সারাদেশ

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: দুঃখ প্রকাশ করলেন প্রতিমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট: নদীভাঙন থেকে রক্ষায় ফুলছড়িতে প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।

তিনি বলেছেন, নদীভাঙন কী, তা আমি জানি। নদী ভাঙনকবলিত মানুষের দুর্দশা আমি হাড়ে হাড়ে টের পাই। নদীভাঙন থেকে ফুলছড়িবাসীকে রক্ষায় অবশ্যই এখানে আমরা প্রতিরক্ষা বাঁধ দেবো।

রোববার (২ জুন) দুপুরে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের জিগাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ‘যমুনা নদীর বাম তীরের ভাঙন পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভা’য় প্রধান অতিথির বক্তব্য এ সব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের যত উন্নয়ন, তা শেখ হাসিনার সরকারের শাসনামলেই হয়েছে। নদীভাঙন থেকে নদী তীরবর্তী মানুষকে রক্ষা করতে পারলে দেশের ভূমি রক্ষা হবে। এতে কৃষির উন্নয়ন হবে। সর্বোপরি, বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন, সেটির বাস্তবায়ন হবে।

বক্তব্যর এক পর্যায়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া চান প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।

এর আগে সভায় বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের সংসদ সদস্য মাহামুদ হাসান রিপন, এমপি।

তার বক্তব্যে তিনি ফুলছড়িবাসীকে নদীভাঙনের হাত থেকে রক্ষায় দ্রুত এবং স্থায়ী পদক্ষেপ নিতে প্রতিমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানান।

এমন বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও এই নদী ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শনে আসায় মন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মন্ত্রীর উদ্দেশে মাহামুদ হাসান রিপন বলেন, আমার বিশ্বাস, আপনি পারবেন নদীভাঙনের দুর্দশা থেকে এই অঞ্চলকে রক্ষা করতে।

তার আগে সভায় বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা সদর উপজেলার সদ্য নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুর জামান রিংকু।
তার বক্তব্যে তিনি সদর উপজেলার নদীবেষ্টিত কামারজানী ও মোল্লারচরবাসীকে নদীভাঙনের হাত থেকে রক্ষার দাবি জানান।

তিনি বলেন, গাইবান্ধার যমুনা, ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার অববাহিকায় যারা বসবাস করেন, প্রত্যেক বছর নদীভাঙনে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। এই নদীর ভাঙন শুরু হলে নদী পাড়ের মানুষের কান্নার রোল পড়ে যায়। হাজার হাজার মানুষকে বাস্তুভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হতে হয়। এই আমাদের নদী পাড়ের জীবন!

সদরের মোল্লারচর ও কামারজানীকে রক্ষায় স্থায়ীভাবে নদী শাসনের দাবি জানান তিনি।

সভায় ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি একেএম হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হান্নান আকন্দের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম-৪ আসনের এমপি বিপ্লব হাসান পলাশ, গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেওয়ান মওদুদ আহমেদ, পুলিশ সুপার কামাল হোসেন, সদ্য নির্বাচিত ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু সাঈদ, সাঘাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামসীল আরেফীন টিটু।

এছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি, উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ ও সংযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

এর আগে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে করে রওয়ানা হয়ে দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের জিগাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করেন মন্ত্রী। এর পরেই তাকে সম্মানসূচক গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

মতবিনিময় সভা শেষে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী, চিলমারী ও উলিপুরের নদী ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শনের উদ্দেশে হেলিকপ্টারে করে রওয়ানা হন তিনি। কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সোনামুরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত মতবিনিময় সভা শেষে ঢাকায় ফেরার কথ রয়েছে বলে মন্ত্রীর সফরসূচি থেকে জানা গেছে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *