সারাদেশ

সৌদি পৌঁছেছেন ৬৭ হাজার ১৩৮ হজযাত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট: পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে গিয়ে একজন বাংলাদেশী নারী হজযাত্রী মারা গেছেন। তার নাম মমতাজ বেগম (৬৩)। বাড়ি ফরিদপুরের নগরকান্দায়।

বুধবার (৫ জুন) পবিত্র মক্কায় মারা যান তিনি।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) হজ পোর্টালে আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ১১ জন বাংলাদেশী হজযাত্রী সৌদি আরবে মারা গেছেন। এদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ, একজন নারী। মক্কায় আটজন এবং মদিনায় তিনজন বাংলাদেশী হজযাত্রী মারা গেছেন।

শুধু বাংলাদেশ নয়, বিভিন্ন দেশ থেকে আগত হজযাত্রীরা ইন্তেকাল করেন। ফলে অনেকেই জানতে চান, সৌদি আরবে কোনো হজযাত্রীর ইন্তেকাল হলে কী হয়?

মক্কা-মদিনা দুই জায়গাতেই প্রায় প্রতি ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পর জানাজার নামাজ হয়। হজযাত্রী এবং আশপাশের এলাকার যারা মারা যান, তাদের জানাজা এই দুই পবিত্র মসজিদে হয়ে থাকে।

মরদেহের গোসল করানো, কাফন পরানো, জানাজা পড়ানো ও দাফন করাসহ যাবতীয় কাজ নির্দিষ্ট বিভাগ করে থাকে।

কোনো কোনো ওয়াক্তে একাধিক জানাজাও হয়ে থাকে। ফরজ নামাজের পর সঙ্গে সঙ্গে সুন্নত নামাজ শুরু না করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় জানাজার জন্য। হজযাত্রীদের তাই জানাজার নিয়মকানুন ভালো করে শিখে যাওয়া উচিত।

প্রত্যেক হজযাত্রী হজে গমনের আবেদনপত্র পূরণ ও স্বাক্ষর করেছেন। সেই আবেদনপত্রে অঙ্গীকার করেছেন, সৌদি আরবে মৃত্যু হলে মরদেহ সেখানেই দাফন করা হবে। কোনো ওজর–আপত্তি থাকবে না, এমনকি পরিবার–পরিজনের কোনো আপত্তি গ্রাহ্য করা হবে না। তবে হজযাত্রীর জিনিস নির্দিষ্ট কিছু প্রক্রিয়া শেষে দেশে পাঠানো হয়। সেগুলো পরে হজ অফিস থেকে সংগ্রহ করতে হয়।

সৌদি আরবে হজ করতে আসা বাংলাদেশিসহ কোনো হজযাত্রীর মক্কা-মদিনার হোটেলে, চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে কিংবা রাস্তায় দুর্ঘটনার কারণে ইন্তেকাল করলে তাদের কাফন-দাফনের ব্যবস্থা সৌদি সরকার করে থাকে।

এর আগে নিকটস্থ হাসপাতাল অথবা বাংলাদেশ হজ কার্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে চিকিৎসকের সনদ সংগ্রহ করা হয়। তারপর মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়। মৃত ব্যক্তির আত্মীয়স্বজন বা কাছের কেউ শনাক্ত করেন। তা সত্যায়িত করার জন্য মোয়াল্লেম অফিস থেকে ছাড়পত্র সংগ্রহ করতে হয়। বাংলাদেশ হজ মিশনের কার্যালয় থেকে সনদ সংগ্রহ করা হয়।

মক্কায় হজযাত্রী মারা গেলে মসজিদে হারামে জানাজার নামাজ পড়া হয়, আর মদিনায় মারা গেলে মসজিদে নববিতে জানাজা পড়া হয়। জেদ্দায় মারা গেলে জেদ্দায় জানাজা পড়া হয়।

জানাজা শেষে মক্কার শারায়া (হজযাত্রীদের জন্য কবরস্থান) কবরস্থানে দাফন করা হয়। মদিনার জান্নাতুল বাকি কবরস্থানে অথবা জেদ্দায় কবরস্থানে দাফন করা হয়।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *