সারাদেশ

দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা ও অন্ধত্বের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্বে থাকবে বাংলাদেশ

ডেস্ক রিপোর্ট: দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা ও অন্ধত্বের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্বে থাকবে বাংলাদেশ

ছবি: বার্তা ২৪

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা এবং অন্ধত্বের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করতে থাকবে।

সোমবার (২৮ মে) স্থানীয় সময় দুপুরে ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্র এন্টিগা এন্ড বারবুডার রাজধানী সেন্ট জনসে জাতিসংঘ আয়োজিত ‘ক্ষুদ্র দ্বীপ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের চতুর্থ সম্মেলনে’র (4th Small Island Developing States Conference-SIDS4) অফিসিয়াল সাইডলাইন ইভেন্ট ‘সর্বজনীন চক্ষুসেবা’ আলোচনায় এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।

দক্ষিণ গোলার্ধের দেশটির ‘আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অভ এন্টিগা’র মিলনায়তনে জাতিসংঘের ‘গ্রুপ অভ ফ্রেন্ডস অন ভিশন’ আয়োজিত এ আলোচনায় স্বাগতিক দেশ এন্টিগা এন্ড বারবুডার পররাষ্ট্র, কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রী শেত গ্রিন (Chet Greene) এবং জাতিসংঘে আয়ারল্যান্ডের স্থায়ী প্রতিনিধি ফারগাল মিথেন (Fergal Mythen), পর্তুগালের স্থায়ী প্রতিনিধি পলা জাকারিয়াস (Paula Zacarias), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিচালক ওয়ার্নার ওবারমায়ার (Werner Obermeyer) প্রমুখ বক্তব্য দেন।

ড. হাছান বিশ্বব্যাপী সবার জন্য চোখের চিকিৎসার উন্নতির লক্ষ্যে ২০২১ সালে ‘সবার জন্য দৃষ্টি’ (Vision for Everyone) বিষয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ঐতিহাসিক রেজুলেশন গ্রহণ করার ক্ষেত্রে এন্টিগা এন্ড বারবুডা এবং আয়ারল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশের নেতৃত্বের কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘ইউনাইটেড নেশনস গ্রুপ অভ ফ্রেন্ডস অন ভিশনে’র কো-চেয়ার হিসেবে বাংলাদেশ জাতিসংঘের দৃষ্টি বিষয়ক বিশেষ দূত নিয়োগ এবং ২০২৬ সালে বিশ্ব চক্ষু স্বাস্থ্য সম্মেলন বা গ্লোবাল আই হেলথ সামিট আয়োজন সমর্থন করে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক-সামাজিক ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য ও বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জনের কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ২০০টি কমিউনিটি আই সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং ২০২৯ সাল নাগাদ আরও ২৫০টি আই সেন্টার প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে।

শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগ দেশব্যাপী ১৪ হাজার ৫০০ কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে চোখের প্রাথমিক যত্ন ও চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান আমাদের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ, বলেন মন্ত্রী ।

এ সময় তিনি বিশ্বব্যাপী দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য সরকারি অবকাঠামোগুলোতে প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করা, শিক্ষা উপকরণের উন্নয়ন এবং ডিজিটাল স্বাক্ষরতা প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

এন্টিগা এন্ড বারবুডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জাতিসংঘে আয়ারল্যান্ড ও পর্তুগালের স্থায়ী প্রতিনিধিদ্বয় তাদের বক্তৃতায় বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে চোখের যত্ন ও চিকিৎসায় বৈষম্য মোকাবিলার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

বাড়ি ফেরা হলো না চন্দনা রানীর!

ছবি: বার্তা ২৪

গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর দমকা বাতাসের মধ‍্যে বাড়ি ফেরার পথে নওগাঁর বদলগাছীতে ট্রাকের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী চন্দনা রানী (৫৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২৭ মে) বিকেলে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার মিঠাপুর ইউনিয়নের মিঠাপুর নতুন বাজার এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহত চন্দনা রানী (৫৫) জেলার পত্নীতলা উপজেলার নান্দাস গ্রামের বিজয় চন্দ্রের স্ত্রী।

স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর আত্মীয়ের বাসা থেকে জামাইয়ের সাথে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে বদলগাছীর গোবরচাঁপা – আক্কেলপুর সড়কের মিঠাপুর নতুন বাজার এলাকায় ধান বোঝাই ট্রাকের সাথে (ঢাকা মেট্রো-ট-১৬-৭০৭৮) মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী চন্দনা রানী (৫৫) ট্রাকের চাকায় পৃষ্ঠ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। ঘটনাটি দেখে স্থানীয় লোকজন ট্রাকচালক এবং ট্রাক আটক রেখে পুলিশে দেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান (পিপিএ) বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ট্রাক ও চালককে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। এ ব‍্যপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;

রাজধানীসহ ২০ অঞ্চলে বজ্রসহ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা

করাজধানীসহ ২০ অঞ্চলে বজ্রসহ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ দুর্বল থেকে আরও দুর্বল হচ্ছে। প্রবল থেকে সাধারণ ঘূর্ণিঝড় এরপর গভীর নিম্নচাপে রূপ নেয় এটি। তবে এর প্রভাব এখনো রয়েছে।

এতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ২০টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিমি বেগে বৃষ্টি বা বজ্র বৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, রাজশাহী, দিনাজপুর, পাবনা, রংপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, যশোর, কুষ্টিয়া, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিমি বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দরকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। 

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ২-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে।

এর আগে গতকাল সোমবার (২৭ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত তার আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ২৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রামে, ঢাকায় রেকর্ড করা হয়েছে ১৫১ মিলিমিটার।

;

রিমালের তাণ্ডবে খুলনায় ক্ষতিগ্রস্ত সাড়ে ৪ লাখ মানুষ   ঘূর্ণিঝড় রিমাল

রিমালের তাণ্ডবে খুলনায় ক্ষতিগ্রস্ত সাড়ে ৪ লাখ মানুষ

রিমালের তাণ্ডবে খুলনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৪ লাখ ৫২ হাজার ২শ’ মানুষ। ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে ৭৬ হাজার ৯০৪টি এবং নিজ ঘরে গাছ চাপায় নিহত হয়েছেন একজন।

ঘূর্ণিঝড় চলাকালে সোমবার (২৭ মে) রাত ১টার দিকে জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলায় সুরখালি ইউনিয়নে নিজ ঘরে গাছচাপা পড়ে গাওঘরা গ্রামের গহর আলী মোড়লের ছেলে লাল চাঁদ মোড়ল (৩৬) নিহত হয়েছেন। 

সোমবার (২৭ মে) রাতে খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ নাজমুল হুসেইন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

জেলার কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপ উপজেলায় কয়েক হাজার গাছ উপড়ে পড়েছে এবং ভেঙে পড়েছে। ছোট বড় শত শত মাছের ঘের, পুকুর এবং ফসলের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। ভেঙে গেছে রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট। অনেকের গবাদিপশু, গৃহস্থলির আসবাবপত্র জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে।

সোমবার (২৭ মে) দুপুরের পর থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে অনেক এলাকায়। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রোববার (২৬ মে) ও সোমবার (২৭ মে) ভারী বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়া বইছে খুলনা মহানগরীসহ উপকূলীয় উপজেলাগুলোতে।

খুলনা শহরের মধ্যে সোমবার (২৭ মে) রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত খুলনা মহানগরীর অনেক সড়ক এবং ড্রেন ছিল পানির নিচে। নগরীর অনেক এলাকায় বসতঘরের মধ্যেও ছিল পানি।

খুলনা মহানগরীর ৩০নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোসাঃ শারমিন সুলতানা জানান, সোমবার রাতে ঘরে মধ্যে পানি ঢোকে। এখনো সেই পানি কমেনি। ঘরের আসবাবপত্র সব পানিতে ডুবে আছে। 

৩১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ আব্দুস সালাম জানান, ঘরের কথা কি বলবো। জিনিসপত্র সব খাটের উপরে। আর আমরা এক আত্মীয়ের বাড়িতে। মাঝে মাঝে এসে দেখে যাচ্ছি। তার উপর বিদ্যুৎ নেই।

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ৩১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আরিফ হোসেন মিঠু জানান, ভৈরব এবং রূপসা নদীতে ভাটা লাগলে শহরের পানি কমে যাবে। বৈরি আবহাওয়ার জন্য নদীর পানি কমছে না। ফলে শহরের পানি নামতে দেরি হচ্ছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ নাজমুল হুসেইন জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে জেলার ৭৬ হাজার ৯০৪টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২০ হাজার ৭শ’ ঘর সম্পূর্ণ ও ৫৬ হাজার ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার ৯ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৫২টি ওয়ার্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ ৫২ হাজার ২শ’ মানুষ। খুলনা নগরীতেও অসংখ্য গাছপালা উপড়ে গেছে।

;

চট্টগ্রামে খালে পড়ে নিহত তরুণ কলেজছাত্র ইমন

চট্টগ্রামে খালে পড়ে নিহত তরুণ কলেজছাত্র ইমন

চট্টগ্রামে খালে পড়ে নিহত তরুণের পরিচয় মিলল। তাঁর নাম আজিজুল হাকিম ইমন। তিনি নগরের সদরঘাটের ইসলামিয়া কলেজের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

ফেসবুকের মাধ্যমে খবর পেয়ে সোমবার (২৭ মে) রাত সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন ইমনের পরিবারের সদস্যরা। 

ইমনের ছোট ভাই রেজাউল হাকিম ভাইয়ের মরদেহ শনাক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ফেসবুকে ভাইয়ের ছবি দেখে এলাকার লোকজন আমাদের খবর দেন। পরে আমি নিজেও ফেসবুকে দেখি। এরপর হাসপাতালের মর্গে এসে মরদেহ শনাক্ত করেছি। কীভাবে ভাইয়ের এমন পরিণতি হলো কিছুই বুঝতে পারছি না।’

তবে কিছুদিন ধরে ইমন মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন রেজাউল। বলেন, ভাই নিজে নিজে কথা বলতেন। নানা অস্বাভাবিক আচরণ করতেন। এ জন্য চিকিৎসাও চলছে। সোমবার জোহর নামাজ পড়তে বাসা থেকে বের হন। এরপর তিনি আর ফেরেননি। বাসায় না ফেরায় খোঁজাখুজি করেও পাইনি। বাসা থেকে এতদূরে কীভাবে গেলেন বুঝতেছি না।’

ইমনদের বাসা রামপুর ওয়ার্ডের এয়াকুব আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এলাকায়। আর তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বাসার প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরের আছাদগঞ্জের চাক্তাই খাল থেকে।

খাল থেকে মরদেহক উদ্ধারের সময় ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, চার যুবক ডুব দিয়ে এক যুবককে তুলে টেনে খালের পাড়ে নিয়ে আসেন। পরে পাড়ে থাকা লোকজনের সহায়তায় ওই যুবককে খাল থেকে তুলে আনা হয়। তখনও যুবক বেঁচে ছিলেন বলে একজনকে বলতে শোনা যায়। যদিও তরুণটি ছিলেন নিস্তেজ।

স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে পাথরঘাটা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর বলেন, ‘সোমবার বিকেলে চাক্তাইখালে প্রচণ্ড স্রোত ছিল। এ সময় এক যুবককে খালে পড়ে যেতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। তারা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে ওই যুবক কীভাবে পড়লেন তা নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারেননি।’

কোতোয়ালী থানা পুলিশের এসআই বাবুল পাল জানিয়েছেন, বিকেল পৌনে চারটার দিকে সিসিটিভি ফুটেজে ওই যুবককে আছাদগঞ্জ থেকে চামড়া গুদামের দিকে যেতে দেখা যায়। এর কয়েক মিনিটের মাথায় স্থানীয় লোকজনকে চিল্লাচিল্লি করতে দেখা যায়। কয়েকজনকে খালে লাফিয়ে পড়তে দেখা যায়। এর আগে ওই যুবক খালে পড়ে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বাবুল পাল আরও বলেন, কলাবাগিচা খাল ও চাক্তাইখালের সংযোগস্থলে একটি ব্রিজ রয়েছে। সেখানে পাশে সংকীর্ণ একটি উন্মুক্ত জায়গায় লোকজন প্রস্রাব করেন। বৃষ্টিতে খালের পাড় পিচ্ছিল ছিল। ধারণা করা হচ্ছে ওই যুবক ওখানে প্রস্রাব করতে গিয়ে খালে পড়ে স্রোতে তলিয়ে যান।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *