সারাদেশ

বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে মেজাজ হারালেন অর্থমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট: বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের ওপর মেজাজ হারালেন অর্থমন্ত্রী

বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের ওপর মেজাজ হারালেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। সাংবাদিকদের প্রশ্নকে ‘সরলীকরণ’ উল্লেখ করে মেজাজ হারিয়ে তিনি বলেন, আপনি তো সরলীকরণের জিনিসটা খুবই রপ্ত করে ফেলেছেন। এগুলো তো একবারে ওভার সিমপ্লশেসন। 

শুক্রবার (৭ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠানে কথা বলেন তিনি।

সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল – বড় বাজেট বলা হলেও অর্থনৈতিকভাবে মানুষের জীবন চলাচলে অর্থনীতি খাটো হয়ে যাচ্ছে সম্পর্কিত উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরলীকরণ বিষয়টি আপনি রপ্ত করে ফেলেছেন। এভাবে কি ইকনোমি চলে নাকি। আর একটু পড়ে টড়ে আসবেন। একটু মেুচউরিটি নিয়ে আসেন। প্রশ্ন ট্রশ্ন যখন করেন।

অপ্রদর্শিত সম্পদের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিলে সে অর্থ বা সম্পদ সম্পর্কিত আরেক প্রশ্নে মেজাজ হারিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা তো কোন রাগ ঢাক করিনি। আপনারা একি কথায় যাচ্ছেন কেন। এটা তো বুজতে পারলাম না। কীভাবে প্রশ্ন করতে হবে এগুলাও একটু শিখতে হবে আপনাদের। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, কারণ এটা কোন সাংবাদিকতা না। শুধু এক কথাই ঘুরে ফিরে বলেন এবং অতি সরলীকরণ। এভাবে চলে নাকি? সমাজ সংসার এভাবে চলে? একটু দেখেন, দেখে একটু শিখেন। তাহলে আমাদেরও কাজ করতে সুবিধা হবে।

পরে একাধিকবার নানা প্রশ্নে মেজাজ হারান মন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনের মঞ্চে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন ।

এছাড়া স্থানীয় সরকার পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান এবং এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম উপস্থিত ছিলেন।

প্রস্তাবিত বাজেটের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে শুরুতেই বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী। এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্ন নিয়ে সেসবের উত্তর দেন তিনি

বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে গভর্নরকে বয়কট, সুযোগ পেলেন না কথা বলার

সংবাদ সম্মেলনের বেশির ভাগ সময় এভাবেই বসে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। রীতি অনুযায়ী বাজেট ঘোষণার পরদিন সংবাদ সম্মেলন করেছেন অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে ১০ জন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপদেষ্টা। 

শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে সূচনা বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধা অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। সে জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা কেউ তাঁর বক্তব্য শুনব না। তিনি যেন কোনো বক্তব্য না দেন, সে বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বক্তব্য দিলে আমরা তা বয়কট করব।’

এরপর পুরো সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেননি গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নানা বিষয় নিয়ে প্রশ্নের জবাব দেন অর্থমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারসহ অন্যরা।

এমন পরিস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনের বেশির ভাগ সময় গভর্নরকে গালে হাত দিয়ে চুপচাপ বসে থাকতে দেখা যায়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, পরিকল্পনা মন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব) আব্দুস সালাম, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বাণিজ্যমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

  সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ ;

পাট রফতানি কমেছে, বেড়েছে চা ও চামড়া

ছবি: সংগৃহীত

পাট, কৃষিজাত পণ্য ও হিমায়িত খাদ্যের রফতানি কমেছে, বেড়েছে চা, চামড়া ও শিল্পজাত পণ্যের। সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে চায়ে, এ খাতে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে ২০০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) চা রফতানির আয় ছিল ১ মিলিয়ন ডলার, চলতি অর্থবছরে একই সময়ে চা রফতানি থেকে আয় হয়েছে ৩ মিলিয়ন ডলার। চায়ের পরে রয়েছে হস্ত শিল্পজাত দ্রব্যের। ওই খাত থেকে আয় এসেছে ২৩ মিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ৪ মিলিয়ন বেশি। জুতা রফতানি বেড়েছে ২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, কাঁচাপাট রফতানি কমেছে ৪.৮৯ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রথম ৮ মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) কাঁচাপাট রফতানির আয় ছিল ১৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর চলতি অর্থবছরের একই সময়ে কাঁচাপাট রফতানি হয়েছে মাত্র ১০০ মিলিয়ন ডলার। কাঁচাপাট রফতানি কমলেও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় পাটজাত পণ্যের রফতানি ২ মিলিয়ন ডলার বেড়েছে। চলতি অর্থবছরে গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাটজাত পণ্য থেকে রফতানি আয় হয়েছে ৪৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে আরও কমেছে প্রাথমিক পণ্যের (কাঁচাপাট, চা, হিমায়িত খাদ্য, কৃষিজাত পণ্য ও অন্যান্য) রফতানি আয়। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রাথমিক পণ্যের রফতানি আয় হয়েছে মোট রফতানি আয়ের ২.৬৩ শতাংশ, যা আগের বছরে ছিল ২.৯ শতাংশ। অন্যদিকে শিল্পজাত পণ্যের অনুপাত বেড়েছে। আগের বছর ছিল ৯৭.১ শতাংশ, চলতি অর্থবছরে এসেছে ৯৭.৩৭ শতাংশ।

রফতানির পরিমাণ কমলেও দেশ হিসেবে এবারও শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে মোট রফতানির পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ১০৩.১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা পূর্ববতী বছরের তুলনায় ৩৩৬ মিলিয়ন ডলার কম। একইভাবে জার্মানিতে রফতানির পরিমাণ কমলেও দেশটি থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয় এসেছে। জার্মানিতে আগের বছরের তুলনায় রফতানি কমেছে প্রায় ৫৯৪ মিলিয়ন ডলার। জার্মানিতে মোট রফতানির (৮ মাসে) পরিমাণ রেকর্ড করা হয়েছে ৪ হাজার ৩১২ মিলিয়ন।

দেশ ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, আগের বছরের তুলনায় রফতানি বেড়েছে যুক্তরাজ্যে। দেশটিতে মোট রফতানি হয়েছে ৪ হাজার ৪৫ মিলিয়ন ডলার। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩ হাজার ৫৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

  সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ ;

মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে বাজেটের আকার ছোট করা হয়েছে: অর্থমন্ত্রী   সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ

ছবি: বার্তা২৪.কম

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, মূল্যস্ফীতির চাপ যাতে না বাড়ে সেজন্য বাজেটের আকার কমিয়ে রেখেছি। মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (৭ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি এখনো ৯ শতাংশের ঘরে রয়েছে। বৈশ্বিক কারণে মুদ্রার ওপর চাপ বাড়ায় টাকার মান কমেছে। মূল্যস্ফীতি বাড়ার জন্য এটা কারণ।

তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, নিয়েছি। আরও যেসব পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, আমরা নেবো। আশা করি মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে নেমে আসবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেট ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে বেসরকারি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া স্ট্যান্ডার্ড প্রসেসিং। ঘাটতি মেটাতে সবাই ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, পরিকল্পনা মন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব) আব্দুস সালাম, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বাণিজ্যমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

  সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ ;

নতুন অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি কমানোকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী   সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ

ছবি: বার্তা২৪.কম

নতুন অর্থবছরে বাজারে মূল্যস্ফীতিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেওয়া হয়েছে বলে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

শুক্রবার (৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, নতুন অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি কমানোকে একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে আমরা নিয়েছি।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বিষয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, টিসিবির পণ্য সাধারণ মানুষের কাছে আরও বেশী জোরদার করার জন্য আমরা ট্রাকসেলের সাথে স্থায়ী দোকান বরাদ্দ দেওয়া কার্যক্রম চলমান রেখেছি। একই সাথে টিসিবি সেল প্রতিষ্ঠানে ভুর্তকি মূল্যর পাশাপাশি নায্যমূল্য পণ্য বিক্রি করা হবে।

বেনজির যদি ১৫ শতাংশ কর দেয় তাহলে সেটা কি বৈধ হয়ে যাবে এই প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান বলেম, তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ দুদক তদন্ত করছে। তার সব সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছে। চূড়ান্ত বিচারে সে অপরাধী হলে তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে গতকাল জাতীয় সংসদে দেশের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বড় আকারের এই বজেটে ঘাটতি রয়েছে এবার ঘাটতিই থাকবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।

নতুন অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটে এনবিআরকে রাজস্ব আয়ের টার্গেট দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। নন-এনবিআর থেকে আসবে আরও ১৫ হাজার কোটি টাকা। আর কর ব্যতীত প্রাপ্তির টার্গেট থাকছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, পরিকল্পনা মন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব) আব্দুস সালাম, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বাণিজ্যমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

  সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ ;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *