সারাদেশ

আরে বেটা যদি সাহস থাকে বাংলাদেশে ফিরে আয়: তারেককে প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট: সাভারের আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ঘটনায় মোট ১২ টি মামলায় ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা প্রায় সাড়ে ৩ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷

রোববার (১২ নভেম্বর) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিদুল ইসলাম।

শ্রমিকদের মারধর, কারখানা ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় এসব মামলা করেন ক্ষতিগ্রস্ত কারখানা কর্তৃপক্ষ।

নতুন ৯ টি মামলায় উল্লেখকৃত ক্ষতিগ্রস্ত কারখানাগুলো হল- এ আর জিন্স প্রডিউসার লি., শারমিন গ্রুপের শারমিন ফ্যাশন ১ ও শারমিন ফ্যাশন ২, জিমেক্স ক্লোথিং লিমিটেড, সাউদার্ন ক্লথিং লি, এন আর ক্রিয়েশন্স লি., ডেকো ডিজাইন লি., ডেকো ওয়াসিং লি., হা-মীম গ্রুপের দ্যাটস ইট স্পোর্টস ওয়্যার লি, এ্যাপারেলস গ্যালারী, রিফাত গার্মেন্টস, এক্সপ্রেস ওয়াশিং এন্ড ডাইং এবং আরও প্রায় ২ টিসহ মোট ১৪ টি কারখানা। এসব মামলায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ সহ আসামি করা হয়েছে প্রায় ২ হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তিকে।

এর আগে আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার ছেইন এ্যাপারেলস লি., বেরন সরকার মার্কেট এলাকার হামীম গ্রুপের নেক্সট কালেকশন্স লি. এবং ধনাইদ ইউসুফ মার্কেট এলাকার ডিসাং সোয়েটার লি. কারখানায় ভাঙচুরের অভিযোগে অজ্ঞাত ১৫০০ জনের বিরুদ্ধে ৩ টি মামলা দায়ের করেছিল কারখানা কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিদুল ইসলাম বার্তা ২৪.কমকে বলেন, শ্রমিকদের করা গত কয়েক দিনের এই আন্দোলনে আশুলিয়া থানায় মোট ১২ টি মামলা রুজু হয়েছে। ১টি মামলায় ১৬ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। আর বাকি মামলাগুলো অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এই অজ্ঞাত আসামির সংখ্যা বিভিন্ন মামলায় বিভিন্ন রকম করা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫ জন আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতারি কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সাধারণ শ্রমিকরা শান্তি প্রিয়। তবে কিছু দুষ্কৃতকারী ও বহিরাগত কিছু লোক তৃতীয় কোন পক্ষের ইন্ধনে নাশকতা করছে, কারখানা ভাঙচুর করেছে। এসব দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। শিল্পখাতে যারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।

এদিকে শ্রমিক অসন্তোষ ঘিরে শিল্পাঞ্চলে শিল্পপুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। কারখানা ও আশেপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *