সারাদেশ

ফেনীতে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে খামার থেকে ১৩ গরু লুট

ডেস্ক রিপোর্ট: ফেনীতে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে খামার থেকে ১৩ গরু লুট

ছবি: সংগৃহীত

ফেনীর দাগনভূঞায় গবাদি পশুর খামার থেকে অস্ত্র ঠেকিয়ে শাহীওয়াল জাতের ১৩টি গরু লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা। খামারির ভাষ্যমতে এ গরু গুলোর বাজারদর প্রায় ২৫ লাখ টাকা।

শনিবার (৮ জুন) উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের পূর্ব জয়নারায়ণপুর গ্রামের দাউদ খান নামের এক খামারির খান অ্যাগ্রো ফার্মে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খামারি অ্যাডভোকেট দাউদ খান এবারের কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য খামারে শাহীওয়াল জাতের ২১টি গরু প্রস্তুত করেছেন। খামার দেখাশোনা ও পাহারায় দুইজন শ্রমিকও রেখেছিলেন তিনি। গরুকে খাবার দিয়ে রাত ৩টার দিকে শ্রমিকরা ঘুমিয়ে পড়লে দরজার তালা ভেঙে মুখোশ পরা ২০ থেকে ২৫ জনের অস্ত্রধারী ডাকাত দল ভেতরে ঢুকে দুই শ্রমিককে জিম্মি করে রাখে। সেখানে তাদের বেঁধে মারধর করে ২১টি গরু নিয়ে যায়। স্থানীয়দের সহযোগিতা ভোরে ৮টি গরু উদ্ধার করা হয়।

খামারে কর্মরত এক শ্রমিক বলেন, সবাই মুখোশ পরে এসেছিল। খামারে ঢুকে অস্ত্রের মুখে আমাদের দুইজনকে বেঁধে ফেলে এবং মারধর করে। পরে গোয়ালে থাকা গরু লুট করে নেয়।

ভুক্তভোগী খামারের মালিক অ্যাডভোকেট দাউদ খান বলেন, ফজরের নামাজ শেষে হাঁটার জন্য বের হলে মসজিদের সামনে খামারের তিনটি গরু দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয়। তাৎক্ষণিক খামারে গিয়ে দেখি, গোয়ালে কোনো গরু নেই। সেখানে দুই শ্রমিকের হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় পেয়েছি। পরে ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানাই।

তিনি বলেন, খামারে বিভিন্ন জাতের ২১টি বড় গরু ছিল। তার মধ্যে ভোরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ৮টি গরু এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করেছি। এই ৮টি গরু হয়তো গাড়িতে ওঠানোর সময় বিভিন্ন দিকে চলে যায়। প্রতিটি গরুর ওজন ৬ মণের বেশি। প্রতিটির বাজার মূল্য রয়েছে দুই লাখের বেশি। গরুগুলো হারিয়ে প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন এই খামারি।

দাগনভূঞা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাশিম বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। গরু উদ্ধার এবং জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে

ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) দীন মোহাম্মদ বলেন, মাঠে সক্রিয় আছে পুলিশ। পুলিশ ইতোমধ্যে বিষয়টি জন্য মাঠে কাজ করছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

নওগাঁয় নারী উদ্যোক্তাদের মিলনমেলা

ছবি: বার্তা২৪.কম

নওগাঁয় নারী উদ্যোক্তাদের অফ লাইন মিটিং ও মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার ( ৮ জুন) সন্ধ্যায় সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে উই টিম নওগাঁর আয়োজনে প্রায় শতাধিক নারী উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফিতা কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উইমেন এ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্ট ( উই) এর সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশা।

উদ্যোক্ততারা বলেন- “একতাই বল” তাই নওগাঁর উদ্যোক্তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টার জন্যই এই মিলন মেলার আয়োজন করা হয়েছে। জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শতাধিক উদ্যোক্তা রয়েছেন। পরবর্তীকালে সবাইকে একত্রিত করার চেষ্টা করা হবে এবং এই ধরনের অফ লাইন মিটিং-এ এসে অনেক কিছু জানতে পারছে উদ্যোক্তারা।

উই এর নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি সারমিন সুলতানা বলেন- নওগাঁর বাহিরে বিভিন্ন থানা থেকে নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে এ আয়োজন করা হয়েছে। নারীরা প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাচ্ছে উই গ্রুপের মাধ্যমে আর আমাদের সভাপতি এসেছে বলে নারীরা আনন্দে অংশগ্রহণ করেছেন কারণ তার মাধ্যমে নারীরা অনেক সুফল পাচ্ছেন ই-কমার্সে। এই প্রথম নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে বিশাল মিটাপ অনুষ্ঠিত হলো যা সত্যিই ভালো লাগার বিষয়।

এ সময় উইয়ের ডিরেক্টর ডাঃ সালমা পারভীন, ওয়ার্কিং কমিটির ডিরেক্টর তাজরিন তামান্না ইসলাম লুবা, ডিভিশনাল হেড মাহবুবা আক্তার জাহান, মডারেটর রুওয়াইদা তানজিদা শ্রাবণীসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

;

ঈদের ছুটিতে বাড়িতে ফেরা হলো না জাবি শিক্ষার্থী রিমুর

ছবি: বার্তা২৪.কম

আমার মেয়েকে নিয়ে কত আশা ছিলো সব শেষ হয়ে গেল। আমার মেয়ে সকালে আমাকে কল করে বলল মা আমি রংপুরে এসেছি বাড়িতে আসতেছি। তুমি কোথাও যাইও না বাড়িতে থেকো আমার আসতে বেশিক্ষণ লাগবে না এসব কথা বলে গগণ কাঁপিয়ে চিৎকার করে কাদছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আজমুদা আক্তার রিমুর মা আজমিরা বেগম।

শনিবার(৮ জুন) সকালে রংপুরের গংগাচড়ার গঞ্জিপুর বাজার এলাকায় সিএনজি ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে জাবি শিক্ষার্থী আজমুদা আক্তার রিমুর(১৮) মৃত্যু হয়।

রিমু নীলফামারী কিশোরগঞ্জের পুটিমারি ইউনিয়নের হাজিরহাট এলাকার আব্দুল আলিমের মেয়ে ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত রিমু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে পড়ালেখা করতেন। এরআগে তিনি স্থানীয় কিশোরীগঞ্জ বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৯ সালে এসএসসি ও রংপুর সরকারি কলেজ থেকে ২০২১ সালে এইচএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। পরিবারের চাওয়া আর নিজের স্বপ্ন ছিলো ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করার তবে অল্পের জন্য মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ না পেয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়। এবার ঈদে ছুটি পেয়ে পরিবারের সাথে ঈদ করতে বাড়ির পথে রহনা দিয়েছিলেন কিন্তু ভাগ্যক্রমে বাড়ির কাছাকাছি এসে সড়কেই ঝারলো এ মেধাবী শিক্ষার্থীর প্রাণ। রংপুরের গংগাচড়ার গঞ্জিপুর নামক জায়গায় সিএনজি ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত হলে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত্য ঘোষণা করেন।

রিমুর মা বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি আমার মেয়েকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলাম। আমার মেয়ে বড় হবে, সে বড় হয়ে আমাদের মুখ উজ্জ্বল করবে। আল্লাহ এ কি করল? আমার মেয়েকে নিয়ে নিয়ে গেল। আমি এখন কি নিয়ে বাঁচব আর কাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখবো। আমার মেয়েকে আমি ছোট থেকে আদর দিয়ে বড় করেছি আমার মেয়ের এভাবে মৃত্যু হবে আমি কখনো কল্পনা করি নাই।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো.সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার পথে
রিমু নামে শিক্ষার্থীর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর কথা শুনেছি। আমাদের জাবির শিক্ষার্থীরা সবাই মেধাবী তার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।

প্রসঙ্গত, নীলফামারীর জলঢাকা থেকে রংপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসা একটি বাস এবং রংপুরের পাগলাপীর থেকে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে আসা একটি সিএনজি গঞ্জিপুরের বাজার এলাকায় পৌঁছালে দুই যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে নীলফমারীর কিশোরগঞ্জের কিশোরগঞ্জ সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ও গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের গণেশের বাজার এলাকার দিবা রানী সরকার (৪০) এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিমু আক্তার (১৮), কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দেহরক্ষী মেহেরুল ইসলামের (৩৫) মৃত্যু হয়েছে।

;

সেন্টমার্টিনগামী ট্রলারে মিয়ানমার থেকে গুলি

ছবি: সংগৃহীত

টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে একটি পণ্যবাহী ট্রলারকে লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে কোনো হতাহত হয়নি। তবে ট্রলারটির বিভিন্ন স্থানে সাতটি গুলি লেগেছে বলে জানা গেছে।

শনিবার (৮ জুন) বিকেলে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা আব্দুর রশিদের মালিকাধীন পণ্যবাহী ট্রলারটি সেন্টমার্টিন যাত্রাকালে নাফ নদের মোহনায় নাইক্ষ্যংদিয়া পৌঁছলে এ ঘটনাটি ঘটে। এতে ট্রলারটি সেন্টমার্টিন যেতে না পেরে টেকনাফ ফিরে আসেন।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, টেকনাফ থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী ভর্তি একটি ট্রলার সেন্টমার্টিনে আসার পথে নাফ নদীর মাঝপথে মিয়ানমার থেকে গুলি চালায়। এতে কেউ হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ট্রলারটি দ্বীপে আসতে পারেনি। এতে সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্রায় সাড়ে ১০ হাজার মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় সংকট দেখা দিতে পারে। তাছাড়া এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেই আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তাই এ নৌপথে ট্রলার চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ও বিজিবির টহল জোরদার করার জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এদিকে এর আগে, বুধবার রাতে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংদিয়া থেকে বাংলাদেশের নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ওপর গুলি ছোড়া হয়েছে। ওই এলাকাটি বর্তমানে আরাকান আর্মির দখলে রয়েছে বলে জানা গেছে। এই গোষ্ঠীর সদস্যরাই গুলি ছুড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সেন্টমার্টিন সার্ভিস ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেন, শনিবার বিকেলে টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া খাল থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্যসামগ্রী ভর্তি করে এসবি রাফিয়া চারজন মাঝিসহ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দেন। এ সময় মাঝপথে পৌঁছালে মিয়ানমারের নাইক্ষ্যংদিয়া থেকে ট্রলারের দিকে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। তখন ট্রলারে থাকা অপর মাঝিমাল্লা শুয়ে পড়েন। এ সময় এসবি রাফিয়াকে লক্ষ্য করে ২০-৩০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করা হয়। পরে ট্রলারটির মাঝি মোহাম্মদ বেলাল ট্রলারটি ঘুরিয়ে নিয়ে শাহপরীর দ্বীপ জেটিতে নিয়ে এসে ট্রলারটি নোঙর করেছেন।

ট্রলারটির মাঝি মোহাম্মদ বেলাল বলেন, সেন্টমার্টিন যাওয়ার সময় মিয়ানমারের উপকূল থেকে ট্রলারকে লক্ষ্য করে ২০ থেকে ৩০ রাউন্ড গুলি করা হয়। পরে ট্রলারটিকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য শাহপরীর দ্বীপ জেটিতে এনে নোঙর করা হয়েছে। এর আগে গত বুধবার নির্বাচনীয় মালপত্র নিয়ে আসার সময়ও গুলি করেছিল।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে গুলি ছোড়া হয়েছে। মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) নাকি বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি গুলি চালিয়েছে তা বলা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে বিজিবির টেকনাফের ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গুলির বিষয়টি শুনেছি। ট্রলারকে গুলি বর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বিজিপির কাছে প্রতিবাদ লিপি পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

;

মিয়ানমারে ফেরত যাবে ১৩৪ বিজিপি, ফিরবেন ৪৫ বাংলাদেশি

মিয়ানমারে ফেরত যাবে ১৩৪ বিজিপি, ফিরবেন ৪৫ বাংলাদেশি

মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ চলাকালে মিয়ানমার থেকে ১৩৪ বিজিপি ও সেনা সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। আগামীকাল রোববার (৯ জুন) দেশে ফিরে যাবেন তারা। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সিতওয়ে থেকে ৪৫ বাংলাদেশি দেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। মিয়ানমারে কারাভোগ শেষে দেশে ফেরার পথে রয়েছেন তারা।

শনিবার (৮ জুন) বিকাল ৫টায় দেশটির রাখাইন রাজ্যের সিতওয়ে থেকে একটি জাহাজে করে তারা বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হন। রোববার ভোরে তাদের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমারের উইংয়ের মহাপরিচালক মিয়া মো. মাঈনুল কবির বলেন, “মিয়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজ ইউএমএস চিন ডুইন ভোরে ৪৫ বাংলাদেশিকে নিয়ে কক্সবাজারে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

“এই জাহাজে করেই মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতের জের ধরে পালিয়ে আসা দেশটির ১৩৪ জন বিজিপি ও সেনা সদস্য ফেরত যাবেন।”

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৪৫ বাংলাদেশি বিভিন্ন সময় মিয়ানমারের বাহিনীর হাতে আটক হন। পরে তারা বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেন। এখানে কক্সবাজার, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলার বাসিন্দা রয়েছে।

ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং সিতওয়েতে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের অবিচল প্রচেষ্টার ফলে ৪৫ বাংলাদেশিকে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

এর আগে ২৫ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ২৮৮ বিজিপি ও সেনা সদস্য মিয়ানমার ফেরত গিয়েছিলো। সেবারে মিয়ানমার থেকে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছিলেন ১৭৩ জন বাংলাদেশি।

তারও আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ৩৩০ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি, সেনা ও কাস্টমস কর্মকর্তাকে স্বদেশে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।

২৫ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত কয়েক দফায় আরও ১৩৪ জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি ও সেনা সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা বিজিবির হেফাজতে রয়েছেন। কাল রোববার তারাই ফেরত যাবেন।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *