সারাদেশ

জিয়া স্মৃতি পাঠাগার থেকে শতফুল ফুটবে: মির্জা ফখরুল

ডেস্ক রিপোর্ট: জিয়া স্মৃতি পাঠাগার থেকে শতফুল ফুটবে: মির্জা ফখরুল

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জিয়া স্মৃতি পাঠাগার থেকে শতফুল ফুটবে- সেই চিন্তা থেকে জিয়া স্মৃতি পাঠাগার নির্মাণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, জ্ঞানের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করতে পাঠাগার খুবই জরুরি। আমাদের মধ্যে এক ধরনের প্রবণতা দেখা দিয়েছে যে, আমরা বই পড়তে চাই না। বিশেষ করে ছাত্রদের মধ্যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে তারা বই পড়তে চায় না।

মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে মানিকগঞ্জ শহরে জিয়া স্মৃতি পাঠাগার পরিদর্শনকালে বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন। জেলা শহরের উত্তর সেওতা এলাকায় জেলা বিএনপির নেতা গোলাম কিবরিয়া সাঈদের নিজস্ব বাসায় এ পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে।

এ সময় জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতা, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএ জিন্নাহ কবির, সহসভাপতি আজাদ হোসেন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক নূরতাজ আলম বাহার, জেলা জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি ডা. জিয়াউর রহমানসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র থাকা অবস্থায় টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে পারিবারিক লাইব্রেরি করেছিলেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বই পড়ার অভ্যাস করতে হবে। নতুন বই আসলেই পড়তে হবে। এখন তো মোবাইলে সব কিছু পাওয়া যায়। তবে মোবাইলে যা পাই, আর বইতে যা পাওয়া যায় তাতে অনেক পার্থক্য।

তিনি বলেন, দেশের ইতিহাস, ভূগোল জানা দরকার। রাজনীতি জানা দরকার। সেই সঙ্গে বিজ্ঞানের ছাত্রদের বিজ্ঞান সম্পর্কে জানা দরকার। সমাজকে জানা দরকার। সব মিলিয়ে বই পড়ার মাধ্যমে জ্ঞানের ভাণ্ডারকে বিস্তৃত করার প্রয়োজন। জিয়া স্মৃতি পাঠাগারে শুধু শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বা বিএনপির বা জাতীয়তাবাদী চিন্তাধারা সম্পর্কিত বই নয়, পাঠাগারে সব ধরনের বই থাকবে। এখান থেকে জ্ঞানের ভাণ্ডার আরও সমৃদ্ধ হবে।

পরে তিনি পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লেখেন। এতে পাঠাগার পরিদর্শন করে অভিভূত হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। বিকেলে জেলা সদরের উপজেলার গিলন্ড এলাকায় মুন্নু সিটিতে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিএনপির ঢাকা বিভাগ আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে।

ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীকে বেঁধে রেখে চাঁদাবাজির অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাশেদ জামান বিলাশ(৩১) সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে গরু ব্যবসায়ীকে হাত পা বেঁধে আটকিয়ে রেখে আড়াই লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে সোমবার (১০ জুন) রাতে লালমনিরহাট সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী গরু ব্যবসায়ী আইয়ুব আলী(৪৮)।

আইয়ুব আলী আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের তালুক দুলালী গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে।

থানায় দায়ের করা অভিযোগে সূত্রে জানা যায়, গরু ব্যবসায়ী আইয়ুব আলী রোববার (৯ জুন) লালমনিরহাট আদালতে হাজিরা দিয়ে বের হচ্ছিলেন। এ সময় ৩টি মোটরসাইকেলে ৫ জন ছেলে এসে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি বিলাশের কথা বলে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। তারা প্রথমে লালমনিরহাট মর্গের নির্জন এলাকায় নিয়ে গরু ব্যবসায়ীকে বেদম মারপিট করে। এ সময় মারপিট থেকে বাঁচতে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির বিলাশের পা ধরেও রক্ষা পাননি তিনি। সেখানে তার পকেটে থাকা ২০ হাজার টাকা কেড়ে নেয় ছাত্রলীগের এসব নেতাকর্মী।

এরপর বিজিবি ক্যান্টিন মোড়ের ছাত্রলীগ সভাপতি বিলাশের ব্যাক্তিগত চেম্বারে নিয়ে যায়। সেখানে তার হাত পা বেঁধে পুনরায় মারপিট করে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। অবশেষে তা আড়াই লাখে সমাধান হলে গরু ব্যবসায়ী আইয়ুব আলী তার স্ত্রীকে ফোন করে বিকেলে টাকা ২ লাখ ২০ হাজার এনে দিলে তখনে ছাত্রলীগের জিম্মীদশা থেকে মুক্তি মেলে গরু ব্যবসায়ী আইয়ুব আলীর। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা বা কাউকে বললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় ন্যায় বিচার পেতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদ জামান বিলাশকে প্রধান করে ৬ জনের বিরুদ্ধে সোমবার লালমনিরহাট সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী গরু ব্যবসায়ী আইয়ুব আলী। বাকী অভিযুক্তরা হলেন, সৌরভ টেরা, রায়হান, রব্বানী, বাবু ও তুষার। তারা সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও বিলাশের সঙ্গী।

আইয়ুব আলী বলেন, মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে বিলাশের কাছে পৌঁছেই মারপিট শুরু করে। যেভাবে নির্যাতন করেছে তা বর্ণনা দেয়ার মত নয়। হাতে পায়ে ধরেও রক্ষা পাইনি। অবশেষে তাদের চাহিদা মত আড়াই লাখ টাকা দিলে মুক্তি পাই। দিনভর তাদের হাতে আটকা ছিলাম। বিলাশের ধারণা আমি ভারতীয় গরুর ব্যবসা করি তাই তার হিস্যার জন্য চাঁদা দাবি করেছে। তিনি ন্যায় বিচার দাবি করেন।

এ বিষয়ে জানতে লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদ জামান বিলাশকে তার ব্যবহৃত মোবাইলে (০১৭৫৯৩২৫৫৫৮) নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ওমর ফারুক বলেন, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাশেদ জামান বিলাশসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

;

‘বৈদেশিক ঋণ নির্ভর বাজেট গরিবদের জন্য নয়’

ছবি: বার্তা ২৪

আজকের এই বৈদেশিক ঋণ নির্ভর বাজেট গরিবদের জন্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী।

মঙ্গলবার (১১ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরাম।

নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, ‘আজকের এই বাজেটর অধিকাংশ হচ্ছে বৈদেশিক ঋণ নির্ভর বাজেট। বিদেশি ঋণ যদি পাওয়া যায় তাহলে বাজেট পরিপূর্ণ হবে। এই বাজেট দেশের গরিব মানুষের কথা চিন্তা করে তৈরি করা হয়নি। যারা দেশের টাকা লুটপাট করে, দুর্নীতি করে তাদেরকেই উৎসাহিত করার জন্য এই বাজেট তৈরি করা হয়েছে। আজকে দেশের পুলিশ প্রধান এবং সেনাবাহিনী প্রধানেরা ভয়াবহ দুর্নীতি করছে। এই হচ্ছে দেশের অবস্থা।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে দীর্ঘদিন ধরে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীকে এই সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে আটকে রেখেছে। বর্তমান এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে আছে।’

জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরামের সভাপতি মনজুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানার সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, কৃষক দলের সহ-সভাপতি ভিপি ইব্রাহিম, মৎস্যজীবী দলের সহ-সভাপতি ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।

;

মোদি সরকারকে বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশাকে মর্যাদা দেওয়ার আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের নতুন সরকারকে বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (১০ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ভারতের জনগণ যেমনভাবে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করেছেন, বাংলাদেশেও যেন তেমনটা ঘটে এবং সেভাবেই যেন দুই দেশের সম্পর্ক তৈরি হয়। নরেন্দ্র মোদি সরকারের কাছে এটাই বিএনপির চাওয়া।

তবে ভারতের মুখাপেক্ষী আওয়ামী লীগ দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে নতজানু হয়ে আছে বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ক্ষমতাসীনদের দুর্বলতার কারণেই তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশে ঢুকে লোকদের হত্যা করছে।

তিনি বলেন, যখনই ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ, তখনই তাদের কেমিস্ট্রি পরিবর্তন হয়। আওয়ামী লীগ এখন গণমানুষ নয়, বেনজীর-আজীজদের দল।

‘আওয়ামী লীগ নেতারা সব খাচ্ছে আর জনগণ উপোস রয়েছেন। ক্ষমতাসীনদের সর্বগ্রাসী ক্ষুধায় দেশের মানুষ অতিষ্ঠ’, যোগ করেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আন্দোলন না করলে কিছু পাওয়া যাবে না। আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারকে বিদায় জানাতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বেনজীর-আজিজ কেলেঙ্কারির পরও নির্লজ্জের মতো ক্ষমতা আঁকড়ে আছে সরকার। সরকারকে উচ্ছেদ করা ছাড়া বিকল্প নেই।

;

বঞ্চনায় মানুষ আত্মহত্যা করছে: রিজভী

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ এক দম বন্ধ করা পরিস্থিতির মধ্যে বসবাস করছে। একদিকে সরকারি আক্রমণ, একদিকে গুম-খুন-ক্রসফায়ার, আরেক দিকে ক্ষুধা দারিদ্র্যতায়, বঞ্চনায় মানুষ আত্মহত্যা করছে। পিতা-মাতারা তার সন্তান বিক্রি করছে। এই উপহার দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (১০ জুন) মতিঝিল সোনালী ব্যাংকের সামনে শ্রমিক দলের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতারণার শিকার হয়ে মালয়েশিয়াগামী শ্রমিক সোহেল তানভীরের আত্মহত্যার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে শ্রমিক দল।

সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া সরকারের মধ্যে চুক্তি হয়েছে— যারা মালয়েশিয়া যাবেন তাদের লাগবে ৭৮ হাজার পাঁচশ টাকা। অথচ দুষ্টচক্র ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা নিয়েছে। একদিকে ছাড়পত্র হয়েছে, পাসপোর্ট হয়েছে, সব প্রস্ততি শেষ হওয়ার পরও আজকে হাজার হাজার শ্রমিক মালয়েশিয়া যেতে পারেনি। বাংলাদেশের এই যে চক্র তারা কারা? তারা প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ লোক।

তিনি আরও বলেন, মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, নিজাম হাজারি, সাবেক অর্থমন্ত্রী লোটাস কামালের পরিবার; তারা বাংলাদেশের ক্ষমতাশালী ব্যক্তি, তারাই এই চক্রের সঙ্গে জড়িত। মানুষের জায়গা, জমি, গহনা, সহায় সম্বল বিক্রি করে যে ছেলেটি মালয়েশিয়া যেতে পারেনি। তিনি ভৈরব ব্রিজ থেকে মেঘনা নদীতে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কারণ বাড়িতে গিয়ে তার তো কিছু করার ছিল না। জায়গা জমি বিক্রি করে নিঃস্ব হয়ে সে আত্মাহুতি দিয়েছে। এটিই হলো শেখ হাসিনার উপহার। ১৬ বছর ধরে এভাবে তারা গোটা দেশের জনগণকে প্রতারিত করছে। এভাবে আমাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো শেষ করে দিয়েছে সরকার।

শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম মঞ্জুর পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুইঁয়া, ব্যাংকিং বিষয়ক সম্পাদক লায়ন হারুনুর রশিদ, মালয়েশিয়া বিএনপির সভাপতি মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *