সারাদেশ

কোটা সংস্কারের দাবিতে রাতেই আন্দোলনে চবি শিক্ষার্থীরা

ডেস্ক রিপোর্ট: কোটা সংস্কারের দাবিতে রাতেই আন্দোলনে চবি শিক্ষার্থীরা

ছবি: বার্তা২৪.কম

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের(চবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৫ জুন) রাত সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুলফটকের সামনে আন্দোলনে নামেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত,প্লাকার্ড, ফেস্টুন হাতে নিয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন। এসময় তাদেরকে কোটা সংস্কারের দাবিতে সকল কোটা নিপাত যাক, মেধাবীরা চাকরি পাক, বঙ্গবন্ধুর বাংলায়-কোটাধারীর ঠাই নাই, শেখ হাসিনার বাংলায়-কোটার জায়গা নাই। সকল কোটার বাতিল হোক-যোগ্য ব্যক্তির চাকরি হোকসহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।

আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হাজবি হাসান জানান, আজকে আমরা কোটা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে আন্দোলনে নেমেছি। হাইকোর্টের প্রতি সম্মান রেখে আমরা বলতে চাই সরকারি চাকরিতে কোটার ব্যাপারটা যাতে করে পুনরায় বিবেচনা করা হয়। আমরা একটা সরকারি চাকরির স্বপ্ন লালন করে অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করতেছি। এখানে যদি প্রথম শ্রেণীর চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা থাকে তাহলে আমাদের লালিত স্বপ্নগুলো ধুলোয় মিশে যাবে। 

সমুদ্রসৈকতে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে শেকৃবি শিক্ষার্থীরা

সমুদ্রসৈকতে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে শেকৃবি শিক্ষার্থীরা

৫ জুন ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ উপলক্ষ্যে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেছে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (০৬ জুন) দুপুর দেড়টায় কক্সবাজার সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে অনুষদের শিক্ষার্থীরা এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

জানা যায়, এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা দশ দিন শিক্ষাসফরের অংশ হিসেবে ৫ই জুন অবস্থান করেন কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে। এসময় সমুদ্রসৈকত ও এর আশেপাশের স্থানে পড়ে থাকা প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিন ইত্যাদি কুড়িয়ে এই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করেন তারা। এতে অংশ নেন প্রায় চল্লিশ জন শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের এ কার্যক্রমে সহযোগিতা করেন সৈকত পর্যটন পুলিশ।

শিক্ষার্থীদের এমন কার্যক্রমকে স্বাগত জানান উপস্থিত পর্যটকরা। তারা বলেন, এরকম একটি সুন্দর ও মনোরম জায়গায় কিছু মানুষ যত্রতত্র ময়লা ফেলে নোংরা করে, যেখানে সেখানে পলিথিন ও পানির বোতল ফেলে। সচেতন মানুষের আচরণ কখনোই এমন হওয়া উচিত নয়।

সৈকতপাড়ের ফল বিক্রেতা আমির মিয়া বলেন, এখানে যারা ঘুরতে আসেন তারা সবাই শিক্ষিত না। তাই তাদের অনেকেই বিভিন্ন ময়লা, প্লাস্টিক, পলিথিন এখানে ফেলে যায়। তাদের জন্যই জায়গাটির সৌন্দর্য নষ্ট হয়।

সুগন্ধা সৈকত পয়েন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এএসআই নজরুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এমন আয়োজনকে অবশ্যই আমরা স্বাগতম জানাই। বিচে পর্যাপ্ত সংখ্যক ডাস্টবিন দেওয়া আছে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরাও নিয়মিত পরিষ্কার করছেন। কিন্তু অসচেতন কিছু মানুষের জন্য জায়গাটা নোংরা হয়ে থাকে৷ এটা কোনোভাবেই আমাদের কাম্য নয়।

শিক্ষার্থীদের দলটির গাইড হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মো. আব্দুল লতিফ ও অধ্যাপক ড. শাহ জহির রায়হান। শিক্ষার্থীদের এমন উদ্যোগের প্রশংসা করে তারা বলেন, পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে তারা যে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে তা সাধারণ মানুষদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে। যত্রতত্র ময়লা ফেলে পরিবেশ দূষণ করার প্রবণতা কমিয়ে আনতে তরুণদের এ ধরনের উদ্যোগ খুবই দরকারি। সকলেরই এ ধরনের স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে এগিয়ে আসা উচিত।

উল্লেখ্য, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই বাংলাদেশেও নানা আয়োজনে দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’।

১৯৭৪ সাল থেকে প্রতিবছর এ দিনটি ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ হিসেবে পালিত হয়।

;

অবশেষে খুলছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

ফাইল ছবি

দীর্ঘ ৩৬ দিনের বন্ধের পর অবশেষে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)। আগামী রোববার (৯ জুন) থেকে চলবে প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং ইদের পর ২৩জুন থেকে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম।

বুধবার (৫ জুন) অনুষ্ঠিত ৯৫ তম জরুরি সিন্ডিকেট সভা শেষে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘আগামী রোববার থেকে সকল অফিস কার্যক্রম চলবে। যেহেতু শিক্ষার্থীরা অনেকেই বাড়ি চলে গেছে সেজন্য এই সপ্তাহে শ্রেণি কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হয়নি। তাই আগামী ২৩ জুন থেকে শ্রেণি কার্যক্রম চালু হবে।

এই বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মাহমুদুল হাছান বলেন, আমাদের চলমান যে আন্দোলন সে আন্দোলনের দাবি-দাওয়া কতটুকু মেনে নেওয়া হয়েছে সে বিষয় সিন্ডিকেটের লিখিত প্রতিবেদন পেলে জানতে পারবো। তারপর আমরা কার্যনির্বাহী কমিটির সভা থেকে পরবর্তী সিন্ধান্তগ্রহণ করবো।

উল্লেখ্য, গত ৩০ এপ্রিল ৯৩ তম সিন্ডিকেট সভায় উপাচার্য-শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্বের জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

;

গভীর রাতে চুয়েটের হলে শিক্ষকের মদ্যপান, তদন্তে কমিটি

মদ্যপানের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শহীদ তারেক হুদা হলে বসে মদ্যপানের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৪ জুন) চুয়েট প্রশাসন দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম শাফকাত আর রুম্মান। তিনি চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের প্রভাষক।

জানা যায়, গত শুক্রবার (৩১ মে) চুয়েটের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষা সমাপনীর শেষদিন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্কেটবল মাঠে একটি কনসার্ট আয়োজন করা হয়। কনসার্ট চলাকালীন সময়ে ভোর ৪টার দিকে শাফকাত আর রুম্মান বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তারেক হুদা হলে মদ্যপান করতে যান। পরে অভিযুক্ত শিক্ষকের স্ত্রী ও চুয়েটের ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক কাজী জান্নাতুল ফেরদৌস তাকে মদ পান করতে দেখেন। এ সময় অভিযুক্ত শিক্ষক নিজের স্ত্রী ও সহকর্মীকে দেখে উত্তেজিত হয়ে বকাঝকা করতে থাকেন। পরে হলের বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হয়ে তাকে শিক্ষক ডরমিটরিতে পৌঁছে দেন।

এ ঘটনা জানাজানি হলে চুয়েট প্রশাসনের নজরে আসে এবং তারা এর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. সুনীল ধরকে সভাপতি এবং তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আহসান উল্লাহকে সদস্য করে দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

ড. সুনীল ধর বলেন, কমিটির সদস্যকে নিয়ে বসে এ বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করবো। খুব দ্রুতই আমরা কাজ শুরু করবো।

এ বিষয়ে চুয়েটের ডেপুটি রেজিস্ট্রার রাশেদুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মদ্যপানের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী দশ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম জানান, আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও চাকরিবিধি অনুযায়ী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

রাবির দ্বাদশ সমাবর্তন ২৮ নভেম্বর

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দ্বাদশ সমাবর্তন আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (৫ জুন) দুপুরে বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রাবি উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যদ্বয় রাষ্ট্রপতি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. সাহাবুদ্দিনকে অনুরোধ জানালে তিনি এই সম্মতি জ্ঞাপন করেন।

এদিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রণব কুমার পাণ্ডে স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্যটি জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার এবং উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর আজ রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. সাহাবুদ্দিনের সাথে বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় তারা আচার্যকে রাবির শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমসহ সার্বিক বিষয়ে অবহিত করেন। রাষ্ট্রপতি ধৈর্য্য সহকারে তাদের কথা শোনেন। তিনি রাবির সার্বিক উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

এছাড়া, সাক্ষাৎকালে উপাচার্য রাবির দ্বাদশ সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করার জন্য রাষ্ট্রপতির সদয় সম্মতির অনুরোধ জানালে তিনি ২৮ নভেম্বর সমাবর্তনে উপস্থিত থাকবেন মর্মে সম্মতি জ্ঞাপন করেন। এসময় উপাচার্য রাষ্ট্রপতিকে রাবির বার্ষিক প্রতিবেদন হস্তান্তর ও স্মারক উপহার প্রদান করেন।

এর আগে, গত বছরের নভেম্বরে দ্বাদশ সমাবর্তন আয়োজনের ঘোষণা দেয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সমাবর্তনের লক্ষ্যে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া চলে। এতে নির্ধারিত ফি পরিশোধের মাধ্যমে আবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয় ও অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ৩ হাজার ৫৭১ জন শিক্ষার্থী। তবে বিশেষ কারণে সেটা স্থগিত করা হয়।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *