সারাদেশ

চালকবিহীন হেলিকপ্টার আবিষ্কারক ড.হুমায়ুন কবীরকে সংবর্ধনা

ডেস্ক রিপোর্ট: চালকবিহীন হেলিকপ্টার আবিষ্কারক ড.হুমায়ুন কবীরকে সংবর্ধনা

ছবি: বার্তা২৪.কম

বিশ্বের প্রথম চালকবিহীন হেলিকপ্টার আবিস্কারক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. হুমায়ুন কবিরকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে৷ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) রাতে পৌর সদরের উপজেলা রোডে অবস্থিত ইউনিটির কার্যালয়ে এই সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে।

কটিয়াদী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি অধ্যক্ষ ফ.হ. আলমগীর জোয়ারদার এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হায়দার টিটুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন কটিয়াদীর কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. হুমায়ুন কবির। বিশেষ অতিথি ছিলেন তার সহধর্মিণী ফরিদা কবির।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হুমায়ুন কবির বলেন, নিজের এলাকায় এসে ভালো লাগছে। মানুষের মেধাকে সঠিক পথে কাজে লাগালে সে অবশ্যই সফল হবে। একটি মানুষ কোটি-কোটি মানুষের উপকারে আসতে পারে, যদি তার মেধাকে ভালো পথে কাজে লাগায়৷ সুশিক্ষিত হয়ে দেশের, দশের, সারা পৃথিবীর উপকারে লাগতে পারে। কষ্টকে জয় করেই আমি আজ এই অবস্থানে৷
তিনি আরো বলেন, বিমান তৈরি অনেক ব্যায় বহুল। উন্নত দেশ ছাড়া এটি অনেক দুরূহ ও কঠিন কাজ। আমার তৈরি কয়েকটি বিমান আমেরিকার সরকার বিক্রি করছে৷ বাংলাদেশ কয়েকটি বিমান এনেছে। সরাসরি না হলেও বিভিন্ন ভাবে এর সুফল পাচ্ছে বিশ্বের সব মানুষ।

ড. হুমায়ুন কবির আরো বলেন, দেশের জন্য কাজ করার ইচ্ছে মনে সবসময়ই৷ আমাদের দেশে এমন ব্যাবস্থা থাকলে তো অবশ্যই সম্ভব হতো। স্বপ্ন দেখি আগামী প্রজন্ম হয়তো একদিন ভালো কিছু করতে পারবে। আমি আমার পরামর্শ শিক্ষার্থীদের সাথে শেয়ার করবো। তাদের অনুপ্রাণিত করবো। আমার নিজের এলাকায় কিছু করা যায় কিনা তাও বিবেচনায় রাখবো৷’

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, কটিয়াদী সরকারি পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বদিউল আলম মাহফুজ। কনিষ্ঠ বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ মোস্তফা,ডেল্টা ইন্সুইরেন্স কোম্পানী ( বিমা) কটিয়াদী এড়িয়া ম্যানেজার আব্দুল মান্নান স্বপন, কটিয়াদী ইতিহাস গ্রন্থের লেখক ও কটিয়াদী সমাচার সম্পাদক সারোয়ার হোসেন শাহীন। সাংবাদিক ছাইদুর রহমান নাঈম৷ দৈনিক নয়াদিগন্ত প্রতিনিধি ফখর উদ্দিন ইমরান, সাংবাদিক দ্রব রঞ্জন দাস, মিজানুর রহমান প্রমুখ৷ এসময় সংগঠনের সকল সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা উপস্থিত ছিলেন।

৮৭ উপজেলায় ভোট আজ

ছবি: সংগৃহীত

আজ ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে দেশের ৮৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (২৯ মে) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসি জানায়, এই ধাপে ১০৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে ২২টি উপজেলার ভোট স্থগিত করেছে কমিশন। ফলে আগামীকাল ৮৭টি উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

স্থগিত হওয়া উপজেলাগুলো হলো— বাগেরহাটের শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, মোংলা, খুলনা জেলার কয়রা, ডুমুরিয়া, পাইকগাছা, বরিশালের গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, পটুয়াখালী সদর, দুমকী, মির্জাগঞ্জ, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, ভোলার তজুমদ্দিন, লালমোহন, ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঠালিয়া, বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা এবং রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলা, নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী এবং চাঁদপুর জেলার কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার ভোট স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া খালিয়াজুরী উপজেলায় সড়ক সংযোগ বিচ্ছিন্ন ঘটা এবং কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ইভিএমের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এই ধাপে ১ হাজার ১৫২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩৯৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৫৬ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৯৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

;

ফরেনসিক টেস্ট বুধবার, ডিএনএর জন্য ডাকা হবে আনারের মেয়েকে

ছবি: সংগৃহীত

কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনস আবাসনের যে ভবনে বাংলাদেশের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার খুন হয়েছেন, সেই সঞ্জীবা আবাসনের বিইউ ৫৬ ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে কিছু মাংসের টুকরো।

সেই উদ্ধার হওয়া মাংসের টুকরো ফরেনসিক স্টেটের জন্য বুধবারই (২৯ মে) ল্যাবে পাঠানো হবে। এই মাংস ‘মানুষ’র বলে প্রমাণ হলে ডিএনএ টেস্টের জন্য ডাকা হবে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনারের মেয়ে ডরিনকে। তারপরেই নিশ্চিতভাবে বলা যাবে সেটি এমপি আনারের মরদেহের খণ্ডিত অংশ কি না।

মঙ্গলবার (২৮ মে) রাতে এমনটাই বলেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে মূল অপরাধীর কাছ থেকে যে যে তথ্য আমরা পেয়েছি; সেসব তথ্য নিয়েই কলকাতায় এসেছিলাম। আর সে কারণে বাংলাদেশ থেকে এসেই আমাদের প্রথম কাজ ছিল সঞ্জীবা গার্ডেনসের বিইউ ৫৬ নম্বর ফ্ল্যাট পরিদর্শন করা। পরিদর্শনের পরেই আমাদের তদন্তের ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি এবং কলকাতা পুলিশকে অনুরোধ করেছিলাম, এই ফ্ল্যাটের কারা প্লাম্বিং এবং বিল্ডিংয়ের কাজটা করেছে তা জানতে। পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি এবং পুলিশ অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে আমাদের প্রতিটা দাবি-দাওয়া মেনে নিয়েছে।

তারপরই তাদের সহযোগিতায় এদিন সেপটিক ট্যাংক থেকে বেশ কিছু মাংসের টুকরো উদ্ধার হয়েছে। এটা ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হবে। তারপর ডিএনএ টেস্ট করা হবে। এরপরই আমরা নিশ্চিত হয়ে বলতে পারব সেটি এমপি আনারের দেহ কি না।

হারুন আরও বলেছেন, এ বিষয়ে সংসদ সদস্যের মেয়ে ডরিন আমার কাছে ফোনকল করেছিলেন। আমি তাকে বলেছি তৈরি হওয়ার জন্য। আসার জন্য প্রস্তুত হতে বলেছি। হয়তো অল্প ক’দিনের মধ্যেই তিনি চলে আসবে।

ডিবিপ্রধান বলেন, কলকাতায় খুব দ্রুত ফরেনসিক রিপোর্ট বের হয়ে যায়। এরপরই মৃত এমপি আনারের মেয়ে এবং ভাইকেও ডাকা হতে পারে। তারপরই আমরা এ বিষয়ে আপনাদের জানাবো।

সিআইডির তথ্যমতে, এদিন সেপটিক ট্যাংক থেকে মাংসের সাথে কিছু চুলও উদ্ধার হয়েছে। এ বিষয়ে ডিবি প্রধান বলেন, আমরা পুরো বিষয়টা জানি। তবে ফরেনসিক বা ডিএনএর জন্য এক টুকরো মাংস হলেই যথেষ্ট।

তিনি আরও বলেছেন, আমরা এখনই তল্লাশির কাজ শেষ করছি না। যেমন খাল বা বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশির কাজ চলছে, সেটা চলতে থাকবে।

সিদ্ধেশ্বর মন্ডল বলেন, আমার ভগ্নীপতি ভূষণ শিকারী ট্যাংক পরিষ্কার করার দায়িত্বে ছিল। উদ্ধার হওয়া মাংস ওজনে তিন-চার কেজির মতো হবে।

বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলে রয়েছেন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ, ডিবি ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আব্দুল আহাদ ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সাহেদুর রহমান।

;

ফেনী-১ আসনের সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড উদ্বোধন করবেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা

ছবি: সংগৃহীত

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে নতুন এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম। এবার থেকে নিজ নির্বাচনী এলাকার সব উন্নয়ন কর্মসূচি সংসদ সদস্যর উপস্থিতিতে উদ্বোধন করবেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

ইতোমধ্যে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন শুরু করেছেন তিনি।মঙ্গলবার (২৮ মে) পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের জংগলঘোনা এলাকায় একটি কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন চিত্র দেখা গেছে। সংসদ সদস্যর উপস্থিতিতে প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম।

জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধান অতিথি করে ফেনী-১ আসনের সব উন্নয়ন কর্মসূচি উদ্বোধনের উদ্যোগ নেন সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম।তারই ধারাবাহিকতায় প্রথম দিনে পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের জংগলঘোনা এলাকায় একটি কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্বোধন করা হয়েছে।

এছাড়াও আগামী দুইদিন খন্ডল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অতিরিক্ত শ্রেণি কক্ষ উদ্বোধন করবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের ভুঞা, পরশুরাম কবি শামসুন নাহার মাহমুদ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের হাইজিন কর্ণারের উদ্বোধন করবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন শাহরিয়ার।

এ বিষয়ে ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন নাসিম বলেন, যারা এ দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন তাদের এখনই সম্মানিত করার সময়।আগামী ২০ বছর পরে হয়তো আমরা তাদের পাবো না। এজন্যই আমার নির্বাচনী এলাকার সব উন্নয়ন কর্মসূচি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাধ্যমে উদ্বোধন করার উদ্যোগ নিয়েছি।আগামীতে তাদের নিয়ে একটি মিলনমেলা করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এদিকে স্থানীয় সংসদ সদস্যসের এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগে খুশি বীর মুক্তিযোদ্ধারা। বৃদ্ধ বয়সে নিজেদের সম্মানিত করায় সংসদ সদস্যদের প্রশংসা করছেন তারা।

অনুষ্ঠানে উদ্বোধক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন জায়গায় আগে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে অতিথি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করার কথা শুনেছি। তবে আজকে আমাকে অতিথি করে ব্যতিক্রমী নজির স্থাপন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। এ অনুভূতি অনেক আনন্দের।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেনী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুল বশর মজুমদার তপনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।

;

উপকূলবাসীর নির্ঘুম রাত ফুরাচ্ছে, বাঁশখালীতে হচ্ছে বেড়িবাঁধ

ছবি: বার্তা২৪.কম

সংসদ সদস্য হয়েই মুজিবুর রহমান ঘোষণা দিয়েছিলেন আগামী তিন বছর বাঁশখালীবাসীর জন্য কাজ করে যেতে চান। এই সময়ে জনসমাবেশে অতিথি হয়ে না যাওয়ার কথাও বলেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, যদি মনে হয় কাজ করেছেন তখন তিনি নিজ থেকেই জনসম্মুখে আসবেন, কথা বলবেন। শুধু মুখে নয়, উপজেলায় চষে বেড়িয়ে নানা কাজ করে যাচ্ছিলেন।

তবে সোমবার (২৮ মে) মুজিবুর রহমানের ‘কাজ করার’ অন্যতম বড় পদক্ষেপের সাক্ষী হলো চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার মানুষ। বাঁশখালীবাসীর উপকূলের মানুষের প্রাণের দাবী ছিল-টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ। অবশেষে তাঁর প্রচেষ্টায় মিলল বাঁশখালীর বেড়িবাঁধ প্রকল্পের জন্য ৬০০ কোটি টাকার প্রকল্প। একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এই প্রকল্প।

মুজিবুর রহমান তাঁর ফেসবুক পেজে বিষয়টি তুলে ধরতেই বাঁশখালীর মানুষেরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে থাকেন।

ফেসবুক পোস্টে মুজিবুর রহমান উল্লেখ করেন, ‘আমি সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বেশ কয়েকবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রকল্পটি সরকারের উচ্চপর্যায়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করি। বাঁশখালীর পাশ্ববর্তী উপজেলা আনোয়ারার সন্তান অর্থ-প্রতিমন্ত্রী প্রকল্পটি অনুমোদনে শুরু থেকেই সক্রিয় হন। তিনি প্রকল্পটি যাতে দ্রুত অনুমোদন পায় সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনেন। এই বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ হলে আনোয়ারা-বাঁশখালী উপকূল হবে নতুন অর্থনৈতিক হাব, ইনশাআল্লাহ।’

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, আনোয়ারা ও বাঁশখালী অংশের জন্য প্রায় ৮৭৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে যার ৬০০ কোটি টাকা বাঁশখালী অংশের জন্য।

এই ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী শিবেন্দু খাস্তগীর বলেন, বাঁশখালী-আনোয়ারা টেকসই পানি ব্যবস্থাপনায় নেওয়া ৮৭৪ কোটি টাকার প্রকল্পটি অনুমোদন হয়েছে। এ প্রকল্পে প্রায় পৌনে ৬০০ কোটি টাকার কাজ হবে বাঁশখালীতে। বাকি কাজ হবে আনোয়ারা উপকূলে। প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য অর্থ প্রতিমন্ত্রী ও বাঁশখালীর সংসদ সদস্য অত্যন্ত আন্তরিক ছিলেন। প্রকল্পটি উপকূলের বেড়িবাঁধ রক্ষায় কার্যকর হবে। এটি বাস্তবায়ন হলে লবন, মৎস্য ও কৃষি চাষে আমূল পরিবর্তন ঘটবে।

পশ্চিম বাঁশখালীর বঙ্গোপসাগর লাগোয়া মানুষের প্রাণের দাবী ছিল টেকসই বেড়িবাঁধ। কেননা বেড়িবাঁধের কারনেই ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে লক্ষাধিক মানুষ প্রাণ হারান। ঘূর্ণিঝড় আয়লা, সিডর, কোমেন, রোয়ানুর কবলে পড়ে প্লাবিত হয়ে শত শত একর ফসলী জমি অনাবাদি হয়ে পড়ে। চলতি বছর সমুদ্রের পাশের ব্যাপক এলাকা চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে।

বহুদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসলেও তাঁদের বেড়িবাঁধের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছিল না কোনোভাবেই। ২৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বেড়িবাঁধটি সাগরের বুকে হারিয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন।

স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল তখন বেড়িবাঁধ নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে ব্লক তৈরি, লুটপাট ও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছিল। ফলে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয় ঢিলেঢালাভাবে। অপরিকল্পিত নকশা প্রনয়ণ ও যেনতেনভাবে বেড়িবাঁধ নির্মানের কারনে সেটি একবছরের মাথায় হারিয়ে যাচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, বাঁশখালী উপকূলে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে সাড়ে ৭ বছর আগে ২৫১ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছিল বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ২০১৫ সালের ১৯ মে প্রকল্পটি একনেকে পাস হওয়ার পর বঙ্গোপসাগর ও সাঙ্গু নদীর পাড়ে ১৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই বাঁধ নির্মাণে কয়েক দফা সময় ও ব্যয় বেড়ে হয়েছিল ২৯৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পের আওতায় এতে ৬ দশমিক ২ কিলোমিটার বাঁধের ঢাল সংরক্ষণ, ভাঙন রোধ ও পুনরাকৃতিকরণ, ৩ দশমিক ৮ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ এবং ৫ দশমিক ৬ কিলোমিটার বাঁধ পুনরাকৃতিকরণ করার কথা রয়েছে। ২০২২ সালে প্রকল্পের প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়। কিন্তু খানখানাবাদ ইউনিয়নের কদমরসুল ও প্রেমাশিয়া এলাকার মধ্যবর্তী দুটি স্থানে বেড়িবাঁধ ধসে গিয়ে বেড়িবাঁধের বেশিরভাগ অংশ সাগরে মিলিয়ে যায়। সিসি ব্লক বেষ্টিত বাঁধের যেটুকু ঠিকে আছে তাতে বিশালাকার ফাটল সৃষ্টি হয়ে নিচের দিকে ক্রমশ দেবে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের আগে পরে নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে উপকূলবাসীর। এরই মধ্যে এল টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রকল্প পাসের খবর। এখন উপকূলের লাখো মানুৃষের একটাই দাবি-টেকসইভাবে দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণ বাস্তবায়ন করা হোক।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *