সারাদেশ

জনগণের অর্থের সঠিক ব্যয় নিশ্চিত করার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

ডেস্ক রিপোর্ট: জনগণের অর্থের সঠিক ব্যয় নিশ্চিত করার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

ছবি: সংগৃহীত

জনগণের প্রতিটি টাকা যাতে স্বচ্ছ ও সঠিকভাবে ব্যয় হয়, তা নিশ্চিত করতে মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) মো. নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সোমবার (৩ জুন) দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে বার্ষিক নিরীক্ষা ও হিসাব প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় তিনি এ নির্দেশনা দেন।

বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, সরকারি তহবিল ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। প্রতিবছরই বাড়ছে বাজেটের আকার ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির কলেবর। তিনি বলেন, এর ফলে সরকারি ব্যয়ও ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।

জনগণের টাকা যাতে স্বচ্ছভাবে ব্যয় হয় সেক্ষেত্রে অডিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, সব অডিট আপত্তি নিষ্পত্তিসহ সকল ধরনের অডিট হালনাগাদ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার ও তাগিদ দেন। বৈঠকে রাষ্ট্রপতিকে সিএজি রিপোর্টের সার্বিক কার্যক্রম ও বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

সিএজি তাকে ৪৫টি কমপ্লায়েন্স অডিট রিপোর্ট, দু’টি উপযোজন হিসাব রিপোর্ট এবং দুটি আর্থিক হিসাব রিপোর্ট সম্পর্কেও জানান।

এছাড়াও, সিএজি সরকারি কর্মচারীদের বেতন, পেনশন ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রদানের ক্ষেত্রে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। এসময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্টগণও উপস্থিত ছিলেন।

টাঙ্গাইলে বস্তাবন্দি মাথার খুলি ঘিরে ধুম্রজাল

ছবি: বার্তা২৪.কম

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার চিতুলিয়াপাড়া গ্রামে ডোবার পাশ থেকে উদ্ধার করা মাথার খুলি নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

সোমবার (৩ জুন) সকালে এ খুলি উদ্ধার হয়েছে। ঐ এলাকায় ৯ দিন আগে নিখোঁজ হওয়া শিশু শর্মিলার কিনা এ নিয়েও সৃষ্টি হয়েছে জল্পনা।

এদিকে ঘটনাস্থলে মিলেছে নিখোঁজ হওয়া শিশুর জামা। পুলিশ বলছে, ডিএনএ পরীক্ষার পর জানা যাবে মাথার খুলিটি কার। হতে পারে মাথার খুলিটি শিশু শর্মিলার। তবে দেহের অন্যান্য অংশের এখনও কোন সন্ধান মেলেনি। কোথায় রয়েছে বাকি অংশ এ নিয়েও নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মাথার খুলির ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। এরপরই এর রহস্য উদঘাটন হবে।

শিশুটির পিতা সুমন জানিয়েছেন, ডোবার পাশ থেকে যে জামা পাওয়া গেছে সেটি নিখোঁজের সময় সেটি তার মেয়ের পড়নে ছিলো।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুতই এর রহস্য উদঘাটন হবে বলে জানিয়েছেন।

;

কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনের সুফল পেয়েছে চাষিরা

ছবি: বার্তা২৪.কম

টাঙ্গাইলে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কেটে দ্রুতই ধান ঘরে তুলতে পেরেছে চাষিরা। শ্রমিক সংকট ও শ্রমিকের দাম বৃদ্ধি হলেও চাষিরা কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়ে বোরো ধান কাটা ও মাড়াই করছেন। এতে সাশ্রয়ে ধান কাটতে পেরেছেন তারা। শ্রমিক দিয়ে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের চেয়ে সময় এবং খরচ কম হওয়ায় দিন দিন এ মেশিনের ব্যবহার বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চাষিরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল এক লাখ ৭৬ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে এক লাখ ৭৬ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে। এখান থেকে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১১ লাখ মেট্রিক টন। বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধির জন্য কৃষি বিভাগের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় তালিকাভুক্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের দেয়া হয়েছে উচ্চ ফলনশীন জাতের ধানের বীজ ও সার। ধানের ফলন বৃদ্ধি করার জন্য মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষনিক কৃষকদের পাশে রয়েছেন।

কৃষক নাজু মিয়া বলেন, এ বছর ৬ বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করেছি। ভালোই ধানের ফলন হয়েছে। শ্রমিক সংকট ও বাড়তি মজুরির কারণে হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটছি। হারভেস্টার মেশিনে দ্রুত সময়ের মধ্যে ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছি। খরচও অর্ধেক লাগছে। শ্রমিক দিয়ে এক বিঘা জমির ধান কাটতে খরচ হয় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। মেশিন দিয়ে ধান কাটতে লাগছে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা।

কৃষক আশিষ সরকার বলেন, হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটায় আমাদের জন্য খুব উপকার হয়েছে। এই হারভেস্টার মেশিন যদি না থাকতে ১৫০০ টাকায়ও শ্রমিক পাওয়া যেতো না। শ্রমিকের সংকট হতো। আর কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হতো। এখন হারভেস্টার মেশিন থাকাতে আমরা কম খরচে ধান কাটতে পেরেছি। শ্রমিক দিয়ে ধান কাটলে এক বিঘা জমির ধান কাটতে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা লেগে যায়। সেখানে মেশিন আসার ফলে খুব উপকার হয়েছে। মেশিন দিয়ে ধান কাটাতে ৫ থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। মেশিন দিয়ে ধান কাটার ফলে আমার ৪ হাজার টাকা সাশ্রয় হয়েছে। আমরা কৃষকরা লাভবান হবো।

টাঙ্গাইলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার দুলাল উদ্দিন জানান, চলতি মৌসুমে উৎপাদিত ধান থেকে সাত লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ের আগেই সকল জমির পাকা ধান কেটে কৃষকরা ঘরে তুলতে পেরেছেন। দ্রুত ধান ঘরে তুলতে পেরে কৃষকরা খুশি। কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটায় দ্রুতই ধান কেটে ফেলেছেন। আধুনিক চাষাবাদের জন্য যান্ত্রিকীকরণের বিকল্প নেই। জেলায় বোরো মৌসুমের আবাদের ৯৫ ভাগ ধান ইতিমধ্যে কাটা শেষ হয়েছে। কৃষক কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়ে অনেক সুবিধা পাচ্ছেন। ধান কাটার সাথে সাথে মাড়াই-ঝাড়াই হয়ে তা বস্তাবন্দি করা যাচ্ছে। এতে কৃষকের ধান কাটা ও মাড়াই খরচের সাশ্রয় হচ্ছে। ধান কাটার সময় কম লাগছে।

;

বাস তল্লাশির সময় নেশা জাতীয় ইনজেকশনসহ আটক ৩

নেশা জাতীয় ইনজেকশনসহ আটক ৩

ভারত থেকে চোরাই পথে আনা ২ হাজার ৪০০ পিচ নিষিদ্ধ নেশা জাতীয় ইনজেকশনসহ তিনজনকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদফতরের সদস্যরা।

রোববার (২ জুন) দিবাগত রাত ২টার দিকে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে বগুড়া সদর থানার বাঘোপাড়া এলাকায় এসআর পরিবহনের বাস তল্লাশী করে নেশা জাতীয় ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়।

সোমবার (০৩ জুন) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদফতর বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয় রাজশাহীর উপপরিদর্শক হুমায়ুন কবীর এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদফতরের সসদ্যরা রোববার রাতে মহাসড়কে বগুড়া সদর থানার বাঘোপাড়া এলাকায় অবস্থান নেন। রাত দুইটার দিকে দিনাজপুর থেকে ঢাকাগামী এসআর পরিবহনের একটি বাস থামিয়ে তল্লাশি করা হয়। এসময় বাসের টিকেট বিহীন যাত্রী এনামুল হক (৪৫) ও ইউনুচ আলী(৩৮) ও বাসের হেলপার আবুল কাশেমকে (২৫) আটক করা হয়। পরে তাদের হেফাজতে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে ২ হাজার ৪০০ পিচ অবৈধ মাদকদ্রব্য বুফ্রেনরফাইন যার বানিজ্যিক নাম কুপিজেসিক ইনজেকশনের এ্যাম্পুল উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আটককৃতরা পরস্পর যোগসাজশ করে নিষিদ্ধ নেশাজাতীয় ইনজেকশনগুলি চোরাই পথে ভারত থেকে পাচার করে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিল।

আটককৃত তিনজনের নামে বগুড়া সদর থানায় মামলা করা হয়েছে।

;

গোপনে চাচাতো বোনকে বিয়ে করাই কাল হলো বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সৌরভের

ছবি: সংগৃহীত

পাঁচ বছর প্রেম করে গোপনে চাচাতো বোনকে বিয়ে করাই কাল হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ওমর ফারুক সৌরভের (২৪)। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের জেরেই চাচার হাতে খুন হয়ছেন সৌরভ।

নিহত সৌরভ ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজভাগ ইউনিয়নের তারাটি গ্রামের ইউসুফ আলী আলীর ছেলে।

রোববার (২ জুন) সকালে ময়মনসিংহ সদর ও মুক্তাগাছা উপজেলার সীমান্তবর্তী মনতলা ব্রীজের নিচে সুতিয়া নদী থেকে সৌরভের ৪ খন্ড মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে তার পরিবার।

জানা যায়, সৌরভ সরকারি চাকরিজীবী বাবা-মা ও বোনোর সাথে ঢাকার মতিঝিলে থাকতেন। সে গুলশানের প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। দীর্ঘ ৫ বছর প্রেম করার পর গত ১২ মে ঢাকায় চাচাতো বোন ইশরাত জাহান ইভাকে গোপনে বিয়ে করেন সৌরভ। এর পর ইভা ময়মনসিংহ চলে এলে চারদিন পর ১৬ মে তাকে কৌশলে কানাডা পাঠিয়ে দেয় পরিবার। বিয়েকে কেন্দ্র করেই দুই পরিবারের বিরোধ চলছিলো। পরিবারের অভিযোগ চাচাতো বোনের সঙ্গে প্রেম ও পরে তাকে বিয়ে করেছিলো সৌরভ, যা মেনে নেননি চাচা অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মকর্তা ইলিয়াস আলী। ক্ষুব্ধ হয়ে সৌরভকে ময়মনসিংহের বাসায় ডেকে এনে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।

নিহতের মা মাহমুদা আক্তার বলেন, আপন চাচাই ছেলেকে খুন করছে। আমি তার ফাঁসি চাই।

সৌরভের বাবা ইউসুফ আলী বলেন, শনিবার দুপুরে একটা ব্যাগ নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায় সৌরভ। আমরা জানতাম না এখানে আসবে। জানলে আসতে দিতাম না। ডেকে এনে আমার আদরের সন্তানকে টুকরো টুকরো করে হত্যা করলো কেন। আমি এর কঠিন বিচার চাই।

কোতোয়ালি মডেল থানার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। এর মাধ্যমে অপরাধীকে বের করা সম্ভব হবে।

ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহমেদ ভূঞা বলেন, প্রমঘটিত কারণে সৌরভকে হত্যা করা হয়েছে বলে পরিবারের কাছ থেকে শুনা যাচ্ছে। নিহতের চাচা অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মকর্তাকে খুঁজছি।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *