সারাদেশ

মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যাবেন মল্লিকার্জুন খাড়গে

ডেস্ক রিপোর্ট: মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যাবেন মল্লিকার্জুন খাড়গে

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয় মেয়াদে শপথ নিতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। রোববার (৯ জুন) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। 

কংগ্রেসের বিবৃতির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

কংগ্রেস তাদের বিবৃতিতে বলেছে, রাজ্যসভায় বিরোধীদলের নেতা হিসেবে আজকের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। শনিবার ‘ইন্ডিয়া’ জোটের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শনিবার (৮ জুন) কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি রাহুল গান্ধীকে লোকসভায় বিরোধীদলীয় নেতা হওয়ার হওয়ার আহ্বান জানায়। এ ব্যাপারে রাহুল গান্ধী এখনও তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাননি। তবে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সোনিয়া গান্ধীকে কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত করা হয়। 

এদিকে ইন্ডিয়া জোটের শরিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তার দল আজকের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবে না।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা এখনো আমন্ত্রণ পাইনি। আমন্ত্রণ পেলেও এই অনুষ্ঠানে যাব না। এই সরকার অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিকভাবে গঠিত হচ্ছে। এমন একটি সরকারকে আমরা শুভকামনা জানাতে পারি না।’

টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। রোববার সন্ধ্যায় রাজধানী দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি শপথ নেবেন। 

ভারতীয় সংবামাধ্যম এনডিটিভি জানায়, প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদি রোববার শপথ নিলেও, পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভার শপথ কয়েকদিন পর হবে। তবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আজ ৩০ জন মন্ত্রী শপথ নিতে পারেন।

আমন্ত্রণ পেলেও মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যাব না: মমতা

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রোববার (৯ জুন) সন্ধ্যায় তৃতীয় মেয়াদে শপথ নিতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু তার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে তৃণমূল কংগ্রেস অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের সঙ্গে শনিবার (৮ জুন) বৈঠক শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা এখনো আমন্ত্রণ পাইনি। আমন্ত্রণ পেলেও এই অনুষ্ঠানে যাব না।’

মোদি সরকারকে অগণতান্ত্রিক উল্লেখ করে তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী বলেন, ‘এই সরকার অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিকভাবে গঠিত হচ্ছে। এমন একটি সরকারকে আমরা শুভকামনা জানাতে পারি না। তবে আমরা জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।’

টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। রোববার সন্ধ্যায় রাজধানী দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি শপথ নেবেন। 

ভারতীয় সংবামাধ্যম এনডিটিভি জানায়, প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদি রোববার শপথ নিলেও, পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভার শপথ কয়েকদিন পর হবে। তবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আজ ৩০ জন মন্ত্রী শপথ নিতে পারেন।

দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে সাত দফায় ভোটগ্রহণের পর গত ৪ জুন ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়। নির্বাচনে বিজেপি একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা না পাওয়ায় শরিকদের হাত ধরে এবার জোট সরকার গঠন করতে হচ্ছে মোদিকে।

এদিকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানী দিল্লিতে জারি করা হয়েছে সতকর্তা। মোদির শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুসহ বেশ কয়েকটি দেশের সরকারপ্রধান উপস্থিত থাকবেন।

;

মোদির সাথে আরও যেসব মন্ত্রী শপথ নেবেন

ছবি: সংগৃহীত

টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। রোববার (০৯ জুন) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিতব্য এ অনুষ্ঠানে শুধু মোদি নয়, তার সঙ্গে শপথ নিতে পারেন ভারতের ৩০ জনেরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী।

রোববার (৯ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি আজ শপথ নিলেও তার সঙ্গে পূর্ণ মন্ত্রিসভা শপথ নেবেন না। ৩০ জনের মতো মন্ত্রিসভার সদস্য আজ শপথ নিতে পারেন। এ ছাড়া পূর্ণ মন্ত্রিসভায় ৭৮ থেকে ৮১ জন সদস্য থাকতে পারেন।

আজ শপথ নেওয়া মন্ত্রীদের সম্ভাব্য সংখ্যা বলা হলেও ঠিক কোন কোন মন্ত্রী শপথ নেবেন তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। তবে বলা হয়েছে, মোদির সঙ্গে সরকারের শীর্ষ মন্ত্রী যেমন স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, অর্থ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা শপথ নিতে পারেন। আর এসব মন্ত্রীর সবাই হবেন মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সদস্য। এ ছাড়া ইস্পাত, বেসামরিক বিমান চলাচল এবং খনির মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্তরাও শপথ নিতে পারেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্ধ্যা ৭টা ১৫ থেকে ৮টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে শপথ অনুষ্ঠিত হতে পারে। অর্থাৎ শপথ অনুষ্ঠান ৪৫ মিনিটের মতো দীর্ঘ হবে। রোববার সকাল থেকে সরকারের পক্ষ থেকে শপথের জন্য মন্ত্রীদের ফোনকল করা হতে পারে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

টানা ১০ বছর পর এবারের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। ফলে সরকার গঠনে এবার জোটবদ্ধ হয়েছে তারা। যার মধ্যে রয়েছে চন্দ্রবাবু নাইডুর দল তেলেগু দেশ পার্টি এবং নীতিশ কুমারের জনতা দল।

এনডিটিভি জানিয়েছে, মন্ত্রীপদ বাগিয়ে নেওয়ার জন্য দরকষাকষির এ পর্যায়ে নীতিশ কুমারের দল সরকারের দুটি মন্ত্রণালয় বাগিয়ে নিয়েছে। অন্যদিকে চন্দ্রবাবু নাইডুর দল জেডিইউ বাগিয়ে নিয়েছে চারটি মন্ত্রণালয়। 

এর আগে সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানায়, এবারের মন্ত্রিসভায় নীতিশ কুমারের দল সরকারের দুটি মন্ত্রণালয় বাগিয়ে নিয়েছে। নির্বাচনে দলটি ১২ আসন পেয়েছে। অন্যদিকে চন্দ্রবাবু নাইডুর দল জেডিইউ বাগিয়ে নিয়েছে চারটি মন্ত্রণালয়। তারা নির্বাচনে ১৬ আসন পেয়েছে। তবে আজ এসব মন্ত্রীদের শপথ হবে কিনা তা নিয়ে কিছু জানা যায়নি।

ভারতের ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। এর আগে জওহরলাল নেহরু টানা তিনবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। ১৯৫২, ১৯৫৭ এবং ১৯৬২ সালের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি।

;

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদির শপথ আজ

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বারের মতো শপথ নিতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। রোববার (৯ জুন) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। 

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শনিবার (৮ জুন) দিল্লি পৌঁছেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ছাড়া প্রতিবেশী দেশ ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আরও ছয় দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়েছেন। সিসিলিসের উপরাষ্ট্রপতি আহমেদ আফিফও গতকাল দিল্লি এসেছেন। 

আজ দুপুরের মধ্যে একে একে উপস্থিত হবেন মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দ কুমার জগন্নাথ, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোগবে, শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে এবং নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর আমন্ত্রণে বিদেশি অতিথিরা নৈশভোজের আসরে যোগ দেবেন।

রাষ্ট্রপতি ভবন সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যগুলো বলছে, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দেশ–বিদেশের প্রায় ৮ হাজার বিশিষ্টজনকে। 

ফল প্রকাশের আগে ভাবা হয়েছিল নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রিত্বের হ্যাটট্রিক উদ্যাপন করা হবে জনতার দরবারে। সে কারণে তারই আমলে নতুনভাবে তৈরি কর্তব্য পথে শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান করার প্রস্তাবও বিবেচিত হচ্ছিল। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদি বরাবর ছুঁতে আগ্রহী ছিলেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর রেকর্ড।

নেহরু ১৯৫২, ১৯৫৭ ও ১৯৬২ সালের নির্বাচনে জিতে তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। নেহরুর নেতৃত্বে কংগ্রেসের প্রতিটি জয়ই ছিল নিরঙ্কুশ। কারও সহায়তা ছাড়াই তিনি সরকার গড়েছিলেন। মোদি সেখানে ব্যর্থ। হ্যাটট্রিকের বছরে তাকে জোট শরিকদের সাহায্য নিতে হচ্ছে সরকার গঠনের জন্য। 

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ভবনের কাছাকাছি বিশাল তল্লাটকে ‘নো ফ্লাই জোন’–এর আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। বিমান তো দূরের কথা, ফানুস বা ড্রোনও ওই এলাকায় ওড়ানো বা চালানো যাবে না।

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হবে সন্ধ্যা সোয়া ৭টায়। তখনই বোঝা যাবে প্রথম দফায় মোট কতজন পূর্ণ মন্ত্রী ও কতজন প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন এবং কোন দলের কতজন মন্ত্রিসভায় স্থান পাচ্ছেন। শপথ গ্রহণের পর নতুন মন্ত্রীদের কে কোন দপ্তর পাচ্ছেন, তা সরকারিভাবে জানানো হয়। গত শুক্রবার থেকেই শরিক নেতারা তাদের চাহিদার বিষয়টি বিজেপির শীর্ষ নেতাদের জানিয়ে দিয়েছেন।

;

রাহুলের বিরোধীদলীয় নেতা হওয়া প্রসঙ্গে যা বললেন সোনিয়া গান্ধী

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের লোকসভার বিরোধী দলনেতা হিসাবে রাহুল গান্ধীকে মনোনীত করে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। মোদির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে রাহুলকেই যোগ্য মনে করছেন পার্টির সদস্যরা। তবে রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, তিনি ভেবে জানাবেন। 

এর আগে শনিবার সোনিয়া গান্ধীকে কংগ্রেস পার্লামেন্টারি পার্টির চেয়ারপার্সন হিসেবে পুনঃনির্বাচিত করা হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পরে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি পার্টির শীর্ষ নেতাদের সিদ্ধান্তে রাহুল গান্ধীকে লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা নিযুক্ত করা হয়। 

রাহুল বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব নেবেন কিনা এমন প্রশ্নে সোনিয়া গান্ধী বলেন, আপনাদের তাকেই (রাহুল) জিজ্ঞাসা করা উচিত।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়, শনিবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি রাহুল গান্ধীকে লোকসভায় বিরোধী দলনেতার ভূমিকা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে একটি প্রস্তাব পাস করেছে। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে দলের ৯৯টি আসনে জয়ের জন্য রাহুল গান্ধীকেই কৃতিত্ব দেওয়া হচ্ছে। রাহুল এ দায়িত্ব নিতে রাজি হলে এক দশক পর লোকসভায় বিরোধীদলীয় নেতা হবেন তিনি।

লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলি এবং নিজের কেন্দ্র কেরালার ওয়েনাড় থেকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন কংগ্রেসের সাবেক এই সভাপতি। 

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, সিডব্লিউসির সভায় রাহুলকে বিরোধীদলীয় নেতা করার ব্যাপারে প্রস্তাব উঠলে তিনি বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি ভাববেন। তখন কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে তাকে মনে করিয়ে দেন, সিডব্লিউসি এ বিষয়ে প্রস্তাব পাস করেছে।  পদটি তার গ্রহণ করা উচিত।

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপাল সভার পর বলেন, ‘পৃথক একটি প্রস্তাবে সিডব্লিউসি রাহুল গান্ধীকে বিরোধীদলীয় নেতার পদ গ্রহণে সর্বসম্মতভাবে অনুরোধ করেছে। সভায় অংশগ্রহণকারী সবাই একমত যে, রাহুল গান্ধীরই বিরোধীদলীয় নেতা হওয়া উচিত।’ 

প্রয়োজনীয় আসন না পাওয়ায় গত দুই নির্বাচন ২০১৪ ও ২০১৯ সালে লোকসভায় কেউ বিরোধী দলের নেতা ছিলেন না। বিরোধী দলের মর্যাদা পেতে গেলে ৫৪৩টি আসনের অন্তত ১০ শতাংশ আসন জিততে হয়। গত দুই মেয়াদে কংগ্রেস কিংবা অন্য কোনো দলই তা পায়নি। এবারের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস কেবল এককভাবেই নয়, জোটগতভাবেও এগিয়েছে। 

কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটের দখলে এসেছে ২৩৩ আসন; যেখানে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ইউপিএ জোট ১০০-এরও কম আসন পেয়েছিল। ২০১৯ সালে ৫২টি আসন পাওয়া কংগ্রেস এবার এককভাবে ৯৯ আসনে জিতেছে। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বিরুদ্ধে মুখোমুখি লড়াইয়ে ২৯ শতাংশ আসনে দলটি সাফল্য পেয়েছে। এবার কংগ্রেস ৯৯ আসনে জিতে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পাচ্ছে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *