সারাদেশ

লামায় আড়াই বছরে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত ৬ হাজার ৮১৮ জন

ডেস্ক রিপোর্ট: লামায় আড়াই বছরে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত ৬ হাজার ৮১৮ জন

ছবি: বার্তা২৪.কম

বান্দরবানের লামায় আড়াই বছরে ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ৮১৮ জন। আক্রান্তরা সবাই সরকারি বেসরকারি চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছেন, তবে কেউ মারা যায়নি। এমন তথ্য জানা গেছে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় ম্যালেরিয়া রোগ নির্মূল প্রকল্পের আওতায় উপজেলা পর্যায়ে এডভোকেসি সভায়।

রোববার (০৯ জুন) দুপুরে স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা এন জেড একতা মহিলা সমিতির আয়োজনে ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এবং বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক এর সহযোগিতায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ম্যালেরিয়া রোগ প্রতিরোধ, নির্মূল ও আক্রান্তদের চিকিৎসা বিষয়ে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে বিস্তারিত তুলে ধরেন, এন জেড একতা মহিলা সমিতির ম্যালেরিয়া প্রকল্প ম্যানেজার আবুল কালাম।

তিনি বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে ম্যলেরিয়া প্রবণ এলাকা আক্রান্তের হার প্রতি হাজারে এক এর নিচে নামিয়ে আনা ও ২০৩০ সালের মধ্যে ম্যালেরিয়া মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি ম্যালেরিয়া নির্মূলে ব্র্যাক ও এন জেড একতা মহিলা সমিতি যৌথভাবে কাজ করছে। এ ধারাবাহিকতায় এ রোগ নির্মূলে ২০২৩ সালে উপজেলায় ১ লক্ষ ২ হাজারটি কীটনাশকযুক্ত মশারি বিতরণের পাশাপাশি সচেতনতামূলক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতি পাড়ায় পাড়ায় স্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদের সচেতনতায় উপজেলায় ম্যালেরিয়া রোগে মৃত্যুর হার শূণ্যের কৌটায় নেমে এসেছে।

এদিকে এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২২ সালে উপজেলায় ৪ হাজার ১২৭ জন, ২০২৩ সালে ২ হাজার ৪৪৪ জন ও ২০২৪ সালের মে মাস পর্যন্ত ২শ ৪৭ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তরা সবাই সরকারি বেসরকারি চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছেন। কেউ মারা যায়নি। বর্তমানে উপজেলায় কোনো ব্যক্তি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত নেই বলে জানান প্রকল্পের ম্যানেজার আবুল কালাম।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এখিং মার্মার সভাপতিত্বে সভায় পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম প্রধান অতিথি ছিলেন। এতে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ কান্তি দাশ, সহকারী পুলিশ সুপার প্রতিনিধি মো. আইয়ুব, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা, ছাচিংপ্রু মার্মা ও মিন্টু কুমার সেন, ডা. জেসমিন আক্তার প্রমুখ বিশেষ অতিথি ছিলেন। এছাড়া সভায় শিক্ষক, ইমাম, এনজিও প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি, কারবারি, হেডম্যান, সাংবাদিকগণ অংশ গ্রহণ করেন।

সোনাগাজীর চরাঞ্চলে বজ্রপাতে ১২ গবাদি পশুর মৃত্যু

ছবি: বার্তা২৪.কম

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের চরাঞ্চলে বজ্রপাতে ১২টি গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (০৯ জুন) দুপুরে বৃষ্টি-বজ্রপাতের সময় চরচান্দিয়া ইউনিয়নের পূর্ব বড় ধলীর চরাঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কৃষক হোনান উদ্দিনের ৩টি মহিষ, মো. বাদশা মিয়ার একটি মহিষ, আবু তাহেরের ১টি গাভি গরু, জাহাঙ্গীরের ৭টি ভেড়া বজ্রপাতে মারা যায়। দুপুরে বৃষ্টি শেষে কৃষকরা মাঠে খোঁজ নিতে গিয়ে দেখেন পশুগুলো মৃত অবস্থায় পানিতে পড়ে আছে।

চরচান্দিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মোতালেব জানান, আমাদের এলাকা পূর্ব বড় ধলীর মাঠে বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে ৪টি মহিষ, ১টি গাভি এবং ৭টি ভেড়ার মৃত্যু হয়েছে। এখানে পশুগুলোর মালিক দুই পক্ষ থাকে। এখানে পশুর অর্ধেক মালিক থাকেন যারা পশুগুলো কিনে দেন এবং দরিদ্র কৃষকরা সেগুলো লালন পালন করেন। সেই হিসাবে উভয় পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

চরচান্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মিলন জানান, পশুগুলো বৃষ্টির সময় মারা গেছে বলে জেনেছি। উন্মুক্ত মাঠ হওয়ায় এখনকার চরাঞ্চলে বজ্রপাতে পালিত পশুর মৃত্যু হয়। এর প্রতিকারে ব্যবস্থাও তাৎক্ষণিকভাবে নেয়া সম্ভব হয় না।

উপজেলা প্রাণীসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা: দীপ্ত সাহা জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। ইতোমধ্যে আমরা পশু মারা যাওয়ার বিষয়টি জেলায় তথ্য পাঠিয়েছি। কৃষকদের সরকারিভাবে সহযোগিতা করার চেষ্টা করা হবে।

;

মিয়ানমার থেকে গোলাগুলি: ৩দিন ধরে সেন্টমার্টিনের সাথে যোগাযোগ বন্ধ

মিয়ানমার থেকে গোলাগুলি: ৩দিন ধরে সেন্টমার্টিনের সাথে যোগাযোগ বন্ধ

মিয়ানমারের ওপার থেকে বারবার গুলি ছুঁড়া হচ্ছে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে চলাচল করা ট্রলার এবং স্পিডবোট লক্ষ্য করে। এ কারণে এই নৌরুটে তিনদিন ধরে সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সেন্টমার্টিনের একমাত্র যাতায়াত ব্যবস্থা একমাত্র নৌপথে হওয়ায় সেন্টমার্টিনের সাথে এখন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

রোববার (০৯ জুন) সন্ধ্যায় বার্তা২৪.কম-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।

দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপের এই চেয়ারম্যান বলেন, ৩ দিন ধরে ট্রলার চলাচল বন্ধ রয়েছে। স্পিডবোট চলাচলও বন্ধ রয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কোন সংকট হয়নি। যাতায়াত নিয়ে সমস্যা হচ্ছে অনেক। অনেকেই সেন্টমার্টিনে আসতে পারছে না। অনেকেই সেন্টমার্টিন থেকে যেতেও পারছে না। কিছুটা খাবার নিয়ে কষ্টে আছে। তবে এখনো খাবার সংকট তৈরি হয়নি। সংকট হতে পারে সবজি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের। আর কয়েকদিন বন্ধ থাকলে খাবার সংকটও তৈরি হতে পারে।

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটের চলাচলকারী বোট মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, তিনদিন ধরে বোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। আমার বোটেও গুলি করা হয়েছে মিয়ানমার থেকে। এর আগেরদিনও গুলি করেছে আরেকটি ট্রলারে। লোকজন পারাপার করতে পারছে না। সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে খাদ্য মালামাল এবং মানুষ পারাপারের জন্য ৩ টা আসে এবং ৩ টা চলে যায়। আর অন্যান্য মালামাল আনা-নেয়া করার জন্য কিছু ট্রলার চলাচল করে। কালকেও দুইটা ট্রলার যাওয়ার চেষ্টা করেছিলো তবে টেকনাফ মোহনায় গুলি করলে আবারও সেন্টমার্টিনে ফেরত আসে ট্রলারগুলো।

সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন বলেন, মিয়ানমারের গোলাগুলির কারণে সেন্টমার্টিন টু টেকনাফ যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। যার ফলে সেন্টমার্টিনের লোকগুলি অনেক কষ্টে আছে। সেন্টমার্টিনের জনগণকে সমস্ত কিছু টেকনাফ থেকে এনে খেতে হয়। আমরা এখন কি করবো বুঝতে পারছি না।

এদিকে বুধবার (০৫ জুন) সন্ধ্যার দিকে নাফ নদীর মোহনায় সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে বাংলাদেশী নির্বাচনী কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান তখন জানিয়েছিলেন, ‘সুষ্ঠু সুন্দর উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন শেষ করে টেকনাফ ফেরার পথে মিয়ানমার অভ্যন্তর থেকে গুলি ছুঁড়া হয়। এসময় সহকারী কমিশনার ভূমি, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, পুলিং অফিসারসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের একটি টিমও ছিলো। এসময় ২৫/৩০ জন কোস্ট গার্ডের একটি বুট এবং কয়েকটি ট্রলারে করে টেকনাফে ফেরার পথে ২৫/৩০ রাউন্ড গুলি ছুঁড়া হয় মিয়ানমারের ওপার থেকে।

এছাড়া এর আগেও ট্রলার লক্ষ্য করে বারবার গুলি ছুঁড়ে মিয়ানমারের ওপার থেকে। বারবার এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটার কারণে ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে ট্রলার এবং স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রেখেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এসব বিষয় নিয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) ইয়ামিন হোসেন বলেন, সেন্টমার্টিনে প্রায় ১০ হাজার মানুষের বসবাস। তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আনা-নেওয়া এপার থেকে করতে হয়। যেহেতু মিয়ানমার থেকে বারবার গুলি করা হচ্ছে একারণে আমরা সেন্টমার্টিন যাওয়ার বিকল্প নিয়ে ভাবছি। নাফ নদীর মোহনায় যেহেতু এঘটনা ঘটছে তাই নাফকে এভয়েড করে আমরা বিকল্প কিভাবে তাদের খাদ্যসামগ্রী এবং যাতায়াতের ব্যবস্থা করা যায় এসব নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

গুলি করা করছে সেটি বুঝা যাচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, গুলি ছুঁড়া হচ্ছে। কিন্তু করা গুলি করছে আমরা বুঝতে পারছি না। যেহেতু ওপারে যুদ্ধ চলছে। আমরা এসব বিষয় নিয়ে সরকারকে জানিয়েছি। স্থানীয়ভাবেও সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।

;

আধুনিকতার ছোঁয়ায় জৌলুস হারাচ্ছে বাস কাউন্টার

ছবি: বার্তা২৪

ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানেই উচ্ছ্বাস, ঈদ মানেই বাড়ি ফেরা! আর ঈদের বাড়ি ফিরতে ব্যস্ত নগরী ঢাকা ছাড়তে আগে থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করেন ঢাকাবাসী। ভিড় বাড়ে বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন ও লঞ্চ কাউন্টারগুলোতে। প্রতিযোগিতা চলে কে আগে ফিরতে পারবেন বাড়ি! ব্যস্ত সময় পার করেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।

তবে আধুনিকতার ছোঁয়ায় টিকিট কাউন্টারগুলোর আগের সে দৃশ্য অনেকটাই হারিয়ে গেছে। এখন ঈদ আসলে কাউন্টার ম্যানেজারদের আর ব্যস্ততা থাকে না। ঘরে বসেই বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করেন যাত্রীরা।

পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ছোট বড় প্রায় সব কোম্পানি নিজস্ব অ্যাপ ও থার্ডপার্টি কোম্পানির মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করছে অনলাইনে। এতে কমেছে কাউন্টারের জৌলুস। ঘরে বসেই পরিবহন সেবা নিচ্ছেন প্রায় ৭০ শতাংশ যাত্রী। এতে যাত্রী ভোগান্তির কমে যাওয়ার পাশাপাশি কমেছে সড়কের জালিয়াতিও।

তবে এমন আধুনিকতায় বিপাকে পড়েছে ছোট ছোট কোম্পানিগুলো ও ব্যক্তিগত পরিবহন সার্ভিসদাতারা। এছাড়া অনলাইনে টিকিট বিক্রির ফলে কাউন্টারে থাকছে না টিকিট। ফলে, প্রায় ৪০ শতাংশ যাত্রীই ঘুরছেন কাউন্টার ম্যানেজারদের দ্বারে দ্বারে।

সরেজমিন কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ড খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ৮৫ শতাংশ টিকিটই অগ্রিম বিক্রি হয়েছে সেখানকার কাউন্টারগুলো থেকে। সশরীরে যাত্রী আসছেন না কাউন্টারে। এতে কিছুটা অলস সময়ও পার করছেন কাউন্টার ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা।

অনলাইন এবং অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট কাটার সুযোগ থাকায় বাস কাউন্টারগুলো ফাঁকা, ছবি- বার্তা২৪.কম ম্যাক্স ট্রাভেল নওগাঁ ট্রাভেলস রংধনু এক্সপ্রেসসহ ছোট ছোট প্রায় ১৫টি পরিবহন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনলাইন সার্ভিস নেই তাদের। সে কারণে অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়নি। তাই ঈদের আগের দুইদিনের অপেক্ষা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ইউরো কোচ সার্ভিসের ম্যানেজার মো. নুরুজ্জামান বলেন, আমাদের টিকিট বিক্রি হবে ঈদের আগের দুইদিনে। এছাড়া কাউন্টারে মানুষ আসেন না। সবাই অনলাইনে টিকিট কাটেন। গার্মেন্টস, কারখানা ছুটি হলে আমাদের বিক্রি শুরু হবে; এর আগে হবে না।

রংধনু এক্সপ্রেসের ম্যানেজার আবুল বাশার বলেন, অগ্রিম কয়েকটা বিক্রি করেছি। তবে সব টিকিট ফাঁকা। অনলাইনে বিক্রি শেষ হলে বাধ্য হয়েই আমাদের কাছে আসবে। তখন বিক্রি হবে; তার আগে না। আগের ব্যবসা নেই আর পরিবহনে। যুগ আধুনিক হচ্ছে। যারা তাল মেলাতে পারছেন, তারা আগাচ্ছেন।

আধুনিকতার ছোঁয়ায় জৌলুস হারিয়েছে বাস কাউন্টারগুলো, ছবি- বার্তা২৪.কম মো. আলিফ হোসেন নামের এক যাত্রী জানান, অনলাইনে টিকিট নেওয়ার ট্রাই করেছি। কিন্তু সব টিকিট বুকড। ফাঁকা আছে একদম শেষেরগুলো। সেগুলোতে তো যাওয়া যায় না। কাউন্টারে এসে ঘুরছি। কোথাও টিকিট নেই। এখন লোকাল গাড়ি ছাড়া উপায় নেই!

পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রেন ও বাসের পাশাপাশি লঞ্চে অনলাইন টিকিট নিশ্চিত করা গেলে দেশের যাত্রীরা স্মার্ট সেবা পাবেন। সেইসঙ্গে দেশের পরিবহন সেক্টর হয়ে উঠবে ‘স্মার্ট’। ভোগান্তি এবং জালিয়াতিও কমবে।

বাস মিনিবাস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ নবী বলেন, প্রযুক্তির সঙ্গে সব কিছু বদলে যাচ্ছে। বাংলাদেশের বাস সার্ভিস আরো কয়েক বছর আগে থেকেই অনলাইনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে। এতে অনেকাংশে ভোগান্তি কমেছে। শতভাগ যদি অনলাইন করা যায়, তাহলে দেশের পরিবহন সেক্টর আরো সমৃদ্ধ হবে। শুধু বাস বা ট্রেন নয়, লঞ্চসহ সব ক্ষেত্রে এর বাস্তবায়ন করা জরুরি। এতে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এর অগ্রযাত্রার সহযোগী হয়ে উঠবে পরিবহন সেক্টর।

;

পুলিশ কনস্টেবল কাওসার ‘মানসিক রোগী’, দাবি পরিবারের

কনস্টেবল কাওসার আহমেদ

রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল হককে গুলি করে হত্যা করা আরেক কনস্টেবল কাওসার আহমেদ ‘মানসিক রোগী’ বলে দাবি করেছেন তার পরিবার।

অভিযুক্ত কাওসার আহমেদ কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলা সদর ইউনিয়নের দৌলতখালী দাড়েরপাড়া এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়াত আলী মাস্টারের ছোট ছেলে।

জানা যায়, কাওসার আহমেদ ২০০৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। চাকরি জীবনের বছর পাঁচেক কাটিয়ে ২০১৫ সালের দিকে তিনি মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়। পরে তাকে সরকারিভাবে কয়েকবার পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। চাকরি করা অবস্থায় বেশ কয়েকবার অসুস্থ হলেও তাকে চিকিৎসা করানো হয়।

অভিযুক্ত কাওসার আহমেদ মাদকাসক্ত কিনা জানতে চাইলে পরিবারের সদস্যরা এবং এলাকাবাসী অস্বীকার করে বলেন, তিনি মানসিক রোগে আক্রান্ত। মাঝে মাঝে তিনি অসুস্থ হয়ে যেতেন। মাদকের সঙ্গে তার কোন সম্পৃক্ততা নাই।

গত চার-পাঁচ দিন ধরে পরিবারের সঙ্গে কম কথা বলতেন কাওসার বলে তার মা মাবিয়া খাতুন জানান।

তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে এমনিতে খুব ভালো। তার মাথায় কিছু সমস্যা আছে। কাওসারের সাথে আমার শনিবার রাত ৮টায় শেষ কথা হয়। আমার সাথে ভালো ভাবেই কথা বলেছে। মা কেমন আছো, আব্বা কেমন আছে জিজ্ঞেস করে। তবে কয়েকদিন ধরে বাড়িতে একটু কম কথা বলতো। পারিবারিক কোন সমস্যা ছিলো না বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে তার স্ত্রী নিলুফার ইয়াসমিন সাথী বলেন, আমার স্বামী মানসিক রোগে আক্রান্ত। সে মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে যেতো, তাকে কয়েকবার পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছে। চিকিৎসার কাগজপত্র আমার স্বামীর কাছে আছে। আমাদের পারিবারিকভাবে কোন সমস্যা ছিল না। তবে সে মানসিক রোগে আক্রান্ত হলে পরিবারের সাথে কম যোগাযোগ করতো এবং কথাও কম বলতো।

এ ব্যাপারে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভেড়ামারা সার্কেল) মহসীন আল মুরাদ জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই।

উল্লেখ্য, শনিবার (৮ জুন) রাতে বারিধারায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের নিরাপত্তার দায়িত্বে অন্যান্য পুলিশ সদস্যের মতো ছিলেন কনস্টেবল মনিরুল এবং কাওসার। রাত পৌনে ১২টার দিকে হঠাৎই সহকর্মী মনিরুলকে নিজের বন্দুক দিয়ে গুলি করেন কনস্টেবল কাওসার। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মনিরুল।

এসময় হামলাকারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে পাশে থাকা জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন আহত হন। তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পরে আটক করা হয় হামলাকারী কাওসারকে।

নিহত মনিরুল ইসলামের বাড়ি নেত্রকোনায়। তার তিন বছরের একটি সন্তান রয়েছে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *