সারাদেশ

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা রোডম্যাপ বাস্তবায়নে গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসার আহ্বান

ডেস্ক রিপোর্ট: বর্জ্য ব্যবস্থাপনা রোডম্যাপ বাস্তবায়নে গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসার আহ্বান

Photo: Collected

প্রান্তিক মানুষের জন্য কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অন্তর্ভুক্তি ও বাস্তবায়নের রূপকল্পের কথা গণমাধ্যমে তুলে ধরার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকার প্রান্তিক মানুষের প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার রোডম্যাপ বাস্তবায়নে গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে।

সোমবার (১০জুন) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ডিনেট সম্মেলন কক্ষে ঢাকা কলিং প্রকল্পের উদ্যোগে সাংবােিদদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ সব কথা বলেন তারা।

মতবিনিময় সভায় বিশিষ্ট পরিবেশবিদ প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান বলেন, বাংলাদেশের আইনের কোনো অভাব নেই, অভাব হলো তার যথাযথ বাস্তবায়নের। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমাদের সার্বিক পরিবেশের জন্য। আমাদের দেশে যে পরিমাণ বর্জ্য প্রতিদিন উৎপাদন হয় তার সঠিক ব্যবস্থাপনা না থাকার জন্য আমরা হাজারো পরিবেশগত সমস্যার মধ্যে পড়ছি। সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের উচিত সকল মন্ত্রণালয়কে নিয়ে একটি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা এবং প্রত্যেকের কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। তিনি আরো বলেন, গণমাধ্যম সকল কিছুকে জাতির সামনে তুলে ধরার প্রধান বাহন। তাই গণমাধ্যম কর্মিদের আরো উৎসাহিত করার লক্ষ্যে মিডিয়া এওয়ার্ড ও ফেলোশীপের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

পরিবেশবাদী সংগঠন বাপা’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রসূল বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বড় সমস্যা ইজারা প্রথা। বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করার জন্য সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি আর এর জন্য চাই একটি রোডম্যাপ। যে রোডম্যাপে প্রান্তিক মানুষের অংশগ্রহণ ও অধিকার নিশ্চিত হবে।

বস্তিবাসী অধিকার সুরক্ষা কমিটির সভাপ্রধান হোসনে আরা বেগম রাফেজা বলেন, যেকোন রোগ হলে তার জন্য সেই রোগের ঔষধ দিতে হবে, আমাদের শহরের ময়লা/বর্জ্যকে ব্যবস্থাপনার জন্য তেমনই রোডম্যাপ দরকার। আর মিটিং, সমাবেশ ও সাংবাদিকদের বড় ভূমিকা নিতে হবে। সাংবাদিকদের জন্য আমাদের প্রান্তিক মানুষের অনেক কথাই জাতির সামনে উঠে এসেছে।

সভায় সাংবাদিক নিখিল ভদ্রের সভাপতিত্বে ও মাহবুল হকের সঞ্চালনায় সভায় বক্তৃতা করেন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন আন্দোলন (পরিজা)’র সভাপতি প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান, বাপা’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রসুল, কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধি নাইরা নিজাম, বারসিকের প্রজেক্ট ম্যানেজার ফেরদৌস আহমেদ, ডিএসকের মনিটরিং ও ডকুমেন্টেশন ম্যানেজার জেসমিন মলি, বস্তিবাসী অধিকার সুরক্ষা কমিটির সভাপ্রধান হোসনে আরা বেগম রাফেজা, সাংবাদিক নেতা রফিকুল ইসলাম আজাদ, সকিলা পারভীন, তানভীর আহমেদ, শরফুল আলম প্রমুখ।

ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে যুক্ত হলো ১০ পে-লোডার

ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে যুক্ত হলো ১০ পে-লোডার

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছে নতুন ১০টি পে-লোডার।

রোববার (১০ জুন) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবন প্রাঙ্গণে করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের জন্য নতুন ক্রয়কৃত এসব পে-লোডার হস্তান্তর করা হয়। র‌্যাংগস মোটরস লিমিটেডের সিইও আহমেদ শাহরিয়ার আনওয়ার ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে এসব পে-লোডারের চাবি হস্তান্তর করেন।

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম গতিশীল করতে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নিজস্ব অর্থায়নে ৮ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পে-লোডার ১০টি ক্রয় করে।

চাবি হস্তান্তরের পর ডিএসসিসি মেয়র ঘুরে ঘুরে পে-লোডারগুলো পর্যবেক্ষণ করেন।

এ সময় ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, নতুন পে-লোডার ক্রয়ের ফলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন সঞ্চারিত হওয়ার পাশাপাশি বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমও ত্বরান্বিত হবে। আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহার সময় কোরবানির পশু ও হাটের বর্জ্য অপসারণে নতুন ক্রয়কৃত এসব পে-লোডার জোরালো ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও নতুন পে-লোডার ক্রয়ের মাধ্যমে আমাদের নিজস্ব সক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে।

চুক্তি অনুযায়ী, নতুন ক্রয়কৃত পে-লোডারের জন্য ২ বছরের ওয়ারেন্টি প্রদান করা হবে। এছাড়াও এসব পে-লোডার পরিচালনায় নিয়োজিত চালকদের বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান র‌্যাংগস মোটরস লিমিটেড কর্তৃক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যা আজ হতেই শুরু হয়েছে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান ভান্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশিরুল হক ভূঁঞা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম আহমেদ, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র সাহা, প্রধান নিরীক্ষা কর্মকর্তা মো. তাজনুর ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

;

ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত জেলা হচ্ছে চট্টগ্রাম

ছবি: বার্তা২৪.কম

পঞ্চম দফায় আগামীকাল ১১ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। এরই মধ্যদিয়ে সম্পূর্ণভাবে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম জেলা। এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক চট্টগ্রাম জেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন ২৫০টি পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ ঘরের মালিকানার দলিল হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধনকালে এ ঘোষণা দেয়া হবে।

সোমবার (১০ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলনে কক্ষে সাংবাদিকদের ডেকে এসব কথা জানান জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামান।

জেলা প্রশাসক বলেন, ইতঃপূর্বে চট্টগ্রাম জেলার ১৫টি উপজেলার মধ্যে ১২টি উপজেলা যথাক্রমে-পটিয়া, কর্ণফুলী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, রাউজান, বোয়ালখালী, আনোয়ারা, ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, রাঙ্গুনিয়া, বাঁশখালী, মীরসরাই উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড, চন্দনাইশ ও সন্ধীপ উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করার জন্য আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প কার্যালয়ে প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। উক্ত তিনটি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে এবং একই সাথে চট্টগ্রাম জেলাকেও ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে।

ডিসি আরও বলেন, ‘মুজিব শতবর্ষে একজন লোকও গৃহহীন থাকবে না’- প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়নে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদানের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম জেলায় ১ম পর্যায়ে ১ হাজার ৪৪৪টি ঘরের বরাদ্দ প্রদানসহ তাদেরকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। ২য় পর্যায়ে ৬৪৯টি, ৩য় পর্যায়ে ১ হাজার ৯৬২টি এবং ৪র্থ পর্যায়ে ১ হাজার ২২৩টি ঘরের বরাদ্দ প্রদান করা হয়। বরাদ্দপ্রাপ্ত ঘরসমূহ ইতোমধ্যে উপকারভোগীদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে এবং উপকারভোগী পরিবারসমূহ উক্ত ঘরসমূহে বসবাস করছেন।

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, সন্ধীপ উপজেলায় নির্মাণাধীন ৪টি আশ্রয়ণ প্রকল্পের মধ্যে ৩টি আশ্রয়ণ প্রকল্প বাংলাদেশ নৌবাহিনী কর্তৃক হস্তান্তর করা হয়েছে। অবশিষ্ট ১টি আশ্রয়ণ প্রকল্প হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন। উক্ত প্রকল্পসমূহে ৯২৩টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে।

;

মোটরসাইকেলের সাইলেন্সার শব্দ করায় যুবক খুন, গ্রেফতার ৭

ছবি: বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে মোটরসাইকেলের সাইলেন্সারের বিকট শব্দকে কেন্দ্র করে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে খুন ও আরও একজন আহতের ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (৯ জুন) হত্যাকাণ্ডের ১৫ ঘণ্টার মধ্যে পতেঙ্গা থানা পুলিশ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার সাতজন হলেন- কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানার আকবর বাড়ির জাহিদুল ইসলাম (২২), কোতোয়ালী থানার কাজির দেউড়ি এলাকার মোবারক হোসেন (২৩), সন্দ্বীপ উপজেলার মাইঠভাঙার ইকবাল হোসেন ইমন (২২), পতেঙ্গা থানার মাইজপাড়া এলাকার শাহরিয়ার আল আহমেদ (২০), একই থানার উত্তর পতেঙ্গা আবুল বাশারের বাড়ির জোবায়ের বাশার (৩৪), বন্দর থানার গোসাইলডাঙ্গা এলাকার তাহরিয়ার আহমেদ বাঁধন (২০) এবং হাটহাজারী থানার কাটিরহাট গ্রামের মো. মারুফ চৌধুরী (২১)।

সোমবার (১০ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) শাকিলা সোলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, গভীর রাতে দুটি গ্রুপ পতেঙ্গা সৈকত এলাকায় ঘুরতে যায়। একপর্যায়ে সৈকতের গোলচত্বর এলাকায় মোটরসাইকেলের সাইলেন্সার পাইপে শব্দ করাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক সমাধান হলেও একপক্ষ প্রতিশোধের অপেক্ষায় টানেলের মুখে অবস্থান নেয়। সেখানে মারামারি একপর্যায়ে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন রাফি। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এটি তাৎক্ষণিক সৃষ্ট একটি ঘটনা। দুই পক্ষই ঝগড়ায় লিপ্ত।

পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাকিলা সোলতানা বলেন, গতকাল রোববার ভোর ৪টার দিকে আমাদের কাছে সংবাদ আসে দুইটি পক্ষের মধ্যে মোটরসাইকেলের সাইলেন্সারের শব্দ নিয়ে মারামারি হয়। এ সময় ৪ থেকে ৫ জনের যে গ্রুপটি ছিল তাদের ওপর ১০ থেকে ১৫ জনের একটি গ্রুপ হামলা করে। তাদের কাছে ছুরিও ছিলো। এসময় ছুরিকাঘাতে আহত দুইজনকে তাৎক্ষণিকভাবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সকাল ৯টার দিকে আহত ভিকটিম মনিরুজ্জামান রাফি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এটি তাৎক্ষণিক সৃষ্ট একটি ঘটনা। দুপক্ষই ঝগড়া করেছে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় আমরা হালিশহর, বন্দর, পতেঙ্গা ও কোতোয়ালী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করেছি। তাদের জবানবন্দী অনুযায়ী আমাদের মনে হয়েছে, রাফি খুনের ঘটনার প্রকৃত আসামিদের আমরা ধরতে পেরেছি। তাদের মধ্যে মোবারক হোসেনের কাছ থেকে আমরা ছুরি উদ্ধার করেছি। আমরা তাদের আজ আদালতে পাঠাবো।

এর আগে, রোববার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পতেঙ্গা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের প্রবেশ মুখের মোটরসাইকেলের সাইলেন্সারের পাইপের শব্দ করাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মারামারির ঘটনা ঘটে। এসময় ছুরিকাঘাতে মনিরুজ্জামান রাফি (২৫) নামে এক যুবক খুন হন। এ ঘটনায় আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন আছেন মো. রায়হান (২৬) নামে আরও একজন। পরে এইকদিন এ ঘটনায় রাফির মা জান্নাতুন ফেরদৌস মেরী বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

;

দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় মেয়াদের শপথ গ্রহণসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছেন।

প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইট সোমবার (১০ জুন) সন্ধ্যায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এর আগে, স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে নয়াদিল্লির ভিভিআইপি বিমানবন্দর পালাম এয়ার ফোর্স স্টেশন থেকে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। এসময় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) জয়দীপ মজুমদার, বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

ভারতের টানা তৃতীয়বারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা। রোববার বিকেলে রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি একান্তে বৈঠক করেন। বৈঠকে দুই নেতা বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আগামী দিনগুলোতে আরও দৃঢ় করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সংক্ষিপ্ত বৈঠকে দুই নেতা একে অপরের খোঁজ খবর নেন। এরপর মোদি শেখ হাসিনাকে সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনের ব্যাঙ্কোয়েট হলে যান এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর নৈশভোজে যোগ দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ভুটান, নেপাল, মরিশাস ও শেসেল-এর শীর্ষ নেতারাও মোদির শপথ-গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে ৮ হাজারেরও বেশি বিশিষ্টজন উপস্থিত ছিলেন।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *