খেলার খবর

পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতে বিশ্বকাপে যাচ্ছে ইংল্যান্ড 

ডেস্ক রিপোর্ট: সিরিজের চতুর্থ ও শেষ ম্যাচে গতকাল দ্য ওভালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটের সহজ এক জয় পায় ইংল্যান্ড। এতেই সিরিজটা ২-০ ব্যবধানে জেতে স্বাগতিকরা। সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ ভেস্তে গেছে বৃষ্টিতে। বিশ্বকাপের আগে সবশেষ পাঁচ ম্যাচে কেবল এই দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেললেও সিরিজ জিতে ব্যাট-বল-ফিল্ডিং তিনে ছন্দ ধরে রকেহে বিশ্বকাপে যাচ্ছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। 

সিরিজের শুরুটা হয়েছিল বৃষ্টি বাঁধা দিয়েই। লিডসে গত ২২ মের সিরিজের প্রথম ম্যাচটি ভেস্তে যায় বৃষ্টিতে। পরে গত শনিবার বার্মিংহামে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি হয়েছে অবশ্য কোনো বৃষ্টির বাঁধা ছাড়াই। সেখানে ২৩ রানের ম্যাচ জেতে স্বাগতিকরা। ফের কার্ডিফে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয় বৃষ্টিতে। এবং শেষ ম্যাচ ওভালে ৭ উইকেট জিতল জশ বাটলারের দল। 

বিশ্বকাপের আগে এপ্রিল-মে মাস মিলিয়ে নিউজিল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড এবং সবশেষ ইংল্যান্ড সিরিজ মিলিয়ে তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলল পাকিস্তান। তবে ২১ ডিসেম্বরের পর থেকে বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত এই দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচই খেলতে পারলো বাটলার-মঈন আলীরা। অবশ্য সিরিজ জিতে প্রস্তুতিটা ভালো নিয়েই বিশ্বকাপে যাচ্ছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। 

ওভালে গতকাল সিরিজের শেষ ম্যাচে ইংলিশদের জয়টা শুরু সেই টস থেকেই। সেখানে টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন স্বাগতিক দলের অধিনায়ক জশ বাটলার। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৯ ওভার ৫ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাড় করায় বাবর আজমের দল। 

সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি স্বাগতিকদের। ১৫ ওভার ৩ বলেই সেই রান তুলে ফেলে তারা। যেখানে ব্যাটিং ঝড়ের শুরুটা দুই ওপেনার সল্ট ও বাটলার দিয়ে। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই তারা তুলে ফেলে ৭৮ রান। পরে সল্ট (৪৫), বাটলার (৩৯) এবং জ্যাকসকে (২০) হারিস রউফ একাই সাজঘরে পাঠানোর পর আর কোনো উইকেট হারায়নি ইংলিশরা এবং ২৭ বল আগেই পৌঁছে যায় লক্ষ্যে। 

ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো পেয়েছিল সফরকারীরাও। পাওয়ার প্লের একদম শেষ বলে এসে উইকেট হারালেও ততক্ষণে স্কোরবোর্ডে ৫৯ রান যোগ করে বাবর ও রিজওয়ান। ৩৬ রান করে ফেরেন বাবর। পরের দলীয় সংগ্রহ ৮৬ রানে পৌঁছাতেই সাজঘরে অর্ধেক দল। সেখান থেকে উসমান খানের দলীয় সর্বোচ্চ ৩৮ এবং ইফতিখার আহমেদের ২১ রান চড়ে শেষ পর্যন্ত ১৫৭ রানের লড়াকু পুঁজি পায় বাবর আজমের দল। সেখানে ইংল্যান্ডের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন উড, রশিদ ও লিভিংস্টোন। ম্যাচসেরা হয়েছেন রশিদ এবং সিরিজসেরার খেতাব গেছে বাটলারের ঝুলিতে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ ডট কম-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *