সারাদেশ

পাটক্ষেত থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার

ডেস্ক রিপোর্ট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার (৯ জুন) বিজেপির ৯৬ বছর বয়সি সিনিয়র নেতা লাল কৃষ্ণ আদভানির সঙ্গে তার বাড়িতে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বৈঠকে উভয় নেতা তাদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলেন।’ এ ছাড়াও তারা সৌহার্দ্য বিনিময় ও অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করেন।

এদিকে, রবিবার সন্ধ্যায় টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শনিবার নয়াদিল্লি পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, মরিশাস, নেপাল ও ভুটানের শীর্ষ নেতারাও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

শেখ হাসিনা তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ভবনে তৃতীয় বিদেশি নেতা হিসেবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

অনুষ্ঠানে ৮ হাজার জনেরও বেশি বিশিষ্টজনের রেকর্ড উপস্থিতি দেখা গেছে। নেতৃবৃন্দ পরে একই সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের প্রেসিডেন্ট শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মু’র দেওয়া ভোজসভায় যোগ দেবেন।

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে নয়াদিল্লিকে কঠোর বহু-স্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতায় রাখা হয়েছে, যার লক্ষ্য অনুষ্ঠান চলাকালীন রাষ্ট্রপতি ভবন এবং এর বাইরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

এর আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট প্রায় দেড় ঘণ্টা উড়ে যাওয়ার পর শনিবার সকাল ১১টা ৫১ মিনিটে (স্থানীয় সময়) ভিভিআইপি বিমানবন্দর পালাম এয়ার ফোর্স স্টেশনে অবতরণ করে।

পালাম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (সিপিভি ও ওআইএ) মুক্তেশ পরদেশী, বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান স্বাগত জানান।

নয়াদিল্লিতে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদানের পর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ওয়ান-টু-ওয়ান বৈঠক করবেন।

প্রধানমন্ত্রীর সোমবার (১০ জুন) বিকালে ঢাকার উদ্দেশে নয়াদিল্লি ত্যাগ করার কথা রয়েছে।

এর আগে গত বুধবার টেলিফোনে আলাপের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য তার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান। শেখ হাসিনা সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।

ভারতের সদ্য সমাপ্ত ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ ২৯৩টি আসন জিতেছে এবং বিরোধী ইন্ডিয়া ব্লক ২৩৪টি আসন পেয়েছে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মোদিকে অভিনন্দন জানানো প্রথম বিদেশি নেতাদের মধ্যে অন্যতম, যা দুই নেতার মধ্যে উষ্ণ ব্যক্তিগত সম্পর্ক প্রতিফলিত করে।

এর আগে শেখ হাসিনা লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের (এনডিএ) নিরঙ্কুশ বিজয়ে নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানান।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের নেতা হিসাবে, আপনি ভারতের জনগণের আশা-আকাক্ষার প্রতীক।’

ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো জানায়, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ’র জয়ের জন্য শেখ হাসিনা টেলিফোনে নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানান।

মোদি বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে, যা গত এক দশকে অভূতপূর্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।’

এক্স-এ শেয়ার করা এক বার্তায় মোদি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে জনগণকেন্দ্রিক অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করতে তিনি একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছেন।

দুই নেতা ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’ এবং ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১’ অর্জনের লক্ষ্যে নবায়নকৃত ম্যান্ডেটের আওতায় ঐতিহাসিক ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে আরও গভীর করার জন্য একসাথে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *