সারাদেশ

ফার্মগেটে ২ ককটেল বিস্ফোরণ

ডেস্ক রিপোর্ট: ফার্মগেটে ২ ককটেল বিস্ফোরণ

ফার্মগেটে ২ ককটেল বিস্ফোরণ

রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (১১ নভেম্বর) রাত পৌনে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান।

তিনি বলেন, ফার্মগেট মোড়ে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এই ঘটনায় কেউ আহত নেই। জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি।

জেসিআই বাংলাদেশের নতুন সভাপতি ইমরান কাদির

জেসিআই বাংলাদেশের নতুন সভাপতি ইমরান কাদির

তরুণদের আন্তর্জাতিক সংগঠন জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইমরান কাদির।

শনিবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়। সাধারণ সভা শেষে ভোটগ্রহণের মাধ্যমে সভাপতি এবং অন্যান্য কার্যনির্বাহী সদস্যদের নির্বাচন করা হয়। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করেন জেসিআই বাংলাদেশের সদ্য সাবেক সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ এলিট।

সভাপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে ইমরান কাদির বলেন, জেসিআই বাংলাদেশের সম্মানিত ভোটারদের সুচিন্তিত রায়ের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। জেসিআই বাংলাদেশে তরুণদের সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক সংগঠন। আমার লক্ষ্য থাকবে, সংগঠনের পরিধি বিস্তৃত করা, জাতীয় পর্যায়ে তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করা, এবং বর্হিবিশ্বের সঙ্গে দেশের তরুণদের কর্মসংস্থান এবং ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টি করা। এর পাশাপাশি জেসিআই বাংলাদেশ মানসিক স্বাস্থ্য, দারিদ্র্য বিমোচন, বৃক্ষরোপণ, পরিবেশ রক্ষা, নারীর ক্ষমতায়নসহ নানাবিধ সামাজিক ও সেবামূলক প্রকল্পেও তার অবদান অব্যাহত রাখবে বলে জানান ইমরান কাদির।

ইমরান কাদির পেশায় একজন গণমাধ্যমকর্মী, বর্তমানে দি ডেইলি স্টারের বিক্রয় এবং বিপণন প্রধান হিসেবে কর্মরত। পাশাপাশি তিনি বেশ কয়েকটি স্টার্টআপ ব্যবসার অংশীদার। তিনি মিশন সেভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। ইমরান স্নাতক সম্পন্ন করেছেন লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় (University of London) থেকে আইন বিষয়ে। বিনিয়োগ বিষয়ে আগ্রহ থেকে তার লেখা বই রোড টু ওয়েলথ, পাঠক মহলে সমাদৃত।

জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল-জেসিআই ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের একটি সংগঠন। এর সদর দফতর যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরির সেন্ট লুইসে অবস্থিত। জেসিআইর ১২০টির বেশি দেশে কার্যক্রম রয়েছে এবং সারাবিশ্বে সদস্য সংখ্যা ২ লাখের বেশি। বাংলাদেশে বর্তমানে জেসিআইর ৪১টি লোকাল চ্যাপ্টার কাজ করছে। তরুণদের দক্ষতা, জ্ঞান ও বুদ্ধির বিকাশের মাধ্যমে ব্যক্তিগত উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে এ সংগঠন।

;

ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হলো না ইলার, ডেঙ্গু কেড়ে নিল প্রাণ

ছবি: সংগৃহীত

ফেনীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ফেনী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মাহদিয়াত রহমান ইলা (১৮) নামে এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১১ নভেম্বর) ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এ তরুণী। ইলা ফেনী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে ঢাকার একটি মেডিকেল ভর্তি কোচিং এ ক্লাস করছিলেন। ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখে বড় হওয়া ইলা স্বপ্ন পূরণের দ্বারপ্রান্তে এসেই হার মানলেন ডেঙ্গুর কাছে।

ইলা ফেনীর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের মেয়ে। তিনি চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে ফলপ্রার্থী ছিলেন।

মেয়ের মৃত্যুতে শোক বইছে তার পরিবারের মধ্যে। কেউ যেন মানতেই পারছেন না, অল্প বয়সে মারা যাবে ইলা। ইলার বাবা মিজানুর রহমান বলেন, আমার মেয়ে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষায়ও জিপিএ-৫ পাবার সম্ভাবনা রয়েছে। তার স্বপ্ন ছিল সে বড় হয়ে ডাক্তার হবে। সেজন্য পরীক্ষা শেষে ঢাকার একটি মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ে ক্লাস করছিল সে। কিন্তু স্বপ্ন পূরণ হওয়ার আগেই মেয়েটি চলে গেল।

তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর ইলা জ্বরে আক্রান্ত হলে পরদিন তাকে ফেনীতে নিয়ে আসি। টেস্ট করানোর পর ডেঙ্গু শনাক্ত হলে ডাক্তার রিয়াজ উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে বাসায় চিকিৎসা চলছিল। গতকাল রাতে হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আজ সকালে তাকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের ভর্তি করাই হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা আসিফ ইকবাল বলেন, ইলাকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গুরুত্বর অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিছুক্ষণ পরই তার মৃত্যু হয়।

;

নোয়াখালীতে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা

ছবি: বার্তা২৪.কম

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে যৌতুকের টাকার জন্য নাজমা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।    

শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মুজাহিদপুর গ্রামের উজির আলী জমাদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।  

নাজমা আক্তার চৌমুহনী পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপুর এলাকার রুস্তম ড্রাইভার বাড়ির মো.ইউসুফের মেয়ে। 

ভুক্তভোগী নাজমা অভিযোগ করে বলেন, পাঁচ বছর আগে উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মুজাহিদপুর গ্রামের সিএনজি চালক মো.রাসেলের সঙ্গে  পারিবারিক ভাবে তার বিয়ে হয়। আমাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

বিয়ের পর থেকে আমার স্বামী রাসেল বিভিন্ন সময় যৌতুকের টাকার জন্য সংসারে কলহ করত। কিছুদিন আগে সে তার সিএনজি চালিত অটোরিকশাটি বিক্রি করে দেয়। 

তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘গত ৬ নভেম্বর নতুন একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা কেনার জন্য দুই লক্ষ টাকা আমার বাবার বাড়ি থেকে এনে দেওয়ার জন্য সে আমাকে বাবার বাড়িতে পাঠায়।’

শনিবার দুপুরের দিকে সে আমার কাছে টাকা চেয়ে ঘরের জিনিসপত্র ভাঙতে চেষ্টা করে। ওই সময় আমি বাধা দিলে আমার শ্বশুর-শাশুড়ির উপস্থিতিতে রাসেল আমার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে আমার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে প্রথমে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। 

সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সন্ধ্যার দিকে আমাকে ২৫০ জন্য বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় কেউ এখনও থানায় অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, তৈল জাতীয় পদার্থ দিয়ে শরীরে আগুন দেওয়া হয়েছে। তার শরীরের কয়েকটি জায়গায় পুড়ে ফোস্কা উঠে গেছে। 

;

‘আমার চাকরি জীবন আজ সার্থক’

ছবি: বার্তা ২৪

‘আমার চাকরি জীবন আজ সার্থক! কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন থেকে উদ্বোধনী ট্রেনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যাত্রা শুরু করে নিরাপদে রামু স্টেশনে এসে পৌঁছালাম। এই স্মৃতি অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে!’

শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার থেকে রামু পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী স্পেশাল ট্রেন সফলভাবে চালানোর পর নিজের অনুভূতি এভাবেই ফেসবুকে তুলে ধরেন লোকো মাস্টার সাজু কুমার দাস।

এখানেই থামেননি উচ্ছ্বসিত সাজু। অনুভূতি জানতে চাইতেই সাজুর মুখ দিয়ে যেন কথার খই ফুটল। বললেন, ‘বাংলার মানুষকে স্বপ্ন দেখানো সেই স্বপ্নদ্রষ্টা আজকে আমাদের এই ট্রেনে চড়ে কক্সবাজার থেকে রামু পর্যন্ত ভ্রমণ করেছেন। আর সেই ট্রেনের চালক হিসেবে আমি ছিলাম, এটা ভাবতেই অন্যরকম লাগছে আমার। এটা আমি কখনো আশা করিনি যে, আমার ছোট্ট চাকরি জীবনে এরকম একটা সুযোগ পাব। এটা শিহরণ জাগানো একটা অনুভূতি ছিল।’

ট্রেন চালানোর সময় একদিকে উচ্ছ্বাস, অন্যদিকে ভয় জেঁকে বসেছিল সাজুর মনে। সেটি সাজু তুলে ধরেছেন এভাবে, ‘আমি যখন ট্রেনটা চালাচ্ছিলাম তখন আমার কাছে যতটা না উচ্ছ্বাস আনন্দ কাজ করছিল, তার চেয়ে বেশি কাজ করছিল ভয়। কেননা এটি খুবই নমনীয়ভাবে চালাতে হয়, খুবই সাবধানে থামাতে হয়, আমি কাজটা ঠিকঠাক করতে পারব কিনা সেই ভয়টা ছিল৷’

রামু পৌঁছার পর সাজুকে সবাই অভিনন্দন জানান। সেই অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সাজু বলেন, ‘যখন কক্সবাজার থেকে সফলভাবে রামুে গিয়ে পৌঁছালাম তখন আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমাকে এসে অভিনন্দন জানালেন। গত ৫ দিন ধরে আমাদের টিম এই ট্রেনসহ বেশ কয়েকবার ট্রায়াল করেছে। সবাই আমাদের সহযোগিতা করেছেন।’

১৯ বছর ধরে রেলের সঙ্গে যুক্ত আছেন চট্টগ্রামের পটিয়ার সন্তান সাজু। তবে সহকারী লোকো মাস্টার হন ২০০৫ সালে। দীর্ঘ চাকরি জীবনে নিশ্চয় এই ট্রেন চালানোর অভিজ্ঞতা সারাজীবন গর্ব করে বলতে পারবেন সাজু।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *