সারাদেশ

খালেদা জিয়া কেন জিয়া হত্যার বিচার করেননি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট: ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে ফের উত্তাপ ছড়িয়েছে সবজির বাজার। গত সপ্তাহে কিছু সবজির দাম কমলেও এ সপ্তাহে বরবটি, টমেটো, কাঁচামরিচসহ দাম বেড়েছে বেশ কয়েকটি সবজির। তবে, অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ-মাংসের দাম।

বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার (৩০ ও ৩১ মে) নগরীর অক্সিজেন, চকবাজার, বহদ্দারহাট, আতুরার ডিপো, কাজীর দেউড়ি, কর্ণফুলী কমপ্লেক্স, খাতুনগঞ্জ, রিয়াজউদ্দিন বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এই চিত্র।

মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি ৪০ টাকা দাম বেড়ে গত সপ্তাহের দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে বরবটি। কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে টমেটো ৮০ টাকা এবং ২০ টাকা বেড়ে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে কাচা মরিচ। অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য সবজির দাম। এরমধ্যে ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে মিষ্টি কুমড়া ও লাউ। ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ঢেঁড়শ ও চিচিঙ্গা। শসা ও পটল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। করলা, বেগুন, আলু ও ঝিঙে ৬০ টাকা এবং লতি ও কচুর ফুল ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর বাইরে কচুর মুখী ও গাজর ৮০ টাকা এবং গাজর বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে।

অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ-মাংসের বাজার। ব্রয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২১০ টাকা, সোনালি ৩৩০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এর বাইরে গরুর মাংস ৮০০ টাকা থেকে সাড়ে ৯০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

অন্যদিকে আকার ভেদে রুই মাছ ২৬০ টাকা থেকে ৩৬০ টাকা, কাতলা ৩২০ টাকা থেকে ৩৬০ টাকা, মৃগেল ২০০-২৫০ টাকা, আকার ভেদে পাঙ্গাস ১৮০ টাকা থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা, স্যালমন ফিশ ৪৫০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৮০০ টাকা, রূপচাঁদা জাত ও আকার ভেদে ৫৫০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা, পোয়া মাছ ২৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা, সুরমা ৩৫০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকা, টেংরা ৩৭০ টাকা এবং নারকেলি মাছ ২৫০ টাকাকেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া সরবরাহ বাড়ায় পবিত্র ঈদুল আযহা ঘিরে অস্থির হয়ে ওঠা মসলার বাজার স্থিতিশীল হচ্ছে ধীরে ধীরে। এরমধ্যে দাম কমেছে জিরা, দারুচিনি ও লবঙ্গের। বৃহস্পতিবার দেশে ভোগ্যপণ্যের অন্যতম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে ৪০-৬০ টাকা কমে জিরা ৬৬০ টাকা, ১২০ টাকা কমে লবঙ্গ ১৩০০ টাকা এবং ৫ টাকা কমে দারুচিনি ৩৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে গোল মরিচের দাম। খাতুনগঞ্জে ৮২০ টাকা থেকে ৮৩০ টাকা কেজি দরে পণ্যটি বিক্রি হয়েছে। এখনও বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে হলুদ, এলাচ, গোলমরিচ এবং আদা। বৃহস্পতিবার হলুদ ২৬০ টাকা, এলাচ ৪ হাজার ২০ টাকা, আদা ২২০ টাকা, রসুন ১৯০ টাকা কেজি দরে পাইকারিতে বিক্রি হয়েছে খাতুনগঞ্জে।

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দীন বলেন, ‘সব ধরণের মসলা যথেষ্ট আমদানি হয়েছে। তাই এখন সরবরাহ বেশি থাকায় দাম কমতে শুরু করেছে। কোরবানির ঈদে কোন সংকট হবে না।’

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *