খেলার খবর

ম্যাচ হেরে গিয়েছি আমার আউটে: হৃদয় 

ডেস্ক রিপোর্ট: প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী থাকলেও লক্ষ্যটা ছিল ১১৪ রানের মামুলি। তবে নাসাউ কাউন্টির সেই আলোচিত পিচে এই রান তাড়ায় ৫০ রানেই শুরু চার উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। তবে লঙ্কান ম্যাচের পর এই ম্যাচেও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে ম্যাচটা জয়ের দিকেই টেনে আনছিলেন তাওহিদ হৃদয়। শেষ ১৮ বলে জয়ের জন্য তখন দরকার ছিল কেবল ২০ রান। উইকেট হাতে তখনও ছয়টি। জয়টা উঁকিই দিচ্ছিল। তবে ১৮তম ওভারে ম্যাচের আবহ যেন অনেকটাই পাল্টে গেল। কাগিসো রাবাদার ওভারের প্রথম বলেই লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ফিরলেন হৃদয় এবং সেই ওভারে শেষ  পর্যন্ত আসে ২ রান। এতে ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নিজেই সেই উইকেট হারানোকেই ম্যাচ হারের বড় কারণ হিসেবে মানছেন হৃদয়। 

বিশ্বকাপের নিজেদের প্রথম ম্যাচে লঙ্কানদের বিপক্ষে ২০ বলে ৪০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন হৃদয়। এবার প্রোটিয়াদের বিপক্ষেও ৩৪ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রান আসে তার ব্যাটেই। এতে কার্যত এমনটাই বলা যায় ব্যাট হাতে দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি ছন্দে আছেন এই ২৩ বছর বয়সী ডানহাতি ব্যাটার। তবে সব ছাপিয়ে ম্যাচ হারের দায় নিজের কাঁধেই নিলেন তিনি। তার মতে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়া উচিত ছিল। 

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে একটা প্রশ্ন ছিল এমন? হৃদয়, আপনার মতো ম্যাচটা কোন জায়গায় বাংলাদেশ হেরেছে? সাকিবের আউট, শান্তর আউট কি টার্নিং পয়েন্ট কি-না। সেখানে হৃদয়ের অকপট উত্তর, টপ-অর্ডার ব্যর্থতা ছাপিয়ে নিজের আউটকেই দুষলেন তিনি। ‘ম্যাচটা হেরে গিয়েছি আমার আউটে। আমি যদি ওখানে খেলাটা শেষ করতাম, তাহলে ম্যাচটা হারতাম না। তারা তো অনেক আগেই আউট হয়ে গেছে, আমি তো শেষ পর্যন্ত ছিলাম সেখানে। তাই আমার কাছে মনে হয়েছে, আজকের খেলাটা যদি আমি পারতাম জেতাতে। কিন্তু আমি আউট হয়ে গিয়েছি এবং পারিনি। এতোটুকুই।’ 

ম্যাচের ১৭তম ওভারে আম্পায়ারের সেই আলোচিত সিদ্ধান্ত নিয়েও কথা বলেন হৃদয়। ওটনিল বার্টম্যানের বল মাহমুদউল্লাহর পায়ের লেগে চলে যায় বাউন্ডারিতে। সেখানে প্রোটিয়ারা লেগ বিফোরের আবেদন করলে সাড়া দেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান মাহমুদউল্লাহ। তবে সেই চার আর যোগ হয়নি স্কোরবোর্ডে, বলটি ঘোষণা হয় ডটবল। এই বিষয়টি আইসিসির নিয়ম হওয়ায় সেটি নিয়ে বাড়তি কিছু বলেননি হৃদয়, তবে তার লেগ বিফোরের সিদ্ধান্তটিও আম্পায়ারের কলের জন্যই হয়েছে। তাই সেই বিষয়গুলো নিয়ে বেশ হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি। ‘আইসিসি সেই নিয়ম করেছে, সেখানে আমাদের কিছু করার নেই। কিন্তু তাতে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমাদের ওই চার রানের অনেক প্রয়োজন ছিল। এমনকি আম্পায়াররাও দুটি ওয়াইড দেননি। আমার আউটটিও আম্পায়ার্স কলের কারণে হয়েছে। এটা সত্যিই হতাশাজনক।’ 

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ ডট কম-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *