সারাদেশ

সাতক্ষীরায় বাঘের নখসহ একজন আটক

ডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরায় বাঘের নখসহ একজন আটক

সাতক্ষীরায় বাঘের নখসহ একজন আটক

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বাঘের নখসহ মো. শরিফ উদ্দিন (৩৫) নামের এক একজনকে আটক করেছে বন বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার নীলডুমুর খেয়াঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

আটক শরিফ উদ্দিন উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের শ্রীফলকাটি এলাকার মোকাদ্দেস মোল্লার ছেলে।

বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন অফিসার মো. হাবিবুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নীলডুমুর খেয়াঘাট এলাকার মায়ের দোয়া ফার্মেসিতে অভিযান চালিয়ে শরিফ উদ্দিনকে আটক করা হয়। এ সময় তল্লাশি করে তার কাছ থেকে দুটি বাঘের নখ উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে বন আইনের মামলার প্রস্তুতি চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হবে।

২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে হবে: মন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর সকল প্রকার বর্জ্য অপসারণ এবং কোরবানির স্থান পরিষ্কার করতে হবে।

তিনি বলেন, অতীতেও নির্দেশনা ছিল, কোরবানি পরেরদিন সূর্যোদয়ের পূর্বেই সকল প্রকার বর্জ্য অপসারণ করার। কিন্তু, দেখা গেছে, ৮ থেকে ১০ ঘণ্টার মধ্যে সকল বর্জ্য অপসারিত হয়েছে। কাজেই, অতীতে যত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে আমরা সফলতার সাথে তা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকালে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহ প্রস্তুতি, পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি এবং দ্রুত বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিতকল্পে প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে একথা বলেন তিনি।

নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি এবং পশু জবাইয়ের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত স্থান নির্ধারণ করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ এলাকাভিত্তিক পশুর হাট ও পশু কোরবানির নির্দিষ্ট স্থানের তালিকা জনসাধারণের জ্ঞাতার্থে ব্যাপকভাবে প্রচার করবে।

প্রতারণা রোধে মন্ত্রী বলেন, দেশের সব কোরবানি পশুর হাটে জাল টাকা সনাক্তকরণ মেশিন স্থাপন করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এটি বাস্তবায়ন করবে। এছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য ব্যাংকের সহায়তায় এটিএম বুথ, পয়েন্ট অব সেলস মেশিন, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে ক্যাশলেস বা নগদ টাকাবিহীন লেনদেনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত এই প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের মাঠ প্রস্তুতি, কোরবানি পশুরহাট ব্যবস্থাপনা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ বিবিধ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আলোচনা ও সিধান্ত গ্রহণের সুপারিশ প্রদান করা হয়।

সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম, গাজীপুর সিটি করপোরেশন মেয়র জায়েদা খাতুনসহ আরও অনেকে।

;

কলকাতায় উদ্ধার খণ্ডিত মাংস এমপি আনারের, ধারণা হারুনের

কলকাতায় উদ্ধার খণ্ডিত মাংস এমপি আনারের, ধারণা হারুনের

কলকাতায় সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া মাংসের টুকরোগুলো এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের বলে মনে করছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। 

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকেলে কলকাতা থেকে বাংলাদেশে নেমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, যেসব তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করতে কলকাতা গিয়েছি, তা পেয়েছি। আলামত উদ্ধারসহ বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করায় আনার হত্যার তদন্ত অনেকটাই এগিয়েছে। ফরেনসিক রিপোর্ট পেলেই তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

হারুন অর রশীদ বলেন, আনোয়ারুল আজীম আনারকে গত ১৩ মে কলকাতার মাটিতে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাংলাদেশে একটি মামলা রুজু হয়েছে। একই ঘটনায় কলকাতায়ও একটি হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। ইতোমধ্যে আমাদের কাছে তিনজন ঘাতক গ্রেফতার রয়েছেন। এর মধ্যে মূল ঘাতক আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া।

এমপি আনার হত্যা মামলা ঢাকা ও কলকাতায় গ্রেফতার ঘাতকদের বক্তব্য মিলে গেছে জানিয়ে তিনি জানান, আনার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহীন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। আরেকজন অভিযুক্ত নেপালে। ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনা হবে। আমরা কাঠমুন্ডুর সঙ্গে যোগাযোগ করছি।

হত্যার পরিকল্পনা হয়েছে বাংলাদেশের মাটিতে আর হত্যাটি সংগঠিত হয়েছে কলকাতায়। মামলাটির তদন্তের জন্য আমরা কলকাতায় গিয়েছিলাম। আমাদের কাছে গ্রেফতার হওয়া আসামিদের দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করার জন্য ও ঘটনাস্থলে ডিজিটাল এভিডেন্সগুলো দেখতে আমরা সেখানে গিয়েছিলাম।

তিনি বলেন, মামলায় ভিকটিমের মরদেহ বা মরদেহের অংশ বিশেষ না পাওয়া গেলে তদন্তকারী কর্মকর্তার সুরতহাল, ভিসেরা ও মেডিকেল রিপোর্ট দিতে বেগ পেতে হয়। এগুলো না পাওয়া গেলে মামলাটি নিষ্পত্তি করাও অনেক কঠিন হয়ে যায়। আমরা সেখানে গিয়ে আমাদের হাতে গ্রেফতার আসামিদের তথ্য ক্রস এক্সামিনেশন করেছি। এছাড়া কলকাতায় গ্রেফতার আসামির তথ্য যাচাই-বাছাই করেছি। কলকাতার সিআইডিকে সঙ্গে নিয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং আসামিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করেছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা কলকাতা পুলিশকে অনুরোধ করেছিলাম সুয়ারেজ লাইন ও সেপটিক ট্যাংক দেখার জন্য। আমরা মনে করি, সেখান থেকে কিন্তু ভিকটিমের মরদেহের খণ্ডাংশ উদ্ধার করা হয়েছে।

ভারতীয় পুলিশ ফরেনসিক ও ডিএনএ পরীক্ষা করে এ বিষয়ে জানাবে। আমরা প্রাথমিকভাবে মনে করি, স্বাভাবিকভাবে ফ্লাশের মাধ্যমে মাংসগুলো সেখানে যায়নি। তাই আমরা মনে করছি, মরদেহের খণ্ডাংশগুলো এমপি আনারের।

;

থার্ড টার্মিনালে বিমান একা নয়, থাকছে জাপানও

ছবি: বার্তা২৪.কম

দীর্ঘদিন ধরেই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ কারা পেতে যাচ্ছে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। শুরু থেকেই বিমান জোরালোভাবে এই গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ পেতে ইকুইপমেন্ট ও জনবল সংগ্রহ করে আসছে। তবে এতকিছুর পরেও এখনও নিশ্চিত নয় কাজটি শেষ পর্যন্ত কারা পাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী ফারুক খান।

এদিন তৃতীয় টার্মিনালের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের ফারুক খান বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সঙ্গে জাপানের একটি কোম্পানি যৌথভাবে তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ করবে।

বিমানমন্ত্রী বলেন, জাপানের সঙ্গে জয়েন্ট ভেঞ্চারে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ হবে। জাপান জানিয়েছে, তাদের একটি কোম্পানি এই কাজটি করতে চায়। তবে কে করবে – সেই নামটি এখনো আমাদের জানায়নি। আমি আশা করবো, জয়েন্ট ভেঞ্চার হলে লাগেজ হ্যান্ডেলিং ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে।

অক্টোবরেই প্রস্তুত হবে থার্ড টার্মিনাল তিনি বলেন, উড়োজাহাজ থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে লাগেজ হাতে চলে আসে না। এটি পৃথিবীর কোথাও হয় না। আমাদেরও সমস্যা ছিল, তা উন্নত করেছি। প্রথমটা লাগেজ পেতে ১৫ মিনিট লাগছে। সর্বশেষটা ৪০ মিনিটে পাওয়া যাচ্ছে। এজন্য বেশকিছু নতুন ইকুইপমেন্ট আনা হয়েছে। আরও আনা হচ্ছে।

প্রায় ৫ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটার জায়গার ওপর এই টার্মিনালে সাত হাজার পাইল বসানো হয়েছে। টার্মিনালটি মহাসড়ক ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে, যা যাত্রী সাধারণকে দুর্ভোগ ছাড়া টার্মিনালে পৌঁছাতে সাহায্য করবে। প্রকল্পটির কাজ নির্ধারিত সময়ের ৬ মাস আগেই ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। এতে করে সরকারের সাশ্রয় হয়েছে ৭০০ কোটি টাকা।

তিনতলা বিশিষ্ট তৃতীয় টার্মিনালটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। এভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে জাপানের মিতসুবিশি ও ফুজিটা এবং কোরিয়ার স্যামসাং এই তিনটি প্রতিষ্ঠান তৃতীয় টার্মিনাল ভবন নির্মাণ কাজ করছে।

২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি নির্মিত হচ্ছে। যার বড় অংশই আসছে জাপানি সহযোগিতা সংস্থা জাইকার কাছ থেকে। এতে সংস্থাটি ঋণ হিসেবে দিচ্ছে ১৬ হাজার ১৪১ কোটি ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। বাকি ৫ হাজার ২৫৮ কোটি ৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। জাইকার এই ঋণের অর্থ ২০২৭ সাল থেকে শুরু হয়ে পরবর্তী ১০ বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। 

;

আইএমও’র মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু মেরিন স্কলারশিপ চালু করতে চায় বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) মাধ্যমে ছোট দ্বীপ ও আফ্রিকান স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) জন্য বঙ্গবন্ধুর নামে সামুদ্রিক খাতে বৃত্তি চালু করতে চায়।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকালে গণভবনে আইএমও’র মহাসচিব আর্সেনিও অ্যান্তোনিও ডমিনগুয়েজ সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি বলেন, আমরা আইএমও-এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর নামে ১০টি ক্যাডেট প্রশিক্ষণ বৃত্তি চালু করতে চাই।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম বলেন, আইএমও মহাসচিব প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছেন। বৃত্তি প্রাপ্তদের বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

আইএমও মহাসচিব নারী মেরিনার বাড়ানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার প্রথম নারী মেরিনারদের নিয়োগ দিয়েছে এবং তাদেরকে নাবিক হতে অনুপ্রাণিত করেছে। তিনি এক মাসের মধ্যে ছিনতাইকৃত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ক্রুদের মুক্ত করতে প্রচেষ্টা চালানোর জন্য আইএমও’র প্রশংসা করেন।

শেখ হাসিনা সামুদ্রিক পথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইএমওকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনীতির জন্য সমুদ্র পথ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরের পার্শ্ববর্তী দেশগুলো একসঙ্গে সমুদ্র পথের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করছে। শেখ হাসিনা বলেন, সমুদ্র পথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অন্যান্য জায়গায় একই ধরনের উদ্যোগ নিন।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *