সারাদেশ

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২০

ডেস্ক রিপোর্ট: রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২০

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ২০ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

সোমবার (২৭ মে) সকাল ছয়টা থেকে মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩৮৭ পিস ইয়াবা, ১৬০ গ্রাম হেরোইন, ১৮ কেজি ৮২৫ গ্রাম গাঁজা ও ৪৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অ‌ভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৫টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

উপকূল ছেড়ে গেলেও ক্ষতচিহ্ন রেখে গেছে ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’   ঘূর্ণিঝড় রিমাল

ছবি: বার্তা২৪.কম

তাণ্ডব চালিয়ে উপকূল থেকে বিদায় নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’। তবে রেখে গেছে ক্ষতের দাগ। তীব্র ঝড়ের সঙ্গে ভারী বর্ষণে নিঃস্ব হয়েছে হাজারো মানুষ। ঘরবাড়ি ও সহায়-সম্বল হারিয়ে দিশেহারা উপকূলের মানুষ। এই ক্ষতি কাটিয়ে কীভাবে তারা পুনরায় নতুন করে মাথা তুলে দাঁড়াবেন সেটি নিয়েই এখন দুশ্চিন্তা সাতক্ষীরার মানুষের।

ইকবাল মোল্লা নামের এক কৃষক সহায় সম্বল রেখে ঘূর্ণিঝড়ের রাতে আশ্রয় নিয়েছিলেন আশ্রয়কেন্দ্রে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রিমাল শেষ করে দিয়েছে বসত-ভিটাসহ সব কিছু। সব কিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন । আইলা, সিডর, ফনি, এখন রিমাল সব ঘূর্ণিঝড় এসে একে একে নিঃস্ব করে রেখে গেল তাদের বসতভিটা। ঘূর্ণিঝড়ের ঘা কাটিয়ে একটু একটু করে বাঁচার স্বপ্ন দেখা মানুষ গুলো বার বারই নিঃস্ব হচ্ছে।

শুধু যে ইকবাল তা নয় হাজারো উপকূলবাসীর চিত্র এখন এমনই। সবার চোখে মুখে হাহাকার। বসতভিটা হারানোর কষ্ট। কীভাবে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠবেন সেই চিন্তায় দিন গুনছে তারা।

প্রতাপনগরের মিজানুর বলেন, নিম্নচাপ, ঝড় আসলে আগে আমাদের উপকূলবাসীর বলী হতে হয়। যার কারণে আমাদের এই লড়াইটা অভ্যেস হয়ে গেছে। ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, সুনামির সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকাটা আমাদের জীবন। এক এক সময় এক এক আতঙ্ক নিয়ে বেঁচে আছি। না রয়েছে ভালো বেড়িবাঁধ না রয়েছে ভালো জীবন এ জীবনটা শুধু সংগ্রামের।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজিবুল আলমের তথ্য মতে শ্যামনগরের গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনী, আটুলিয়াসহ বারোটি ইউনিয়নে ৫৪১টি কাঁচা বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৯৩টি সম্পূর্ণ এবং ৪৪৮টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রবল জোয়ারে নদীর পানি ছাপিয়ে কোথাও কোথাও লোকালয়ে প্রবেশ করলেও বাঁধ ভাঙার খবর পাওয়া যায়নি। তবে গতকালের টানা বর্ষণে কিছু মাছের ঘের তলিয়ে গেছে‌। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই জানানো সম্ভব হচ্ছে না।’

;

মেট্রোর লাইনে গাছের ডাল, বন্ধ কারওয়ানবাজার-মতিঝিল অংশে রেল চলাচল

ছবি: বার্তা ২৪

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মেট্রোরেল লাইনের ওপর গাছের ডাল পড়ায় বন্ধ রয়েছে মেট্রোরেল চলাচল। তবে উত্তরা থেকে কারওরান বাজার পর্যন্ত অংশে নির্বিঘ্নে চলাচল করছে মেট্রোরেল।

সোমবার (২৭ মে) সন্ধায় ডিএমটিসিএলের কোম্পানি সচিব আব্দুর রউফ বলেন, ‘এ নিয়ে অপারেশন টিম কাজ করছে। একটা সমাধান আসবে।’

এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে দেশ জুড়ে দিনভর অঝোরে হয়ে চলছে বৃষ্টিপাত। এরই মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। বৃষ্টি আর ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজধানীর সড়কে গণপরিবহনের উপস্থিতি ছিল কম। তবে ব্যক্তিগত গাড়িসহ অন্যন্য যানবাহনে বিভিন্ন সড়কে যানজটের চিত্রও ছিল লক্ষনীয়।

এরই মধ্যে রাজধানীর দ্রুতগামী গণপরিবহণ হিসেবে জনপ্রিয় মেট্রোরেল ব্যবহারকারীরাও পড়েছেন ভোগান্তিতে। সকাল থেকে দফায় দফায় বন্ধ থাকায় গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেননি অনেকেই। ফলে পড়তে হয়েছে বিপাকে।

তবে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মেট্রোরেল লাইনের ওপর গাছের ডাল ভেঙে পড়ার কারণে বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া চলাচলের বৈদ্যুতিক লাইনেও সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সোমবার (২৭ মে) সকাল ৭টার পর মেট্রোরেল বন্ধ হয়ে যায়। দুই ঘণ্টা পর মতিঝিলগামী অংশ চালু করা হলে আবার বন্ধ হয়। উভয় দিকের চলাচল স্বাভাবিক হয় সকাল ১০টার পর। পরে বিকাল ৫টার দিকে মেট্রোরেল চলাচল আবার বন্ধ হয়ে যায়।

প্ল্যাটফর্মে ডিজিটাল সাইনবোর্ডে ‘জরুরি বাটন টেপা হয়েছিল’ লেখা থাকলেও প্ল্যাটফর্ম থেকে যাত্রীদের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিকল্প উপায়ে চলে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়।

;

ঢাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ৪

ছবি: বার্তা২৪.কম

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে রাজধানীতে চলমান বৃষ্টির মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আলাদা আলাদা ঘটনায় নারীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২৭ মে) রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে এই ঘটনা ঘটে।

মৃত ৪ জনের মধ্যে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকার রয়েছেন দুজন। বাকি একজন যাত্রাবাড়ীর এবং অপরজন বাড্ডা এলাকার বাসিন্দা।

নিহতরা হলেন- খিলগাঁও রিয়াজবাগ এলাকার রাকিব (২৫), তিনি রিকশার গ্যারেজে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। সিপাহীবাগে রাস্তায় জমে থাকা পানির মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া মরিয়ম বেগম (৪৫), যাত্রাবাড়ীতে মারা গেছেন লিজা আক্তার (১৬), তিনি টিনের প্রাচীর স্পর্শ করে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। অপরজন একজন বাড্ডার বাসিন্দা, তার নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

মৃত রাকিবের সহকর্মী খোকন মিয়া জানান, রাকিবের বাড়ি ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলায়। তারা খিলগাঁও রিয়াজবাগ ৬ নম্বর গলিতে একটি রিকশার গ্যারেজে থাকেন। বৃষ্টির কারণে তাদের রিকশার গ্যারেজে পানি জমে ছিল। সেই পানির মধ্যে রিকশা রেখে ব্যাটারি চার্জ করছিলেন রাকিব। এ সময় সেই চার্জার খুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি।

এদিকে মৃত মরিয়মের প্রতিবেশীরা জানান, রাত ৯টার দিকে খিলগাঁও সিপাহীবাগ মক্কা টাওয়ারের পাশে একটি রাস্তায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন মরিয়ম নামে ওই নারী। রাস্তাটিতে বৃষ্টির কারণে হাঁটুসমান পানি জমেছিল। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ওই নারীকে পানিতে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মরিয়মের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলায়। পরিবার নিয়ে থাকেন খিলগাঁও মেরাদিয়া কবরস্থান গলিতে। স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন তিনি।

মৃত লিজার পরিবারের বরাত দিয়ে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাসার পাশে টিনের প্রাচীর স্পর্শ করলে সেখান থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় লিজা। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

;

ক্যানেলের পাশে ঝুপড়ি ঘরেই জীবনযাপন ছোড়াব-শেফালী দম্পতির

ছবি: বার্তা ২৪

‘কেউ নাই আমরা খুব অসহায়। ঝড় বৃষ্টি আসলে আল্লাহকে ডাকি। সারাদিন ভয়ে ভয়ে থাকি। এখানে কোন মত থেকে দিন যাপন করতেছি। খুব অভাবের সংসার খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছি। খেতেই পারি না জমি কিনব কিভাবে, আর বাড়ি বানাব কিভাবে ! অনেক চেষ্টা করেও সরকারের আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পাইনি। এখন ক্যানেলের পাশে ঝুপড়ি করে কোন মতে আছি।’

বার্তা২৪.কমের প্রতিবেদকের সাথে আলাপচারিতায় এমন কথা বলছিলেন শেফালী-ছোড়াব দম্পতি।

শেফালী ছোড়াব-দম্পতি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ছিট রাজীব এলাকার তিস্তা সেচ ক্যানলের পাশে একটি ঝুপড়ি তৈরি করে বসবাস করছেন।

মঙ্গলবার ( ২৮ মে) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ,নিজের জমি না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে ক্যানেলের পাশে ঝুপড়ি ঘর করে বসবাস করছেন তারা। অভাবের সংসারে ছোড়াব মিয়া বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ায় শারীরিকভাবে অক্ষম। এতে শেফলী বেগম অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। তবে অন্যের বাড়িতে কাজ করে কেন মতে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করেন তারা। কিছুদিন আগে ঝড়ে একটি ঝুপড়ির (চালা) ছাদ উঠে গেলেও অর্থের অভাবে মেরামত করতে পারেনি। অন্যের সহায়তায় সামান্য কয়টা টিন দিয়ে ঘিরে রেখেছেন ঘর। এতেই করেন বসবাস। দিনের বেলায় সূর্যের আলো থাকলেও রাতে টর্চ লাইটের আলো বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়না।

শেফালী-ছোড়াব দম্পতি আরও বলেন, ‘আমাদের কেউ দেখে না। আমরা না খেয়ে আছি। সরকার যখন ঘর দেয় আমি দুইবার আবেদন করেছিলাম কিন্তু ঘর পাইনি। এখানে অসুখ হলেও দেখার মত কেউ নেই। অনেক রাত আমরা পানি খেয়ে কাটিয়েছি। সরকারের একটি পাকা ঘরের আশায় অনেক জনের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছি তবুও ঘর পাইনি। আমরা সরকারের একটা ঘর চাই। আমাদের একটা ঘর দিলে আমরা খুব ভালো থাকব।’

সদর ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গ্রেনেট বাবু বলেন, ‘আমি এবিষয়ে গত ইউএনও মহোদয়কে বলেছিলাম। সুযোগ না থাকার কারণে তাদের ঘর দিতে পারেনি। তারা ওখানে খুব কষ্টে জীবনযাপন করছেন। আমি ইউএনও মহোদয়কে আবার বলবো তাদের ঘর দেওয়ার কথা।’

এবিষয়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আশিক রেজার মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, এ উপজেলায় ১ম পর্যায়ে ১৪ টি, ২য় পর্যায়ে ১৭০টি, ৩য় পর্যায়ে ২২৭টি, ৪র্থ পর্যায়ে ৪৫টি মোট ৫৮২ গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে গৃহ ও ২ শতাংশ করে জমি দেয়া হয়েছে। এ ঘর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৩ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা। ২০২৩ সালের ২২মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের ৭টি জেলা ও ১৫৯টি উপজেলাসহ কিশোরগঞ্জকে গৃহহীন ও ভূমিহীন ঘোষণা করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *