সারাদেশ

ঘুস নেওয়া সেই শিক্ষা কর্মকর্তার বদলি

ডেস্ক রিপোর্ট: ঘুস নেওয়া সেই শিক্ষা কর্মকর্তার বদলি

ঘুস নেওয়া সেই শিক্ষা কর্মকর্তার বদলি

নীলফামারীর জলঢাকায় ঘুস নেওয়া অভিযুক্ত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চঞ্চল কুমার ভৌমিককে বদলি করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের একটি প্রজ্ঞাপনে তাকে রাঙামাটির নারীয়ারচর উপজেলায় বদলি করা হয়।

মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকালে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিপুল চন্দ্র বিশ্বাসের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এতে আগামী ৫ই জুনের মধ্যে বর্তমান দায়িত্ব হস্তান্তর করতে বলা হয়। অন্যথায় ৫ জুন থেকে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত বলে গণ্য হবেন।

জানা যায়, দীর্ঘদিন একই কর্মস্থলে থাকার ফলে তার বেপরোয়া আচরণে অতিষ্ঠ উপজেলার শিক্ষকরা। এই উপজেলার শিক্ষকদের অভিযোগ, নিয়োগ ও এমপিওসহ তার দফতরে থাকা যেকোনো কাজের জন্য গুনতে হয় মোটা অঙ্কের টাকা। দাবি করা টাকা না পেলে আটকে দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট ফাইল। ঘুরতে হয় দিনের পর দিন। কিন্তু শেষ পর্যায়ে বাধ্য হয়ে শিক্ষকরা টাকা দিয়ে কাজ আদায় করলেও নিজেরা হয়ে যান সর্বস্বান্ত।

এমন পরিস্থিতিতে এই কর্মকর্তার হাত থেকে রক্ষা পেতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলাটির চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান

অভিযোগে বলা হয়েছে, চঞ্চল কুমার ভৌমিক ২০১৭ সালের ২৫ মে জলঢাকা উপজেলায় যোগদান করেন। দীর্ঘদিন একই উপজেলায় কর্মরত থাকায় সর্বত্র তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রধানদের হুমকি, সামান্য কাজের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। বিশেষ করে নতুন শিক্ষকদের এমপিও ফাইল পাঠানোর জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের মোটা অঙ্কের টাকা দিতে বাধ্য করেন। সাধারণ শিক্ষকরা নিরুপায় হয়ে এই টাকা দিতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ছেন।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

রোয়াংছড়িতে ড্রেনে পড়ে যুবকের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় যতন বাবু তঞ্চঙ্গ্যা (৩০) নামের এক যুবককে ড্রেনে পড়ে থাকা অবস্থায় মৃত উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে রোয়াংছড়ি উপজেলার কচ্ছপতলি রাস্তা মাথা মোড়ে যাত্রী ছাউনির পাশে ড্রেনে পড়ে থাকা অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত যতন বাবু রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার বড়তলী ইউনিয়নের বইরাখ্যাছড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত কান্দপু তঞ্চঙ্গ্যার ছেলে।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রোয়াংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ পারভেজ আলী।

স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, সকালে স্কুলে পড়ুয়া কয়েকজন শিক্ষার্থী ওই রুট দিয়ে যাতায়াতের সময় ড্রেনে পড়ে থাকা অবস্থায় মরদেহটি দেখতে পায়। পরে বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশকে অবহিত করা হয়। নিহত যুবক দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন পাড়া মহল্লা ঘুরে ঘুরে অতিরিক্ত মদ্যপান করত। গতকালও অতিরিক্ত মদ্যপান করায় রাতের বেলা বৃষ্টিতে রাস্তা হারিয়ে ড্রেনের মধ্যে পড়ে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রোয়াংছড়ি ৩নং আলেক্ষ্যং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, আমি খবর পেয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করেছি। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মরদেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

রোয়াংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ পারভেজ আলী বলেন, ড্রেনে পড়ে থাকা অবস্থায় যুবকের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে।

;

পেনশন স্কিমে ৫০ হাজার রেজিস্ট্রেশন নিয়ে এগিয়ে চট্টগ্রাম

পেনশন স্কিমে ৫০ হাজার রেজিস্ট্রেশন নিয়ে এগিয়ে চট্টগ্রাম

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে দেশের প্রথম জেলা হিসেবে ৫০ হাজার রেজিস্ট্রেশনের মাইলফলক অতিক্রম করেছে চট্টগ্রাম জেলা। সোমবার (২৭ মে) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী সমগ্র দেশে এখন পর্যন্ত সর্বজনীন পেনশন স্কিমে রেজিস্ট্রেশন করেছে প্রায় ২ লাখ ৫২ হাজার গ্রাহক, যার প্রায় ২০ শতাংশই চট্টগ্রাম জেলা থেকে।

মঙ্গলবার (২৮) মে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনবদ্য উদ্যোগ সর্বজনীন পেনশন স্কিম, যা বৃদ্ধ বয়সে সকলের অবলম্বন হিসেবে বিবেচিত হবে। চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অন্যতম প্রবাসী অধ্যুষিত জেলা হওয়ায় এখানকার মানুষ এ ধরনের স্কিমে অংশগ্রহণ করতে ব্যাপক আগ্রহী। আগামী জুলাই মাসের মধ্যে ১ লক্ষ রেজিস্ট্রেশনের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন আন্তরিকভাবে কাজ করছে। জেলা প্রশাসন চলমান কার্যক্রমের ধারা সমান গতিতে বজায় রাখতে সচেষ্ট।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের মত উদ্যোগের সাফল্য সম্ভাবনা বিপুল। ৫০ হাজার মাইলফলক অর্জন সেই পথকে আরও সুগম করেছে। আশা করি, জেলা প্রশাসনের চেষ্টায় ও জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আমরা সর্বজনীন পেনশন স্কিমের রেজিস্ট্রেশনে আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবো।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গতকাল ২৭ মে রাত ১০টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলায় সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ৫০ হাজার ৬৮৮টি রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে রাউজান উপজেলায় ৮ হাজার ৬৪৭টি, সীতাকুন্ড উপজেলায় ৫ হাজার ৬২০টি, বাঁশখালী উপজেলায় ৪ হাজার ৬০২টি, কর্ণফুলী উপজেলায় ৩ হাজার ২৩৩টি ও চন্দনাইশ উপজেলায় ৩ হাজার ২১৪টি রেজিস্ট্রেশন হয়েছে।

বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের পাশাপাশি জেলা প্রশাসকের আহ্বানে সাড়া দিয়ে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড উপজেলায় শিল্প প্রতিষ্ঠান হিসেবে কেএসআরএম গ্রুপ সর্বপ্রথম তাদের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেনশন স্কিমে সংযুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, দেশের জনগণের গড় আয়ু বৃদ্ধির কারণে ক্রমবর্ধমান বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে টেকসই ও সুসংগঠিত সমাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতাভুক্ত করার লক্ষ্যে ও ভবিষ্যতে কর্মক্ষম জনসংখ্যা হ্রাসের কারণে নির্ভরশীলতার হার বৃদ্ধি পাবে বিবেচনায় নিয়ে মহান জাতীয় সংসদ কর্তৃক “সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩” পাশ হয় এবং গত ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩ মহামান্য রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভের পর আইনটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।

;

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের বিশেষ ট্রেন বন্ধ হচ্ছে ৩০ মে

ছবি: বার্তা২৪.কম

একদিকে ইঞ্জিন সংকট, অন্যদিকে লোকো মাস্টারও নেই। এই দুই কারণে কক্সাবজার-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী একমাত্র ও বিশেষ ট্রেনটি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) থেকে ট্রেন বন্ধ রাখতে বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ে (ডিআরেএম) চিঠি দিয়েছে রেলওয়ের যান্ত্রিক বিভাগ। ফলে বুধবার (২৯ মে) শেষবারের মতো ট্রেনটি চলবে।

রেলওয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মো. সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) ও ক্রু সংকটের কারণে ট্রেনটি বন্ধ রাখাতে চিঠি পেয়েছি। ৩০ মে থেকে ট্রেনটি বন্ধ থাকবে।’

রেলওয়ের পরিবহন ও যন্ত্র প্রকৌশল বিভাগ সূত্র জানায়, পূর্বাঞ্চলের বন্ধ থাকা অর্ধশতাধিক ট্রেনসহ মোট ২০০ ট্রেন পরিচালনায় ৩০০টি ইঞ্জিন প্রয়োজন। কিন্তু আছে ১৫৬টি ইঞ্জিন। এরমধ্যে আবার ১০০টি ইঞ্জিনও সচল নেই। তবে বর্তমানে ১১৬টি চাহিদা রয়েছে।

অন্যদিকে, রেলের দুই অঞ্চলের লোকোমাস্টার (এলএম), সহকারী লোকোমাস্টার (এএলএম) ও সাব লোকোমাস্টার (এসএলএম) পদের সংখ্যা ২,২৩৬টি। বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ৮৫০ জন, যা ট্রেন চালানোর কাজে নিয়োজিত জনবলের চাহিদার বিপরীতে মাত্র ৩৮ শতাংশ।

ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে গত ৮ এপ্রিল থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে বিশেষ ট্রেনটি চালু করেছিল কর্তৃপক্ষ। যাত্রী চাহিদা ও স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে ট্রেনটির ৩০ মে পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছিল। কিন্তু চালুর দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে বন্ধ হয়ে গেল ট্রেনটি।

প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত প্রায় ১০১ কিলোমিটার রেলপথ গত বছরের ১১ নভেম্বর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ডিসেম্বর থেকে দুই ধাপে ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে দুটি বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন চালু করে রেলওয়ে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন চালু না হওয়ায় সমালোচনা মুখে প্রতিটি ট্রেনের দুটি কোচের মাত্র ১১০টি আসন চট্টগ্রামের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়।

চাহিদা ও দাবির প্রেক্ষিতে গত ৯ মে ডিআরএমের দফতর থেকে পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তার দফতরে বিশেষ ট্রেনটি নিয়মিত চালুর প্রস্তাব পাঠানো। একটি ট্রেনকে দুই ট্রিপ অর্থাৎ দিনে দুইবার যাতায়াতের কথা বলা হয় প্রস্তাবে।

গত ৮ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত মোট ২৫ দিনে (৩ দিন চলাচল বন্ধ ছিল) ৫১ লাখ ২৫ হাজার ৩৬২ টাকার রাজস্ব আয় হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় প্রস্তাবে।

নতুন প্রস্তাবটি অনুমোদন হয়নি জানিয়ে ডিআরএম সাইফুল ইসলাম জানান, প্রস্তাবটি বর্তমানে রেল ভবনে রয়েছে।

;

মান্দায় বিদ্যালয়ের টিন বিক্রির টাকা শিক্ষক-দফতরির পেটে

ছবি: বার্তা২৪.কম

নওগাঁর মান্দায় নিয়মবহির্ভূতভাবে রেজুলেশন ছাড়াই উপজেলার ২৫ নং মান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিন বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মান্দা সদর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য জিন্নাতুন নেছা ২৬ মে অভিযুক্ত দুই শিক্ষকসহ দফতরির বিরুদ্ধে উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযুক্ত শিক্ষকরা হলেন, অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুরুচী রানী হাওলাদার, সহকারি শিক্ষক খায়রুল আলম ও দফতরি সাইফুল ইসলাম।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস পূর্বে উপজেলার ২৫ নং মান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের সময় পুরাতন ভবনটি ভেঙে ফেলার কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের সুবিধার জন্য ঢেউটিন দিয়ে তিনটি রুম তৈরি করা হয়েছিল। নতুন ভবনের কাজ শেষ হয়ে গেলে, টিনের তৈরি তিনটি কক্ষ পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় কয়েকদিন পূর্বে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ও সহকারি শিক্ষক পরিত্যক্ত শ্রেণি কক্ষের টিনগুলো গোপনে বিক্রি করে দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রধান শিক্ষিকা নিজেকে বাঁচাতে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দেখানোর জন্য রাতারাতি কিছু পুরাতন টিন ক্রয় করেন।

স্কুলের টিন ক্রেতা ভাঙারি ব্যাবসায়ী মামুন বলেন, শিক্ষক খায়রুলের কাছ থেকে সাড়ে ৩ মন টিন ৮ হাজার টাকায় ক্রয় করেছিলাম। এরপর হঠাৎ করে আমাকে পুরাতন টিন কেনার জন্য খায়রুল মাস্টার ২৫০০ টাকা দেয় । আমি পুরাতন টিন না পেয়ে তাকে টাকা ফেরত দিয়েছি। তাদের জন্য আমি মিথ্যা বলে ঝামেলায় জড়াতে চাই না।

প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষিকা সুরুচী রানী হাওলাদার বলেন, নিয়ম মেনে টিন বিক্রি করা হয়েছে। বিক্রিত টিনের টাকা সভাপতির নিকট জমা রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আপনাদের যা করার করতে পারেন। এ বিষয়ে আপনাদের আর কিছু বলতে চাই না।

টিন বিক্রির বিষয়টি স্কুলের সভাপতি শামীম হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৭ থেকে ৮ হাজার টাকার টিন বিক্রি করে সেই টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দফতরের কেউ এবিষয়ে কিছু জানেন কিনা এমন প্রশ্ন তিনি এড়িয়ে যান।

এ ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা এ্যাডওয়ার্ড সরেন বলেন, টিনগুলো গুছিয়ে রাখতে বলা হয়েছিল। কেউ টিন বিক্রি করে থাকলে তিনি অপরাধ করেছেন। টিন বিক্রির বিষয়ে আমি অবগত নয়।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল বাশার শামসুজ্জামান বলেন, রেজুলেশন বা কোন প্রকার নিলাম ছাড়াই টিন গোপনে বিক্রি করার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি । ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হবে। সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *