বরিশালে মানবপাচার মামলায় ৭ জনকে জরিমানা
ডেস্ক রিপোর্ট: বরিশালে মানবপাচার মামলায় ৭ জনকে জরিমানা
বরিশালে মানবপাচার মামলায় ৭ জনকে জরিমানা
চাকুরির প্রলোভনে দুই তরুণীকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করার মামলায় আবাসিক হোটেলে মালিকসহ ৭ জনকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করে রায় দিয়েছে বরিশাল মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (৩ জুন) বরিশাল মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মঞ্জুরুল হোসেন এ রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেঞ্চ সহকারী তুহিন মোল্লা।
দণ্ডিতরা হলো- নগরীর দক্ষিণ চকবাজার এলাকার আবাসিক হোটেল পায়েল এর মালিক মনির হোসেন, কর্মচারী বাকেরগঞ্জ উপজেলার দেউলি গ্রামের মৃত আবুল কাসেম চৌকিদারের ছেলে সেলিম চৌকিদার, একই উপজেলার দত্তরাবাদ গ্রামের আজাহার মৃধার ছেলে আনোয়ার হোসেন, একই উপজেলার পশ্চিম দাড়িয়াল গ্রামের মৃত মমিনউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে মন্টু হাওলাদার, নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত মোতাহার গাজীর ছেলে মিন্টু গাজী, নগরীর বাঘিয়া এলাকার বাসিন্দা আজিজ বেপারীর ছেলে কবির হোসেন ও বরিশাল সদর উপজেলার টুঙ্গীবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল বেপারীর ছেলে বাদশা বেপারী।
রায় ঘোষণার সময় সকলে আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বরাতে বেঞ্চ সহকারী তুহিন মোল্লা জানান, ২০২০ সালের ২ আগস্ট মহানগর ডিবি পুলিশের একটি দল জানতে পারে আবাসিক হোটেল পায়েল- এ চাকুরির প্রলোভনে দুই তরুণীকে আটকে অনৈতিক কাজ করতে বাধ্য করছে। এ অভিযোগে ডিবি পুলিশের দল ওই হোটেলে অভিযান চালায়। এ সময় আবাসিক ওই হোটেলের দ্বিতীয় তলার কক্ষ থেকে দুই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। ওই সময় হোটেলের কর্মচারী সেলিম, আনোয়ার হোসেন ও মিন্টু গাজীকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
এ ঘটনায় ওইদিন ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে আটক তিনজনসহ পালিয়ে যাওয়া হোটেলের আরো ৪ জনের বিরুদ্ধে চাকুরির প্রলোভনে অনৈতিক কাজে বাধ্য করার অভিযোগে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা করে।
ডিবির এসআই দেলোয়ার ওই বছরের ১৬ জুন ৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট জমা দেয়। বিচারক ৫ জনের স্বাক্ষ্য নিয়ে রায় দেন।
তুহিন মোল্লা বলেন, রায়ে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। দণ্ডিত আসামিরা জরিমানা জমা দিয়ে মুক্ত হয়েছেন।
যৌন হয়রানির দায়ে চাকরিচ্যুত রাবি চিকিৎসক রাজু
যৌন হয়রানির দায়ে চাকরিচ্যুত রাবি চিকিৎসক রাজু
কিশোরীকে যৌন হয়রানির দায়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চিকিৎসা কেন্দ্রের উপপ্রধান চিকিৎসক ডা. রাজু আহমেদকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৩ জুন) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩১তম সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানা যায়।
জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করা শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিন্ডিকেট সদস্য বলেন, যৌন হয়রানির অভিযোগ ডা. রাজুর বিরুদ্ধে তদন্ত হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সিন্ডিকেট সভায় তাকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে, গত ৩০ অক্টোবর রাতে নগরীর তালাইমারীর আমেনা ক্লিনিকে দাঁতের চিকিৎসাকালে ডা. রাজুর বিরুদ্ধে কিশোরীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠে। সেদিনই নগরীর বোয়ালিয়া থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগীর মা (বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা)। এ ঘটনায় ডা. রাজুর স্থায়ী বহিষ্কার ও গ্রেফতারের দাবিতে ক্যাম্পাসে কয়েক দফা আন্দোলনের পর গতবছর ৫ নভেম্বর তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নির্যাতন ও নিপীড়ন নিরোধ সেল। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্তকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করে কমিটি।
;
চট্টগ্রামে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে তরুণ খুন, ছুরিসহ গ্রেফতার ৩
চট্টগ্রামে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে তরুণ খুন, ছুরিসহ গ্রেফতার ৩
চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিংয়ে ছুরিকাঘাতে মো. আজিম (১৮) নামে এক তরুণকে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ওই ছুরিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩ জুন) রাত সোয়া নয়টার দিকে চৌমুহনীর কর্ণফুলী কাঁচাবাজারের পেছনে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত মো. আজিম চৌমুহনী এলাকার জাবেদ টাওয়ারের রফিকের ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনি চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের পাটোয়ারী।
তিনি বলেন, আজিম ঘটনাস্থলে একা ছিলেন। এমন সময় ৮ থেকে ১০ জন এসে তার সাথে ধস্তাধস্তি করে। এক পর্যায়ে তাকে একজন ছুরিকাঘাত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে স্থানীয়রা আজিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও বলেন, খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে ছুঁটে যাই। তাৎক্ষণিক অভিযানে তিনজনকে গ্রেফতার করেছি। তাদের নাম এখন প্রকাশ করতে পারছি না। ঘটনায় ব্যবহার করা রক্তমাখা ছুরিও উদ্ধার করেছি। বাকিদের ধরতে আমরা এখনো অভিযানে আছি।
;
প্রেমের টানে ফেনীতে এসে বিয়ে করলেন আমেরিকান নারী
প্রেমের টানে ফেনীতে এসে বিয়ে করলেন আমেরিকান নারী
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার বাসিন্দা জামশেদ আলম রাজুর সাথে প্রেমের টানে আমেরিকা থেকে ফেনীতে ছুটে এসে বিয়ে করেছেন আমেরিকান এক নারী।
সোমবার (৩ জুন) শহরের একটি রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
আমেরিকান ওই নারীর নাম সেন্ডোরা ব্রোক্স। বর্তমানে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নাম রেখেছেন লামিয়া। তিনি আমেরিকার ভার্জিনিয়া শহরের বাসিন্দা। তার প্রেমিক জামশেদ আলম রাজু ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব সফরপুর গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সেন্ডোরা ব্রোক্সের সঙ্গে পরিচয় হয় রাজুর। প্রেমের সম্পর্কের পর চলতি বছর দুজনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। বিয়ের উদ্দেশ্য রোববার (২ জুন) সকালে বাংলাদেশে আসেন সেন্ডোরা ব্রোক্স। বিমানবন্দরে রাজু তাকে গ্রহণ করেন। রাজুর সঙ্গে বিয়ের আগে সেন্ডোরা ব্রোক্স আদালতের মাধ্যমে খ্রিস্টান ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। মুসলিম হওয়ার পর তার বর্তমান নাম রাখা হয়েছে লামিয়া।
এ ব্যাপারে জামশেদ আলম রাজু বলেন, ২০১৮ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আমাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রোববার সকালে তিনি দেশে আসার পর আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে আমরা বিয়ে করেছি। আমার স্ত্রী আমেরিকার একটি হাসপাতালে চাকরি করেন। তিন সপ্তাহ পর তিনি আবার আমেরিকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবেন। বর্তমানে আমি এলাকায় ব্যবসায় করছি। আমাদের জন্য সবার দোয়া কামনা করি।
মাহমুদুর রহমান রাসেল নামে রাজুর এক বন্ধু বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রেমের সম্পর্কের কথা জানতাম। ওই মেয়ে দেশে আসার পর আজ পরিবার ও স্বজনদের উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য গোলাম মাওলা বলেন, আমেরিকান এক নারীর সঙ্গে উভয় পরিবারের সম্মতিতে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বিয়ে হয়েছে বলে শুনেছি। এর আগে কখনো আমাদের এলাকায় কেউ বিদেশি বউ নিয়ে আসেনি। বিয়ের পর তারা ফেনী শহরেই থাকছে। তাদের জন্য শুভ কামনা জানান তিনি।
;
হঠাৎ ঘোষণা দিয়ে বন্ধ হলো বেনজীরের সাভানা ইকো রিসোর্ট
হঠাৎ ঘোষণা দিয়ে বন্ধ হলো বেনজীরের সাভানা ইকো রিসোর্ট
বর্তমানে দেশের আলোচিত-সমালোচিত ব্যক্তি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের গোপালগঞ্জ সদরে গড়ে তোলা সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (৩ জুন) বিকেল পাঁচটার দিকে প্রতিষ্ঠানটির ফটকে নোটিশ আকারে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, অনিবার্য কারণবশত সাবানা পার্ক বন্ধ থাকবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের বুকিং ব্যবস্থাপক মো. সাব্বির জানান, সার্ভার সমস্যা হওয়ার কারণে ‘আপাতত’ পার্ক ও রিসোর্ট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ ওই পার্কে ঘুরতে যাওয়া দর্শনার্থীদেরও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৫ থেকে ২০২০ সালে র্যাবের মহাপরিচালক এবং ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আইজিপি থাকার সময়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৈরাগীটোল গ্রামে ৬২১ বিঘা (দুদকের তথ্য অনুযায়ী) জমির ওপর গড়ে তোলেন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক।
সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের বুকিং ম্যানেজার মো. সাব্বির জানান, ‘আপাতত পার্কের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পার্কের সার্ভারের সমস্যার কারণে দর্শনার্থীদের ভিতরে প্রবেশ করার যাচ্ছে না। যার কারণে কয়েক দিনের জন্য পার্ক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সার্ভার সমস্যা সমাধন হলে আগামী ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে পার্ক খুলে দেওয়া হবে।’
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।