর্ট প্রেরণ করা হয়েছে।

স্বামীর ছুরিকাঘাতে বউ-শাশুড়ি খুন

ছবি: বার্তা২৪.কম

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর ছুরিকাঘাতে বউ ও শাশুড়ি খুন হয়েছেন।

সোমবার (২৭ মে) দুপুরে উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের হললিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, সোনামুখী ইউনিয়নের হলহলিয়া গ্রামের সোলায়মান আলী আকন্দের স্ত্রী আলেয়া বেগম (৫২) ও তার মেয়ে মিতু (৩৪)। আহত ছেলের নাম নিরব (২১)।

স্থানীয়রা জানায়, আক্কেলপুর উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের হলহলিয়া গ্রামে স্বামী-স্ত্রীর কলহের সময় শাশুড়ি ও শ্যালক এগিয়ে আসলে ক্ষুব্ধ জামাই তার স্ত্রী, শাশুড়ি ও শ্যালককে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাশুড়িকে মৃত ঘোষণা করে।

স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বগুড়ার শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনিও মারা যায়। আহত শ্যালককে আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে ঘাতক রুবেল হোসেন পলাতক রয়েছেন।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নয়ন হোসেন জানান, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে ঘাতক রুবেল হোসেন পলাতক রয়েছে।

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল ;

কেএনএফ’র আরও ৩ সদস্য গ্রেফতার

ছবি: বার্তা২৪.কম

বান্দরবানে রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় রোয়াংছড়ি উপজেলায় যৌথবাহিনীর অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্দেহে আরও তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেফতার হওয়া কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) তিন সদস্য হলেন জোহান বম (৪৫), লাল হোম লিওন বম (৩৭) এবং লাল রাম লিয়ান বম (৩৮)। তারা সবাই রোয়াংছড়ি উপজেলার পাইক্ষ্যং পাড়ার বাসিন্দা।

সোমবার (২৭ মে ) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের পুলিশি পাহারায় রোয়াংছড়ি সদর থেকে বান্দরবান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এর আগে রোববার বিকেলে তাদের রোয়াংছড়ি সদর থেকে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনীর সদস্যরা।

বান্দরবান আদালতের জিআরও বিশ্বজিৎ সিংহ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রোয়াংছড়ি থানায় দায়ের করা মামলায় তিনজনকে আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাইসুমা সুলতানা গ্রেপ্তার তিনজন কেএনএফ সদস্যকে শুনানি শেষে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এপর্যন্ত মোট ৮৯ কেএনএফ সদস্য ও একজন চাঁদের গাড়ির চালকসহ মোট ৯০ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৫ জন নারী রয়েছেন। যৌথ বাহিনীর টহলের ওপর হামলা করতে গিয়ে কেএনএফের মোট ১৩ জন নিহত হয়েছে।

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে প্রকাশ্যে ব্যাংক লুটের পর বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ ও সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় এ পর্যন্ত রুমা থানায় ১৩ টি ও থানচি থানায় চারটি, বান্দরবান সদর থানায় একটি এবং রোয়াংছড়ি থানায় তিনটি সহ সর্বমোট ২১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে সমগ্র বান্দরবান জুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে।

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল ;

প্রাকৃতিক দূর্যোগে খাদ্য নিরাপত্তায় জোর দিয়েছে ফ্রেন্ডশিপ

ছবি: সংগৃহীত

ঝড়, বন্যা, খরার মত নিয়মিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে চরাঞ্চলে বাসিন্দাদের টিকিয়ে রাখতে খাদ্য নিরাপত্তায় জোর দিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ। 

সোমবার (২৭ মে) কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মিলনায়তনে আয়োজিত ‘খাদ্য নিরাপত্তায় জনগনের নিজস্ব উদ্ভাবনমূলক কার্যক্রমে ফ্রেন্ডশিপ এর সহায়তা’  শীর্ষক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

‘খাদ্য নিরাপত্তায় জনগনের নিজস্ব উদ্ভাবনমূলক কার্যক্রমে ফ্রেন্ডশিপ এর সহায়তা’ নিয়ে আয়োজিত মত বিনিময় সভায় উঠে আসে প্রান্তিক মানুষের খাদ্য নিরাপত্তায় নিজস্ব উদ্ভাবনী বিভিন্ন কৌশল।

সভায় বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা দুর্গত বাসিন্দাদের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দেন মোঃ বরমান হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)। তিনি আশা করেন, সুবিধা বঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠির খাদ্য নিরাপত্তা এবং পুষ্টি সহায়তা হতে পারে দারিদ্র বিমোচনের এক উপায়।

চরাঞ্চলে ফ্রেন্ডশিপের খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচী সম্পর্কে বর্ণনা দেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক আহমেদ তৌফিকুর রহমান। তিনি জানান, সুবিধা বঞ্চিত চরের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে দুই দশক আগে কাজ শুরু করেন ফ্রেন্ডশিপ প্রতিষ্ঠাতা রুনা খান। তাঁর মূল্য উদ্দেশ্য এসব বঞ্চিত মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। এ ধারাবাহিকতায় মৌসুমী বন্যা এবং বন্যা পরবর্তী সময়ে ক্ষতির শিকার, এমন মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করা এ কর্মসূচীর লক্ষ্য। 

ফ্রেন্ডশিপ লুক্সেমবার্গ এবং লুক্সেবার্গ এইড এন্ড ডেভেলপমেন্ট-এর অর্থায়নে যমুনা-ব্রহ্মপুত্রের চরে চলছে এ কর্মসূচী। প্রাথমিকভাবে এ উদ্যোগের অগ্রাধিকার হচ্ছে কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার বন্যা আক্রান্ত বাসিন্দাদের খাদ্য নিরপত্তা ও পুষ্টির ব্যবস্থা বিস্তৃত করা।

মত বিনিময় সভায় যোগ দেন, কুড়িগ্রাম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, কুড়িগ্রাম জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, গরীব প্রতিবেশির জন্য সামর্থ্যবানদের রাখা এক মুঠ খাদ্য হতে পারে অনেক সমস্যার সমাধান। এজন্য টেকসই খাদ্য উৎপাদনে উঠান বাগানের কলাকৌশল রপ্ত করতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সক্ষমতা বিস্তৃত করার তাগিদ দেন তারা।

এছাড়াও কুড়িগ্রাম জেলায় ফ্রেন্ডশিপের ভাসমান হাসপাতালের সংখ্যা বৃদ্ধি করার কথাও জানায় সংস্থাটি। ববর্তমানে কুড়িগ্রামে একটি ভাসমান হাসপাতাল আছে ফ্রেন্ডশিপের। দ্রুত আরও একটি ভাসমান হাসপাতাল যোগ করার প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক আহমেদ তৌফিকুর রহমান।

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল ;

উপকূলে মোবাইল নেটওয়ার্ক বিঘ্নিত

ছবি: বার্তা২৪.কম

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ কবলিত দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বেশিরভাগ উপকূলীয় এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকার দরুণ মোবাইল যোগাযোগ নেটওয়ার্কের বাইরে।এজন্য রোববার (২৬ মে) রাত থেকেই অনেকে ফোনে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।

সোমবার (২৭ মে) সকালে নিয়ন্ত্রক সংস্থা টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে উপকূলসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জেলাতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকার দরুণ মোবাইল অপারেটরদের সাইট সমূহ হতে দুর্যোগ কবলিত এলাকায় টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদান ব্যাহত হচ্ছে। এতে করে দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে জরুরি উদ্ধার কার্যক্রম ও তাদের সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে জনসাধারণের সাথে টেলিযোগাযোগ সম্ভবপর হবে না।

আরও বলা হয়, ইতোমধ্যে দেশের ৪৫ জেলার সব মোবাইল অপারেটরদের ৮,৪১০ সাইটে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে অসচল হয়ে পড়েছে। এসকল সাইটে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপন করা অতি জরুরি।

এমতাবস্থায়, দুর্যোগ চলাকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে জরুরি সেবা হিসেবে নিরবচ্ছিন্ন মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা নিশ্চিতকরণে উপকূলীয় জেলা সমূহসহ সংশ্লিষ্ট সব জেলাসমূহে বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিতকরণসহ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন এলাকায় দ্রুততম সময়ে বিদ্যুৎ পুনঃস্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রিমাল রোববার রাত ৮টার দিকে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে। এরপর উপকূল থেকে শুরু করে সারা দেশে বৃষ্টি শুরু হয়। এখনও তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে। বাতাসের গতিবেগ রয়েছে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। মহাবিপৎসংকেত কমে আসলেও উপকূলীয় জেলাগুলোতে বেশ ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে।

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল ;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *