আন্তর্জাতিক

শান্তির জন্য ব্যাকুলতা ছিল বঙ্গবন্ধুর: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বিশ্বশান্তি জীবনের মূলনীতি। নিপীড়িত, নির্যাতিত, শোষিত ও স্বাধীনতাকামী সংগ্রামী মানুষ, যেকোনো স্থানেই হোক না কেন, তাঁদের সঙ্গে আমি রয়েছি।

আমরা চাই, বিশ্বের সবখানে শান্তি বজায় থাকুক। তাকে সুসংহত করা হোক। শান্তির জন্য ব্যাকুলতা ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনের অপরিহার্য অংশ।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটিজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু: এ চ্যম্পিয়ন অব ওয়ার্ল্ড পিস’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ সব কথা বলেন।

আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক বলেন, বিশ্বের মুক্তিকামী, নিপীড়িত, শ্রমজীবী ও দুঃখী মানুষের প্রাণের নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু। শান্তি, সাম্য, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তাঁর চিন্তা ও দর্শন মানুষের মধ্যে প্রেরণা জুগিয়েছে। নিপীড়িত, নির্যাতিত, শোষিত, বঞ্চিত ও স্বাধীনতাকামী সংগ্রামী মানুষ বিশ্বের যে প্রান্তেই হোক না কেন, তিনি তাঁদের সঙ্গে একাত্ম ছিলেন। জেল, জুলুম, অত্যাচারসহ অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। কিন্তু কখনো থেমে যাননি তিনি। আপস করেননি। বঙ্গবন্ধু নিজের জীবনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রতিক্রিয়া প্রত্যক্ষ করেছেন। সে সময় তিনি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দুস্থ ও অনাহারীদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে গেছেন।

ছাত্রাবস্থা থেকেই বিশ্বশান্তিতে বঙ্গবন্ধুর আগ্রহ ছিল প্রবল। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে দীর্ঘদিন কারাভোগ করে মুক্তি পেয়ে ওই বছরেই ১৯৫২ সালের অক্টোবরে চীনে অনুষ্ঠিত ‘পিস কনফারেন্স অব দ্য এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক রিজিওন্স’-এ যোগ দেন বঙ্গবন্ধু।

এই সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি প্রাসঙ্গিকভাবে অন্য ৩৭টি দেশ থেকে আগত শান্তিকামী নেতাদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেছিলেন।

পরবর্তীতে, ১৯৫৬ সালের ৫-৯ এপ্রিল স্টকহোমে বিশ্বশান্তি পরিষদের সম্মেলনেও অংশ নেন বঙ্গবন্ধু। বিশ্বশান্তি আমার জীবনের মূলনীতি। নিপীড়িত, নির্যাতিত, শোষিত ও স্বাধীনতাকামী সংগ্রামী মানুষ, যেকোনো স্থানেই হোক না কেন, তাঁদের সঙ্গে আমি রয়েছি। আমরা চাই, বিশ্বের সর্বত্র শান্তি বজায় থাকুক, তাকে সুসংহত করা হোক।

শান্তির জন্য ব্যাকুলতা ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনের অপরিহার্য অংশ ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, একারণে রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্যও তিনি শান্তিপূর্ণ পথে অগ্রসর হয়েছিলেন। ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে তিনি ছিলেন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা। কিন্তু তাঁর হাতে ক্ষমতা না দিয়ে জাতীয় পরিষদ অধিবেশন অনির্দিষ্টকাল স্থগিত ঘোষণা করে শুরু হয় কুখ্যাত ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ বাস্তবায়নের প্রস্তুতি।

১ মার্চ থেকেই পাকিস্তানি বর্বর আর্মি বাঙালিদের হত্যা করতে থাকে নির্বিচারে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শুরু করেন শান্তিপূর্ণ অসহযোগ আন্দোলন।

শোষণ-বঞ্চনায় বিপন্ন মানুষ বরাবরই বঙ্গবন্ধুর চিন্তা জুড়ে ছিল। তবে তার সেই চিন্তা শুধু দেশের গণ্ডিতেই নয়, বরং তা বিস্তৃত ছিল বিশ্বজুড়ে। বিশ্বরাজনীতি প্রসঙ্গে অসীম সাহসী ও অকুতোভয় বঙ্গবন্ধু দৃঢ় কণ্ঠে বলেছেন, ‘পৃথিবীর বৃহত্তম শক্তি যে অর্থ ব্যয় করে মানুষ মারার অস্ত্র তৈরি করছে, সেই অর্থ গরিব দেশগুলোকে সাহায্য দিলে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা হতে পারে’।

পাকিস্তান পঞ্চাশের দশকেই যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক জোট সিয়াটো ও সেন্টো এবং পাক-মার্কিন সামরিক জোটে জড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশ সে সময়ে পাকিস্তানের অংশ এবং দুর্ভাগ্যজনক যে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের অশুভ আঁতাতের চরম খেসারত দিতে হয় বাঙালিদের। পাকিস্তানের সামরিক জান্তাকে যুক্তরাষ্ট্র যে অস্ত্র ও অর্থ সাহায্য দিয়েছে, তা ব্যবহার করা হয়েছে বাংলাদেশে গণহত্যা পরিচালনার জন্য। পরবর্তীতে, বাংলাদেশের অভ্যূদয়ের বিরোধিতা করে বিশ্ব পরাশক্তির একাংশের যে অমানবিক অবস্থান, তার পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘বৃহৎ শক্তিবর্গ, বিশেষভাবে আগ্রাসীনীতির অনুসারী কতিপয় মহাশক্তির অস্ত্রসজ্জা, তথা অস্ত্র প্রতিযোগিতার ফলে আজ এক সংকটজনক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।’

তার এই উপলব্ধি তিনি আলজেরিয়ায় ১৯৭৩ সালের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে স্পষ্ট করে ব্যক্ত করেছিলেন।

তিনি স্পষ্ট বলেছিলেন যে, ‘পৃথিবী দুভাগে বিভক্ত। আমি শোষিতের পক্ষে’।

১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই ভাষণ জুড়ে তিনি বিশ্বশান্তির পক্ষে কথা বলেছেন।

ভাষণের শুরুতেই তিনি বলেন, ‘আমি জানি, শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে সকল মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের উপযোগী একটি বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য বাঙালি জাতি পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের এই অঙ্গীকারের সাথে শহীদদের বিদেহী আত্মাও মিলিত হবে।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উল্লেখ করেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম হচ্ছে, সার্বিক অর্থে শান্তি এবং ন্যায়ের সংগ্রাম আর সেই জন্যই জন্মলগ্ন হতে বাংলাদেশ বিশ্বের নিপীড়িত জনতার পাশে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ প্রথম থেকেই শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থান ও সকলের প্রতি বন্ধুত্ব- এই নীতিমালার ওপর ভিত্তি করে জোটনিরপেক্ষ নীতি গ্রহণ করেছে।’

বঙ্গবন্ধু আরো বলেছিলেন, ‘কেবলমাত্র শান্তিপূর্ণ পরিবেশই কষ্টলব্ধ জাতীয় স্বাধীনতার ফল ভোগ করতে আমাদেরকে সক্ষম করে তুলবে এবং দারিদ্র্য, ক্ষুধা, রোগ, অশিক্ষা ও বেকারত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করবার জন্য আমাদের শক্তি প্রদান করবেন।

এই ধারণা থেকে জন্ম নিয়েছে শান্তির প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি। এই জন্য সমঝোতার অগ্রগতি, উত্তেজনা প্রশমন, অস্ত্র সীমিতকরণ এবং শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থান নীতির সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, ল্যাটিন আমেরিকা-বিশ্বের যে কোনো অংশে যে কোনো প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হোক না কেন, আমরা তাকে স্বাগত জানাই।

এই নীতির প্রতি অবিচল থেকে আমরা ভারত মহাসাগরীয় এলাকা সম্পর্কে শান্তি এলাকার ধারণা, যা এই পরিষদ অনুমোদন করেছে, তাকে সমর্থন করি। মানবজাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য শান্তি অত্যন্ত জরুরি এবং তা সমগ্র বিশ্বের নরনারীর গভীর আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন ঘটাবে এবং ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত শান্তিই দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। অতএব, তিনি দেশ বা বিদেশ যেখানেই মানবাধিকারের লঙ্ঘন দেখেছেন, মানুষের ন্যায্য স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার সংবাদ পেয়েছেন, সেখানেই প্রতিবাদ করেছেন।

বঙ্গবন্ধুর এইসব চিন্তাধারা এবং শান্তির জন্য তার আহ্বান পরবর্তী সময়ে বিশ্বব্যাপী মূল্যায়ন হয়; যার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আর্জন করেন ‘জুলিও কুরি’ স্বর্ণ পদক।

শোষিত ও নিপীড়িত জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তথা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর চিলির রাজধানী সান্টিয়াগোতে বিশ্ব শান্তি পরিষদের প্রেসিডেন্সিয়াল কমিটির সভায় বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলন এবং বিশ্বশান্তির সপক্ষে বঙ্গবন্ধুর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রদানের জন্য শান্তি পরিষদের মহাসচিব রমেশ চন্দ্র প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। পৃথিবীর ১৪০টি দেশের ২০০ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এই পদক প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো রাষ্ট্রনেতার সেটিই ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক পদক অর্জন। বিশ্ব শান্তি পরিষদের দেওয়া ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক ছিল জাতির পিতার বিশ্বমানবতার প্রতি কর্ম, ত্যাগ ও ভালোবাসার স্বীকৃতি। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর মৌলিক দর্শন ও অবদানের মূল্যায়ন ছিল এই পদক। জুলিও কুরি পদকপ্রাপ্তি ছিল বাংলাদেশের জন্য প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক সম্মান।

১৯৭৩ সালের ২৩ মে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের উত্তর প্লাজায় উন্মুক্ত চত্বরে আন্তর্জাতিক কূটনীতিকদের বিশাল সমাবেশে বিশ্ব শান্তি পরিষদের তৎকালীন মহাসচিব রমেশ চন্দ্র বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক পরিয়ে দেন।

পদক পেয়ে বঙ্গবন্ধু দৃঢ়ভাবে বলেছিলেন, ‘যে পটভূমিতে আপনারা বিশ্বশান্তি আন্দোলনের সহকর্মী প্রতিনিধিরা আমাকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদকে ভূষিত করেছেন, এই সম্মান কোনো ব্যক্তিবিশেষের জন্য নয়। এ সম্মান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের আত্মদানকারী শহীদদের, স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর সেনানীদের, ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক সমগ্র বাঙালি জাতির! এটা আমার দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের’!

বাংলাদেশের চরম দুঃসময়ে বিশ্ব শান্তি পরিষদ যেমন আমাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছিল, এ দেশের মানুষও ঠিক একইভাবে বিশ্বশান্তি আন্দোলনের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে এসেছেন।

আমরা যদি ‘জুলিও করি’ শান্তি পদকের অতীত ইতিহাসের দিকে তাকাই, তাহলে দেখতে পাবো যে, ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক ১৯৫০ সাল থেকে চালু হয়েছিল। প্রথমে এই পদক পরিচিত ছিল ‘শান্তি পদক’ (মেডেল অব পিস) নামে। পরবর্তীতে ‘জুলিও কুরি’র প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে এই নাম রাখা হয়।

‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক অর্জনের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু থেকে হয়েছেন বিশ্ববন্ধু। বঙ্গবন্ধুর কর্ম ও ত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত এই পদকটি ছিল একটি সদ্যস্বাধীন রাষ্ট্রের এক তাৎপর্যপূর্ণ কূটনৈতিক বিজয় ও সাফল্য। এ পদকপ্রাপ্তি আন্তর্জাতিকভাবে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে পৃথিবীর কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে। স্বাধীন বাংলাদেশের দ্রুত আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদকপ্রাপ্তি অর্থবহ ভূমিকা রেখেছে।

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, যাঁর নামের সঙ্গে মিশে আছে বাঙালির আত্মপরিচয়। তিনি সেই মহান পুরুষ, যাঁকে নিয়ে বাঙালির অহঙ্কার কোনোদিন ফুরোবে না।

এমনই বিশাল ব্যক্তিত্ব তিনি, মৃত্যুর চার দশক পরও তাঁকে আবিষ্কার করতে হয় নতুন করে। বাঙালি গর্বের সঙ্গে উচ্চারণ করে তাঁর নাম।

বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর এই অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৫ সাল থেকে প্রতি দুবছর পরপর সম্মানজনক বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক জুরি বোর্ড গঠন করা হবে। সেই সঙ্গে একটি নীতিমালাও করা হবে। এই নীতিমালার আওতায় বাংলাদেশ ও বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত বা বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে কয়েকটি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পুরস্কার দেওয়া যাবে।

বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা, যুদ্ধ নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ ও অবদান রাখা, দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় পরিস্থিতিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখা, টেকসই সামাজিক পরিবেশগত অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজের সামগ্রিক কল্যাণ সাধন- এইসব ক্ষেত্রগুলো পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হবে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *