সারাদেশ

সেন্টমার্টিনগামী ট্রলারে মিয়ানমার থেকে গুলি

ডেস্ক রিপোর্ট: টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে একটি পণ্যবাহী ট্রলারকে লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে কোনো হতাহত হয়নি। তবে ট্রলারটির বিভিন্ন স্থানে সাতটি গুলি লেগেছে বলে জানা গেছে।

শনিবার (৮ জুন) বিকেলে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা আব্দুর রশিদের মালিকাধীন পণ্যবাহী ট্রলারটি সেন্টমার্টিন যাত্রাকালে নাফ নদের মোহনায় নাইক্ষ্যংদিয়া পৌঁছলে এ ঘটনাটি ঘটে। এতে ট্রলারটি সেন্টমার্টিন যেতে না পেরে টেকনাফ ফিরে আসেন।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, টেকনাফ থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী ভর্তি একটি ট্রলার সেন্টমার্টিনে আসার পথে নাফ নদীর মাঝপথে মিয়ানমার থেকে গুলি চালায়। এতে কেউ হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ট্রলারটি দ্বীপে আসতে পারেনি। এতে সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্রায় সাড়ে ১০ হাজার মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় সংকট দেখা দিতে পারে। তাছাড়া এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেই আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তাই এ নৌপথে ট্রলার চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ও বিজিবির টহল জোরদার করার জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এদিকে এর আগে, বুধবার রাতে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংদিয়া থেকে বাংলাদেশের নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ওপর গুলি ছোড়া হয়েছে। ওই এলাকাটি বর্তমানে আরাকান আর্মির দখলে রয়েছে বলে জানা গেছে। এই গোষ্ঠীর সদস্যরাই গুলি ছুড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সেন্টমার্টিন সার্ভিস ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেন, শনিবার বিকেলে টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া খাল থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্যসামগ্রী ভর্তি করে এসবি রাফিয়া চারজন মাঝিসহ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দেন। এ সময় মাঝপথে পৌঁছালে মিয়ানমারের নাইক্ষ্যংদিয়া থেকে ট্রলারের দিকে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। তখন ট্রলারে থাকা অপর মাঝিমাল্লা শুয়ে পড়েন। এ সময় এসবি রাফিয়াকে লক্ষ্য করে ২০-৩০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করা হয়। পরে ট্রলারটির মাঝি মোহাম্মদ বেলাল ট্রলারটি ঘুরিয়ে নিয়ে শাহপরীর দ্বীপ জেটিতে নিয়ে এসে ট্রলারটি নোঙর করেছেন।

ট্রলারটির মাঝি মোহাম্মদ বেলাল বলেন, সেন্টমার্টিন যাওয়ার সময় মিয়ানমারের উপকূল থেকে ট্রলারকে লক্ষ্য করে ২০ থেকে ৩০ রাউন্ড গুলি করা হয়। পরে ট্রলারটিকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য শাহপরীর দ্বীপ জেটিতে এনে নোঙর করা হয়েছে। এর আগে গত বুধবার নির্বাচনীয় মালপত্র নিয়ে আসার সময়ও গুলি করেছিল।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে গুলি ছোড়া হয়েছে। মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) নাকি বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি গুলি চালিয়েছে তা বলা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে বিজিবির টেকনাফের ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গুলির বিষয়টি শুনেছি। ট্রলারকে গুলি বর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বিজিপির কাছে প্রতিবাদ লিপি পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *