কুষ্টিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ
ডেস্ক রিপোর্ট: কুষ্টিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ
ছবি: সংগৃহীত
কুষ্টিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবার (৮ জুন) বিকেলে সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের কবুরহাট সর্দার পাড়া এলাকায় সংঘর্ষটি হয়। এ সময় দলটির নেতাকর্মীরা পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশও বিএনপি নেতাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার সেল ছোড়ে।
পুলিশ জানায়, বিকেলে অনুমতি না নিয়েই কবুরহাট এলাকায় কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। সমাবেশে যোগ দিতে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা কর্মসূচিস্থলে আসতে থাকেন। দলটির নেতাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে বিশৃঙ্খলা ঘটাতে পারে এমন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে যায়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্যে করে বিএনপি ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে সংঘর্ষ চলে। এক পর্যায়ে বিএনপি ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পালিয়ে যান।
ঘটনাস্থলে থাকা জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন, কেন্দ্র থেকে বিএনপি নেতাদের একটি দল কুষ্টিয়ায় আসলে তাদের নিয়ে পুলিশের মৌখিক অনুমতিতে শহরের নবীন টাওয়ারে সমাবেশের আয়োজন করেছিলাম। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ তুলে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে পুলিশ আমাদের সমাবেশ বন্ধ করতে বলে। ছোট পরিসরে অন্য কোথাও সমাবেশ করার জন্য বলা হয়। সেই মোতাবেক কবুরহাটে অবস্থিত যুবদল নেতা মজিদের বাড়িতে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে যায়। সেখানেও পুলিশ গিয়ে নেতাকর্মীদের মারধর শুরু করে। এ সময় নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে কয়েকটা ইট নিক্ষেপ করে। এরপরেই পুলিশ নেতাকর্মীদের লক্ষ্যে করে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এসময় ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়েছেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, তারা (বিএনপি) অনুমতি ছাড়াই কর্মসূচির আয়োজন করেছিল। কর্মসূচিস্থলে পুলিশ দেখে বিএনপি নেতাকর্মীরা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যে ধরনের ব্যবস্থা প্রয়োজন ছিল তা আমরা নিয়েছি।
মিয়ানমারে ফেরত যাবে ১৩৪ বিজিপি, ফিরবেন ৪৫ বাংলাদেশি
মিয়ানমারে ফেরত যাবে ১৩৪ বিজিপি, ফিরবেন ৪৫ বাংলাদেশি
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ চলাকালে মিয়ানমার থেকে ১৩৪ বিজিপি ও সেনা সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। আগামীকাল রোববার (৯ জুন) দেশে ফিরে যাবেন তারা। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সিতওয়ে থেকে ৪৫ বাংলাদেশি দেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। মিয়ানমারে কারাভোগ শেষে দেশে ফেরার পথে রয়েছেন তারা।
শনিবার (৮ জুন) বিকাল ৫টায় দেশটির রাখাইন রাজ্যের সিতওয়ে থেকে একটি জাহাজে করে তারা বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হন। রোববার ভোরে তাদের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমারের উইংয়ের মহাপরিচালক মিয়া মো. মাঈনুল কবির বলেন, “মিয়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজ ইউএমএস চিন ডুইন ভোরে ৪৫ বাংলাদেশিকে নিয়ে কক্সবাজারে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
“এই জাহাজে করেই মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতের জের ধরে পালিয়ে আসা দেশটির ১৩৪ জন বিজিপি ও সেনা সদস্য ফেরত যাবেন।”
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৪৫ বাংলাদেশি বিভিন্ন সময় মিয়ানমারের বাহিনীর হাতে আটক হন। পরে তারা বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেন। এখানে কক্সবাজার, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলার বাসিন্দা রয়েছে।
ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং সিতওয়েতে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের অবিচল প্রচেষ্টার ফলে ৪৫ বাংলাদেশিকে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
এর আগে ২৫ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ২৮৮ বিজিপি ও সেনা সদস্য মিয়ানমার ফেরত গিয়েছিলো। সেবারে মিয়ানমার থেকে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছিলেন ১৭৩ জন বাংলাদেশি।
তারও আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ৩৩০ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি, সেনা ও কাস্টমস কর্মকর্তাকে স্বদেশে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।
২৫ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত কয়েক দফায় আরও ১৩৪ জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি ও সেনা সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা বিজিবির হেফাজতে রয়েছেন। কাল রোববার তারাই ফেরত যাবেন।
;
ফের সিলেটে চোরাই পথে আসা ৩ ট্রাক ভারতীয় চিনির চালান জব্দ
ফের সিলেটে চোরাই পথে আসা ৩ ট্রাক ভারতীয় চিনির চালান জব্দ
১৪ ট্রাক চোরাই চিনি জব্দের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের আরও ৩টি ট্রাক জব্দ করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (৮ জুন) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে অভিযান চালিয়ে মোগলাবাজার থানাধীন সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের কুচাই পাকপাঞ্জাতন মার্কেটের সামনে থেকে ট্রাক তিনটি ও দুই চোরাকারীকে আটক করা হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে ৯৪০ বস্তা চিনি উদ্ধার করা হয়। যার বাজারমূল্য ৫৬ লাখ ৪ হাজার টাকা।
আটককৃতরা হলেন- রাজশাহীর গোদাগাড়ি থানার বিজয়নগর গ্রামের মনিরুজ্জামান মন্টুর ছেলে মোহাম্মদ মেজর (২৭) ও জিনাইদহ সদর থানার শিকারপুর গ্রামের মো.জাহিদের ছেলে মোহাম্মদ ইয়াসিন (২০)।
এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ( মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মোগলাবাজার থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে জালালাবাদ থানাধীন শিবেরবাজার এলাকার উমাইরগাঁও থেকে ১৪টি ট্রাক জব্দ করা হয়।
;
গাড়ির ছাদ খুলে ভিডিও করতে গিয়ে প্রাণ গেল তনুর
ছবি: সংগৃহীত
গাড়ির ছাদ খুলে ভিডিও করার সময় সেতুর লোহার পাইপের সঙ্গে ধাক্কা লেগে রবিউল আজিম তনু (২৫) নামের এক সৌখিন ফটোগ্রাফারের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৮ জুন) সিরাজগঞ্জ শহরের ইলিয়ট ব্রিজে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত রবিউল আজিম তনু সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার গোপীনাথপুর গ্রামের মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, সিরাজগঞ্জ শহরের এসএস রোডের বন্ধু মোখলেসুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে রবিউল আজিম তনু ও অপর এক বন্ধু ভোরে একটি প্রাইভেটকার নিয়ে ইলিয়ট ব্রিজের ওপরে যান।
এ সময় রবিউল আজিম চলন্তত গাড়ির ছাদ খুলে গাড়ির ভেতরে দাঁড়িয়ে সেতুর সৌন্দর্যের ভিডিও করছিলেন। হঠাৎ সেতুর লোহার পাইপের সঙ্গে ধাক্কা খান তিনি। এতে গুরুতর আহত হন রবিউল আজিম তনু।
বন্ধুরা রবিউলকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে, রবিউল আজিম তনুর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তনুর স্বজন ও পরিচিতদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
;
১৪ বছর পর হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
১৪ বছর পর হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
ছদ্মবেশে ১৪ বছর পালিয়ে থেকেও রেহাই পেল হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি শামিম গাছু (৪৫)। গাজীপুর থেকে র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করে।
শনিবার (৮ জুন) র্যাব-১২, বগুড়া ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার শামিম গাছু শিবগঞ্জ উপজেলার দেউলী গাছুপাড়া গ্রামের মৃত ছানাউল্লাহ গাছুর ছেলে।
গতকাল শুক্রবার (৭ জুন) রাতে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ছদ্মবেশে গত ১৪ বছর ধরে ওই এলাকায় রিক্সা চালাতেন।
পলাতক থাকা অবস্থায় গত বছরের ৩০ নভেম্বর আদালত শামিম গাছুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।
র্যাব জানায়, ২০০৬ সালে একই গ্রামের আনিছুর রহমানের কাছ থেকে ধানের জমি বর্গা নেয় শামিম গাছু। ঐ জমিতে ধান চাষ করে এবং ধান কাটার পর আনিছুরের ভাগের ধান নিয়ে আসার জন্য তার বাড়িতে যেতে বলে। ২০০৬ সালের ১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আনিসুর ধান নিয়ে আসার জন্য শামিম গাছুর বাড়িতে গেলে আনিসুরকে হত্যা করে মরদেহ গুম করে। মরদেহ উদ্ধারের পর একই বছরের ৮ ডিসেম্বর নিহত আনিসুরের ভাই আব্দুল আজিজ শিবগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় পুলিশ শামিম গাছুকে গ্রেফতার করে। সাড়ে তিন বছর জেল হাজতে থাকার পর শামিম গাছু জামিনে মুক্তি পেয়ে আত্মগোপন করে। এরপর থেকেই শামিম গাছু পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গাজিপুরে চলে যায়। সেখানে বিয়ে করে সংসার শুরু করে এবং অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর রায় ঘোষণা পর আদালত শামিম গাছুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। এরপর র্যাব -১২ বগুড়া ক্যাম্পের সদস্যো গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শামিম গাছুর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে শুক্রবার রাতে র্যাব-১২ বগুড়া ও র্যাব-১ পোড়াবাড়ী, গাজীপুর এর যৌথ অভিযানে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর এলাকা থেকে শামিম গাছুকে গ্রেফতার করে। শনিবার শামিম গাছুকে শিবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।