আন্তর্জাতিক

উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় শ্মশান দীপাবলি উৎসব পালিত

ডেস্ক রিপোর্ট: বরিশালে উদযাপিত হলো উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় শ্মশান দীপাবলি উৎসব। বরিশাল নগরীর কাউনিয়া মহাশ্মশানে শনিবার ( ১১ নভেম্বর) ওই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তাদের প্রয়াত স্বজনদের স্মরণ এবং আত্মার শান্তি কামনায় মোমবাতি, ধূপকাঠি ও প্রদীপ প্রজ্বলন করেন।

স্থানীয়দের দাবি, দুইশ বছর ধরে চলে আসছে এই উৎসব। সনাতন ধর্মালম্বীদের মধ্যে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের আত্মার শান্তি কামনা ও নিজেদের পূর্ণ লাভের আশায় প্রতিবছর ভূত চতুর্দশীর পূণ্যতিথিতে বরিশাল নগরীর কাউনিয়া মহাশশ্মানে উদযাপিত হয় এই শ্মশান দীপাবলি।

শনিবার সন্ধ্যার আগেই স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা আসেন শ্মশানে। তারপর প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্যদিয়ে শুরু হয় দীপাবলি উৎসব। প্রয়াত স্বজনদের সমাধি সাজানো হয় পছন্দের খাবারসহ নানা উপাচারে। আত্মার শান্তি কামনায় ধর্মীয় রীতি অনুয়ায়ী চলে প্রার্থনা।

ঐতিহ্যবাহী এই মহাশ্মশানে শ্রদ্ধা জানাতে নেপাল ও ভারতসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসে হাজারো মানুষ। দীপাবলী উৎসবকে সফল করতে প্রশাসন ও আয়োজকদের পক্ষ থেকে নেয়া হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

প্রায় ৫ একর জায়গাজুড়ে বরিশালের ঐতিহ্যবাহী এই শ্মশানটি ২০০ বছরের প্রাচীন দেশের অন্যতম বৃহৎ মহাশ্মশান। শুধু দেশেরই নয়, দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ও প্রাচীনতম মহাশ্মশান এটি।

বরিশাল মহাশ্মশান রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তমাল মালাকার জানান, কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের তিথিকে ভূতচতুর্দশী তিথি বলা হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, ‘বিকাল থেকেই সনাতনসহ অন্য ধর্মাবলম্বীরাও মহাশ্মশান প্রাঙ্গণে জমায়েত হতে থাকেন। ৭০ হাজার সমাধির মহাশ্মশানে নিরাপত্তা নিশ্চিতে এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে মহানগর পুলিশ, র‌্যাবসহ সাদাপোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করেছে। পাশাপাশি ছিলো মহাশ্মশান রক্ষা কমিটির স্বেচ্ছাসেবক দল।’

সজল রায় নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘বাবার সমাধিতে মোমবাতি, আগরবাতি ও প্রদীপ জ্বালিয়ে তাকে স্মরণ করতে এসেছি। তিনি মিষ্টি খুব পছন্দ করতেন, তার সমাধিতে নানা ধরনের মিষ্টি সাজিয়ে উৎসর্গ করেছি।’

মহাশ্মশান এলাকায় অনেককে কীর্তন করতে দেখা গেছে। কেউবা অশ্রুসজল চোখে স্মরণ করেছেন হারানো প্রিয় মানুষটিকে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *