সারাদেশ

বাজেটকে ইতিবাচক মনে করেন রওশন এরশাদ

ডেস্ক রিপোর্ট: বাজেটকে ইতিবাচক মনে করেন রওশন এরশাদ

বাজেটকে ইতিবাচক মনে করেন রওশন এরশাদ

বাজেটকে আমরা ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। 

তিনি বলেন, আমরা বিরোধী অবস্থানে আছি বলে বাজেট পেশ হবার পর তার বিরোধীতা করতে হবে এই নীতিতে বিশ্বাসী নই। 

শনিবার (৮ জুন) নিজ বাসভবনে বাজেট প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, দেশকে এগিয়ে নেবার জন্য বাজেটের আয়তন বড় করতেই হবে। হয়তো আগামীতে আমরা আরও বড় বাজেট দেখতে পাবো।

তিনি বলেন, আমরাও সরকারে ছিলাম এবং বাজেট প্রণয়ন করেছি। আমি বিশ্বাস করি কোনো সরকারই দেশ ও জনগণের স্বার্থের পরিপন্থী কোনো বাজেট প্রণয়ন করে না। দেখতে হবে- প্রণীত বাজেট বাস্তবায়নে সরকার দক্ষতার পরিচয় দিতে পারে কীনা। দেশে সার্বিকভাবে বিরাজমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলার মতো সবার কাছে মনোপুত একটা জাতীয় বাজেট প্রণয়ন করা খুবই কঠিন কাজ। এই বাজেট প্রণয়নে আমি সরকারের আন্তরিকতার পরিচয় পেয়েছি। এই বাজেটের সফল বাস্তবায়ন হোক- আমরা সেটাই আশা করব।

তিনি আরও বলেন, এই বাজেটকে আমরা আরও গভীরভাবে পর্যালোচনা করব। দেশ ও জনস্বার্থের কথা চিন্তা করে বাজেট বাস্তবায়নে আমাদের পরামর্শ সরকারের কাছে তুলে ধরব। আমরা জানি, বিশ্বব্যাপী দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বিরাজ করছে। আমরাও সেই সমস্যা ভোগ করছি। এছাড়াও আমরা দেশে ঘুষ-দুর্নীতি, বেকারত্ব, স্বাস্থ্যসেবা সমস্যা এবং পরিবেশগত বিপর্যের মুখোমুখি আমাদের হতে হচ্ছে। এসব সমস্যা আমাদের সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করতে হবে। যে কোনো জাতীয় সমস্যা সমাধানের জন্য সাহায্য চাইলে আমরা অবশ্যই আমাদের সাধ্য মতো সহযোগিতা করব।

তিনি বলেন, এই বাজেট পাসের আগে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রেণে রাখার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ, বেকার সমস্যা সমাধানের উদ্যেগ গ্রহণ করা, গ্রামীণ জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণ, ঘুষ ও দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকার আরো কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবেন। আমরা চাই সামনের অর্থবছরের জন্য যে বিশাল বাজেট প্রণীত হয়েছে, তা যেন জনগণের কল্যাণ ও দেশবাসীর জন্য বাস্তবায়িত হয়।

৬ দফা ঘোষণাই ছিল স্বাধীনতার প্রথম ভিত্তির সোপান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি: বার্তা২৪.কম

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফাই ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ভিত্তি সোপান।

শুক্রবার (৭ জুন) সকালে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস পালনোপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের প্রথম স্বাধীনতা বার্ষিকীর দুদিন আগে ১২ আগস্ট এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, ১৪ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস অর্থহীন। কেননা পাকিস্তান নামক সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র কাঠামোয় কখনো বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠা ও পরিপূর্ণ মুক্তি অর্জন সম্ভব নয়। ১৯৫৮ সালে বঙ্গবন্ধু যখন কারাগারে তখন কমিউনিস্ট পার্টি নেতা কমরেড মনি সিংহেকে লেখা এক চিঠিতে বলেছিলেন, আমি স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আপনারা আমার সাথে থাকবেন কিনা বলুন। বঙ্গবন্ধু এও জানতেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য কে তাঁর পাশে থাকবেন বা থাকবেন না এটা বড় কথা নয়। তাঁকে কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতার জন্য ধাপে ধাপে প্রস্তুতি নিতে হবে। এই স্বাধীনতার লড়াইয়ের প্রথম প্রস্তুতি লড়াই ছিল ঐতিহাসিক ৬ দফার ঘোষণা।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান আন্দোলনের পক্ষে একজন সম্মুখ কাণ্ডারী হলেও দেশ বিভাগের পূর্বেই বুঝে গিয়েছিলেন বাঙালির দাসত্বের শৃঙ্খল ঘুচবে না। সেদিন এই অমোঘ সত্যটি তখনকার সময়ে অনেক সিনিয়র নেতা না বুঝলেও তরুণ শেখ মুজিবুর রহমান বুঝতে পেরেছিলেন বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য তাঁকে একাই হাল ধরতে হবে। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে অনেকগুলো ধাপ পেরিয়ে বঙ্গবন্ধু ডাক দিয়েছিলেন এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম; এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম। তিনি এই ঘোষণার মাধ্যমে সরাসরি স্বাধীনতা ঘোষণা না করলেও বাঙালিকে একটি জনযুদ্ধ শুরু করার প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছিলেন।

ঐ সময়কার পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এই মর্মে রিপোর্ট করেছিল যে, শেখ মুজিব সুকৌশলে স্বাধীনতার ঘোষণা করলেও আমাদের করার কিছুই ছিল না। আমরা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখলাম। তাই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণার প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করার পরও তাঁকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে অপবাদ দেওয়ার কোন সুযোগ তিনি দেননি। তাই মহান মুক্তিযুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিশ্ব বিচ্ছিন্নতাবাদী অপচেষ্টা বলে অভিহিত করতে পারেননি। এটাই ছিল বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী রাজনৈতিক কৌশলের সার্থকতা।

তিনি আরো উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর একটি যুদ্ধ বিধস্ত দেশকে সোনার বাংলায় রূপায়নে স্বপ্ন দেখেছিলেন কিন্তু ৭১ এর পরাজিত শক্তি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের মদদে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করলেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্নকে চূর্ণ করতে পারে নি। তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা একটি বিপন্ন তরীর হাল ধরে এদেশকে আন্তর্জাতিক বিশ্বে মর্যাদাবান জাতিরাষ্ট্রে উন্নীত করেছেন।

বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশ ৬০তম অর্থনৈতিক দেশ থেকে ৩২তম দেশে অবস্থানে উন্নীত হয়েছে। ২৮টি দেশকে পেছনে ফেলেছে। পিছিয়ে ফেলা দেশগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরও আছে। আমরা অনেক উন্নয়ন ও মানবিক সূচকে পাকিস্তান তো বটেই প্রতিবেশী ভারতকেও পেছনে ফেলেছি। জাতীয় প্রবৃদ্ধির হার ভারতের চেয়ে এগিয়ে। এসব কিছু সম্ভব হয়েছে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতা ও দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাছান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, সিডিএ চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য মোঃ ইউনুছ, উপদেষ্টা আলহাজ্ব সফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য নোমান আল মাহমুদ, কার্যনির্বাহী সদস্য আব্দুল লতিফ টিপু, নেছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু প্রমুখ। এছাড়া ১৫টি থানা ৪৪ সাংগঠনিক ওয়ার্ড ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্বতঃর্ফূতভাবে ৬ দফা দিবসের আলোচনা সভায় অংশ গ্রহণ করেন।

;

গুটি কয়েক অলিগার্কের জন্য এ বাজেট: আমির খসরু

ফাইল ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেট দেশের গুটি কয়েক অলিগার্কের জন্য। এদের ব্যবসা বাণিজ্যের সুবিধার জন্য বাজেট। সাধারণ মানুষের জন্য বাজেট হওয়ার কোনো সুযোগ নেই এখানে।

শুক্রবার (৭ জুন) বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এক প্রেসবার্তায় তা জানান।

তিনি বলেন, তারা (সরকার) বিদ্যুৎ চুরি করবে আর সাধারণ মানুষকে বিদ্যুতের বিল দিতে হবে। পানি গ্যাস সব জায়গায় তাদের পকেট ভরার জন্য সাধারণ মানুষের পকেট থেকে আসবে সেই টাকা। একদিকে তো কোনো রিসোর্স নেই সব খালি করে দিয়েছে, আগামীতে যতটুকু আসবে সেটাতো সাধারণ মানুষের থেকে দিতে হবে।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ব্যাংকিং সেক্টর খালি করে ফেলছে, বাংলাদেশের রিজার্ভের অবস্থা খারাপ, ফরেন কারেন্সির অবস্থা খারাপ। মানে যে রিসোর্সগুলোর ওপর ভিত্তি করে বাজেট হয়, বাংলাদেশে তো আজকে সেগুলো অনুপস্থিত।

তিনি বলেন, বাজেট আর কী, যেখানে একটা অনির্বাচিত সরকার, যাদের কোনো ম্যান্ডেট নেই বাজেট দেওয়ার। কারণ তারা কোনো নির্বাচিত সরকার নয়, এই ব্যাপারে কারও মনে কোনো সন্দেহ নেই। আর বাজেট দেয় কী দিয়ে? একটা দেশের রিসোর্সের ওপর ভিত্তি করেই তো বাজেট দেওয়া হয়। বাংলাদেশের বর্তমান রিসোর্স কী আছে? ব্যাংক খালি, বাংলাদেশের দেনা বাড়তে বাড়তে কোন জায়গায় গিয়েছে এখন, এখানে দেনা শোধ করতে বাজেটের বড় একটা অংশ চলে যাচ্ছে।

অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর প্রসঙ্গে আমির খসরু মাহমুদ বলেন, এখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে একটা নির্বাচিত সরকার হতে হবে। একটা মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে সবার সমান সুযোগ থাকতে হবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড রাজনীতিতে থাকতে পারে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড অর্থনীতিতে থাকতে হবে। তাহলেই জাতির প্রত্যেকটা মানুষের তার নিজের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সে অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারবে, রাজনীতিতে অবদান রাখতে পারবে।

;

ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে যুবককে জিম্মি করে টাকা দাবির অভিযোগ

ফাইল ছবি

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে বাধন নামে এক যুবককে তুলে নিয়ে আটকে রেখে চাদাদাবির অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পরে ওই ভুক্তভোগীর নানা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে স্থানীয় চেয়ারম্যান মধ্যেরাতে ডেকে এনে সাদা কাগজে সাক্ষর নেয়।

শুক্রবার ( ৭জুন) লিখিত অভিযোগ পাওয়ায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল। এরআগে মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগী যুবক ও তার বন্ধুকে জিম্মি করে প্রায় এক ঘণ্টা আটকিয়ে রাখেন তারা।

অভিযুক্তরা হলেন- মৃত আকবর আলীর ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাইনূল আরেফীন সপু (৩৬), গদা গ্রামের নজরুল ইসলাম ভাংচুরের ছেলে ও সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আযাদ হোসেন আওলাদ মিয়া (২৬), কেশবা গ্রামের ভুট্টু মিয়ার ছেলে শেখ সাদী (১৯) কলেজ পাড়ার সামসুল ইসলামের ছেলে বাবু (৩০), ও তার বন্ধু আকাশ (২৭)।

ভুক্তভোগী ও তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী বাধন ও তার বন্ধুুদের আটকিয়ে মোটরসাইকেল ও মোবাইল কেড়ে নিয়ে তাদের জিম্মি করে পাশ্ববর্তী একটি ভূট্টা ক্ষেতে নিয়ে যায়। পরে তাদের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে পরিবারের লোকজনকে কল দিয়ে বিকাশের মাধ্যমে টাকা নিতে বলেন। সে সময়ে তারা টাকা দিতে অস্বীকার করায় ভুক্তভোগী ও তার বন্ধুদের মারধর করা হয়। এরপরে বিষয়টি জানাজানি হলে তারা বাধনকে মোটরসাইকেলে অন্য জায়গায় নিয়ে গিয়ে আটকিয়ে রাখেন। পরে তারা পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানালে তারা স্থানীয় ইউপি সদস্যের পরামর্শে থানা পুলিশের সহায়তায় নিতে আসেন। পরিবারের লোকজন থানায় আসার খবর শুনে অভিযুক্তরা বাধন ও তার দুই বন্ধুকে ছেড়ে দেন। পরে বাধনের নানা বাদী হয়ে রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরে রাত ৩টায় সদর ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেনেট বাবু মাইক্রোবাস পাঠিয়ে বাড়ি থেকে বাদীকে নিয়ে এসে মিমাংসার কথা বলে সাদা কাগজে সাক্ষর নেন।

এ বিষয়ে বাধনের নানা মোকছেদুল ইসলাম বলেন, আমার নাতিকে আটকিয়ে আমাদের কাছে পাঁচ লাখ টাকার জন্য কল করলে আমি স্থানীয় মেম্বারের পরামর্শে থানায় অভিযোগ করতে আসি। আসার পরে তারা আমার নাতি ও দুই বন্ধুকে ছেড়ে দেয়। আমি রাতেই লিখিত অভিযোগ করে বাড়িতে যাই। যাওয়ার পরে গ্রেনেট বাবু চেয়ারম্যান কল করে গাড়ি পাঠিয়ে আমাকে আসতে বলে, তারপর আমি তার পাঠানো গাড়িতে আসি। আসার পরে তারা মিমাংশার কথা বলে সাদা কাগজে সাক্ষর নেয়, আর সব কতাবার্তা ভিডিও করে রাখেন।

এ বিষয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল বলেন, এজাহার দিয়েছিল এবং বাদী তা প্রত্যাহারও করে নিয়েছে। কি কারণে বাদী প্রত্যাহার করেছে তা আমার জানা নেই।

;

ছয় দফা স্বাধীনতা আন্দোলনের মাইলফলক: কাদের

ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ছয় দফা হচ্ছে স্বাধীনতা আন্দোলনের মাইলফলক। ছয় দফা স্বাধীনতা সংগ্রামের টার্নিং পয়েন্ট। যারা ছয় দফা মানে না, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না।

ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষ্যে শুক্রবার (৭ জুন) সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ছয় দফা বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুর যে আহ্বান, তারই সাথে ৭ জুনের হরতালে বেশ কয়েকজন শ্রমিক নেতা নিহত হন। ছয় দফার ভিত্তিতে ১১ দফা আন্দোলন শুরু করে ছাত্রসমাজ। ৬৫’তে পাক-ভারত যুদ্ধে পূর্ব বাংলার কোনো নিরাপত্তা ছিল না। পূর্ব বাংলাকে রক্ষা করার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। সেই কারণে ছয় দফার প্রয়োজন বেশি ছিল।

তিনি বলেন, ছয় দফা না হলে ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান হতো কি না সেটিই হলো বড় কথা। এই ছয় দফা আমাদের ইতিহাসের বাক পরিবর্তন করেছে। ৭৫-এর পর ৭ জুন ও ৭ মার্চ এসব দিবসকে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। যারা নিষিদ্ধ করে দেয়, তারা ৭৫-এর খুনের সঙ্গে জড়িত। তারা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি, তারা হত্যা করতে চেয়েছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে, আমাদের স্বাধীনতার আদর্শকে। সেই জন্য বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে জয় বাংলা, ৭ মার্চ এবং ৭ জুন নির্বাসিত হয়ে যায়।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, আজকের প্রসঙ্গটা অন্য দিকে নেবেন না। বাজেট নিয়ে আগামীকাল প্রতিক্রিয়া দেব। গতকাল আমি একটা প্রতিক্রিয়া দিয়েছি। বার বার প্রতিক্রিয়া দেওয়া ঠিক না। যা বলছে (বিরোধী দল) আগামীকাল জবাব দেব।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *