সারাদেশ

বালিয়াকান্দিতে নতুন কারিকুলামে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ১১৩ জন শিক্ষক

ডেস্ক রিপোর্ট: বালিয়াকান্দিতে নতুন কারিকুলামে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ১১৩ জন শিক্ষক

বালিয়াকান্দিতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ১১৩ জন শিক্ষক

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলাতে জীবন ও জীবিকা বিষয়ে ৫ দিন এবং ডিজিটাল প্রযুক্তি (প্রোগ্রামিং অ্যান্ড নেটওয়ার্কিং) বিষয়ের ওপর ৪ দিনব্যাপী নতুন শিক্ষাক্রম বিস্তরণ প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।

সোমবার (১০ জুন) সকাল থেকে এ প্রশিক্ষণ শুরু হয়। 

বালিয়াকান্দি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে ও সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, মাউশির বাস্তবায়নে প্রশিক্ষণটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে বালিয়াকান্দি সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে। এতে উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১১৩ জন বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন।

বালিয়াকান্দি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও কোর্স পরিচালক পারমিস সুলতানা জানান, ১০ জুন থেকে শুরু হওয়া জীবন ও জীবিকা বিষয়ের প্রশিক্ষণ চলবে আগামী ১৪ জুন। এতে অংশ নিচ্ছেন ৭৬ জন। আর ডিজিটাল প্রযুক্তি (প্রোগ্রামিং অ্যান্ড নেটওয়ার্কিং) বিষয়ের প্রশিক্ষণ চলবে ১৩ জুন পর্যন্ত। এতে অংশ নিচ্ছেন ৩৭ জন শিক্ষক। ১১৩ জন প্রশিক্ষণার্থীর জন্য ৬ জন উপজেলা মাস্টার ট্রেইনার রয়েছেন। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত প্রশিক্ষণ চলবে।

প্রশিক্ষণের প্রথম দিনে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন রাজবাড়ী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাবেরী রায়।

পরিদর্শনকালে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনশক্তি তৈরিতে নতুন শিক্ষা কারিকুলাম বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই। আমাদের আগামী প্রজন্মকে মুখস্ত বিদ্যা থেকে সরিয়ে এনে হাতেকলমে বাস্তব জ্ঞান অর্জন করে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাদেরকে প্রস্তুত করতে নতুন শিক্ষা কারিকুলাম বড় ভূমিকা পালন করবে। আপনারা যারা শ্রেণি শিক্ষক রয়েছেন, আপনারা মনেপ্রাণে কারিকুলাম বিস্তরণ বাস্তবায়নে কাজ করবেন এটিই আমাদের প্রত্যাশা। মনে রাখবেন- নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে আপনারা সম্মুখ যোদ্ধা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাবেরী রায় নতুন শিক্ষা কারিকুলামের গুরুত্ব ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত দেশপ্রেমিক, উৎপাদনমুখী, অভিযোজনে সক্ষম সুখী ও বৈশ্বিক নাগরিক গড়ে তোলায় নতুন কারিকুলামের মূল লক্ষ্য। গুজবকে প্রতিহত করে নতুন কারিকুলাম সংক্রান্ত বিভ্রান্তি দূরীকরণে সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত হওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি।

এ সময় প্রশিক্ষণার্থীদের পক্ষ থেকে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন শিক্ষক দয়াল চন্দ্র মন্ডল, লাবনী আক্তার মুন্নি ও মলয় কান্তি সরকার।

ছাত্রলীগ নামধারী খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী

ছবি: বার্তা২৪.কম

মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা আল আমিনকে নামধারী কিছু ছাত্রলীগ নেতারা অত্যন্ত নির্মমভাবে খুন করেছে। কে বা কারা এটা করেছে তা খোঁজে বের করতে আমাদের আর কষ্ট করতে হবে না।  তাদের পরিচয় প্রশাসন ও সব মহলের কাছে আছে। তারা যে দলেরই হোক তাদের পরিচয় খুনি। আর কোনো খুনির সাথে আমাদের দলের কোনো রকম সম্পর্ক নেই। 

সোমবার (১০ জুল) দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদে কার্যক্রম শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক (এমপি)। 

মন্ত্রী বলেন, খুনিরা দেশের অভ্যন্তরেই রয়েছে। প্রশাসনকে আহবান জানাচ্ছি অতি দ্রুত তাদের খোঁজে বের করে গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক৷ ১৯৭৫ জনের ১৫ আগস্ট আমাদের দেশনেত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের ১৮ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। তার চেয়ে আঘাত এ দেশে আর কেউ পায়নি। অর্থাৎ একটি পরিবারের কাউকে হত্যা করা হলে তাদের কেমন আঘাত লাগে তা প্রধানমন্ত্রী জানেন। তাই তিনি বিষয়টি আমলে নিয়ে পুলিশ প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন। 

তিনি আরও বলেন, এ দেশের পুলিশের প্রধান, সেনাবাহিনীর প্রধানরা তাদের অপকর্মের দায় এড়াতে পারেনি। তাদের উপর কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সেখানে ছাত্রলীগ নামধারী এসব হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূল্যক বিচার হবে। যাতে তাদের মতো এমন কাজ আর কেউ করতে সাহস না পায়। 

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কালিয়াকৈর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ঈমন হোসেনের নেতৃত্বে কলেজের অদূরে চন্দ্রা – ডাইনকিনি সড়কের নায়াগ্রার ঢাল এলাকায় একত্রিত হলে সেখানে একপক্ষ হঠাৎ ধারালো অস্ত্র নিয়ে এসে আল আমিন ও কামরুল নামে দুজনের উপর হামলা চালায়। এসময় অভিযুক্তদের এলোপাতাড়ি কুপে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায় আল আমিন। গুরুতর আহতাবস্থা কামরুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। 

;

টিলাধসে নিখোঁজ একই পরিবারের ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার

৩ জনের মরদেহ উদ্ধার

সিলেট মহানগরীর মেজরটিলার চামেলিবাগে আবাসিক এলাকায় টিলা ধসের ঘটনায় নিখোঁজ ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা একই পরিবারের সদস্য বলে জানা গেছে।

সোমবার (১০ জুন) দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে সেনাবাহিনীর সহায়তায় মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন, আগা করিম উদ্দিন, তার স্ত্রী শাম্মী আক্তার রুজি ও তাদের ১৫ মাস বয়সী শিশু সন্তান তানিম।

মরদেহ উদ্ধার করা হচ্ছে এর আগে, সোমবার (১০ জুন) সকাল ৬টার দিকে সিসিকের ৩৫নং ওয়ার্ডের মেজরটিলার চামেলিবাগ আবাসিক এলাকায় টিলা ধসের ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সকাল ৬টার দিকে বিকট শব্দে টিলা ধসে। এখানে দুটি পরিবারের ৫ জন মানুষ মাটিচাপা পড়ে।

;

সাতক্ষীরায় লবণাক্ত এলাকায় চাষাবাদে প্রযুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ

ছবি: বার্তা২৪.কম

সাতক্ষীরায় লবণাক্ত এলাকায় চাষাবাদে প্রযুক্তি বিষয়ক চাষী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১০ জুন) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল ও বিনা সাতক্ষীরা উপকেন্দ্রের বাস্তবায়নে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

পার্টনার প্রোগ্রামের আওতায় বিনা সাতক্ষীরা উপকেন্দ্রের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণে আমন ধান চাষাবাদ ও বীজ সংরক্ষণ, ধানের রোগ ও পোকামাকড় দমন, রবি ও খরিপ মৌসুমে পতিত জমিতে চাষাবাদ, ঘেরের আইলে সবজি চাষ প্রভৃতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

এতে প্রশিক্ষণ দেন সার্ক কৃষি কেন্দ্রের পরিচালক, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের চিফ সাইন্টিফিক অফিসার (শস্য) ও পার্টনার প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক ড. হারুনূর রশীদ, প্রিন্সিপাল সাইন্টিফিক অফিসার (শস্য) ড. মোঃ জামান উদ্দীন, বিনা সাতক্ষীরা উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম, বিএফআরআই এর সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার মোঃ হাশমী সাকিব, বিনা সাতক্ষীরা উপকেন্দ্রের সাইন্টিফিক অফিসার মশিউর রহমান ও সাইন্টিফিক অফিসার মিলন কবীর।

প্রশিক্ষণে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার সাহস ও শোভনা ইউনিয়নের ২৫জন কৃষক-কৃষাণী অংশ নেন।

;

গৃহ ও ভূমিহীনমুক্ত হচ্ছে কক্সবাজার

ছবি: সংগৃহীত

সাগরতীরের জেলা কক্সবাজার গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত হতে যাচ্ছে। মঙ্গলবার (১১ জুন) কক্সবাজার জেলাকে গৃহ ও ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন তিনি নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার ভাদীতলার পূর্ব দরগাপাড়ার আশ্রয়ণ প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, কক্সবাজার জেলার ৯টি উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৯২৫। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ এবং ৫ম পর্যায়ে (১ম ধাপ) এ পর্যন্ত মোট ৪ হাজার ৬৬৪টি পরিবারের মধ্যে গৃহ নির্মাণ করে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে কক্সবাজার জেলার ৬টি উপজেলা চকরিয়া, পেকুয়া, রামু, উখিয়া, টেকনাফ ও কুতুবদিয়াকে ইতোমধ্যে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সম্প্রতি ৫ম পর্যায়ের ২য় ধাপে কক্সবাজারের সদর উপজেলায় ৭৫টি, ঈদগাঁও উপজেলায় ১৪৬টি এবং মহেশখালী উপজেলায় ৪০টিসহ মোট ২৬১টি গৃহের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ১১ জুন নির্বাচিত উপকারভোগীদের মাঝে ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, নির্মিত গৃহে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ ও সুপেয় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গৃহ বরাদ্দের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর যৌথনামে বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়। এতে করে সরকার নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, গ্রামেই শহরের সুযোগ-সুবিধা, উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে মানবসম্পদ ও পরিবেশ উন্নয়নের মাধ্যমে পুনর্বাসিত মানুষের জীবন-মানোন্নয়নে কাজ করছেন। প্রথম পর্যায় থেকে পঞ্চম পর্যায় পর্যন্ত নির্মিত সকল গৃহের গুণগত মান বজায় রাখার জন্য ধারাবাহিক প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাহিদ ইকবাল বলেন, কক্সবাজারকে গৃহহীন ও ভুমিহীন মুক্ত ঘোষণা করা হলেও নতুন করে গৃহহীন ও ভুমিহীন মানুষের কোনো তথ্য পেলে তাদের জন্য জন্যও ঘর এবং জমির ব্যবস্থা করা হবে। যেহেতু এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং প্রকল্পের মেয়াদ এখনো রয়েছে সেহেতু নতুন করে কেউ ভূমি-গৃহহীন থাকলে সঠিক তথ্য পেলে তাদের জন্য গৃহ-ভুমি করে দেওয়া হবে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী যেহেতু ঈদগাঁও উপজেলার সাথে সরাসরি সংযুক্ত হবেন সেখানখার সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *