সারাদেশ

ফেনীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি সংরক্ষণে অনন্য উদ্যোগ

ডেস্ক রিপোর্ট: ফেনীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি সংরক্ষণে অনন্য উদ্যোগ

ছবি: সংগৃহীত

ফেনীর ফুলগাজীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি সংরক্ষণে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া উপজেলার জগতপুরের গ্রামের ৪৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম সম্বলিত ফলক স্থাপন করা হয়েছে।

শনিবার (১ জুন) বিকালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিতে নির্মিত ফলকের উদ্বোধনে প্রধান অতিথি ছিলেন ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী নাসিম।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাকের হোসেন নামে এলাকার একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা এবং মরহুম আনোয়ার উল্ল্যাহ ভূঞার পরিবার এটি বাস্তবায়ন করেছেন।

এ ব্যাপারে ফেনী জেলা বিএমএ সভাপতি অধ্যাপক ডা. সাহেদুল ইসলাম কাওসার জানান, বীরমুক্তিযোদ্ধারা ফলক নির্মাণে আমাদের পরিবারের কাছে ভূমি চেয়েছিল। আমরা সানন্দে সে সুযোগ গ্রহণ করেছি। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি সংরক্ষণে ভূমিকা রাখার সুযোগ পেয়ে আমাদের পরিবার কৃতজ্ঞ।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা এবাদউল্লাহ ভুঞা জানান, ৪৬ জনের মধ্যে বর্তমানে ২২ জন মুক্তিযোদ্ধা জীবিত রয়েছেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও জেলা পরিষদ সদস্য সৈয়দ সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল বশর মজুমদার তপন, ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ হারুন মজুমদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তানিয়া ভূঁইয়া, বিএমএ ফেনী জেলা সভাপতি ডাঃ সাহেদুল ইসলাম কাওসারসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণমান্য ব্যক্তিরা।

এসময় বক্তব্যে আলাউদ্দিন নাসিম বলেন, শিক্ষা-দীক্ষায় উন্নত, অর্থনৈতিক দিক থেকে শক্তিশালী ফুলগাজীর জগতপুর গ্রামের মতো আরেকটি দেশে বিরল। এই গ্রামেই ৪৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে দেশের জন্য লড়াই করে অবদান রেখেছেন, যা নিয়ে গর্ব করা যায়।

অনুষ্ঠানে আলাউদ্দিন নাসিম আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে। হানাদার বাহিনী ফুলগাজী এলাকা দখল করতে বেগ পেতে হয়েছে এবং এবং সারা বাংলাদেশে এই অঞ্চলটি হানাদারবাহিনী থেকে সর্বপ্রথম মুক্ত করে বীর মুক্তিযোদ্ধারা। ৬ ডিসেম্বর ফেনী মুক্ত হলেও ফেনীর উত্তরাঞ্চল মুক্ত হয় ২ ডিসেম্বর।

ব্যবসায়ীর নগ্ন ভিডিও ধারণ করে টাকা দাবি, গ্রেফতার ৪

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে এক নারীকে দিয়ে কৌশলী ফাঁদ ফেলে টাঙ্গাইলের এক জুট ব্যবসায়ীকে বাসায় ডেকে এনে নগ্ন ভিডিও ধারণ করে লাখ টাকা দাবির অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১ জুন) সকালে কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গত ৩১ মে রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১টা পর্যন্ত সময়ে এ ঘটনা ঘটায় অভিযুক্তরা। পরে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ি আমিনুল ইসলাম একই রাতে জিম্মি করে মারধর ও বলপূর্বক সম্পত্তি ছিনিয়ে নেওয়ার কথা উল্লেখ করে কর্ণফুলী থানায় ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

গ্রেফতার চারজন হলেন- কর্ণফুলীর শিকলবাহা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের এস আলম গলির ভাড়াটিয়া মোহাম্মদ হোসেনের স্ত্রী পারভীন আক্তার ববি (৩৪), শিকলবাহা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হিরার বাড়ীর মো. ওসমান গণির ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম প্রকাশ সানি (২৪), শিকলবাহা ৩ নম্বর ওয়ার্ড আমশাপাড়ার মৃত আব্দুস সালামের ছেলে মোহাম্মদ জসিম প্রকাশ আব্দুল কাদের প্রকাশ আদিল (২৭) ও শিকলবাহা বিল্লা পাড়ার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. ইমরান (২৭)। এদের মধ্যে পারভীনের নিজ বাড়ি নগরীর ফিরিঙ্গিবাজার এলাকার।

পুলিশ ও মামলার সূত্রে জানা যায়, আমিনুল ইসলাম পেশায় একজন জুট ব্যবসায়ী। আসামি পারভীন আক্তার ববির সাথে এক বছর আগে তার মুঠোফোনে পরিচয়। সেই সুবাদে ববি বিভিন্ন সময় আমিনুলকে ফোন করে নানা সমস্যার কথা জানিয়ে সাহায্য সহযোগিতা চাইতেন। আমিনুলও সরল বিশ্বাসে সাধ্যমতো চেষ্টা করতেন। গত ৩১ মে দুপুর ২টার সময় ববি ফোন করে বলে তার ছেলে খুব অসুস্থ্য কিছু টাকা পাঠাতে। আমিনুল ব্যবসার কাজে ঢাকা হতে চট্টগ্রাম আসার পথে কুমিল্লা থেকে ৫০০ টাকা বিকাশ করেন। তার কিছুক্ষণ পরে আবারো ফোন করে বলেন, বাসায় এসে তাকে এবং তার ছেলেকে দেখে যেতে।

সন্ধ্যা ৬টার দিকে চট্টগ্রাম এসে আমিনুল ব্যবসায়িক কাজ শেষে ববির কথামতো রাত সাড়ে ৮টায় বাসায় যান। এর আগে ববি ম‍ইজ্যারটেক হতে তাকে রিসিভ করেন। বাসায় গিয়ে দেখেন ববির কোন ছেলে নেই সে একা। তার ১০ মিনিট পর হঠাৎ সানি, আদিল ও ইমরান এসে আমিনুলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এমনকি তাকে আটক করে জোরপূর্বক রুমে নিয়ে মারধর করে জামা কাপড় খুলে ববির সাথে নগ্ন ছবি তোলেন।

পরে জানায় এক লাখ টাকা না দিলে ছবিগুলো পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দেবেন। হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করেন। আমিনুল টাকা দিতে অস্বীকার করলে এরা লাঠি দিয়ে মারধর করেন। আমিনুলের কাছে থাকা ৭ হাজার ৫২০ টাকা, ইনফিনিক্স মোবাইল, ব্র্যাক ব্যাংকের এটিএম কার্ড তারা ছিনিয়ে নেন।

এক পর্যায়ে ননজুড়িসিয়াল স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর ও ব্যাগে থাকা এক্সিম ব্যাংকের ৩টি চেক নিয়ে আমিনুলকে তারা একটি সিএনজি গাড়িতে করে শিকলবাহা ইউনিয়নের বলফুল ফ্যাক্টরির সামনে বিলের মাঝে নিয়ে হাত-পা বেঁধে রেখে চলে যান। পরে কোন রকমে সেখান থেকে থানা পুলিশের আশ্রয় নেন।

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন বলেন, ভিকটিমের অভিযোগ পেয়ে রাতেই অভিযান পরিচালনা করে সকালের দিকে অভিযুক্ত চক্রদের ৪ জনকে গ্রেফতার করি। আসামিদের হেফাজত থেকে ভিকটিমের টাকা, চেক, স্ট্যাম্প, মোবাইলসহ একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। পরে আদালতের মাধ্যমে আসামিদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

;

ডেমরায় স্টিল মিলে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৭

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ডেমরায় বাঁশেরপুল জহির স্টিল অ্যান্ড রুলিং মিলে বিস্ফোরণে ৭ জন আহত ও দগ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছে।

আহতরা হলেন,তরিকুল ইসলাম (৩২),সুজন (২৫),আমিনুল ইসলাম(২৫),রনি (৩০) কাঞ্চন (২৮),দিপন দাস (৩০) মোঃ শফিকুল ইসলাম (২৭)।

শনিবার (১ জুন) রাত সোয়া ৮টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল তিন জনকে ভর্তি করা হয় ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্নে চার জনকে ভর্তি করা হয়েছে।

তাদেরকে নিয়ে আসা জহির স্টিল মিলের সুপারভাইজার মো. সাকিব খান জানান, রাতে ওই মিলে গিয়ার নামে যন্ত্রে ত্রুটি দেখা দেয়। মেকানিক্যাল টিম মেরামত করার সময় গিয়ার যন্ত্রটির বিস্ফোরণে সাতজন দগ্ধ আহত হয়। পরে দ্রুত তাদের ৭ জনকে নিয়ে আসলে শেখ হাসিনার জাতীয় বার্নে ও ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি জানান, তাদের মেশিনের গরম পানি মবিল ও মেশিনের যন্ত্রাংশের আঘাতে আহত ও দগ্ধ হয়।

এ বিষয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো: বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,ডেমরা একটি স্টিল মিল থেকে দগ্ধ ও আহত হয়ে ৭জন ঢাকা মেডিকেলে এসেছে।তাদের মধ্যে চারজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বানে ও তিনজনকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।

;

বসুন্ধারা থেকে জাপান প্রবাসীর মরদেহ উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ভাটারা থানার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি ভবন থেকে এক জাপান প্রবাসী যুবকের পচা-গলা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার রাতে বাড়ির বাসিন্দাদের তথ্যের ভিত্তিতে বসুন্ধারা আবাসিক এলাকার সি ব্লকের ২ নম্বর রোডের একটি বাসায় থেকে আরিফুল ইসলাম (২৭) নামের ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহের বিভিন্ন স্থানে ছুড়িকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এই সময়ে একটি চিরকুট পেয়েছে পুলিশ। এছাড়াও নোটারি করা বিবাহের হলফনামা উদ্ধার করা হয়েছে। নোটারীতে দেখা যায়, ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর নরসিংদীতে আরিফ ও পারভিন বিয়ে করেছেন।

শনিবার (১ জুন) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গুলশান বিভাগের ভাটারা জোনের সহকারি পুলিশ কমিশনার (এসি) রাজন কুমার সাহা।

তিনি বলেন, ভাটারা থানার বসুন্ধারা আবাসিক এলাকার মাটি প্রপার্টিস নামের একটি ভবনে অনলাইনে বাসা বুকিং করে দেশি-বিদেশি নাগরিকরা ভাড়া নেন। গত মে মাসে ১৭ তারিখ নিহত আরিফ ও পারভীন নামের এক নারী স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে ভবনের দোতলার একটি বাসায় সাত দিনের জন্য ভাড়া নেন। সেদিনই তারা দুজনে ওই বাসায় ওঠেন। শনিবার (১ জুন রাতে) মাটি প্রপাটির্সের বাসিন্দারা লাশের তথ্য জানিয়ে থানায় ফোন করেন।

এসি রাজন কুমার আরও বলেন, নিহত আরিফ নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার আদিয়াবাদ কালিকুরপড়া এলাকার শাহজাহান শিকদারের ছেলে। এই হত্যায় জড়িত ও আরিফের স্ত্রী পরিচয় দেওয়া পারভীন আক্তার (৩৩) নরসিংদী সদরের সাটিরপাড়া এলাকার মো. নুরুল ইসলামের মেয়ে। তাদের দুজনেরমধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো।

নিহত আরিফের পরিবারের বরাত দিয়ে রাজন কুমার বলেন, আরিফ এক বছর ধরে জাপান প্রবাসী। জাপানে নাচুকি (আয়েশা) নামের এক নারীকে বিয়ে করেছে। আরিফ ও পারভিনের প্রেমের বিষয়টি জানলেও বিয়ের ব্যাপারে কোনো তথ্য পরিবারের সদস্যদের কাছে নেই। জাপানে থাকা আরিফের স্ত্রী আয়েশা ফোন করে জানিয়েছে, আরিফ দেশে গিয়েছে কিন্তু তার কোন খোঁজ খবর পাচ্ছে না, ফোনে কয়েকদিন ধরে কথা বলতে পারছে না।

তিনি আরও বলেন, মাটি প্রপার্টিসে দেওয়া পারভিনের মোবাইল নাম্বারের সূত্র ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, পারভিন ১৭ মে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি বসুন্ধরা আবাসিকের মাটি প্রপারটিসের অ্যাপার্টমেন্টে ওঠেন। ১৭ মে বিকাল ৪ টার দিকে পারভিন ও আরিফুল ইসলাম একত্রে এই ফ্লাটে ওঠেন। ১৮ মে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পারভিন একাই ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যান। তার মোবাইল নাম্বারের সর্বশেষ অবস্থান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ধারণা করা হচ্ছে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।

প্রাথমিক ভাবে পুলিশ ধারণ করছে, পারভিন আক্তার দীর্ঘদিনের ক্ষোভ থেকে আরিফুলকে হত্যা করেছে। তবে এ বিষয়ে পারভিনের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারলে আরও তথ্য পাওয়া যাবে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

;

‘শুধুমাত্র আইন তৈরি ও প্রয়োগ করে মানবাধিকার রক্ষা করা কষ্টসাধ্য’

ছবি: সংগৃহীত

শুধুমাত্র আইন তৈরি ও প্রয়োগ করে মানবাধিকার রক্ষা করা কষ্টসাধ্য বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র-ট্রাস্টের চেয়ারম্যান পরিবেশবাদী ডা. মাহফুজুর রহমান।

শনিবার (১ জুন) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সাইফুদ্দিন সালাম মিঠুকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন (আইএইচআরসি) বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক (প্রশাসন) পদে নিযুক্ত করায় সংগঠনটির চট্টগ্রাম মহানগর ও বিভাগীয় শাখা এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল বোর্ডের প্রেসিডেন্ট এম.এ.হাশেম রাজু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলনের মহাসচিব ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদ বিজ্ঞানী পরিবেশ ফোরাম (সিইউবিইএফ) সভাপতি প্রফেসর ড. এম. এ. গফুর। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন কর্ণফুলী নদী গবেষক ও বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন (বাপসা) সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, মানবাধিকার বিশ্বের কোনো দেশ, গোষ্ঠী, জাতি, ধর্ম ও বর্ণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি বিশ্বব্যাপী সকল জাগতিক সম্পর্কের সীমানা পেরিয়ে সকল মানুষের চিরন্তন অধিকার। এই অধিকার লঙ্ঘনের সুযোগ কারো নেই। শুধুমাত্র আইন তৈরি ও প্রয়োগ করে এ অধিকার রক্ষা করা কষ্টসাধ্য। এই অধিকার রক্ষা তথা মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন সচেতনতা, মানুষের প্রতি সহানুভূতি, আন্তরিকতা ও সহমর্মিতা।

একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু বলেন, নারী-পুরুষ, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণী পেশার সবাই মৌলিক অধিকারসমূহ ভোগ করার সুযোগ পাবে- এই প্রত্যাশায় মানবাধিকার বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।

উদ্ভিদ বিজ্ঞানী ও বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলনের মহাসচিব প্রফেসর ড. এম. এ. গফুর বলেন, যুগে যুগে দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার যেমন হয়ে আসছে তেমনি অত্যাচারীদের প্রতিরোধ করার জন্য মানবতাপ্রেমিরাও এগিয়ে এসেছে সর্বদাই। মানবতার কল্যাণে, অসহায়, নিপীড়িত, দুস্থ জনতার পাশে সহানুভূতি ও সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসাই মানবাধিকার কর্মীদের আদর্শ।

সভাপতির বক্তব্যে এম এ হাশেম রাজু বলেন, সমাজের সর্বস্তরের সকল পেশাজীবী, সুধীমহল, সচেতন নাগরিক সবার সম্মিলিত আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সহযোগিতা না পেলে কখনোই মানবাধিকার বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তাই মানবাধিকার বাস্তবায়ন, সংরক্ষণ ও লঙ্ঘন প্রতিরোধে সবাই এগিয়ে আসবেন।

সংবর্ধিত অতিথি সাইফুদ্দিন সালাম মিঠু বলেন, আমি আজকের অনুষ্ঠানে আগত সকল মেহমান ও মানবাধিকার কর্মীদের প্রতি শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, আমার মত একজন নগণ্য মানবাধিকার কর্মীকে সংবর্ধনা প্রদান করার জন্য। আপনারা সকলে মানবাধিকার রক্ষায় এগিয়ে আসলে রচিত হবে সুন্দর বাংলাদেশ, শান্তিময় বিশ্ব- এই প্রত্যাশায় আগামীর পথ চলা।

সংবর্ধিত অতিথি সাইফুদ্দিন সালাম মিঠুকে ফুলেল শুভেচ্ছা, সম্মাননা ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট সংবর্ধনা প্রদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *