সারাদেশ

চতুর্থ ধাপে ৬০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু

ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্ব পরিবেশ দিবসকে সামনে রেখে বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন (বাপসা) ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বোটানিস্ট এনভায়রনমেন্ট ফোরামের (সিইউবিএফ) যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো
সেমিনার। মঙ্গলবার (৪ জুন) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সুলতান আহমেদ হলে ‘করবো ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা, অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যার প্রফেসর ড. শেখ বখতেয়ার উদ্দিন।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও আইএইচআরসি বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট এম এ হাশেম রাজু বলেন, রাসায়নিক ও কীটনাশক অত্যধিক ব্যবহারের কারণে আজকে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রতিটি খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে বিষাক্ততায় পরিপূর্ণ। বাংলাদেশের জনশক্তি এদেশের সম্পদ। কিন্তু এক শ্রেণির কালোবাজারি, চোরাকারবারি লুটেরা গোষ্টীর খাদ্য দূষণের মাধ্যমে জনশক্তিকে দুর্বল করে দিচ্ছে। পাশাপাশি আমাদের চারপাশের মাটি, পানি, বায়ু ও প্রাকৃতিক শক্তির উৎসগুলোকে করছে বিষাক্ত।

সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বোটানিস্ট এনভায়রনমেন্ট ফোরামের সভাপতি বাপসার মহাসচিব পরিবেশবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এম এ গফুর। সঞ্চালনায় ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, কর্ণফুলী নদী গবেষক, রসায়নবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. মো. ইদ্রিস আলী।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান পরিবেশ বাদী ও গবেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, বিশ্ব পরিবেশ দিবস প্রতি বছর আসে যায়, কিন্তু পরিবেশ সুরক্ষায় সরকারকে আজ পর্যন্ত কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখতে দেখিনি। স্বাধীন বাংলাদেশে অধিকাংশ নদী-নালা, জলাশয়, পাহাড় দখলে দূষণে বিপর্যস্ত। মুঘল আমলে অক্সিজেনের আধার হিসেবে যেসব পাহাড়, মাটি, বন জঙ্গল, নদ-নদী ছিল তা আজ ভূমিদস্যু ও মাফিয়াদের দখলে আক্রান্ত। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যত প্রজন্মসহ আমাদের অস্তিত্ব অচিরেই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে অবতীর্ণ হবে। আজ পৃথিবীর জলবায়ু, বায়ু দূষণ, জীব বৈচিত্র্য, পশু পাখি প্রভৃতি রক্ষায় পৃথিবী জুড়ে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে না পারলে ভবিষ্যতে পরিবেশ এবং প্রতিবেশ রক্ষা করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলমত নির্বিশেষে ভূমি পুনরুদ্ধার, মরুকরণ এবং খরা পরিস্থিতি সহ সকল ধরনের দূষণ রুখবার এখনই সময়।

বাপসার সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্ণফুলী নদী গবেষক প্রফেসর ড. মো. ইদ্রিস আলী বলেন, ‘দূষণের কোনো সীমারেখা নাই। এক জায়গা কোনোকিছু দূষিত হলে তা অন্য জায়গায় প্রভাব পড়তে পারে। শব্দ দূষণ, বায়ু দূষণের কারণে মায়ের গর্ভের অনাগত শিশুটিও জটিল অনিরাময়যোগ্য রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এমনকি মারনরোগ ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এখন যদি আমরা নিজেরা দেশ ও জাতি সচেতন না হই, তাহলে আগামী প্রজন্মের নিকট আমাদের জবাবদিহিতা করতে হবে। কোন দেশে আমরা বসবাস করছি যেখানে আইন আছে, সংবিধান আছে- কিন্তু প্রয়োগ নেই। এজন্যই কি দেশ স্বাধীন করেছিলাম?

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বোটানিস্ট এনভায়রনমেন্ট ফোরামের সভাপতি ও বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলনের মহাসচিব পরিবেশ বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এম. এ গফুর বলেন, আজ দেশের ১৮ কোটি মানুষকে একটি সবুজ ছাতার নিচে নিয়ে এসে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জরুরি ভিত্তিতে একজনে ২টি করে গাছ লাগিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্রকে সবুজায়ন করতে পারলেই বাংলাদেশ বাঁচবে।

সেমিনারে আরো বক্তব্য দেন পরিবেশবাদী শারুদ নিজাম, ফরিদ উদ্দিন, পরিবেশ বিজ্ঞানী প্রফেসর সুচারু বিকাশ বড়ুয়া, প্রফেসর আজিজুল হক, পরিবেশবিদ প্রফেসর হামিদুল হোসেন সিদ্দিকী, জালাল উদ্দিন আকবর, প্রফেসর শাহী আলম, মিসেস মাহবুবা চৌধুরী, হোমসিকা দত্ত, প্রফেসর ড. পার্থপ্রতীম ধর, প্রফেসর ড. মহিউদ্দিন, প্রফেসর প্রদীপ বড়ুয়া, আবু তৈয়ব, সাধন কুমার দত্ত, মো. সাইফুল করিম, সাফায়েত উল্লাহ, বাপসার কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সাইফুদ্দিন সালাম মিঠু, যুগ্ম মহাসচিব জসিম উদ্দিন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাত হোসেন ভূঁইয়া, দপ্তর সম্পাদক মো. মইনউদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা শাখার সহসভাপতি এস এম কামরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সদস্য মো. সাজ্জাদ হোসাইন, সদস্য তাহেরা আক্তার শারমিন, তারিক চৌধুরী, তৌহিদুল করিম, ইঞ্জিনিয়ার আবু তৈয়ব, চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক মো. জানে আলম, পরিবেশ সংগঠক ফৌজুল কবির ফজলু, সদস্য ফারহানা আফরোজ খানম, জহির উদ্দিন, শহীদুল ইসলাম শহীদ, মনোয়ার হোসেন, লোকমান হাকিম, মো. আরশে আজিম আরিফ প্রমুখ।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *