আন্তর্জাতিক

চাকমা কন্যার দৃষ্টিতে বাংলাদেশের কাবাডি

ডেস্ক রিপোর্ট: আজ (৩১ মে) সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার। সময়টা দুপুর গড়িয়ে পড়ন্ত বিকেল। স্থান মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়াম। এ ভেন্যুতে বসেছে বঙ্গবন্ধু কাপ ২০২৪ আন্তজাতিক কাবাডি টুনামেন্ট। ম্যাটের পাশেই চেয়ারে বসে ১০ সুন্দরী ললনা ম্যাচ দেখার অপেক্ষা করছেন। যদিও তখন খেলা শুরু হতে ঘণ্টাখানেক বাকি। তাই কাবাডির নানা প্রসঙ্গ নিয়ে এমন চার চাকমা কন্যার সঙ্গে কথা হয়। তারা হলেন নবর্ষি চাকমা, সূচরিতা চাকমা, লুম্বিনি চাকমা, প্রবি চাকমা। চারজনই আবার কাবাডি খেলোয়াড়। খেলেন বাংলাদেশ পুলিশ নারী কাবাডি দলে। এ চারজনই বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টের চতুর্থ আসরে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর ‘ফ্ল্যাগ বেয়ারার’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এ চার চাকমা কন্যারা খুব কাছ থেকে দেখছেন কাবাডি আসরে স্বাগতিক বাংলাদেশ দলের খেলা। আগের তিন আসরেও তারা পতাকাবাহী হিসেবে কাজ করেছেন। বাংলাদেশ এ তিন আসরেই চ্যাম্পিয়ন। এবারও কি তারা ফাইনালে উঠতে পারবে এবং শিরোপা অক্ষুন্ন রাখতে পারবে? এমন প্রশ্নে নবর্ষি বলেন, ‘বাংলাদেশ দল শিরোপা অক্ষুন্ন রাখতে পারবে কি না, সেটা নির্ভর করছে তারা কেমন খেলে তার ওপর। তবে গতবার আমাদের ক্যাপ্টেন তুহিন তরফদার ছিলেন, এবার তিনি নেই। এই একটা কমতি আছে বাংলাদেশ দলে। ওনার সার্ভিস না পাওয়াতে দল একটু হলেও পিছিয়ে আছে। তারপরও আমি আশাবাদী যে বাংলাদেশ দল এবার ভালো করবে।’

বাংলাদেশ যদি ফাইনালে ওঠে তাহলে তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে কে হতে পারে? চারজনই বললেন, ‘কেনিয়া। ওরা তো আগেও দুই বার আমাদের সঙ্গে ফাইনাল খেলেছে। এবারও তাদেরই ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা বেশি বলে মনে হচ্ছে।’ আগের তিন আসরের সঙ্গে চলতি আসরে বাংলাদেশের খেলার মানের পার্থক্য কেমন? কতটা এগিয়েছে বা পিছিয়েছে? নবর্ষির উত্তর, ‘আগের তিন আসরে বাংলাদেশ বিদেশী কোচ এনেছিল। রেজাল্টও ভালো হয়েছিল। দলের শক্তিও বেড়েছে। ফলে এবার দেশি কোচ দিয়েই চলছে। জলিল স্যার (কোচ আবদুল জলিল) ভালো প্র্যাকটিস করিয়েছেন। দলের অনেক ইমপ্রুভ হয়েছে। সবমিলিয়ে বলবো, গত বছরের মতো এবছর ভালোই করছে দল।  

তবে শুধু বঙ্গবন্ধু কাপ খেললে বা সমপর্যায়ের বা একটু কম শক্তিসম্পন্ন দলগুলোর সঙ্গে খেললে কিন্তু বাংলাদেশের কাবাডি এশিয়ান মানে যাবে না। ‘এজন্য বঙ্গবন্ধু কাপে আরও শক্তিশালী দল, যেমন ভারত, পাকিস্তান, ইরানের মতো বেশি শক্তিশালী নিয়ে আসা উচিত। এর ফলে বাংলাদেশের খেলার মান আরও বৃদ্ধি পাবে। এভাবেই জানালেন নবর্ষি।   

বহু বছর ধরে বাংলাদেশ দল এশিয়ান গেমসে যেমন কোন পদক জিতছে না, তেমনি এসএ গেমসেও স্বর্ণপদক জিততে পারছে না। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় কি? নবর্ষি বলেন, ‘কাবাডি দলগত খেলা। শুধু একা ভালো খেললেই হবে না। দলের সবারই ভালো খেলতে হবে। তাহলেই সাফল্য আসবে। ভালো খেলোয়াড় বাছাই করা, কঠোর অনুশীলন, ভালোমানের কোচ, শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বেশি করে খেলা … এগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে বাংলাদেশ আবারও এশিয়ান গেমসে পদক এবং এসএ গেমসে স্বর্ণপদক জিততে পারবে।’

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *