খেলার খবর

‘কোপাতেই মেসির শেষ নয়’, বললেন লিসান্দ্র 

ডেস্ক রিপোর্ট: ২০১৬ কোপা আমেরিকার ফাইনালে হারের পর আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনালের হারের পর কোপাতেও টানা দুই ফাইনালের হার যেন মানসিকভাবে পুরোপুরি ভেঙে দিয়েছিল এই আর্জেন্টাইন তারকাকে। তবে সেই অবসর ভেঙে ২০১৮ বিশ্বকাপে ফিরলে সেখানে আলবিসেলেস্তেরা বিদায় নেয় শেষ ষোলো থেকেই। তবে সেবার আর ভেঙে পড়েননি ফুটবল বিশ্বের এই অন্যতম মহাতারকা। সেই ধৈর্যই যেন তৎকালের কিছু না পাওয়া মেসিকে এখন বানিয়েছে পরিপূর্ণ। ২০২১ কোপা আমেরিকা জয়ের পর ২০২২-এ ফিনালিসিমা ও বিশ্বকাপ ট্রফি। মহাদেশীয় দুই শিরোপার পর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন তকমা লাগিয়েও থামেননি মেসি। খেলবেন কোপা আমেরিকার আসছে ২০২৪ আসরেও। 

কোপা এই আসরটা যেন আগে থেকেই ভেবে রেখেছিলেন মেসি। গতবছর ইউরোপের পাট চুকিয়ে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে। এই যুক্তরাষ্ট্রেই বসছে এবারের কোপার আসর। আবার ২০২৬ বিশ্বকাপটাও মেক্সিকোর ও কানাডার সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজন করবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে কী মেসি কোপার পর বিশ্বকাপটাও খেলবেন মেসি? এখনই শেষ হচ্ছে না তার আন্তর্জাতিক যাত্রা? ২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে এখনো নিশ্চিত না হলেও মেসির শেষ যে এখানেই না তা জানালেন তার জাতীয় দলের সতীর্থ লিসান্দ্র মার্তিনেজও। 

মেসির বয়সটা এখন ৩৭। ২০২৬ বিশ্বকাপের সময় যা দাঁড়াবে ৩৯-এ। এতে বিশ্বকাপে খেলাটা তার জন্য অনেক কঠিন হবে এমনটা জানিয়েছিলেন মেসি নিজেও। তবে মেসির এই বয়সেও ফর্ম, ম্যাচ বোঝার ক্ষমতা সব মিলিয়ে এখানেই মেসির শেষ দেখছেন না লিসান্দ্র। 

যুক্তরাষ্ট্রে এই মুহূর্তে অনুশীলনরত আর্জেন্টিনা দল। সেখানেই গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে লিসান্দ্র বলেন, ‘তিনি খুবই শান্ত। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে তিনি প্রতিটা দিনই উপভোগ করছেন। দলের সঙ্গে থাকতে পেরে তার খুব ভালো লাগছে। আমাদের সবার মধ্যেই দারুণ একটা সম্পর্ক আছে।’ 

সব ছাপিয়ে জাতীয় দলে থাকার বিষয়টিকে অনেক এগিয়ে রাখলেন এই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ডিফেন্ডার। ‘যখন কেউ দলের সঙ্গে থাকে, তখন সে খুশি থাকে। ঘরের মতো অনুভব হয়, যা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আর্জেন্টিনার হয়ে এটাকে (কোপা) তার (মেসির) শেষ টুর্নামেন্ট হিসেবে দেখছি না। আমরা তাকে দারুণ পর্যায়ে দেখছি। এটুকুই বলতে পারি।’

মেসি মতো কেউ দলে থাকাই মানেই বাড়তি অনুপ্রেরণার। বাড়তি পাওয়া, যেন মেঘ না চাইতেই জল। এমন কাউকে সতীর্থরা এতো সহজে ছাড়তে চাইবে না এটাও যে স্বাভাবিক। ‘তিনি বিশ্বের সেরা। তাকে আমাদের দলের হয়ে খেলানো নিঃসন্দেহে একটি বাড়তি পাওয়া। তার সঙ্গে প্রতিটা দিন ভাগাভাগি করতে পেরে আমরা খুবই খুশি।’ 

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ ডট কম-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *