সারাদেশ

লোকসভা নির্বাচন: বিরোধী নেতাদের নজরবন্দি করার অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট: লোকসভা নির্বাচন: বিরোধী নেতাদের নজরবন্দি করার অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা শুরুর আগেই বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এনেছেন দেশটির সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব। তার অভিযোগ, বিরোধী দলের নেতারা যেন ভোট গণনায় যেন অংশ নিতে না পারেন, সেজন্য তাদের নজরবন্দি করে রাখা হয়েছে। 

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) ভিডিওটি প্রকাশ করে কনৌজের প্রার্থী অখিলেশ যাদব লেখেন, ‘মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট, নির্বাচন প্রধান ও পুলিশ প্রধান, অবিলম্বে লক্ষ্য করুন যে মির্জাপুর, আলিগড়, কনৌজ ছাড়াও, উত্তরপ্রদেশের অনেক জেলায় জেলা শাসক ও পুলিশ প্রশাসন বিরোধীদের অবৈধভাবে নজরবন্দি করছে যাতে তারা ভোট গণনায় অংশ নিতে না পারেন।’

যাদের নজরবন্দি করা হয়েছে, তাদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘এই জাতীয় ঘটনা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। প্রশাসনিকভাবেও তা করতে হবে। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। যখন সব রাজনৈতিক দল শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করছে সেই পরিস্থিতিতে প্রশাসন যেন অনৈতিক কোনও কাজ না করে যাতে জনরোষের সৃষ্টি হয়।’

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেছেন অখিলেশ যাদব। তিনি লেখেন, ‘আশা করি এমন পক্ষপাতদুষ্ট ডিএম এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অবিলম্বে অপসারণ করা হবে এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গণনা করা হবে।’

উল্লেখ্য, টানা দেড় মাসের ভোটগ্রহণ পর্ব শেষে ভারতে ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল আটটায় (বাংলাদেশ সময় সাড়ে ৮টা) সারা দেশে একযোগে এই ভোট গণনা শুরু হয়।

৫৪৩ আসনের লোকসভা নির্বাচনে সরকার গঠনের ম্যাজিক ফিগার ২৭২। প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী, ভোট গণনা শুরুর প্রায় দুই ঘণ্টার মধ্যেই সেই ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে ফেলেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন দেশটির ক্ষমতাসীন জোট এনডিএ। তবে জোর টক্কর দিচ্ছে বিরোধী ইন্ডিয়া জোটও।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির লাইভ আপডেট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট এগিয়ে রয়েছে ২৯০টি আসনে। আর বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোট এগিয়ে ২২৮টি আসনে।

অন্যদিকে ইন্ডিয়া টুডের প্রকাশিত সর্বশেষ গণনার ফল বলছে, বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ২৯৬ আসনে এগিয়ে আছে। আর কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ‘ইন্ডিয়া’ জোট এগিয়ে ২২৮ আসনে। বাকি ১৯ আসনে এগিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ অন্যরা।

লেবাননের হামলায় ইসরায়েলে তীব্র দাবানল

ছবি: সংগৃহীত

লেবানন সীমান্ত থেকে রকেট ও ড্রোন হামলা চালানোর পরপরই ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে দাবানল শুরু হয়। তীব্র দাবানল নিয়ন্ত্রণে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। 

ইসরায়েলি পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে অগ্নিনির্বাপক ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে। কিরিয়াত শমোনা থেকে বেশ কিছু বাড়ি থেকে লোকজনকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, অগ্নিনির্বাপক দলের সদস্যদের সহযোগিতায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তারা বলছে, ঘন ধোঁয়ার কারণে আইডিএফের ছয় রিজার্ভ সৈন্য সামান্য আহত হয়েছে।

সেনাবাহিনী থেকে আরো বলা হয়েছে, যেসব জায়গায় আগুন লেগেছে সেনাবাহিনী তা নিয়ন্ত্রণে নিতে পেরেছে। এই মুহূর্তে কোন মানুষের জীবন ঝুঁকিতে নেই।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, তারা সেনাবাহিনীর সাথে দাবানলের বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
লেবাননের রকেট হামলার পর সোমবার এই আগুনের সূত্রপাত বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে উল্লেখ করা হয়। প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে।

;

৩০০ আসনের দ্বারপ্রান্তে বিজেপি, জরিপের চেয়ে ভালো অবস্থানে ইন্ডিয়া

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনার ৪ ঘণ্টা পেরিয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশটির ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ২৯০ আসনে এগিয়ে আছে। অপরদিকে এক্সিট পোল বা বুথফেরত জরিপের চেয়ে ভালো অবস্থানে থেকে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে কংগ্রেস নেতৃত্বধীন ‘ইন্ডিয়া’ জোট।

মঙ্গলবার (৪ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এনডিটিভির লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইন্ডিয়া’ জোট ২৩০টি আসনে এগিয়ে। তারা বুথফেরত জরিপের আভাস পেরোতে সক্ষম হয়েছে। শনিবার ওই জরিপে বলা হয়, মাত্র ১৪১-১৬২টি আসন পেতে পারে বিরোধী ইন্ডিয়া জোট। যা ইতিমধ্যে ছাড়িয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত মিলছে। এ ছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দল ২১ আসনে এগিয়ে থেকে বিজয়ের আশা করছে।

দেশটিতে সরকার গঠনে লোকসভায় ৫৪৩ আসনের মধ্য ২৭২ আসনে বিজয়ী হতে হবে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর লাইভ আপডেট বলছে, বিজেপি জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা খুব সহজে অর্জন করতে চলেছে।

এর আগে বুথফেরত জরিপে বলা হয়, ৩৫০টিরও বেশি আসন পেয়ে ফের ক্ষমতায় আসছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ। অর্থাৎ নরেন্দ্র মোদিই আবার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। তবে এত আসন না পেলেও মোদি খুব ভালো অবস্থানে আছেন।

দেশটিতে সাত দফার ভোট শেষে আজ মঙ্গলবার (৪ জুন) স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোট গণনা শুরু হয়। প্রথমে পোস্টাল ব্যালট গণনা করেন কর্মকর্তারা। বর্তমানে একে একে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ভোট গণনা করা হচ্ছে।

কর্মকর্তারা বলছেন, ইভিএমে ভোট হওয়ায় ফলাফল দ্রুত প্রস্তুত করা সম্ভব হচ্ছে। সন্ধ্যার আগে সব কেন্দ্রের ফল পাওয়া যাবে। রাতের মধ্যে ভোটের ফলাফলের চূড়ান্ত ঘোষণা আসতে পারে।

এদিকে বিজয় উদ্‌যাপনের প্রস্তুতিও শুরু করেছে বিজেপি। বিভিন্ন রাজ্যে জমকালো আয়োজনের অপেক্ষায় দলের নেতাকর্মীরা।

অন্যদিকে ভারতে এবারের লোকসভা নির্বাচন বিশ্বরেকর্ড করেছে। বিশ্বের সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙে বেশিসংখ্যক ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

দেশটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার এ দাবি করেছেন। ভোটের এ হারকে অলৌকিক ঘটনা হিসেবে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। খবর বিবিসির।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানান, সাত দফার ভোট শেষে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল গণনা চলছে। এক এক করে কেন্দ্রগুলো থেকে ফল আসছে।

এবারের নির্বাচনে নথিভুক্ত ভোটার ছিলেন প্রায় ৯৭ কোটি। এদের মধ্যে ৬৪ কোটি ২০ লাখের বেশি ভোটার ভোট দিয়েছেন। এ সংখ্যাটি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে।

;

রায়বেরেলি-ওয়েনাডেতে এগিয়ে রাহুল, দশক পরে লোকসভার পথে

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর প্রাথমিকভাবে যে ফল পাওয়া যাচ্ছে তাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জোট এনডিএ এগিয়ে আছে। তবে পোস্টার বয় রাহুল গান্ধীও এগিয়ে রয়েছেন রায়বেরেলি-ওয়েনাডেতে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে এক দশকের খরা কাটিয়ে এবার লোকসভায় আসন পেতে যাচ্ছে কংগ্রেস। 

টাইমস নাওয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী কেরালার ওয়ানাড ও তার পরিবারের দুর্গ উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলিতে এগিয়ে রয়েছেন। 

ওয়ানাডে তিনি ১০৩ ভোটে এগিয়ে আছেন। কেরালার বিজেপি পার্টি প্রধান ও লোকসভা প্রার্থী কে সুরেন্দ্ররের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রাহুল।  এখানে সিপিআইয়ের প্রার্থী অ্যানি রাজা। এদিকে রায়বেরালিতে পোস্টাল ব্যালট গণনাতে তার বিজেপি প্রতিদ্বন্দ্বী দীনেশ প্রতাপ সিংয়ের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। এ আসনে বহুজন সমাজ পার্টির ঠাকুর প্রসাদ যাদবও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজেপি ক্ষমতায় আসার সময় থেকেই জাতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস পেয়েছিল মাত্র ৪৪টি আসন। এর পরের নির্বাচন, অর্থাৎ ২০১৯ সালের নির্বাচনে দলটি পেয়েছিল মাত্র ৫২টি আসন। তারপর এই প্রথম শতাধিক আসন পেতে পারে বলে দেখা যাচ্ছে। 

এর আগে, কংগ্রেস যখন ২০০৯ সালে কেন্দ্রে সরকার গঠন করেছিল, সে সময় দলটি এককভাবে পেয়েছিল ২০৬টি আসন। সে সময় অবশ্য কংগ্রেসের জোটের নাম ছিল ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স। সেই জোটও ভালো ফল করেছিল। তবে এবারের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি ও এর জোটকে হারাতে গত বছরের জুনে ইন্ডিয়া জোট গঠন করে কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী দল।

লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে বড় ব্যবধানে জয়ের আশা করছে বিজেপি। উত্তরের রাজ্যগুলোতে দলটির আধিপত্য থাকায়, গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটলগ্রাউন্ড হিসেবে দেখা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, কর্নাটক এবং তেলেঙ্গানাকে।

;

পশ্চিমবঙ্গে মমতা-মোদির কঠিন লড়াই, এগিয়ে বিজেপি

ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গে লোকসভার ৪২টি আসনের ফলাফলে ২১ টিতে জয়ী হয়েছে ক্ষমতাসীন মোদির দল বিজেপি এবং ১৮ টিতে জয় পেয়েছে প্রধান বিরোধী দল ইন্ডিয়া জোট। এই জোটের বিজয়ী ১৮ প্রার্থীর মধ্যে ১৭ জনই তৃণমূলের, একজন কংগ্রেসের।

প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বিজেপিবিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সঙ্গে শীতল সম্পর্ক চলছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সে কারণে এবারের লোকসভা নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোটের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হলেও কার্যত একাই বিজেপির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে তৃণমূল।

২০১৯ সালের নির্বাচনে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর আসনে জয়ী হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী; আর বালুরঘাট আসনে জয় পেয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির প্রধান সুকান্ত মজুমদার। নির্বাচন কমিশনের ফলাফল বলছে, দুই হেভিওয়েট প্রার্থী এবারের নির্বাচনেও নিজেদের আসন ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন।

এছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক এবং তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাতিজা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তার  ডায়মন্ড হারবারের আসন ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। দক্ষিণ কলকাতার আসনের এমপি এবং তৃণমূল নেতা মলয় রায়ও তার আসন ধরে রেখেছেন। তবে উত্তর কলকাতা আসনে বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের কাছে পরাজিত হয়েছে তৃণমূল।

বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল তার মেদিনীপুরের আসন ধরে রাখতে সফল হয়েছেন। কিছু দিন আগে চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া কলকাতার হাইকোর্টের বিচারপতি অভিভিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তমলুক আসন থেকে এবার প্রার্থী হয়েছিলেন। নির্বাচন কমিশনের ফলাফল বলছে, সেই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেস থেকে এগিয়ে আছেন তিনি।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *