সারাদেশ

চুরির অপবাদে কিশোরকে মারধর, ৯৯৯ কল পেয়ে উদ্ধার করল পুলিশ

ডেস্ক রিপোর্ট: চুরির অপবাদে কিশোরকে মারধর, ৯৯৯ কল পেয়ে উদ্ধার করল পুলিশ

ছবি: বার্তা ২৪.কম

লক্ষ্মীপুরে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল পেয়ে চুরির অপবাদে মারধরের শিকার নিশাদ হোসেন (১৪) নামে এক কিশোরকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহীদ হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন দিঘলী ইউনিয়নের পূর্ব দিঘলী গ্রাম থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সোহেল হোসেন, মো. হাবিব ও মো. হোসেন নামে ৩ যুবকের বিরুদ্ধে নিশাদকে মারধরের অভিযোগ আনে।

নিশাদ দিঘলী ইউনিয়নে পশ্চিম দিঘলী গ্রামের হোসেন আহমেদের ছেলে।

নিশাদ জানায়, শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠে সে দিঘলী পশ্চিম বাজারে ফারুকের দোকানে নাস্তা করতে আসে। নাস্তা শেষে ওই দোকান থেকেই একটি বস্তা নিয়ে মানুষের সুপারি পাড়তে যায়। সেখান থেকে সে বাড়িতে ফিরে। কিছুক্ষণ পরই সোহেল বাড়িতে গিয়ে তাকে ডেকে নেয়। বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে সোহেল তাকে চড়-থাপ্পড় মারে। একপর্যায়ে তাকে কাঠ দিয়েও পেটায়। পরে হাবিব ও হোসেন নামে আরও দুইজন এসে তাকে মারধর করে। সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েও সে রক্ষা পায়নি। বিকেলে ফের ধরে এনে পূর্ব দিঘলী গ্রামে তাকে অভিযুক্তরা এলোপাতাড়ি মারধর করে। খবর পেয়ে নিশাদের জেঠাতো ভাই মো. আলাউদ্দিন জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে তাকে মারধর থেকে রক্ষা কর। পরে পুলিশ তাকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।

নিশাদ হোসেন বলেন, সোহেল তার মোবাইল চুরির অপবাদে আমাকে মারধর করে। কাঠ দিয়েও পিটিয়েছে। পরে হাবিব ও হোসেনও আমাকে মারে। আমি মোবাইল চুরি করিনি। পুলিশ আসলে আমাকে তারা ছেড়ে দেয়।

বক্তব্য জানতে চেষ্টা করেও অভিযুক্ত সোহেল ও হোসেনের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। রাত ১১ টার দিকে অপর অভিযুক্ত হাবিব কল রিসিভ করলে। পরে কথা বলবেন বলে কল কেটে দেন। এরপর থেকে তার মোবাইলফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক কমলা শীষ রায় বলেন, আহত অবস্থায় এক কিশোরকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে জখমের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সে বাড়িতে চলে গেছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহীদ হোসাইন বলেন, ৯৯৯ এ কল পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে নিশাদকে উদ্ধার করি। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ দিলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ট্রেন ভাড়া কত

আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে যাত্রী চলাচল শুরু হবে

দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর তাতেই এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ ৯২ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটল।

ইতোমধ্যেই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ট্রেন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। বন্দর নগরী থেকে ট্রেনে এখন পর্যটনের নগরে যেতে সর্বনিম্ন ভাড়া পড়বে ৫৫ টাকা, আর সর্বোচ্চ ৬৯৬ টাকা।

রেল সচিব হুমায়ন কবির গতকাল শুক্রবার (১০ নভেম্বর) জানান, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত লোকাল ট্রেনের জন্য (দ্বিতীয় সাধারণ শ্রেণির) ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ টাকা। মেইল ট্রেনে এই ভাড়া হবে ৭০ টাকা এবং কমিউটার ট্রেনের ক্ষেত্রে ৮৫টাকা।

এছাড়া সুলভ শ্রেণির আসনের ভাড়া হবে ১০৫ টাকা, শোভন শ্রেণির ভাড়া ১৭০ টাকা, শোভন চেয়ারের ভাড়া ২০৫ টাকা এবং প্রথম চেয়ার (সিটের) ভাড়া ৩১১ টাকা।
আর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে আন্তঃনগর ট্রেনে প্রথম বার্থের টিকেট ৪৬৬ টাকা, স্নিগ্ধা শ্রেণির ভাড়া ৩৮৬ টাকা, এসি সিটের ভাড়া ৪৬৬ টাকা এবং এসি বার্থের ভাড়া জনপ্রতি ৬৯৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সে হিসেবে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত বাসের ভাড়ার তুলনায় ট্রেনের ভাড়া অনেক কম। বন্দর নগরী চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ননএসি বাসের ভাড়া ৩৭০ থেকে ৪২০ টাকা এবং এসি বাসের ভাড়া সর্বনিম্ন ৮৫০ টাকা।

উল্লেখ্য, ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার ট্রেনের সর্বনিম্ন ভাড়া ১৮৮ আর সর্বোচ্চ ভাড়া ১৭২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। জনসাধারণের জন্য আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে শুধু আন্তঃনগর ট্রেন চালুর পাশাপাশি কমিউটার ও মেইল ট্রেনও চালু হবে।

;

বরিশালের শ্মশান দিপালী উৎসব ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা

ফাইল ছবি

বরিশালের দুই শতাধিক বছরের অধিক পুরনো ঐতিহ্যবাহী উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী, সর্ববৃহৎ শ্মশান দিপালী উৎসব সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। নিরাপত্তার চাদরে থাকবে নগরীর কাউনিয়া নতুন বাজার আদি শ্মশান দিপালী অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণ।

শনিবার (১১নভেম্বর) চতুদ্দর্শী পূণ্য তিথিতে শ্মশান দিপালী এলাকায় ২০টি সিসি ক্যামেরার নজরে থাকবে পুরো এলাকা। এ অনুষ্ঠান রোবাবার রাত বারোটা এক মিনিটে কালীপূজা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হবে।

এদিন নিরাপত্তার দায়িত্বে শতাধিক (বিএমপি) পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি টহলে থাকবে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব, গোয়েন্দাসহ শ্মশান রক্ষা কমিটির নিজস্ব ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবে ।

দিপালী উৎসবকে কেন্দ্র করে মাদক সেবন করা হলে বা সেবন করে শ্মশান এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করা হলে তাকে তাৎক্ষনিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাছে সোপর্দ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে শ্মশান রক্ষা কমিটি।

ঐতিহ্যবাহী শ্মশান দিপালী উৎসব অনুষ্ঠানে অন্যান্য বারের মত ভারত, নেপালসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লোক সমাগম হবে।

শ্মশান রক্ষা কমিটির সভাপতি মানিক মূখার্জী কুডু ও সাধারন সম্পাদক তমাল মালাকার বলেন, দিপালী উৎসবকে ঘিরে মৃতদের স্মৃতিচিহ্ন রাখার সমাধীগুলো ধোয়া মোছাসহ নতুন করে নির্মাণ এবং রং তুলির ছোয়ায় ভিন্ন রূপ ধারণ করেছে।

বরিশাল নগরীর কাউনিয়া এলাকায় ২০৬ বছর পূর্বে ৫ একর ৯৫ শতক জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় মহাশ্মশান। এ শ্মশানে ৩০ হাজার পাকাসহ মোট সমাধি রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার। প্রয়াতদের স্বজন যারা বরিশালসহ সারাদেশে তথা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থান করছেন তারা এইদিনে সমাধির পাশে এসে তাদের আত্মার শান্তির কামনায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে প্রার্থনা করেন। কেউ পাঠ করেন গীতা। প্রার্থনা করে অনেক স্বজন প্রয়াতের জন্য কান্নায় ভেঙে পড়েন। বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের পাশাপাশি শিশুরাও আসে প্রিয় প্রয়াতের জন্য প্রার্থনা করতে। শনিবার সন্ধারাত থেকে সারা রাত মোমবাতির আলোয় আলোকোজ্জ্বল হয়ে ওঠবে পুরো শ্মশান।

;

আকাশপথে মাতারবাড়ির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী

ছবি: বার্তা২৪.কম

বহুল কাঙ্ক্ষিত ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন শেষে ১২ কিলোমিটার রেলপথ পাড়ি দিয়ে রামু থেকে মাতারবাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে রামু স্টেশন থেকে সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে মাতারবাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।

এর আগে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের উদ্বোধনের পর আইকনিক রেলস্টেশন থেকে টিকিট কেটে ট্রেনে উঠেন। এসময় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ৩০০ যাত্রীর সঙ্গে কক্সবাজার রেলস্টেশন যান বঙ্গবন্ধু কন্যা।

মাতারবাড়ির জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ শেষে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে নির্মিত মাতারবাড়ি ১২ শ’ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ ৫৩ হাজার কোটি টাকার বেশ কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন তিনি।

;

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও সিন্ডিকেট দমনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

ছবি: বার্তা২৪.কম

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ও সিন্ডিকেট দমনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জাতীয় জনতার জোট।

শনিবার (১১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করে তারা।

বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি এবং জাতীয় জনতার জোটের চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসাইন। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সর্বজনীন দলের চেয়ারম্যান মো. রাসেল কবির।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বাংলাদেশ জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি এবং জাতীয় জনতার জোটের চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসাইন বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বর্তমানে সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা টিসিবির ট্রাকের পেছনে বিশাল লাইন প্রমাণ করে দরিদ্র মানুষেরা স্বল্প আয়ে সংসার চালাতে পারছে না এবং মূল্যস্ফীতির সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারছেন না।

তিনি বলেন, স্বল্প আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের জীবনধারণ ক্রমশ দুর্বিষহ হয়ে পড়ছে। তাদের কাছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি যেন নতুন এক অভিশাপের নাম। এভাবে চলতে থাকলে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে পড়বে।

মো. দেলোয়ার হোসাইন বলেন, দেশে বিভিন্ন ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যেরমূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যার জন্য জনজীবনে অনেক দুর্ভোগ নেমে এসেছে। বাজারের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলছে। একবার যে পণ্যের দাম বাড়ে, তা আর কমে না। সরকারি বিভিন্ন সংস্থাগুলোর এ ব্যাপারে লোক দেখানো কাজ করলেও, তা তেমন কার্যকর ভূমিকা না রাখায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসছে না।

তিনি আরও বলেন,দ্রব্যমূল্যের এমন ঊর্ধ্বগতি চলতে থাকলে অতি দ্রুত আমাদের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে। বিশ্ব আরও একটা শ্রীলংকা দেখবে। সুতরাং সরকারকে এখনই যুগোপযোগী ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। দেশ থেকে সকল সিন্ডিকেটের কালো হাত ভেঙে চুরমার করে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। বাজার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি এসব দরিদ্র লোকের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। বর্তমানে অসংখ্য শিক্ষিত বেকার যুবক চাকরির জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের বেসরকারি খাতে সঠিক নীতিমালা প্রনয়ণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি বলেন, কোভিড মহামারির ধাক্কায় গত দুই আড়াই বছরের মধ্যে অনেকে চাকরি হারিয়েছেন। আবার অনেকেই বেতন- ভাতা বৃদ্ধি তো দূরের কথা বরং মালিকপক্ষ নানান অজুহাতে কর্মীদের বেতন-ভাতা কমিয়ে দিচ্ছে। কোথাও কোথাও কর্মী ছাঁটাই করছে। দ্রব্যমূল্য না কমলে এসব মানুষের অবস্থা কোন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়াবে, তা অনুমান করা খুব মুশকিল।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *