সারাদেশ

কয়েক কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন নিয়ে সরকার পুতুল খেলছে

ডেস্ক রিপোর্ট: কয়েক কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন নিয়ে সরকার পুতুল খেলছে বলে মন্তব্য করেছেন ‘শিক্ষা ও শিশুরক্ষা আন্দোলন’-এর আহ্বায়ক রাখাল রাহা।

শুক্রবার (৩১ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সচেতন অভিভাবক সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ সব কথা বলেন।

মানববন্ধনে লিখিত বক্তব্যে রাখাল রাহা বলেন, ‘সরকার যেন কয়েক কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন ও ভবিষ্যত নিয়ে পুতুল খেলছে। শিশুদের পুতুল খেলার মধ্যে তাদের আবেগ-বিবেক কাজ করে। তারা সেই খেলার মাঝেই হাসে-কাঁদে। কিন্তু আজ এদেশের কোটি কোটি শিশুর শিক্ষাজীবন নিয়ে যারা পুতুল খেলছে, তাদের কোনো আবেগ-বিবেক নেই। তারা সম্পূর্ণ সজ্ঞানে এবং স্বেচ্ছায় এই ধ্বংসযজ্ঞ পরিচালনা করছে’।

তিনি আরো বলেন, ‘সন্তানের শিক্ষার এই ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ দেখে যখন অভিভাবক, শিক্ষক বা সচেতন মহল কথা বলেন, প্রতিবাদ করেন তখন কিন্তু তারা (সরকার) জেগে ওঠে। তারা তখন রাতের আঁধারে অভিভাবকদের গ্রেফতার করে রিমাণ্ডে নিয়ে মিথ্যে মামলা সাজিয়ে জামিন না-মঞ্জুর করে হাজতখানায় পাঠিয়ে দেয়। তাদের প্রতিবাদ আয়োজন ভণ্ডুল করে দেয়। নিতান্ত স্বাক্ষর সংগ্রহের মতো নিরীহ কর্মসূচিতেও তারা পুলিশ ও গুণ্ডাপাণ্ডা নামিয়ে পণ্ড করে দিতে চায়’।

সমন্বিত একমুখী শিক্ষা কারিক্যুলামের প্রতিবাদে রাজধানীতে মানববন্ধন করে সচেতন অভিভাবক সমাজ, ছবি- বার্তা২৪.কম মানববন্ধনে আলোচকরা বলেন, শিক্ষার মানের এই ধারাবাহিক পতনের পথ থেকে সরকারকে সরে আসতেই হবে। তার জন্য অবিলম্বে সমন্বিত একমুখী শিক্ষা কারিক্যুলামের নামে এদেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও সমাজব্যবস্থার সঙ্গে পুরোপুরি বেখাপ্পা ও ধ্বংসাত্মক এই কারিক্যুলাম বাতিল করতে হবে’।

মানববন্ধনে জানানো হয়, ২০২৩ সালে বাংলাদেশের সাধারণ ধারার শিক্ষায় ১ম, ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণিতে একমুখী সমন্বিত শিক্ষাক্রম চালু করা হয়েছে। এ বছর তা ২য়, ৩য়, ৮ম এবং ৯ম শ্রেণিতে চালু হয়েছে এবং ২০২৫ সালে এটা ৪র্থ, ৫ম ও ১০ম শ্রেণিতে চালু হবে।

এরপর ২০২৬ ও ২০২৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিকের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে চালু হবে। এই কারিক্যুলামের কারণে আমাদের শিক্ষার মানের যে আরো পতন হবে, সে-বিষয়ে সচেতন শিক্ষাবিদ, শিক্ষকসহ দেশ-বিদেশের বহু মানুষ কারিক্যুলাম প্রণয়নের সময় থেকেই বলে আসছিলেন, লিখে আসছিলেন এবং নানা কর্মসূচিও গ্রহণ করছিলেন। কিন্তু সরকার সেকথা শোনার প্রয়োজন মনে করেনি।

সচেতন অভিভাবক সমাজের সভাপতি মুসলিম বিন হাই-এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ‘নারী মুক্তি কেন্দ্র’-এর সভাপতি সীমা দত্ত, অভিভাবক ডা. আরিফ মোর্শেদ খান প্রমুখ।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *